Friday, October 26, 2018

রোমান্টিক শয়তান পর্ব 12-13

Romantic_Devil
#অন্ত_নীলা
#পর্ব_12
.
.
.
পরির মত সুন্দর।
চিন্তা করনা যতদিন তুমি চাইবেনা ততদিন তোমার অতটা কাছে যাবনা।
-তাইলে কোল থেকে নামান।
-অতটা কাছে বলছি এতটা কাছে বলিনাই।
ঘোমটা দাও।
-ঘোমটা কেন?
- দিতে বলছি দিবা এত কথা বল কেন বেশি কথা বলা তোমার অভ্যাস হয়ে গেছে কমাও যত তাড়াতাড়ি কমাবা তত ভালল নয়ত কপালে শনি আছে।
মিম মাথায় ঘোমটা উঠিয়ে নেয়। ডেবিলটা আমার জীবনটা পুড়ে ছারখার করে দিল এত কিসের সমস্যা ওর!
শুভ্র মিমকে খাটে বসায়ে দিলল। মিমের ঘোমটা উঠিয়ে শুভ্র বলল
"মাশাল্লা মাশাল্লা আমার বউকে তাজা অনেক সুন্দর লাগতেছে একদম পরীর মত"
মিম শুভ্র কে ভেংচি কেটে দিলো। শুভ্র মিমর দিকে লাল দৃষ্টিতে চেয়ে আছে।
একটা কথা বলি" ভেঞ্চি কাটলে তোমাকে একেবারেই বাচ্চা বাচ্চা লাগে অনেকদিন তো বাচ্চা হয়ে থাকলে এখন একটু বড় হওয়ার চেষ্টা করো।"
মিম মনে মনে বলে
"আমি বাচ্চা আমি বাচ্চা ই থাকব আমি কোনদিন বড় হব না"
শুভ্র অপলক দৃষ্টিতে মিমের দিকে চেয়ে আছে এত সুন্দর লাগতেছে চোখ ফিরাইতে পারতেছে না।
মি মেরে গালে একটু হাত রাখার চেষ্টা করতে নিলেই মিম বলে উঠল.
" একি একি আপনি না বলেছিলেন আমাকে ছোঁবেন না দূরে থাকবেন তাহলে আবার এটা কি শুরু করলেন?"
শুভ্র চোখ গরম করে মিম এর দিকে তাকালো।
"আমি শুধু বলেছিলাম তোমার থেকে দূরে থাকব এর মানে এই না যে তোমাকে ছোব না বেশি বুঝ কেন এত চুপচাপ ঘুমাও এখন।"
মিম যেন প্রাণে পানি পেল। তবুও বললো যে,, "এইসব পরে কেমনে ঘুমাবো? "
তারপর শুভ্রর নিজ হাতে মিমের গয়নাগুলো খুলে দিল।
এখন ঘুমাও।
মিম শুয়ে পড়লো। শুভ্র মিম এর পাশে শুয়ে পড়ল। তারপর একহাত মিমের গায়ের ওপরে রাখল।
"একি একি আপনি আমার গায়ে হাত দেন কেন?"
" তুমি আসবা জন্য আমার কোল বালিশ টা কে ওই রুমে পাঠানো হয়েছে কারণ এক খাটে তো তুমি আমি আর কোল বালিশ আটানো সম্ভব নয় তাই। তাই কোলবালিশ এর কাজ তোমাকে করতে হবে আজ তো শুধু হাত দিলাম নেক্সট টাইম থেকে পাও তুলে দিব কিছু বলতে পারবে না।"
" আমি আপনার খাটে থাকমু না আপনি আপনার কোলবালিশকে নিয়ে আসেন ওইটা নিয়া ঘুমান হাত পা সব তুলে দেন আমার কিচ্ছু আপত্তি নাই।"
" ওই মেয়ে চুপ। তুমি এখন আমার বউ। তুমি একটা ছেলেকে যাতে জিজ্ঞেস কর তো যার বউ আছে তার কোলবালিশ আছে কিনা।! এত বেশী কথা বলো কেন? সারাদিন অনেক টানা হেচড়া গেছে এবার ঘুমাইতে দাও তো!"
মিম মনে মনে " আমি আপনার ঘুমের কি সমস্যাটা করলাম? আপনি ই তো আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছেন না। এবার হাত তুলে দিচ্ছেন, আবার পা তুলে দিতে চাচ্ছেন,, এভাবে কি কারো ঘুম হয়? আমি হাতির হাত নিয়ে কেমনে ঘুমাব?খায়ে খায়ে ত হাত গুলা হাতির মতো বানাইয়া ফেলছেন!"
" ওই মেয়ে ঘুমের মধ্যেও বিড়বিড় করা রোগ আছে নাকি? দিনেও বিড়বিড় কর রাতেও বিরবির করো ঘুমাও এখন।"
ঘুমোতে দিলে তো ঘুমোবো ডেবিল কোথাকার শান্তিতে ঘুমোতেও দিবে না।
"তুমি তাহলে বিড়বিড় করা অফ করবে না তাই না! তোমার তো ঘুম আসছে না একটা কাজ কর আমার পা টিপো যাও!"
" আমি এখন আপনার পা টিপতে পারবো না।"
"! বিড়বিড় করে আমার কাঁচা ঘুম ভাঙাইছ। এখন আবার প্যাচাল পারা হইতেছে। কথা না শুনলে থাপড়ায়ে সব দাঁত খুলে ফেলবো যাও! পুরো এক ঘন্টা পা টিপবা তাও কোনরকম বিড়বিড় ছাড়া। তারপর আইসা ঘুমাবা এর আগে যদি উঠছ তবে তোমার খবর আছে।"
মিম আর কি করে ডেভিলের একবার থাপ্পর খায়ছিল সেটা এখনো তার মনে আছে এরপর আর কোনো রকম কথা না বলে সে পা টিপতে উঠে গেল।
পা টিপতে টিপতে মিম বারবার ডেভিলের দিকে তাঁকাতে থাকলো ডেভভিল ঘুমিয়ে পড়েছে কিনা। কয়েকবার মনে হলো ঘুমিয়ে পড়েছে কিন্তু উঠে যায় পাশে শোয়ার সাহস হলো না যদি জেগে থাকে! এখনো তো একঘন্টা হয়নি! তাকে ঠাস করে চড় মারবে।
1 ঘন্টা কখন হয়েছে মিম জানতে পারলে না কারণ এক ঘন্টার আগেই মিম পা টিপতে টিপতে শুভ্রুর পায়ের কাছে ঘুমিয়ে পড়লো।
,,,,,
সকাল বেলা,,,
সকালে উঠে শুভে পা নাড়াতে পারছে না। শুভ্রর অনেক সকালে উঠে অভ্যাস।! পায়ের উপর কি যেনো ভারী ভারী মনে হচ্ছে তাই পা টাকে কোন ভাবেই সোজা করতে পারতেছে না। শুভ্র পাশে হাত দিল দেখে কিছু নেই। কিন্তু তার সাথে তো তার বউ থাকার কথা ছিল।
' আমার বউ কই গেল'
পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখে মিম শুভ্রর পায়য়ের সাথে মিশে ঘুমিয়ে আছে।
হায় হায় বৌটা আমার শারারাত এখানে ঘুমাইছে।
"এই মিম মিম উঠো।"
"ডেভিল আমি পা টিপতেছি তো এমনিই ডাকতে ছো কেন টিপতে দেও "
" অনেক টিপেছ আর টিপতে হবে না।"
"ডেভিল কাল ভল্লুক নেংটি ইঁদুর দ্বারকাক।"
"মিম তুমি কি উঠবা!"
"আরেকটু ঘুমাই।"
শুভ্র ঘড়ি দেখলাম সাড়ে সাতটা বাজে এখনো উঠে নাই এই মেয়েকি সকালে উঠতে জানে না নাকি?
পাশের টেবিলে এক গ্লাস পানি রাখা ছিল সুভ্র গ্লাসটা হাতে নিয়ে মীমের মাথার উপর ঢেলে দিলো।
মিম ধরমরিয়ে বিছানা থেকে নামল শুভ্রর দিকে তাকিয়ে বলল "এটা আপনি কী করলেন"
" উঠতে ছিলা না এই যে কখন ধরে ডাকতেছি ওঠা লাগে না? উঠানোর ব্যবস্থা করলাম শুধু। কটা বাজে খেয়াল আছে এত দেরি করে কেউ উঠে?"
মেমো ঘরের দিকে তাকিয়ে দেখে কেবল সাড়ে সাতটা বাজে।
" কেবল ত সাড়ে সাতটা বাজে আমি কোনোদিন আটটার আগে উঠিনাই।"
" আগে তুমি মানুষের বাসার মেয়ে ছিল এখন তো মানুষের বাসার বউ। আগে উঠো নাই তো কি হইছে এখন রেগুলার নিয়ম করে ৫ টার সময় উঠবা। উঠে নামাজ পড়বা আর আমাকেও ডেকে মসজিদে পাঠাবা এটা তোমার প্রথম দায়িত্ব।"
হায় হায় ভূতের মুখে রাম নাম ডেভিল নামাজও পড়ে!
"ঠিকাছে।"
" এখন ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি রান্না ঘরে যাও। মা আর বড় ভাবির সাথে রান্নার কাজে হাত লাগাও।"
" কালই তো বিয়ে হলো এত তাড়াতাড়ি আমাকে রান্না করে পাঠাচ্ছেন?"
" বিয়ে হয়েছে বলে কি তুমি পড়াশোনা ছেড়ে দিবা? দিবানা ত। খাওয়া ও ছেড়ে দিবা না। তাহলে রান্না করতে সমস্যা কি? তুমি রান্না শিখে নাও। রান্না করতে পার তো আবার?"
মিম ঘাড় নাড়ালো এটার উত্তর হ্যা ও হতে পারে নাও হতে পারে।
মিম ফ্রেশ হতে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালে শুভ্রর মিমকে টেনে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরল।
" ও বও এক্টু আদর দাও না। সারাদিন তো তোমাকে পাওয়া যাবে না। অনেক বিজি থাকবে। আর শুনো মন দিয়ে কাজ করবে আমার মা-বাবা যা বলবে তাই করবে ওদের কখনো অসম্মান করবে না।"
আপনাকে আদর করতে আমার বয়ে গেছে।
"জি করব।"
" এখন একটু আদর দাও।"
মিম শুভ্রকে ধাক্কা দিয়ে পালালো।
,,,,
ফ্রেশ হয়ে রান্না ঘরের দিকে গেলো মিম।
"মা অই ত নতুন বউ এসেছে।"(বড় ভাবি)
" মা তুমি আজকেই রান্না ঘরে এলে যে! এটা কোন কথা হলো? যাও শুয়ে রেস্ট নাও।"
" না মা ঠিক আছে ও একটু আধটু ককাজ শিখুক। তোমার হাতের রান্নার স্বাদ যেন ওর হাত পাওয়া যায় আমি খাবো কি?"
"আহ শুভ্র তুই চুপ কর ত।"
মিম কিছু বলছে না রান্নাঘরের দিকে চেয়ে চেয়ে দেখছে।
ঘরটা অনেক সুন্দর প্রত্যেকটা জিনিস সাজানো গোছানো হাত বাড়ালেই সব কিছু পাওয়া যাবে।
মিমের মনে একটা প্রশ্ন বারবার আসছে এরা এত বড় লোক তোবুও রান্নার লোক নেই কেন?
"মা একটা কথা জিজ্ঞেস করি?"
"কর বউমা"
"রান্নার লোক নেই কেন?"
"আসলে শুভ্রর বাবা শুভ্র শুভ্রর বড় ভাইয়া কেউই অন্য কারোর হাতে রান্না খাইতে পারে না। তাদের নিজের মানুষের হাতে রান্না চাই।রান্নার লোক তো অনেক দূরে থাক।"
মিম অভিভূত হয়ে তাকিয়ে থাকল।

#Romantic_Devil
#অন্ত_নীলা
#পর্ব_13
.
.
.
মা তুমি কি কিছু রান্না করতে পারো?
মিম কিছু বলল না শুধু মাথা নাড়ল। এমন ভাবে নাড়ল যে তার উত্তর হ্যা বা না যে কোনোটাই হতে পারে।
-আচ্ছা তুমি এক কাজ কর শুভ্রর জন্য কোনো একটা ছোট খাটো রান্না কর। বেচারা আমার ছেলে টা বউ এর হাতের রান্না খাবে বলে পাগল হয়ে গেছে।
সবাই হেসে দিল।
-(খাওয়াচ্ছি রান্না)
-আচ্ছা মা কি রান্না করবা?
-নুডলস করি?
-সেকি প্রথমদিন মিষ্টি কিছু করতে হয়।
-আচ্ছা সেমাই করি?
-আচ্ছা।
,,,
অতপর মিম সেমাই রান্না করল। যথারিতি সেটা সবাই কে পরিবেশন করা হল। শুভ্রর বাবা বাইরে গেছেন আর শুভ্রর আম্মু ডিক্লেয়ার করল সবার আগে মিমের সেমাই শুভ্র খাবে আর যেমন ই হোক ওকে পুরোটা খাইতে হবে। আর খাওয়া শেষের আগে কোনো কথা বলা যাবেনা।
শুভ্র খাওয়া শুরু করল। এক চামচ খাওয়ার পর শুভ্রর চোখ এই বড় মার্বেল এর মত গোল হল।
মিম ত আনব্দে লাফাচ্ছে,,,
-কেমন হয়েছে? নিশ্চই অনেক মজা হয়েছে তাই ত আপনি এইভাবে খাচ্ছেন।
এদিকে শুভ্র গপাগপ খাইতেইই আছে।
মা এর আদেশ অমান্য করা তার পক্ষে অসম্ভব।
খাওয়া শেষে,,,
মিম অধীর আগ্রহে তাকায়ে আছে শুভ্রর দিকে তার রান্না কেমন হয়েছে শুনার জন্য।
-রান্না কেমন হল? নিশ্চই ভাল। আপনি নিশ্চয় এমন সেমাই জীবনেও খাননি।
-(হুংকার দিয়ে) এটা সেমাই ছিল?
আমি জীবনেও লবণের সেমাই খাইনাই।
মা এই মেয়ে যখন রান্না করতেছিল তোমরা কোথায় ছিলা?
-কই একটু খেয়ে দেখি!
শুভ্রর মা একটু খেল।
-হু লবণ একটু হয়েছে ত কি হইছে?
আমাদের বউমা যা মিষ্টি তার কাছে এইই লবণ কিছুই না।
-উফফফফফ মা।
আমার পেট ব্যাথা করতেছে আমি উপরে গেলাম।
শুভ্র নিজের রুমে গেল।
-(হিহিহি এখন কেমন মজা? আমার হাতের রান্না খাওয়ার শক তাইনা। ডেভিল তুমি এখন লবণ খাও।)
-(ফাজিল মেয়ে তুমি আগে রুমে আসো তোমায় দেখাচ্ছি মজা)
মিম তার শাশুরির সাথে অনেক গল্প করল.।
পুরো বাসা টা রাইসা মা আর ভাবী মিলে মিমকে ঘুরে দেখালো।
মিমের সব থেকে পছন্দ হল ছাদ।
ছাদ এ র আশেপাশে অনেক গাছ সেগুলোর ডালপালা ছাদে এসে জমে ছাদকে অপরূপ করে তুলেছে।
-উফফফফ এইখান থেকে জোসনা দেখা ভীষণ হবে।
-হুম ভাবী।
আমরা মাঝেমাঝেইই এখান থেকে জোসনা দেখি।
শুভ্র ভাইয়া গান করে তখন।
-অই ডেভিলটা গান ও জানে?
-হাহাহা ভাইয়া কে ডেভিল বলতেছ?
হু ডেভিল ভাইয়া গান ও জানে।
মিম চারিদিক দেখতে থাকে। ছাদে বিভিন্ন ধরণের ফুলের টব ছাদের সৌন্দর্য কে বাড়িয়ে দিয়েছে।
এক ধরণের লতাগুল্ম ছাদের এক কোণায় গ্রিল এর মত ব্যাবস্তআ করা সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। ইশ পাতার কি রং।ফুল গুলোও ছাদকে মায়াময় করে তুলেছে।
-ছাদ কম বাগান বেশি বলা যায়।
-হুম আর এই সব ই আমার ডেভিল ভাইটার কাজ।
-(বাহ ডেভিলটার সদগুণ দেখে আমি অভিভূত।)
-ভাবী চল এখন বাগানে যাই।
-আস্তে আস্তে। এখনি সব কিছু দেখায়ে দিবি ভাবীরে?
পরের জন্যও কিছু রাখ।
এদিকে আমার ছেলেটা অই অবস্থায় ঘরে গেল,,,,
বৌ মা যাও ত এখন তোমার স্বামীর সেবা কর।
...
এদিকে শুভ্রর ত বাথরুমে যেতে যেতে অবস্থা ই খারাপ।
বারবার বাথরুম যাচ্ছে আর মনে মনে মিমকে গালি দিচ্ছে।
ফাজিল মেয়ে একটা। জীবনে মনে হয় রান্না ঘরে ঢুকেনাই।
ঠিক এই সময় মিম ঘরে ঢুকল।
ঢুকে দেখে শুভ্র এক হাত কমড়ে আর অন্যহাত পেটে দিয়ে সারাঘর পাইচারি করে বেড়াচ্ছে।
,,
মিম কাশি দিয়ে ঘরে ঢুকলো।
শুভ্র এগিয়ে এসে মিম কে দেয়ালের সাথে চেপে ধরল।
মিমের খুব কাছে গেল শুভ্র।
-লাগছে ছাড়ুন।
-লাগার জন্যই ত ধরছি।
তোমায় থাপড়ায়ে যে দাঁত খুলে দেইনি এটাই ত অনেক।
তারপর নিজের মুখ মিমের কানের কাছে নিয়ে চিৎকার করে বলল,,
-জীবনে রান্নাঘরে ঢুকো নাই?
কেমন মেয়ে তুমি? চিননি আর লবণের পার্থক্য বুঝনা।
তোমার জন্য আমার কি অবস্থা তুমি জানো?
বার বার বাথরুমে,,,,,,
আহহহ বলে মিমের হাত ছেড়ে দিয়ে নিজের পেট চেপে ধরে বাথরুমের দিকে দৌড় দিল।
-হাহাহা তাইলে ডেভিলটার এই অবস্থা।
ইশশ আমার হাতটার কি অবস্থা করছে। খবিশ ডেভিল।
বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে শুভ্র বের হল।
তারপর কোনো এক ডাক্তার কে ফোন দিয়ে অষুধ জেনে নিয়ে অষুধ খেয়ে ঘুম দিল।
,,,
ঘুম থেকে উঠে।
-মিম চল আমরা আজ ঘুরতে যাব।
-কোথায়?
-গেলেই দেখতে পাবে।
-আচ্ছা চলুন।
,,,,
-একি আমরা গাড়িতে যাবনা?
-না আজ নাহয় বাইকে যাই রোমান্টিক জার্নি
-আমার বাইকে উঠলে ভয় লাগে।
-আরে পাগলি আমি ত আছি।
তারপর মিম আর শুভ্র বাইকে উঠল।
মিম বেচারি না পারছে শুভ্রকে ধরতে না পারছে না ধরে থাকতে।
ভয়ে ওর শরীর সিটিয়ে আসতেছে।
আর শুভ্রও এদিকে ভীষণ স্প্রীডে বাইক চালাইতে লাগল।
মিম ত পুরাই কান্নাকান্না অবস্থা।
-আস্তে চালান আস্তে।
-শুভ্র আরো জোড়ে বাইক চালানো শুরু করল।
মিম আর উপায় না পেয়ে শুভ্র কে পিছন থেকে চেপে ধরল।
সামনে একটা ট্রাক আসতেছে।
আর শুভ্র অইদিকেই যাচ্ছে দুঈটাই ভীষণ দ্রুত চলতেছে।
এক্সিডেন্ট অনিবার্য।
মিম আর কিছু দেখতে পারতেছেনা।
শুভ্রকে জোড়ে আকড়ে ধরে চোখ বন্ধ করে ফেলল।
,,,,,,
-স্বর্গে নিজেই নিজেকে অভ্যর্থনা জানাই।
-এসব কি আবুল তাবুল বলতেছ মিম?
-শুনেছি পূণ্যাত্মা দের আল্লাহহ কম কষ্ট দিয়ে মৃত্যু দেয়।
তাই হয়ত আমার একটুও কষ্ট হয় নাই।
-অই পাগল মাইয়া থামবা তুমি?
এসব কি বল আবুল তাবুল।
-উফফফফ কেন যে সেদিন আপনার সাথে বিয়ে হল এখন মরার পরেও আমার আপনের সাথেই থাকা লাগব?
শুভ্র ঠাস করে একটা চড় মারল মিমকে।
ভীষণ জোড়েই।
-এএএএএএ
-কী ব্যাথা লাগল?
-হু!
-মরা মানুষের ব্যাথা লাগে?
-লাগার ত কথা না।
তাহলে আমি এখনো মরিনাই? বেঁচে আছি আমি!
ঢিংগাচিকা ঢিংগাচিকা ঢিংগাচিকা রে এএএ এএএএ রে এএএএ।
মিম অইখানে রাস্তায়েই নাচা শুরু করল।
-অই মেয়ে অই মেনারলেস মেয়ে থামো।
-কি মজা কি মজা আমি বেঁচে আছি।
এখন মিম লাফাচ্ছে।
শুভ্র আরেকটা থাপ্পড় দিল।
মিম কেঁদে দিল।
-এএএএএএএ। খালি মারেন কেন কথায় কথায়?
-না মারলে ত তুমি কথা শুনো না তাই জন্যে মারতে হয়।
-আমরা এক্সিডেন্ট থেকে বাঁচলাম কীভাবে?
-আমি গাড়ি চালানোয় এক্সপার্ট বুঝছ।
-ওওওও তাইলে বাইক কই?
-তোমার পিছনে।
মিম পিছনের দিকে তাকায়ে বাইক টা দেখে নিল।
নাহ বাইক ঠিক আছে আর সে ও ঠিক আছে।
-আপনি এটা কেন করলেন?
-আমায় লবণ খাওয়ানোর সামান্য পানিশমেন্ট দিলাম।
এখনো আরো বাকি।
-আরো বাকি মানে!
-আরো বাকি মানে আরো বাকি।
-পরে দিয়েন। এখন ক্ষুদা লাগছে খাব কিছু চলেন।
পরে শুভ্র আর মিম একটা রেস্টুরেন্ট এ গেল।
মিম খেয়েই চলেছে খেয়েই চলেছে।
শুভ্র হা করে তাকিয়ে আছে।
তার জীবনে কখনো এরুপ খাদকক মানুষ কোথাও দেখেনি।
রেস্টুরেন্ট এর বিল মিটিয়ে শুভ্র মিম কে বলল,,,
-তোমার কাছে টাকা আছে?
-না ত আপনার সাথে এসেছি তাই টাকা আনিনি।
-আচ্ছা চল তবে বাসায় যাওয়া যাক।
দেখি তোমার ফোনটা।
-আমার ফোন দিয়ে আপনি কি করবেন
-আরে দাও ই না।
মিম ফোন দিল তারপর মিম উঠার আগেই বাইক ছেড়ে দিল।
-মিম সোনামনি তোমার বাকি পানিশমেন্ট হচ্ছে এখান থেকে হেটে বাড়ি যাওয়া

No comments:

Post a Comment