Friday, October 26, 2018

Dangerous মেয়েটি পর্ব ৪

গল্প : #ডেঞ্জারাস মেয়েটি !!!
পর্ব : ০৪ !!!
Writer : Pantha Shahria !!!
- নীলা নীলা নীলা তাঁড়াতাড়ি উঠে
পরো...।
- কেন কী হয়েছে...।
- না মানে রাস্তা তো পার হয়ে এসেছি।
- কীসের রাস্তা।
- আরে আমার গ্রামে যাওয়ার রাস্তা।
- বাহ্ বাহ্ ভালো... হনুমান আমাকে
এমন ভাঁবে না ডেকে.. তাঁড়াতাড়ি
কন্টাক্টর কে বলো বাস থামাতে।
- ও হ্যা তাই তো.... ঐ মামা বাস
থামান..এখানেই নামমু আমরা।
বাসটা থেমে গেলো...
নীলা তো বাস থেকে নেমেই কেমন
রাগান্বিত ভাঁবে আমার দিকে
তাঁকিয়ে আছে।
- এইটা কোন জায়গা নাকি শুধু
মাঠ... চারিদিকে তো কোন
কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
এবার যাবো কেমনে।
- আরে তুমি টেনসন নিও না.. এই
দুই ঘন্টা বেশি হাঁটতে হবে আর কী?
- মানে।
- আসল জায়গা ছেঁড়ে আসছি তো
তাই।
- তোমারে না আমি ওহহহহহ...
আমি বেশি হাঁটতে পারবো না।
- না হেঁটে ও উপায় নেই, এখানে
তো কোন গাড়ি নেই..
যদি দুই একটা পাওয়া যায় তাহলে
সেটা কপাল এর জোঁরে।
- তাহলে যাবো কেমনে।
- আচ্ছা আমাকে ফলো করো,
আমি যেমনে যাই সেভাবেই আসো।
- বুঝছি হাঁটতে হবে এই তো।
- হি হি হুমমমমমমমম।
- জানো সামনে একটা অনেক
সুন্দর মন্দির আছে,
আর আসল কথা হলো আমি
ইচ্ছে করেই বাস থামাই নাই।
- কীইইই... কেনো।
- একটু পরেই সব বুঝতে পারবা।
আর রাস্তাটা অনেক সুন্দর না।
চারিদিকে কত্ত গাছ.. আর
আমার কিন্তুু ভালোই লাগছে,
তবে তোমার কেমন লাগছে সেটা তোমার মুখ
দেখেই বুঝতে পারতেছি।
- আচ্ছা সাহরিয়া... আর কত দূর।
- বেশি না... হাঁটতে থাকো... দেখবা
যে কোন দিক দিয়ে পৌঁছে গেছি
টেরই পাবা না।
- তাই না....।
- হুমমমমমমমমমম.... নীলা নীলা
এই যে মন্দিরটা।
যাবা।
- না।
- আরে চলো না।
- ওকে।
- সবার মুখে শুনছি এটা নাকি এক হাজার
বছরের পুরনো।
- ওয়াও অনেক সুন্দর তো....।
- আরে এটা তো কিছুই না... এটার পিছনটা
আরো ভালো লাগে...
কত্ত আসছি আগে.. যখনি আসতাম
আর ভাবতাস আহা সাথে
যদি একটা সুন্দরি মেয়ে থাকতো
কতোই না ভালো হতো...
আর আজ কেমন সত্যি সত্যি আসাটা
পূরণ হয়ে গেলো.... হি হি হি।
- পাগল একটা।
- আচ্ছা বলো শর্টখাট এ যাবা নাকি,
ঘুঁরে ঘুঁরে।
- তাঁড়াতাড়ি হলেই হবে।
- ঠিকআছে তবে.. গ্রামের দুইটা
কন্ডিশন থাকে...
শর্টখাট নিলে গা ভরতে পারে,
আর ঘুঁরে ঘুঁরে গেলে গা ভরবে না।
- ওহহহহহহহ.... যাই হোক তাঁড়াতাড়ি চলো।
- আমি ও সেই ছোট কাল থেকেই
শুধু খালি শর্টখাট খুঁজি।
তবে ভালোই লাগে।
এটার পিছন দিয়েই যেতে হবে
বুঝলা...
আমার হাত ধরো পরে আবার পরে
গেলে আমার কোন দোষ
নাই।
- আচ্ছা হাতটা দাও।
- সাহরিয়া সামনে ঐটা ফুলের বাগান
তাই না।
- হুমমমমমমম... ঐ ওটার দিকে ভুলে ও
চোখ দিও... একটা খাঁটাস লোকের
বাগান... দেখতে পেলে খুব দৌঁড়ানি
দিবে।
- না না না আমি ফুল নিবোই নিবো... কেমনে
আনবা সেটা তোমার ব্যাপার।
- কী যে ঝামেলাই পড়লাম... ঠিকআছে
তুমি ঐ খানটাই যাও...
আমাকে দৌঁড়াতে দেখলে তুমি ও সোঁজা
দৌঁড় দিবা কেমন।
- ওকে।
- ফুল ছিঁড়তেই দেখতে
পেলো... ফুল নিয়েই
দিলাম দৌঁড়... নীলা দৌঁড়াও।
একটু পরে......।
- হা হা হা হা.... সাহরিয়া তুমি না
একটা পাগল....।
- হুমমমমমম তবে এই অবস্থতে
তোমাকে ও পাগলির মতোই লাগছে।
সামনে একটা নড়বড়ে সেতু
আছে বুঝলা...
বাঁশ এর তৈরি... পার হতে
পারবে।
- হুমমমমম.....সপ্নে কত্ত পার হইছি।
- তাই না।
ওকে চলো...
ঐ তো পেঁয়ে গেছি... ভালো করে
আমার হাত ধরে থাকো...
নিচে কিন্তুু কুমির আছে।
- সত্যি।
- হুমমমমমমমমম।
এর মধ্যে আমিই পরে গেছি নিচে..।
পড়তাম না পাগলিটা ধাক্কা দিছে।
- কী.... কই গেলো তোমার
কুমির, হ্যা.. আমাকে শুধু শুধু বোকা
বানানো তাই না শয়তান।
- দাঁড়াও তোমাকে ও দেখাচ্ছি মজা।
দুই জনেই ভিঁজে একেঁ বারে একাকার।
লোকে যে কী ভাঁববে আল্লাহ্ জানে।
নীলা এই যে এইটা হলো আমাদের
গ্রামের পথ....।
- অনেক সুন্দর তো...।
- হুমমমমম।
একটু সামনে গিয়ে.....।
- সাহরিয়া... সবাই ওখানে কী করছে।
- মাছ ধরতেছে।
- আমি ও ধরবো।
- ঐ তুমি কী পাগল হুমমমম।
এমনি তো গা ভরে আছে... আরো
তো ভরে যাবে।
- সে জন্যই তো মাছ ধরবো... যাই
না প্লিজ।
- আচ্ছা চলো।
নীলাকে ঐ কাঁদার মধ্যে নামতে
দেখে সবাই তো হা করে আছে..
আমিও অবাক এমন বড়লোকের মেয়ে
হয়ে ও কেমন কাঁদার মধ্যে নেমে
বাচ্চাদের মতো মাছ ধরছে।
- সাহরিয়া আমি একটা ও মাছ
পাইনি তো।
তুমি ধরে দাও না।
- এই মেয়ে দেখছি আমাকে ও পাগল
করে ছাঁড়বে।
এই যে দেখো একটা ধরছি।
- ওয়াও আমাকে দাও।
এটা কী মাছ।
- এটা হলো পুঁটি মাছ...।
- এই রে চলে গেলো তো।
আচ্ছা অনেক মাছ ধরছো
এবার চলো।
- হুমমমমমমমমমম।
ঐ গা তো কাঁদাই ভরে গেছে
কী করবো এখন।
- আগেই বলছিলাম নেমো না।
- বলো না কী করবো।
- সামনে নদী আছে ওখানে গিয়ে
জোঁরে একটা লাফ দিবো আর সব
ভানিস।
- সত্যি।
- হুমমমমমমমম.....।
আর নদীর ঐ পারের গ্রামটাই
হলো আমাদের।
- তাহলে তাঁড়াতাড়ি চলো....।
সাহরিয়া ঐটাই তো নদী....
অনেক সুন্দর... আমি নামলাম।
- ওকে.... ।
এদিকে ত্রিশ মিনিট হলো পাগলিটাকে
তুলতেই পারছি না।
ছোট বেলাই আমি ও নদীতে
নামলে মা ও এমন তুলতে পারতো না।
- নীলা এবার তো উঠে আসো...।
- না আর একটু।
- আরে বাবা... আরো তো দিন
আছে... এবার উঠে আসো প্লিজ।
- ঠিকআছে চলো।
ঐযে সামনের ওইটাই হলো আমাদের
বাড়ি।
- সাহরিয়া...এত মানুষ কেনো।
- সেটা তো আমি ও বুঝতে
পারছি না।
বাড়ির মধ্যে যেতেই।
- সাহরিয়া তুই এসেছি তোর ফোনে
এত ফোন দেই যায় না কেন... (চাচা) ।
- বাড়িতে এত মানুষ কেন (চাচা)।
- তোর বাবা গ্রামে মোড়ল এর
কাছে টাকা ধার নিছিলো...
এই বাড়িটা বন্ধব রেখে,
সে নাকি আজকেই টাকা
নিবে,
না দিতে পারলে...নাকি তোর এই
বাড়িটা দখলে নিবে।
- সাইটে নীলা ও ছিলো।
- কত টাকা চাচা...।
- নব্বই হাজার।
- ধরেন এখানে এক লাখ আছে...ওনাদের
দিয়ে দেন।
সবাই চলে গেলো...।
- সাহরিয়া... তুমি এখানে দাঁড়িয়ে কী
করছো।
- না মানে... নীলা.. তুমি আমার অতিথি
আর প্রথম দিনই তোমার এমন
কিছুই মুখোমুখি হতে
হলো।
- দূর বোকা... এটা আজকে থাকে
আমার ও বাড়ি বুঝলা।
- হুমমমমমমমমমম।
- তোমার বাড়িতে কেউ নেই।
- আসলে মানে দাদা এই বাড়িটা
আমার নামে লিখে দিছিলো..
ছোট বেলাই বাবা মায়েন ডিভোর্স হয়..
মা বিয়ে করে এক জায়গায়, বাবা ও
বিয়ে করে এক জায়গায়।
দাদার কাছে মানুষ হয়েছি...
গ্রামের ফসলের টাকা দিয়ে
লেখাপড়া করছি...
দাদা ও কয়েক বছর আগে মারা
গেছে।
তাই আর এখানে থাকি না।
আরে এই সব বাদ দাও চলো ফ্রেস
হয়ে নাও পরে সব বলবনি বুঝলে।
দাঁড়াও আমি আমাদের গোসল খানাটা
ভালো করে ঠিক করে নেই কেমন।
সব ঠিকঠাক করার পরে...
- নীলা তুমি ফ্রেস হয়ে আসো তাঁর
পরে আমি ফ্রেস হবো।
আজকে দুপুরে মজিদ কাকার
হোটেলে খাবো কেমন।
তাঁরপরে বিকেলে তোমাকে
নিয়ে ঘুঁরবো আর বাজার করে আনবো
ওকে।
- হুমমমমমমম..।
- নীলা দাঁড়াও আমি সাবান আর শাম্পু
নিয়ে আসছি........... ।
পরের পর্ব : Coming Soon !!!

No comments:

Post a Comment