❤️না বলা ভালোবাসা❤️
পর্বঃ০৭
লেখিকাঃ-সামা
.
তানজিলের কথাটা শুনার সাথে সাথে সামা তানজিলের দিক ঘুরে দাঁড়ায়।তানজিলের বুকের উপর দুই হাত দিয়ে একদম তানজিলের চোখে নিজের চোখ রেখে বলে..............................
সামাঃ-মনে ছিলো তোমার????
তানজিলঃ-থাকবে না কেন...............এইদিন কি আমি ভুলতে পারি????
সামাঃ-তাহলে সকালে উইশ করলা না যে
তানজিলঃ-সকালে উইশ করলে এত সুন্দর মুহূর্তটা আসতো কি?????
সামাঃ-না
তানজিলঃ-তাহলে...............আচ্ছা তোমার কি মনে ছিলো না????
সামাঃ-ছিলো
তানজিলঃ-তাহলে আমাকে কেন উইশ করলা না সকালে তুমি????
সামাঃ-আমি তো তোমার মুখ থেকে আগে শুনবো বলে উইশ করি নাই
তানজিলঃ-ওহহ তাহলে মনের ইচ্ছা তো পূরণ হয়ে গেলো নাকি????
সামাঃ-হমম............(একটু মৃদু হেসে)
তানজিলঃ-আই আমাকে উইশ করবা না?????
সামাঃ-করবো তো
তানজিলঃ-কখন????
সামাঃ-এখনি..................Happy first month marriage anniversary
কথাটা বলেই সামা তানজিলের শার্ট এর প্রথম দিকের কয়টা বোতাম খুলে তানজিলের বুকে চুমো দিলো আর তানজিল পরম সুখে তা চোখ বন্ধ করে অনুভব করতে লাগলো।সামা তানজিলের বুক থেকে মুখটা উঠানোর সাথে সাথে তানজিল বললো.....................
তানজিলঃ-শুধু এইটুকু..................এতটুকুতে আজকে মন ভরবে না আমার
সামাঃ-ছিঃ একটুও লজ্জা নাই তোমার
তানজিলঃ-বউয়ের কাছে কিসের লজ্জা..................আমি কি অন্য কাউকে বলছি নাকি?????
সামাঃ-চলো তো বিষ্টিতে ভিজি আর কতখন এক জায়গাতে দাড়ায়ে থাকবো
তানজিলঃ-ভিজতেছিই তো
সামাঃ-নাহ আর এইদিক দাড়ায়ে ভিজবো না।
তানজিলঃ-তাহলে কই দাড়ায়ে ভিজবা????
সামাঃ-একটু দোলনার দিকটা চলো না
তানজিলঃ-দোলনায় বসে ভিজবা???
সামাঃ-হমম
তানজিলঃ-আচ্ছা চলো
সামাঃ-হমম চলো
তানজিলঃ-আই সামা
সামাঃ-কি
সামাকে আর কিছু বলতে না দিয়েই সোজা তাকে কোলে করে নেয় তানজিল।সামা অনেকটাই অবাক হয়ে যায় তানজিলের কান্ডকলাপে।নিজেই নিজের মনকে বলতে থাকে যে কিভাবে এই মানুষটা আমার না বলা ইচ্ছাগুলোকেও বুঝে নেয়।তানজিল যখন সামাকে কোলে নিয়ে দোলনার সামনে যাচ্ছিলো তখন সামা তার দুই হাত দিয়ে তানজিলের গলা ধরে একভাবে তার দিক চেয়ে ছিলো।সামার এইভাবে তাকানো দেখে তানজিল বলে উঠলো...........................
তানজিলঃ-কি ভাবতেছো যে কিভাবে বুঝলাম তোমার মনের কথাটা
সামাঃ-(তানজিলের কথা শুনে লজ্জা পেয়ে মাথা নিছু করে ফেলে)
তানজিলঃ-এত লজ্জা পাও কেন তুমি হা...............আমিই তো
সামাঃ-এইটা কেমন কথা...............তুমি জন্য কি আমার লজ্জাও পাওয়া যাবে না নাকি
তানজিলঃ-নাহ যাবে না...............দাড়াও আজকে তোমার সব লজ্জা আমি খেয়ে ফেলবো
সামাঃ-এইসব বলো না তো তুমি আমার কেমন কেমন যেন লাগে.........(তানজিলের ঠোঁটের উপর হাত রেখে)
তানজিলঃ-কেমন লাগে শুনি...............(হাসতে হাসতে)
সামাঃ-এমন করলে কিন্তু আমি নিচে চলে যাবো
তানজিলঃ-আচ্ছা ভিজো আর কিছু বলবো না
সামাঃ-ধন্যবাদ
তানজিলঃ-It's my pleasure mam
সামাঃ-(তানজিলের কথা শুনে হেসে ফেলে)
এরপর সামা দোলনায় বসে তার দু পা দুলাতে দুলাতে বিষ্টিতে ভিজতে থাকে আর তানজিল তার বউইয়ের কান্ড দেখে হাসতে থাকে।অনেকখন হয়ে যাওয়ার কারনে তানজিল একপ্রকার জোর করেই সামাকে বাসায় নিয়ে আসে কিন্তু সে তো কোনমতেই আসার জন্য রাজি ছিলো না।অনেক বলে কয়ে বাড়িওয়ালার ভয় দেখিয়ে তানজিল তাকে নিচে নামায়।আর বাসার আসার সাথে সাথেই সামা নাক টানতে আর হাচি দিতে শুরু করে।তাই তানজিল তাকে তারাতারি শাড়ি বদলে নিতে বলে।সামা শাড়ি বদলে ফ্রেশ হয়ে এসে কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে পরে।একটুখন পর তানজিল রুমে এসে দেখে যে সামা কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে আছে আর হাত পা একদম ঠান্ডা।তাই তানজিল রুমের লাইটটা অফ করে শুতে আসে আর শুয়ে পরতে নিলে সে দেখে যে সামা ঠান্ডায় কাপতেছিলো।তাই তানজিল সামাকে ডাক দিয়ে বলে........................
তানজিলঃ-আই সামা তুমি কাপতেছো কেন????
সামাঃ-আমার না অনেক শীত লাগতেছে
তানজিলঃ-জর আসবে নাকি?????
সামাঃ-মনে হয়
তানজিলঃ-তোমাকে নিয়ে বিষ্টিতে ভিজতে যাওয়াই ভুল হইছে আমার
সামাঃ-তুমি রাগতেছো কেন............ঠিক হয়ে যাবো চিন্তা করো না
তানজিলঃ-আর এত দূরে শুয়ে আছো কেন...............দেখি আমার কাছে আসো
সামাঃ-না লাগবে না আমি ঠিক আছি
তানজিলঃ-তোমাকে আমি আসতে বলছি............তোমার লাগবে নাকি লাগবে না সেইটা শুনতে চাই না
সামাঃ-..................
সামার চুপ করে থাকা দেখে তানজিল আর কথা না বাড়ায়ে কম্বলটা সামার গায়ের উপর থেকে ফেলে দিয়ে সামার উপর উঠে তার গোলার মধ্যে নিজের মুখটা গুজে দেয়।তানজিলের প্রতিটা গরম নিঃশ্বাস যতবার সামার গলায় এসে পরছিলো ততবার সে তানজিলকে আরো জোরে করে চেপে ধরছিলো।দুইজনি আজকে খুব করে চাচ্ছিলো দুইজনকে দুইজনের করে দিতে।এর মধ্যে হঠাত করেই সামা নিজের মুখটা তানজিলের কানের সামনে এনে বলে I love you.এই কথাটা শুনার সাথে সাথেই তানজিল সামার গলা থেকে উঠে নিজের মুখটা একদম সামার সামনে নিয়ে আসে।সেও আর দেরি না করে নিজের মনের না বলা কথাটা বলেই দেয়।সেও উত্তরে বলে I love u too shama.কথাটা বলার সাথে সাথেই তানজিল সামার ঠোঁট দুটো নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেয়।ঠোঁট থেকে সরে সামার গলা ঘার অসখ্য চুমোতে ভরিয়ে দেয়।সামাও তানজিলের বুকে অসখ্য কামরের সাথে চুমোতে ভরিয়ে দেয়।দুইজনি দুইজনকে মাতালের মতো আদর করতে থাকে যেন কতদিনের পিপাসা মিটাচ্ছে দুইজন আজ।জিবনের সব থেকে সুন্দর রাতটা দুইজন পার করে সেইদিন।সকালে সূর্যের আলো মুখ এসে পরতেই সামার ঘুম ভেঙ্গে যায়।চোখ খুলতেই সামা দেখে যে তানজিল তাকে নিজের বুকের সাথে ধরে ঘুমিয়ে আছে।গায়ের উপর থেকে তানজিলের হাতটা সরায়ে কম্বলটা গায়ের সাথে ধরে উঠতে নিলেই তানজিলের ঘুমন্ত মুখটা সামা আরো ভালো করে দেখতে পায়।আর তানজিলের মুখটা দেখার সাথে সাথেই তার কালকে রাতের কথা মনে পরে যায়।নিজের মনের অজান্তেই সামা তানজিলের গালের উপর একটা হাত রেখে বলে উঠে.........থ্যাংক্স এত সুন্দর রাতটা আমাকে দেওয়ার জন্য।আমার জিবনের সব থেকে সুন্দর রাত এইটা।কখনো ভুলবো না এই রাতটাকে আমি।তারপর আলতো করে তানজিলের কপালে একটা চুমো একে দেয় সামা.............
No comments:
Post a Comment