গল্প:ফাজিল ছেলের মিষ্টি প্রেম।
.
লেখা;স্বপ্ন
.
>কিরে নিহার!তুই যে এতটা সুন্দর তা তো আগে কখনও দেখিনি!
»দেখবি কি করে?তুই কি কখনও আমার দিকে ভালো করে তাকাস?
>সত্যি,আজ তোকে দেখে ক্রাশ খেয়ে গেলাম।
»ক্রাশ খেলেই বা কি!তুই কি আর কখনও আমাকে ভালোবাসবি?
>যদি বাসি তাহলে?
»যাহ ফাজলামি করিস না তো!আর বিশেষ করে এই ব্যাপারটা নিয়ে তুই একদমই ফাজলামি করবি না।
>কেন?খুব লেগেছে বুঝি,তাই না রে?
»ওই বেশি কথা বলবি না বলে দিলাম।
>কেনরে মারবি নাকি!!
»মারতে পারলে তো মারতামি।যেহেতু মারতে পারবো না তাই এখান থেকে চলে যাবো।
>ওই না।sorry sorry.আর বলবো না।
»সত্যি তো?
>হ্যা রে বাবা সত্যি।
»thaaank yooou
এই বলে নিহার নির্য'র গালটা ছোট্ট করে একটু টেনে দিলো।নির্য অধিক ফর্সা হওয়ার কারণে বাম পাশের গালটা লাল হয়ে গেল।
.
ওহ্ নির্য আর নিহার হলো একজন অন্যজনের পরিপূরক।কেউ কাউকে ছাড়া একটা মুহূর্তও থাকতে পারে না।সেই ছোট্টবেলা থেকে তারা একসাথেই বড় হয়েছে।লেখাপড়াতেও ছিল একসাথে।আজ তারা দুজনে ভার্সিটির শিক্ষার্থী।কলেজের গন্ডি পেরায়ে দুজনে ভাগ্যক্রমে একই ভার্সিটিতে সুযোগ পেয়েছে।
.
আজ তাদের ভার্সিটি জীবনের প্রথমদিন।তাই ভর্তি সংক্রান্ত সকল কাজ সেরে দুজনে ক্যাম্পাসের এককোণে বসে এতক্ষন গল্প করছিল।
নিহার নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই নির্যকে ভালোবাসে।কিন্তু কখনও নির্যকে ভালোভাবে বলা হয়ে ওঠেনি।নির্য কেমন করে জানি বুঝতে পারে।আর কথাগুলোকে এড়িয়ে যায়।নাহলে ফাজলামি শুরু করে দেয়।মাঝে মাঝে নিহারেরও ভয় হয়।যদি নির্যর উত্তরটা তার অপ্রত্যাশিত হয়।তাহলে কি করবে সে?এভাবেই তাদের দিন গুলো আস্তে আস্তে কেটে যাচ্ছে।
.
আজ নির্য ও নিহারের ভার্সিটির সপ্তম দিন।নির্যের আজ ক্লাস করতে ইচ্ছে করছে না।আজ তাকে অন্যকিছু করতে ইচ্ছে করছে।যা সে অনেকদিন করতে চেয়েও করতে পারেনি।তাই আট পাঁচ না ভেবে ফোন দিলো নিহারের কাছে।
>হ্যালো নিহার,কলেজে আসবি?
»হ্যা।কেন?
>না মানে।।আজ চল আমরা ক্লাস করবোনা।পুরোটা সময় আড্ডা দেবো।
»মানেটা কি!মোটেও না।আমাকে ক্লাস করতে হবে।
>ওই,ওই না প্লিজ।শুধু আজকের দিনটা প্লিজ।তোর জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।
»দরকার নেই আমার তোর সারপ্রাইজের।
>আজ তোর সেই কথাটা শুনবো যেটা তুই প্রতিবার বলার সময় তোকে আমি থামিয়ে দেই।
কথাটা শোনার পর নিহার আর কিছুই বলতে পারছিলো না।শুধু এটুকু বলল যে,-তুই দাড়া আমি এক্ষুনি আসছি।
.
প্রায় ৩৫মিনিট পর নিহার আসলো।নিহারও আজ ক্লাস করবে না।সে আজ অনেক বেশি করে সেজে এসেছে।নীল শাড়ি।সঙ্গে ম্যাচিং করে টিপ।সাথে নীল কাচের চুরি।যা দেখে আবারও নির্য ক্রাশ খেয়ে গেল।সে নিহারকে বসিয়ে রেখে দৌড়ে কোথায় যেন উধাও হয়ে গেল।কিছুক্ষন পর ফিরে আসলো।হ্যা সে গোলাপ কিনতে গিয়েছিল।যা এখন সে তার পিছনে লুকিয়ে রেখেছে।
»কিরে,কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলি?
>তোর জন্য ভালোবাসার উপহারটা নিয়ে আসতে গেছিলাম।
»আবার তুই ফাজলামি করছিস!
>না রে সত্যি।আজ ফাজলামি নয়।
»মানে?!
এবার নির্য হাটু গেরে নিহারের সামনে বসে ফুলটা নিহারের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
>আমিও তোকে অনেক ভালোবাসি।যখন বুঝতাম না ভালোবাসা কি তখন থেকেই তোকে ভালোবাসি।তুইও আমাকে ভালোবাসিস,এটা আমি আগে থেকেই জানতাম।কিন্তু তোকে কখনও বলতে দিতাম না।ভয়ে থাকতাম।যদি তোর ভালোবাসার সঠিক মর্যাদা দিতে না পারি?তাহলে তোর কাছে অনেক ঋণী হয়ে যাবো।আমি চাইনা তোকে কষ্ট দিতে।কিন্তু আজ আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলাম না।
এতক্ষণ নিহার কথাগুলো শুনছিল আর কাঁদছিল।নির্যর হাত থেকে গোলাপটা নিয়ে নিহার নির্যের বুকে কয়েকটা কিলঘুষি মেরে বলল,
»পাগল একটা।তোর মত করে ভালোবাসার মর্যাদা আর কেউ দিতে পারবে না।ভালোবাসি তোকে অনেকটা জুড়ে।
এদিকে নির্যও নিহারকে আলতো করে টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো।
এখন দুজনে চোখ বন্ধ করে দুজনের অনুভুতি গুলোকে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে।এটাই তো ভালোবাসার দুর্লভ মুহূর্ত।যা পৃথিবীর কোন বস্তুর বিনিময়ে পাওয়া যায় না।।।
.
***সম্পুর্ন কাল্পনিক***
No comments:
Post a Comment