Friday, October 26, 2018

দ্বিধা ২৯ ,৩০ ও ৩১ পর্ব

দ্বিধা
তাবাস্সুম রিয়ানা
২৯
-একপাশে নদী অপরপাশে পাহাড় আর মাঝে রাস্তা।আরহান মাহিরা আর ইনায়া হাঁটছে সেই রাস্তা ধরে।ইনায়ার খুব আনন্দ হচ্ছে কারন সে এমন পরিবেশের সাথে পরিচিত নয়।মাহিরা!
-বলুন।
-বাঁশের ব্রিজটাতে উঠবে?
-উঠা যায়।চলুন ওপাশে যাই(মাহিরা)
-না পাপা(ইনায়া)
-কেন মামনি?
-ভয় লাগে।
-আরে আমরা আছি না?তোমার মাম্মার আর আমার হাত ধরো।দুটো বাঁশকে জোড়া লাগিয়ে ব্রিজটি বানানো হয়েছে।ইনায়ার এক হাত ধরে ব্রিজ পার করে দিলাম।ভশ পেয়েছো ইনায়া?
-না পাপা।
-এখন চলো সামনে যাই।
-ভাইয়া ভাবি আপনাদের একটা ছবি তুলে দিতে চাই।এক যুবক মাহিরা আরহান কে দাড় করালো।ভালো ঘরের মনে হচ্ছে।
-না আমরা ছবি তুলবো না(আরহান)
-আপনাদের জুটি অনেক পছন্দ হয়েছে আমার।প্লিজ ছবি তুলতে দিন।
-মাহিরার দিকে তাকালাম ওকি চাচ্ছে?
-ভাবি রাজি হন(ছেলেটি মাহিরাকে জোর করতে লাগলো)
-আচ্ছা চলুন।ইনায়াকে নিয়ে কিছু ছবি তুলে নিলাম।
-এবার আপনারা একসাথে দাড়ান(ছেলেটি)বাবুকে ছাড়া।
-দরকার নেই(মাহিরা)
-মাহিরা এক দুটো তুললে কি এমন হয়ে যাবে চলো(আরহান)
-ওকে।
-ভাবির কাঁধে হাত রাখেন।
-লাগবেনা। ছবি তুলো।
-আচ্ছা।
-তবু ও আরহান আস্তে করে মাহিরার কাঁধে হাত রাখলো।কতো নিবে তুমি?
-টাকা লাগবেনা ভাইয়া(ছেলেটি)
-তো??
-দোয়া করে দিন সামনে আমার এইচএসসি পরীক্ষা।
-ওহ।ভালোমতো পরীক্ষা দিও।এই টাকাটা নাও।ভাইয়ার দোয়া হিসেবে।প্রথমে না করলে ও পরে নিয়ে নিলো ছেলেটি।
-আপনাদের ছবি গুলো দেই।ছবি গুলো তুলতেই বেরিয়ে এসেছিলো ক্যামেরার ভিতর থেকে।ছবি গুলো আরহান কে দিলো।
-বাহ সুন্দর হয়েছে ছবি গুলো(আরহান)।
-আপনাদের কাপল টা একদম পার্ফেক্ট।আসি তাহলে।
-ওকে বায়।মাহিরা ছবি গুলো ব্যাগে ঢুকিয়ে নাও।
-ছবি গুলো হাতে নিয়ে দেখি বেশ সুন্দর হয়েছে ছবি গুলো।ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলাম।আরো কিছুক্ষণ ঘুরে হোটেলে ফিরে এলাম।ইনায়া কার সাথে ঘুমাবে?
-মাম্মার সাথে না পাপার সাথে না মাম্ম কার সাথে ঘুমাবো?
-তুমি ঠিক করো ইনায়া(আরহান)
-মাহিরা আরহানের হাত ধরে খাটে বসিয়ে দিলো ইনায়া।মাঝখানে শুবো তোমাদের।
-না ইনায়া আমি এখানে ঘুমাবো না(মাহিরা)
-প্লিজ মাম্মা!!!!
-ইনায়া!!!!কথা শুনো মামনি(মাহিরা)।
-মাহি ও ঘুমিয়ে যাক পরে চলে যেও মাহিরার কানে ফিসফিসিয়ে বলল আরহান।
-(ওনি আমাকে মাহি বলে ডাকলেন)?ওকে শুয়ে পড়ো মামনি।
-পাপা মাম্মার কানে কি বলেছো?(রয়গী চোখে)
-ও কিছুনা মামনি ঘুমাও।
-ইনায়া শুয়ে মাহিরা আর আরহানের হাত ধরে বুকের ওপর রাখলো।
-দুষ্ট মেয়ে।মুচকি হাসলো মাহিরা।
-মাহিরা(ফিসফিসিয়ে)
-কি???
-ইনায়া ঘুমিয়ে গেছে।(প্লিজ যেওনা মাহিরা)(আরহান)
-তাহলে আমি যাই(ফিসফিস করে)
-ওকে(কিছুটা মন খারাপ করে)
-হাত সরাতেই ইনায়া উঠে গেল।মাম্মা কই যাও?
-কোথা ও না। আমি আছি(মাহিরা)।ঘুমাও।
-না তুমি চলে যাবা।
-ওকে জড়িয়ে ধরে বললাম মাম্মা কোথা ও যাবোনা। ঘুমাও।
-প্রমিজ?
-পাক্কা প্রমিজ ঘুমাও।
-আরহান হাসছে ওদের দুষ্টমি দেখে।
চলবে

#দ্বিধা
তাবাস্সুম রিয়ানা
৩০
-ইনায়া ঘুমিয়ে পড়ে মাহিরার হাত ধরে।আজ আরহানের খুশি লাগছে মাহিরা কাছে থাকায়।মাহিরা ঘুমিয়ে গেছে।আরহান পলকহীন ভাবে দেখছে ওকে।আলতো হাতে মাহিরার গাল ছুয়ে দিলো আরহান।ওর গালে চুমো দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে কারন মাহিরা জেগে গিয়েছে।
-গালে হাত দিয়ে কি হলো এটা(ঘুম ঘুম চোখে)?খেয়াল করলো আরহান আর ইনায়া ঘুমাচ্ছে তাহলে ওকে চুমো দিলো কে?স্বপ্ন হবে মাহিরা ঘুমিয়ে যা।পরদিন সকালে রওনা হতে হবে ঢাকার উদ্দেশ্যে কারন আমাদের অফিস আর ইনায়ার স্কুল মিস যাচ্ছে।
-পাপা প্লিজ আরো কয়দিন থাকিনা?
-না ইনায়া পাপার অফিস আছে তোমার স্কুল আছে আর থাকবোনা আমরা(চুল আচড়াতে আচড়াতে বলল)
-মন খারাপ হয়ে গেল ইনায়ার।
-ইনায়া আসো রেডি করে দেই(মাহিরা)।ওকে রেডি করাতে লাগলাম।আরহান!!!!
-বলো!
-আপনিকি কাল রাতে জেগেছিলেন?
-কেন বলো তো?
-না এমনেই।মনে হয়েছিল কিছু যেন হলো তাই আর কি।
-আরে না না আমি তো অনেক আগে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
-ঢাকায় পৌছানোর আগেই মা বাবা ফোনে বলে দিয়েছিলেন ওনাদের সাথে যেন ডিনার করি।মা বাবার বাসায় এলাম তিনজনে(আরহান)।
-আজ বৌমা প্রথম শ্বশুর বাড়িতে এসেছে।আরহানের মা জড়িয়ে ধরলেন মাহিরাকে।কেমন আছিস বৌমা?
-জি মা ভালো।
-দাদু আমাকে আদর করবেনা?
-করবোনা আবার?ইনায়াকে কোলে তুলে নেন আরহানের মা।গালে চুমো দিয়ে বললেন এইযে আদর করেছি।
-মাহিরা ভিতরে আসো(আরহান)
-হুম।সবাই সোফার রুমে এসে বসে পড়লাম।হালকা নাস্তা পানীয় খাওয়ার পর ডিনার করলাম।
-বৌমা আমার সাথে আয়।
-ওনি আমাকে আরহানের রুমে নিয়ে গেলেন।সেখানে একটি বাচ্চার বিভিন্ন বয়সের ছবি ঝোলানো আছে।কি কিউট তো বাচ্চাটা একদম গুলুগুলু।ইসস কাছে পেলে কোলে নিতে পারতাম।
-কোন বাচ্চার কথা বলছিস বৌমা?
-এই যে ছবির বাচ্চাটা।অনেক কিউট ।কে ও?
-আরে এতো তোর বর আমাদের আরহান।
-আরহানের নাম শুনে লজ্জা পেয়ে গেলো মাহিরা।কি কি বলছিলো এতক্ষন।কোলে নিয়ে আদর দিতে চেয়েছে ছিঃছিঃ কি লজ্জা!!!!!মাহিরার মুখ লাল হয়ে গেল।
-ওকে কোথা ও রাখতে পারতামনা।প্রতিবেশী ভাবিরা প্রায়ই ওকে নিয়ে চলে যেতো।একবার তো আমি কেঁদেই দিয়েছিলাম।কোথা ও পাচ্ছিলাম না।শেষমেষ বাড়িওয়ালা ভাই ওকে দিয়ে যায় বাসায়।
-ওহ।
-তো কেমন মজা করলি রাঙ্গামাটিতে?
-ভালোই মজা করলাম।
-মাহিরা বাসায় চলো(আরহান)
-আরহান দাড়া!
-জি মা?
-ইনায়ার খেলার সাথী আনবি কবে?
-আরহান মাহিরা দুজনেই লজ্জা পেয়ে যায়।কেউ কারোর দিকে তাকাতে পারছেনা।
-কিরে কিছু জিঞ্জেস করলাম।একজন তো জবাব দে।মাহিরা তুইই বল।বলনা।
-(ও আল্লাহ কোন বিপদে ফেললা?)খুব জলদি বলেই জিহ্বায় কামড় দিলো মাহিরা।
-আরহান অবাক চোখে মাহিরার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছেনা আরহান।
-দেখেছিস আমার বৌমা কতো ভালো।শোন মাহিরা খুব জলদি তোর কোলে ফুটফুটে একটা বাবু চাই।
-(আল্লাহ মাটিটা ফাঁকা হয়ে গেলে ঢুকে যেতে পারতাম)আমরা আসি মা(মাথা নিচু করে)
-ইনায়াকে নিয়ে ঘরে ফিরে এলাম।ইনায়া ঘুমিয়ে পড়ো মামনি সকাল স্কুল আছেনা?
-জি পাপা।
-মাহিরা ইনায়াকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে।
-এখন ঘুমিয়ে পড়বে?(আরহান)
-জি।
-বেশি ঘুম পাচ্ছে?(আরহান)
-কেন বলুন তো?
-না মানে...
-দেখুন আপনি জানেন বিয়েটা হয়েছে শুধু ইনায়ার জন্য।সুতরাং আমি শুধু ইনায়ার মা অন্য কিছু নই।আর আপনার মাকে যা বলেছি সেটা ছিল ওনার মন রক্ষার্থে।
-মাহিরার কথা কথা শুনে আরহানের হৃদয় যেন চুড়মাচুড় হয়ে গেল। না আমি তো বলতে চাচ্ছিলাম কালকে আদালতে যাবো সেটার কথা।
-আরহানের কথা শুনে মাহিরা চুপসে গেল।না বুঝে কতোকিছু বলে ফেলেছে।
-যাও ঘুমাও(আরহান)
-হুম।নিজের রুমে চলে এলাম।
-সকালে ইনায়াকে স্কুলে দিয়ে আদালতে চলে এলাম।আশফি বসে আছে একটি চেয়ারে।হায় আশফি!!!
-হায় দোস্ত ভালো আছিস?
-হুম ভালো।
-ভাবি কেমন আছেন?
-এইতো।
-মাহিরার থেকে চোখ সরিয়ে আরহানের দিকে তাকালো আশফি।তো কি সাহায্য করতে পারি?
-ঐযে বলেছিলাম না নীলের কথা?
-হ্যা বলেছিলি।
-ওকে এমন শাস্তি দিতে চাই।যেটা ও সারাজীবন মনে রাখবে(দাঁতে দাঁত চেপে বলল আরহান)
-ওর বাসা কই(আশফি)?
-বাসার ঠিকানা দিয়ে বেরিয়ে এলাম আমি আর আরহান।কয়েকজন পুলিশ আমাদের সাথে থাকবেন।আরহান সকাল থেকে কোন কথা বলেননি।পুলিশদের সাথে যেয়ে ইনায়াকে নিয়ে বাসায় গেলাম।আরহান কফি দিবো?
-.......
-আমি কিছু বলছি আরহান।
-দেখতে পাচ্ছোনা কাজ করছি।এতো কথা বলছো কেন?আমার কোন কফি লাগবেনা(রাগী গলায়)
-মাহিরার চোখে পানি চলে এলো।ইনায়া খেলছে ওর পাশে গিয়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে কাঁদতে লাগলো নিঃশব্দে।
চলবে

#দ্বিধা
তাবাস্সুম রিয়ানা
৩১
-মাম্মা!!!! মাম্মা!!!!
-কি হলো ইনায়া (কম্বলের নিচ থেকে)
-খিদে পেয়েছে।
-কম্বল সরিয়ে উঠে পড়লো মাহিরা।
-উফ মাথায় ভীষন ব্যাথা করছে।এক হাতে কপাল টিপছে আরহান।
-পাকঘরে এসে ইনায়ার খাবার রেডি করে কফি বানিয়ে নিলাম।
-হঠাৎ নাকে কফির গন্ধ আসায় পাশে তাকিয়ে দেখি টেবিলের ওপর ধোঁয়া উঠা গরম কফি।কখন দিয়ে গেল?কফিটা খেয়ে নিয়ে কাজে মন দিলাম।
-ইনায়া হা করো মা(মাহিরা)
-মাম্মা তুমি কেঁদেছো?
-না মামনি?
-মিথ্যে বলছো কেন?তোমার চোখ লাল হয়ে গেছে।
-না ইনায়া চোখে কি যেন পড়েছিলো তাই এমন দেখাচ্ছে।
-রুমে এসে দেখি মাহিরা ইনায়াকে খাওয়াচ্ছে।ওর চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে।নিশ্চয় কেঁদেছে।এভাবে ধমক দেয়া ঠিক হয়নি।
-আরহানের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দ্রুত রুম থেকে বেরুতে যাবো তখনই হাত ধরে ফেললেন ওনি।
-মাহিরা!!!
-ওনার হাত ছাড়িয়ে আমার রুমে এসে দরজা আটকাতে যাবো তখনই ওনি আটকালেন।
-কথা শুনো
-আরহান প্লিজ ভালো লাগছেনা।
-মাহিরা একটা বার কথা শুনো আমার।
-কি বলতে চান বলুন।দরজা খুলবোনা।
-আরহানের ভীষন রাগ হচ্ছে।জোরে ধাক্কা দিতেই মাহিরা পড়ে গেল।
-আহ!!!ব্যাথায় কাতরিয়ে উঠলো মাহিরা।
-মাহিরা আ'ম সরি।ওকে কোলে তুলে নিলাম।মাফ করে দাও আমাকে।খাটে শুইয়ে দিলাম।কোমড়ে ব্যাথা পেয়েছো?
-হুম আহ!!!!
-ওকে ধরে উল্টো করে শুইয়ে দিলাম।
-আরহান কি করছেন কি?
-শশশশশশ ব্যাথ আমি দিয়েছি কমাবো ও আমি।আলতো হাতে ওর কোমড় চাপতে লাগলাম।
-ব্যাথা ভুলে মাহিরা লজ্জায় লাল হয়ে গেল।
-মাহিরা মাফ করে দিও আমায় প্লিজ।
-ইটস ওকে।
-নিজের অজান্তেই ওর কাঁধে চুমো দিলাম।
-ওনার হাত চেপে ধরে রেখেছি।পুরো শরীর কেঁপে উঠলো।ওলনা পারছি সরাতে না পারছি কাছে টানতে।বুক ধুকপুক করছে।
-পাপা!!!!!
-ইনায়ার ডাক শুনে আরহান মাহিরা দরজার দিকে তাকালো।(কি করছিলি আরহান?)কি হয়েছে মামনি?
-তোমরা কি করছিলে?
-কই মামনি কিছুনা(আরহান)।
-ওহ।মাম্মা তোমার ফোন(মাহিরার ফোনে এতসময় ধরে গেমস খেলছিলো ইনায়া)
-হাত বাড়িয়ে ফোনটি নিলাম।আপনি চলে যান আরহান।
-হু???(আরহান)
-হু কি যেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন সকালে অফিস আছে।
-আ'ম সরি।আসলে তখন কি করতে যাচ্ছিলাম বুঝতে পারিনি(আরহান)।
-ইটস ওকে।ওনি চলে গেলেন।কাথা জড়িয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
-পরদিন সকালে পুলিশদের সাহায্যে ইনায়াকে স্কুলে পাঠালাম।ঠিক হলো ওনারা ঐখানে থাকবেন ইনায়ার স্কুল ছুটি হওয়া পর্যন্ত।মাহি কে নিয়ে অফিসে রওনা দিলাম। পুরো দিন কেউ কারোর সাথে কথা বলিনি।মাহি নিজের জায়গায় বসে পড়লো।আমি কেবিনে চলে এলাম।
-হায় মাহি(নিদ)
-হ্যালো(মাহি)
-মিসেস মাহিরা আরহান শেখ হানিমুন কেমন কাঁটলো?
-নিদ আস্তে কথা বলো।স্যার শুনলে রাগ করবেন(মাহিরা)
-স্যরি(কান ধরে)
-মাফ করলাম।যেয়ে নিজের কাজ করো।
-মাহি!!!! মাহি!!!!!(আরহান)
-মিসেসের ডাক পড়ে গেছে।শুনে আসুন আপনার স্বামী কি বলতে চায়।(নিদ)
-নিদ তুমি ও না পারো ও বটে।জি বলুন।
-এই ফাইলটা চেক করে আনো। কোথা ও কোন ভুল যেন না পাই। আর পুলিশ কিছুক্ষণ পর ইনায়া কে নিয়ে আসবে।
-ওকে।আমি আছি টেনশন করবেন না।
-হুম(আরহান)
-ফাইলটি নিয়ে নিজের জায়গায় বসে কাজ করতে লাগলো মাহিরা।
-মাম্মা(ইনায়া)
-মামনি চলে এসেছো?ইনায়া দৌড়ে এসে মাহিরার পাশে বসে জড়িয়ে ধরলো মাহিরা কে।
-কোন ফ্রেন্ড হলো আমার মেয়েটার?(মাহিরা)
-হ্যা অনেক গুলো অনিক, হৃদি,হাফিস।
-আর হয়নি(মাহিরা)?
-না মাম্মা(মন খারাপ করে)
-মন খারাপ করোনা।আরো অনেক ফ্রেন্ড হবে আমার মেয়ের।হঠাৎ সর্ট স্কার্ট পরিহিত একটি মেয়ে দৌড়ে আরহানের রুমে ঢুকে গেলো।
-এসেছে ঢঙ্গী হুহ(ঐশি)
-কে ও?(মাহিরা)
-স্যারের কলেজ ফ্রেন্ড।কি যে ন্যাকামি করে বিশ্বাস করবানা?(ঐশি)
-ফাইল দিতে গিয়ে দেখি মেয়েটা আরহানকে জড়িয়ে ধরেছে।
-দরজা খোলার শব্দ পেয়ে আরহান দেখে মাহিরা চলে যাচ্ছে।মাহিরা!!!!
-জজজি স্যার।
-আসো ভিতরে।
-আরহান এ কেমন এম্পলয়ি রেখেছো কোনো ম্যানার্স জানেনা।বসের রুমে নক করে আসতে হয় সেটা জানোনা?
-অনামিকা চুপ থাকো এসব আজে বাজে কি বলছো।তুমি জানো না ওকে।(আরহান)
-কে ও?
-মিসেস আরহান শেখ।
-তোমার ওয়াইয়ফ??I'm really very sorry mahira.বুঝতে পারিনি।
-ইটস ওকে।আরহানের টেবিলে ফাইল রেখে চলে এলাম।
-মিসেস রাগ করেছে আরহান(অনামিকা)
-না করেনি(আরহান)
-আশ্চর্য তোমাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম ও রাগ করেনি না?
-করেনি(আরহান)
চলবে

No comments:

Post a Comment