শয়তান শিক্ষক পার্ট ১৩ (শেষ পর্ব)

Devil_Teacher
#part - 13(last part)
তানিশা : আমি আমার জীবনের ছোট্ট একটা গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই ( সবাইকে উদ্দেশ্য করে )। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় devil হচ্ছে আমার স্বামী #Devil_Teacher। আমার একটাই স্বপ্ন ছিলো, আমার স্বামী একজন sweet, cute, loving, caring, নরম মনের মানুষ হবে। কিন্তু তার মধ্যে এর কোন গুণাবলী নেই, সে হচ্ছে অধিক পরিমাণ রাগী, জেদী আর কথায় কথায় ধমক দেয়ার অবভ্যাস। যার চোখের দিকে তাকাতে ভয় করে ঐ বললাম যে devil, বিয়ের আগে যে মানুষটা আমায় ২ থাপ্পড় মেরেছে। না জানি বিয়ের পর কি করে, তার থেকে পালানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু ভাগ্য আমাকে তার কাছে পৌছে দিয়েছে। এখন কেন জানি একটা ভয় হয়, হয়তো তাকে হাড়ানোর ভয়। হয়তো মনে অজান্তে তার রাগ, জেদ, ধমক আর এই devil টাকে ভালবেসে ফেলেছি, বড্ড বেশি ভালবাসি আমার #Devil_Teacher কে।
--- কাব্য অবাক হয়ে তানিশার দিকে তাকিয়ে আছে, এমন কিছু করবে ভাবতেই পারেনি। তানিশা stage থেকে নামতেই তার সব বন্ধুরা এসে তাকে ঘিরে ধরলো,,,
নীলা : congress ভাবি ( জড়িয়ে ধরে )
তানিশা : ধন্যবাদ ননদিনী ( দুষ্টামি করে )
রাফি : তুই seriously devil এর প্রেমে পরে গেলি
তানিশা : গাধা তুই কি কানে কম শুনিস নাকি?
রাফি : আমি কেন কম শুনবো
তানিশা : আমি বলছি devil কে ভালবাসি, তুই বলছিস প্রেম?
রাতুল : প্রেম ভালবাসা কি আলাদা নাকি?
তানিশা : চান্দু যখন কাউকে ভালবাসবে তখন বুঝবে।
রিতু : যা তোর ভালবাসা কবুলের খুশিতে আজকে সবাইকে treat দিবো
তানিশা : আজকে treat আমার পক্ষ থেকে
রাফি : তুই এতো উধার হয়েছিস কবে?
তানিশা : ধরেনে আজকে থেকে,,,
--- program চলাকালীন তানিশার সাথে কথা বলতে পারিনি। খুব ইচ্ছে হচ্ছে তানিশাকে কাছে পেতে, তানিশা সবার সাথে কথা বলছিল, সবার মাঝে থেকে ওর হাত ধরে একটা রুমে নিয়ে আসলাম। ওকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছি,,,
তানিশা : স্যার কি করছেন?
কাব্য : একটু আগে যা বলছিলে এখন আবার বলো তো,,,
তানিশা : কেন?
কাব্য : please বলোনা
তানিশা : যদি না বলি ( দুষ্টামি করে )
কাব্য : না বললে ছাড়বোনা ( আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে )
তানিশা : I love you... ( কাব্যর বুকে মুখ গুজে )
কাব্য : I love you too...( কপালে চুমু দিয়ে আবারো জড়িয়ে ধরলো ) কি হলো আমাকেও একটু জড়িয়ে ধরো।
তানিশা : ছাড়েন আমাকে, আপনিতো বললেন ছেড়ে দিবেন
কাব্য : উহু
তানিশা : স্যার কেউ চলে আসবে তো
কাব্য : আসলে কি হবে?
তানিশা : কেউ এসে আমাদের এভাবে দেখলে কি বলবে?
কাব্য : এই শুননা,, তোমার লিপিস্টিক খেতে ইচ্ছে করেছে।
তানিশা : লিপিস্টিক তো বাড়িতে, আর লিপিস্টিক কি খাওয়ার জিনিস নাকি? ( অবাক হয়ে )
কাব্য : তোমার ঠোটের টা খাবো,,,
তানিশা : কি আপনি কি পাগল নাকি
কাব্য : দেখো বিয়ের পর কিন্তু তোমার ঠোটের স্বাদ আমি পাইনি
তানিশা : sir please try to understand
কাব্য : স্যার বলা বন্ধ করো ( বিরক্তি নিয়ে )
তানিশা : ঠিক আছে, নাহিল ছাড়ো please...
কাব্য : কি বললে তুমি? ( ছেড়ে দিয়ে ভ্রু কুচকে )
তানিশা : না মানে স্যার আমার ভুল হয়েগেছে, আমি আর কখনো তুমি করে বলবো না। ( ভয় পেয়ে )
কাব্য : তাহলে তো তোমার লিপিস্টিক এখনি খেতে হবে।
তানিশা : নাহিল বাসায় গিয়ে ( আমতা আমতা করে )
কাব্য : বাসায় গিয়ে কি? ( মুচকি হেসে )
তানিশা : আপনার যত ইচ্ছে লিপিস্টিক খেয়েন ইচ্ছে হলে সারাদিন খেয়েন তারপরও please আমাকে যেতে দিন।
কাব্য : ok madam... বাসায় গিয়ে তৈরি থাকেন। ( দুষ্টামির হাসি দিয়ে )
--- তানিশা বন্ধুদের নিয়ে বাসায় চলে গেলো, কিছুক্ষণ পর আমিও চলে এসেছি। বাসায় গিয়ে দেখি তানিশা সবাইকে নিয়ে গল্প জুড়ে দিয়েছে, এই মেয়েটা কি বুঝেনা আমাদের একটু privacy দরকার। দাড়াও দেখাচ্ছি মজা,, আমি গিয়ে রিতুর গা ঘেষে বসে গল্প করতে লাগলাম। তানিশা দেখে রেগে গেলো,,,
তানিশা : এটা কি হচ্ছে?
রিতু : স্যারের সাথে গল্প করছি
কাব্য : তানিশা তোমার বন্ধুরা অনেক ভালো, especially রিতু she is too good...
তানিশা : গল্প শেষ হলে তোরা সবাই আমার বাসা থেকে বের হো,,, ( সবাইকে উদ্দেশ্য করে )
রিতু : তুইতো নিজেই আমাদের নিয়ে আসলি ( অবাক হয়ে )
কাব্য : তোমরা কিছু মনে করনা আসলে ওর মাথায় একটু সমস্যা আছে ( তানিশাকে উদ্দেশ্য করে )। তোমরা থাকো তোমাদের সাথে আরো কিছুক্ষণ গল্প করি।
রাফি : স্যার আমরা খুব ভালো করে জানি ওর মাথার তারছিড়া, তাই আমরা কিছু মনে করিনা ( হাসতে হাসতে )
তানিশা : কি! এতবড় কথা, বেরিয়ে যা এক্ষনি আমার বাড়ি থেকে ( রেগে গিয়ে )
কাব্য : না সবাই থাকবে ( দাড়িয়ে গিয়ে )
তানিশা : আমি বলছি ওরা থাকতে পারবেনা
কাব্য : তুমি আমার সাথে উচু গলায় কথা বলছো? ( ভ্রু কুচকে )
রাতুল : স্যার আমরা চলে যাচ্ছি আপনারা ঝগড়া করবেন না please...
--- সবাই চলে গেলো, তানিশা রুমে গিয়ে নিজে নিজে বকবক করতে লাগলো,,,
তানিশা : বজ্জাত devil মেয়ে দেখলে গা ঘেষে বসতে মন চায়, ইচ্ছে করতেছে ঐ এনাকন্ডাকে চিবিয়ে চিবিয়ে খাই, ফাজিলের হাড্ডি ঐ বাদরনি কে এত ভালো লাগলে আমাকে কেন বিয়ে করছে? ঐ সাপনীর গলায় ঝুলে থাকতো। তোমাকে কাছে পেতে ইচ্ছে করে ( মুখ ভঙ্গচিয়ে ) এতো ইচ্ছে করলে অন্য মেয়েদের কাছে যায় কিভাবে, লুচু একটা আসুক আমার কাছে দেখাবো মজা ( রেগে রেগে কথাগুলো বলছিল )
কাব্য : তোমার বকবক শেষ, নাকি আরো বাকি আছে? ( পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে )
তানিশা : ছাড়েন আমাকে, ঐ সাপনীর কাছে যান।
কাব্য : তুমি sure আমি রিতুর কাছে চলে যাবো ( ছেড়ে দিয়ে ভ্রু কুচকে )
তানিশা : যান বলছি তাই বলে চলে যাবেন নাকি! আশ্চর্য ( অবাক হয়ে )
কাব্য : তুমি বললে চলে যাবো
তানিশা : আপনি আমাকে ধোঁকা দিয়েছেন ( কাঁদোকাঁদো গলায় )
কাব্য : ধোঁকা তো তুমি আমার সাথে করছো
তানিশা : আমি কি করলাম?
কাব্য : নিজের বন্ধুদের নিয়ে বাসায় এসে আড্ডা দিচ্ছো, তুমি কি বুঝনা আমাদের একটু privacy দরকার। আর ভার্সিটিতে কি কথা হয়েছিল?
তানিশা : এক মিনিট দাড়ান। এই নিন আপনার জন্য লিপিস্টিক ( কত লিপিস্টিক এগিয়ে দিয়ে )
কাব্য : এগুলো দিয়ে আমি কি করবো? ( অবাক হয়ে )
তানিশা : আপনিতো বললেন লিপিস্টিক খাবেন।
কাব্য : আমি বলছি তোমার ঠোটের লিপিস্টিক খাবো।
তানিশা : কিন্তু নাহিল আমার ঠোটের লিপিস্টিক কিভাবে খাবেন? ( বোকা হয়ে )
কাব্য : দাড়াও দেখাচ্ছি
--- তানিশার কোমড় জড়িয়ে ধরে ঠোট দুটো নিজের ঠোটে মিলিয়ে দিলো, বেশ কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিয়ে বলল,,,
কাব্য : এভাবে খেতে হয়, তুমি কিন্তু বলেছো সারাদিন খেতে পারবো। সারাদিন না আমার যখন ইচ্ছে হয় তখনি খাবো ( তানিশা লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে কিছু বলছেনা ) এখনি এতো লজ্জা পাচ্ছো তাহলে রাতে কি করবে?
--- রাতে খাবার খেয়ে তানিশা tv দেখছে, কাব্য গিয়ে বলল,,,
কাব্য : রুমে চলো
তানিশা : আর একটু
কাব্য : আমার ঘুম পাচ্ছে
তানিশা : আপনি ঘুমিয়ে পরেন আমি আসছি
কাব্য : তোমাকে আসতে হবেনা, আমি নিজেই নিয়ে যাচ্ছি।( তানিশাকে কোলে করে রুমে নিয়ে গেলো )
তানিশা : আর একটু বাকি ছিলো ( মন খারাপ করে )
কাব্য : আমি ভালবেসে পূর্ণ করে দিবো ( বিছানায় নামিয়ে দিয়ে ) তুমিতো আর এখন ছোট নেই। আজ ভালবাসতে বাধা নেই ( তানিশার ঘারে গলায় চুমু খেতে লাগলো )
তানিশা : নাহিল আমি বলছিলাম,,,
--- কাব্য আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তানিশার ঠোট দুটো নিজের ঠোটের মিলিয়ে দিলো, আজ কাব্য নিজের মাঝে নেই। হাড়িয়ে গেছে ভালবাসার এক অদ্ভুত দুনিয়া, আজ তাদের ভালবিসা পূর্নতা পাবে।
( সমাপ্ত )