Friday, October 26, 2018

রোমান্টিক শয়তান পর্ব 24

omantic_Devil
#অন্ত_নীলা
#পর্ব_24
.
.
.
শুভ্র আলমারি থেকে একটা উড়না বের করে মিমের পায়ে বেধে দিল।
-এএএএএএ। এটা কি হচ্ছে?
-তোমার পা বেধে দিলাম। এখন আর কোথাও যেতে পারবানা।
-আমি যাব আপনার কি?
-আমার কি মানে? আমার বউ হয়ে বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়াবে আর আমি চেয়ে চেয়ে দেখব? এটা হয় নাকি?
-হু ধরে ধরে অমানুষ এর মত পিটাবেন পরে বউ বউ করে পিছনে পিছনে ঘুরবেন?
-এইযে কান ধরলাম আর এমন করব না!
-উঠবোস করুন এক হাজার বার।
-কককিইই?
-হ্যা নয়ত মাফ নাই। সেটাও তিন ঘন্টার মধ্যে।
-বললেই হল? তুমি বললেই হবে নাকি? এখন থেকে আমি যা বলব তা ই হবে।
-হু তা ই ত হয়। আপনি যা বলেন সব সময় ই তা হওয়া লাগে। অন্য মানুষের মনের ত আপনার কাছে কোনো দাম ই নাই।
-আচ্ছা আমি কান ধরে উঠবোস করলে তুমি হ্যাপি হবা?
সহ্য করতে পারবা? তোমার ভাল লাগবে?
-আমায় মাইর দেয়ার সময় আপনি পারছিলেন ত আমিও পারব।
-ঠিকাছে তবে তাই হোক।সময় হিসেব কর আর কয়বার হল সেটাও।
শুভ্র এই বলেই শুরু করে দিল প্রতি দশ সেকেন্ড এ দুইবার করার চেষ্টা করছে।কিন্তু হচ্ছেনা ১৫ সেকেন্ডে দুইবার হচ্ছে। মিম গুনতেছে পঞ্চাস বার এর কাছাকাছি হয়ে গেছে। শুভ্রর পা টলতেছে। মিমের সব রাগ গলে পানি হয়ে গেল।
-এইযে এইবার থামুন।
শুভ্র শুনছেনা ও করতেই আছে কোনো কথা শুনছে না।
-থামুন প্লিজ।
কার কথা কে শুনে। শুভ্রর মেজাজ চড়ে গেছে। সে ত করতেই আছে। মিম কান্না কান্না হয়ে গেল ও চেয়ারে বসে আছে উঠতেও পারতেছেনা শুভ্র ওর পা বেধে দিয়েছে।
-থামুন প্লিজ আমি আর আপনাকে পানিশমেন্ট দিবনা আপনার সব কথা শুনব প্লিজ থামুন।আপনার সব পানিশমেন্ট মাথাপেতে নিব তবুও আপনি থামুন।
শুভ্র থামেনা করতেই থাকে। মিমের থেকে শুভ্র প্রায় তিন হাত দূরে। ও আবার পা খুলার চেষ্টা করে কিন্তু গিরো খুলতে পারেনা তারপর পা বাধা অবস্থায় ই উঠে দাড়ায়। লাফিয়ে লাফিয়ে শুভ্রর দিকে এগুতে যেতে নিলেই পরে যেতে ধরে। শুভ্র মিমকে ধরে ফেলে। শুভ্রর সারা শরীর দিয়ে ঘাম পরছে। মিম সেগুলোতে মাখামাখি হচ্ছে।
শুভ্র মিমকে ধরে আছে আর মিম শুভ্রর বুকে ধুপধাপ কিল লাগাচ্ছে।
-এত্তত্ত জিদ কেন আপনার? এত জিদ কেন? এরকম আরেকবার করলে আমি এমন যায়গায় চলে যাব দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়াও খুজে পাবেন না।
শুভ্র কে মারতে মারতে মিম নিজেই কেঁদে ফেলে।
-আমি কোনো ছেলের সাথেই আর কথা বলবনা। অই দিন অইদিন তো,,,
-আমি জানি অইদিন কি হইছিল। সরি প্লিজ ক্ষমা করে দাও আমি আর এমন করবনা প্রমিজ আগে তোমার থেকে শুনব তারপর অন্যকারো থেকে।
-উফফফ এখন ত আমার পা খুলে দেন। এই ভাবে আর কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকব?
-কেন আমার হাতের উপর থাকতে ভাল লাগছে না?
-উফফফফফ আপনি একটা ডেভিল। একটা খাটাস। পা খুলে দেন বলছি প্লিজ খুলে দেন।
-দিচ্ছি।
শুভ্র মিমের পা খুলে দেয়।
-মিমু শুনো। তুমি শুধু আমার। অন্যকোনো ছেলে যদি তোমার দিকে চোখ তুলে তাকায় তবে তার চোখের আমি বারোটা বাজাবো।
-বাজাবেন ই ত আপনি ত ডেভিল।
-যাও যাও মা এর সাথে দেখা করে এস। তার ছেলের বউরে আমি কি করছি তা নিয়ে এই কয়দিন আমায় ঠিকমত খাইতেও দেয়নাই। এখন তুমি ঠিকক করে রান্না করে আনো।
,
ইফাদের খুব চিন্তা হচ্ছে। কে জানে মিম এখন কি অবস্থায় আছে! শুভ্র নামক ডেভিলটা নিশ্চই মিমের যত্ন নেয়ার জন্য মিমকে অইখানে নিয়ে যাইনি! যেসব ছেলেদের বৌকে মারার অভ্যাস থাকে তারা মারেই। এদের স্বভাব কখনো ঠিক হয়না। কিন্তু তার কিছুই করার নেই। সত্যি ই কি কিছু করার নেই? মিম কে একটা ফোন দেয়া যায়না?#
,
মিম শুভ্রের আম্মুর কাছে গিয়ে উনার সাথে গল্প করতেছে।
-সরি আম্মু আসলে সেদিন আমার অনেক মন খারাপ ছিল তাইই অমন একটা চিঠি লিখেছিলাম।
-মা বলতেছিস আবার সরিও? এটা কিন্তু ঠিক না। সরি ত আমি রে। আমার ছেলেটা তোকে অইভাবে মারছে আর আমি কিছুই করতে পারলাম না।
,
মিমের ফোন বাজতেছে কিন্তু মিম ত মা এর ঘরে। শুভ্র একবার ভাবল সে কি মিমের ফোন তুলবে? না কে না কে ফোন দিছে। কিন্তু ওর সিম ও ত নতুন। অই সিমের নাম্বার ত শুভ্রর কাছেও নেই তবে কে ফোন দিল?
শুভ্র ফোন ধরল আননোন নাম্বার। কল রিসিভ করল শুভ্র
-হেলো মিম! আমি ইফাদ। এখন কেমন আছ তুমি?
শুভ্রর আবার রাগ লাগতেছে। মিমের নাম্বার যেটা তার কাছেই নেই সেটা অন্য একটা ছেলের কাছে কেন থাকবে?
তবু সে রাগ কে দমন করল। একবার রাগ করে বিনা কারণে সে মিমকে অনেক মেরেছে। আর না। হয়ত মিমের কোনো আত্মীয় হবে।
-মিম একটু বাইরে গেছে ত। আপনি রাখুন মিম আসলে আমি ফোন দিতে বলব।
-আপনি কে?
-আমি মিমের হাসবেন্ড শুভ্র। আপনি কে?
-আমি নুফতির ভাইয়া ইফাদ।
-ওহ আমি মিম আসলে বলব আপনি কল দিয়েছিলেন।
শুভ্র ফোন রেখে দিল। ইফাদের শুভ্রর সাথে কথা বলে খারাপ লাগছেনা। ছেলেটা হয়ত ভালই। নিশ্চই কোনো ভুল বুঝাবুঝির কারণে সেদিন এমন করেছিল।
,
-মিম তোমার ফোন এসেছিল।
-কে ফোন দিয়েছিল?
-একটা ছেলে।
ভয়ে ভয়ে মিম শুভ্রর দিকে তাকায়। শুভ্র কি আবার রাগ করেছে কিনা বুঝার চেষ্টা করে।
,
,
,
#চলবে

No comments:

Post a Comment