Friday, October 19, 2018

ভালোবাসার গল্প - অদ্ভূত ভালোবাসা পর্ব 13 এবং 14

1 comment

:- :-/ অদ্ভুত ভালোবাসা :-/
পর্ব:-১৩+১৪
----অন্না
,
নিলয় রুমে এসে নীরা বলে চিৎকার করে উঠে আর নীরা মাথা তুলে তাকিয়ে দেকে বড়সরো ধাক্কা খায়,
নীরার সামনে দরজায় হেলান দিয়ে একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে আর নিলয় নীরার সামনে দাড়িয়ে ওর দিকে বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,
l, নিলয়কে দেখে নীরার মনেই নাই যে ও শাড়ি পরতেছিলো,,আর ছেলেটি এখনও ওইভাবেই নীরাকে দেখে যাচ্ছে,,, নীরা কি করবে বুঝতে নে পেরে নিলয়কে জরিয়ে ধরে,,
,
নিলয় ছেলেটির দিকে তাকানো মাত্রই ছেলেটি চলে যায়,, আর নিলয় নীরাকে বিছানায় ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে দরজা লক করে দেয়,,,
,
নীরা::: আমি আসলে দেখি নাই ওই ছেলেটা এখানে এসে দারিয়ে আছে,, আমি তো শাড়ি পরতে ব্যাস্ত ছিলাম ,
,
,
নিলয়:::: কি হচ্ছিলো কি এটা হ্যা,চোখে দেখো না ? চেন্জ করার সময় যে দরজা লক করতে হয় সেটা বাচ্চারাও জানে আর তুমি জানো না?? ইডিয়েট এর মতো সবসময় না করলে হয় না ? কত্ত জালাবে তুমি আমায়?
,
নীরা::: আমি সত্তি দেখিনাই ওই,,,
,
নিলয়::: কি দেখোনাই হ্যা কি দেখোনাই,,,সবাইকে দেখাতে চাও তুমি খুব সুন্দরী?
,
নীরা :::: , আপনি ছাড়া রুমে কোনো ছেলে আসে না তো,, তো আমি কিভাবে জানবো? আর আপনি আমায় কি ভাবেন হ্যা আমি আমার শরীর বাহিরের মানুষকে দেখিয়ে বেড়াই?
,
নিলয় ::: তা ছাড়া কি হ্যা, কেউ এতোটা unresponsive কি করে হয় হ্যা,, সামনে কেউ দাড়িয়ে থাকলে দেখা যায় না,,, আমি চাই আমার নীর কে শুধু আমি দেখবো শুধু আমি কিন্তুু তুমি????
,
নীরা ::: আমি কি?
,
নিলয় কিছু না বলে ড্রয়্যার থেকে কাচি বের করে নীরার গা থেকে শাড়ি খুলে নিয়ে কাচি lদিয়ে শাড়ি কুচিকুচি করে কেটে ধপ করে দরজাটা লাগিয়ে চলে গেলো,,, নীরা কিছু বলে না নিরবে কান্না করতে থাকে,,, একটুপর নিলয় রুমে এসে অফিসের জন্য রেডি হয়,,,নীরা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেদেই চলেছে, নিলয় কিছু না বলে নাস্তা না করেই চলে যায়,,, একটু পর তিশা আসে,,,
,
তিশা;::: কি হইছে ভাবি কাদছো কেনো??আর শাড়ি কাটছো কেনো?
,
নীরা::: তোমার ভাই বকেছে, :'( আর তোমার কি ধারনা আমি শাড়ি কেটেছি???
.
তিশা:: অবশ্যই না, কারন আমি জানি আমার ভাই ৃছারা একাজ কেউ করতেই পারে না,,, তো কি হয়েছিলো শুনি,,
,
নীরা :::গোসল করে রুমে এসে শাড়ি পরছিলাম আর কোথা থেকে একটা ছেলে এসে রুমের বাহিরে থেকে দাড়িয়ে আমায় দেখছিলো কিন্তুু আমি তো দেখিনাই,,,এতেই তোমার ভাই আমায় :'( :'( :'(
,
তিশা::: বলোকি তোমায় ওভাবে দেখছে?? ছেলেটা এখানে এসে এসব করে গেছে?
,
নীরা ::: আরে আমার শরীরে শাড়ি পেচানো ছিলো,, আর ছেলেটা কে?
,
তিশা::: অয়ন ভাইয়া,,
,
নীরা::: উনি কে?
,
তিশা::: কে আবার তোমার গুন্ডার পেয়ারে জানের বন্ধু,,, যখন তখন বাসায় চলে আসে, অসহ্য
,
নীরা::: এতে আমির কি দোষ বলো,, তোমার ভাই শুধু শুধু আমায় বকে সব সময়,,,
,
তিশা::: জানোই তো ভাই এমন তো এখন বসে কান্না করবা নাকি বাহিরে যাবে,,, ভাইয়ার জন্য নাস্তা নিয়ে যাবে,,,,
,
নীরা::: আমি একা যাবো না আমায় আবার বকবে ,,
,
তিশা::: আমি বাবা তোমাদের মধ্যে যেতে পারবো না,, কাবাবমে হাড্ডি হবার কেনো ইচ্ছা আমার নাই,,, আমার কলেজ আছে যেতেই হবে,,,,
,
নীরা:::: ঠিক আছে যাও,, আমি কিছু রান্না করে ওর জন্য নিয়ে যাচ্ছি,,,
,
তিশা ::: ঠিক আছে,, ওহ্ আর এই ফোন টা তুমি রাখো ভাই আমায় কিনতে দিছিলো,,, সকালে ডেলিভারি পাইছি,,, আমি সব ঠিক করে দিছি কোনো প্রয়োজন লাগলে আমায় যেনো ফোন দিও না তোমার গুন্ডাকে ফোন করো,,ঠিক্ক আছে??
,
নীরা::: ঠিক আছে,,
,
তিশা চলে গেলে নীরা রুম থেকে বের হতে যাবে ঠিক তখনই অয়ন রুমে ঢোকে,,,
,
অয়ন::: হাই নীরা,,,
,
নীরা : আসসালামুয়ালাইকুম ভাইয়া ,
,দ
অয়ন::: ওয়ালাইকুম আসসালাম,,, আমার নাম ধরে ডাকতে পারো ভাইয়া বলতে হবে না,,,
,
নীরা::: না ভাইয়া ই ঠিক আছে,,,আর ও তো অফিসে চলে গেছে,,,
,
অয়ন ::; জানি তো আমি তোমার কাছে আসলাম তোমার সাথে কিছু কথা বলতে,
,
নীরা::: কি কথা,,,
,
অয়ন'::: তুমি খুব সুন্দরী নীরা নিলয় তোমার সাথে যা করছে খুব খারাপ করছে, আমি জানি তুমি ওকে ভালোবাসোনা, আর তুমি ওর সাথে থাকতেও চাও না ,, সো
তুমি যদি চাও আমি,,,
,
নীরা ::: সো? শোনেন ভাইয়া বাঙালি মেয়েদের বিয়ে একবারই হয় সেটা যেভাবেই হোক না কেনো, আর নিলয় আমার সাথে যাই করুক সেটা আমি বুঝে নিবো,,, আপনি না ওর বন্ধু,,, বন্ধু হয়ে বন্ধুর ঘর ভাঙতে আসছেন? দেখুন এ নিয়ে আপনি 2nd time আমার সাথে কথা বলতে আসবেন না, আর এই কথা গুলো যদি ও জানতে পারে তো কি হবে জানেন???
,
অয়ন::: আরে আমি তো তোমার ভালোর জন্য কথা টা বললাম,তুমি যদি না চাও তো ঠিক আছে,,, কিন্তুু তোমার মতো নীরা ২-৪ টা নিলয়ের লাইফ এ আসছে আর গেছে,,,তুমি ভালো মেয়ে তাই তোমায় সাহায্য করতে আসলাম মাত্র,,,
,
নীরা কোনো কথা না বলে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো,,,,
নীরা::: সত্তি কি তাহলে আমার কোনো অস্তিত্ব নাই ওর জীবনে সত্তি নিলয়ের লাইফ এ আমার মতো অনেক মেয়ে এসছে??? না না ও আমাকে খুব ভালোবাসে ও এসব কাজ করতেই পারে না,, কিন্তুু ওর বন্ধু মিথ্যা কথা কেনো বলবে?? কিন্তুু,,,, নাহ্ আর ভাবতে পারছি না ,,,
,
মুনিরা::: ভাবি একা একা কি এতো ভাবছেন,,, আসেন আমার ফটোগ্রাফ দেখবেন,,,
,
নীরা:;: না আমার ভালো লাগছে না,,
,
মুনিরা::: আরে ভাবি আসেনই না,,,
,
মুনিরা নীরার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো ওর রুমে,,, তারপর নিজের ট্যাব বের করে নিজের বেশ কিছু ছবি দেখালো,,, তারপর নিলয় আর মুনিরার একটা ছবি বের করে তারাতারি ট্যাব ওফ করে দেয়,,
,
মুনিরা::: আর ফটো নাই ভাবি,,,
,
নীরা::: বন্ধ করলা কেন আমি ওই ছবি গুলা দেখবো,,
,
মুনিরা::: না ভাবি এগুলো দেখতে হবে না, আজ এগুলো শুধুই সৃতি,,,
জানো ভাবি আগে তো নিলয় আমায় ছারা কিছু বুঝতো না, কিন্তুু এখন তুমি আসাে পর,,,,,
,
নীরা মুনিরার হাত থেকে ট্যাব নিয়ে ফটো গুলা দেখতে শুরু করে,,,, ২ ঘন্টা ধরে নীরা নিলয়ের আর মুনিরার ফটো দেখলো,,, ওনেকগুলা পিক অনেক ক্লোজলি,,,
,
মুনিরা::: ভাবি নিলয় যখন আপনার সাথে থাকবে বলে ঠিক করছে তো আপনি ওর দ্বায়িত্বটা বুঝে নিন,,,
,
নীরা ট্যাব টা বিছানার ওপর ফেলে রুম থেকে বের হয়ে আসে,,,,
,
মুনিরা::::: হাহাহাহাহা তুমি কি ভেবেছো আমি নিলয়কে নিয়ে তোমার সুখে ইচ্ছা আমি পূর্ণ হতে দিবো,,, কখনো না,,, দেখবো এবার তুমি কি করে আমায় নিলয়কে আমার থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে পারো,,, সন্দেহর থেকে বড় বিষ আর পৃথীবিতে দুটো নাই, আর সেটাই খুব যত্নে আমি তোমার মনের মধ্যে ঢেলে দিছি,,, এখন দেখবো তুমি কিভাবে নিলয়কে নিজের কাছে আটকিয়ে রাখো,,,,,
,
নিলয়ের মা ;;;; কিরে মা এতক্ষন কই ছিলি,,,
,
নীরা::: এই তো
,
নিলয়ের মা ::::ড্রাইভারকে বলে দিছি রেডি হয়ে চলে যা,,,
,
নীরা::: কই যাবো,,,
,
নিলয়ের মা ::: দেখো মেয়ের কথা আরে তুই নাকি খাবার নিয়ে নিলয়ের কাছে যাবি,,,
,
নীরা ;;;; হুম
,
নিলয়ের মা :::: আমি সব রেডি করে দিছি,,,,তোদের দুজনেরই খাবার দিয়ে দিছি একসাথে খেয়ে নিস,,,যা জলদি বের হো আমার ছেলেটা না খেয়ে বের হইছে আর তুইও না খেয়েই আছিস,,
,
নীরা::: মামুনি খাবার টা ড্রাইভারকে দিয়ে পাঠিয়ে দিলে হয় না,,
,
নিলয়ের মা::: না হয় না,,, রাগারাগি করে বের হইছে,,, তুই গেলে রাগ কমে যাবে ,,,, জলদি যা তো,,,
,
নীরা আর কিছু না বলে খাবার নিয়ে বেরিয়ে পরে,,, আজ আর কোনো কিছু নীরার মাথার মধ্যে নাই,,, অয়ন আর মুনিরার কথা গুলোই ওর মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে
নীরা অফিসে গিয়ে নিলয়ের পি,এর কাছে খাবার দিয়ে বেরিয়ে আসে,,, ড্রাইভারকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে নিজের মনে ফুটপাত দিয়ে হাটতে থাকে,,,
,
আর এদিকে মুনিরা নিলয়কে ফোন দিয়ে নীরার নামে সাতপাচ লাগায় অয়নের সাথে কথা বলা নিয়ে ,, নিলয়তো আরো রেগে যায়,,,
,
নিলয়ের পিএ::: স্যার আসবো??
,
নিলয়:::হুম এসো,,,
,
পি,এ::: স্যার নীরা নামের একটা মেয়ে আপনার খাবার দিয়ে গেছে,,,
,
নিলয়::: নীরা কই???
,
পিএ::: উনি তখনই চলে গেছে,,,
,
নিলয়::; ঠিক আছে তুমি যাও,,,
,
নিলয় খাবার গুলো নিয়ে ফ্লোরে ফেলে দেয়,,,নিলয়ের রাগটা এতে দুগুন বেড়ে যায়,,,
নিলয়::: খুব সাহস বারছে না তোমার,,, তোমার কত্ত সাহস হইছে দেখবো আজ
,
নিলয় অফিস থেকে বেরিয়ে পরে,,,,
,
এদিকে নীরা একা একা যেতে থাকে ঠিক তখনই নিলয় গাড়ি নিয়ে এসে নীরার সামনে ব্রেক করায়,,, নীরা তো রীতিমতো ভয় খেয়ে যায়,,,,
,
নীরা::: এই সয়তান টা আমার পিছু ছারে না কেন আল্লাহ জানেন,,,
,
নিলয় গাড়ি থেকে নেমে নীরাকে টেনে গাড়িতে বসায়,,, নীরা ভালোভাবেই বুঝতে পারে আজও নীরার কপাল এ দুঃখ আছে,,,,,,
,
continue............
.
♥♥অদ্ভুত ভালোবাসা♥♥
পর্ব:-১৪
,
নিলয় গাড়ি থেকে নেমে নীরাকে টেনে গাড়িতে বসায়,,, নীরা ভালোভাবেই বুঝতে পারে আজও নীরার কপাল এ দুঃখ আছে,,,,,,
,
গাড়িতে নিলয় নীরার সাথে একটা কথাও বলে না,,, কিন্তুু নীরা বলে,,
,
নীরা:::: আচ্ছা একটা কথা বলেন তো আমার জন্য কি আপনার আর মুনিরা আপুর কোনো সমস্যা হচ্ছে??? বা আমার জন্য আপনার অন্য কোনো কারো সমস্যা হচ্ছে??
,
নিলয়ের কথা শোনার সাথে সাথে জোরে করে গাড়ি ব্রেক করে থামিয়ে নীরার দিকে তাকায়,,, নীরা নিলয়ের চোখ দেখেই চুপ মেরে যায়,, নীরার এই কথাতে নিলয়ের রাগ চরমে উঠে যায়,, নিলয় নীরাকে নিয়ে নিলয়ের সেই আগের বাড়ির দিকে যায়,,, নীরা রাস্তা চিনতে পেরে চিৎকার করে উঠে,,,
,
নীরা:::; আমি এই বাসায় যাবো না,, আমায় ওই বাসায় নিয়ে চলেন,,,
,
নিলয় নীরার কোনো কথা না শুনে জোরো গাড়ি চালিয়ে ওর আগের বাসায় নিয়ে যায়,,,, গাড়ি থামিয়ে নীরার হাত ধরে নামাতে গেলে নীরা হাত ছারিয়ে নিয়ে নিজে নিজে নামতে লাগে,,, নিলয়ের এতে রাগ আরো দিগুন বেড়ে যায়,, এক ঝটকায় নীরাকে কাধে তুলে নিয়ে গাড়ির দরজা আটকিয়ে বাড়ির লক খুলে নীরাকে সেই বেডরুমে নিয়ে বিছানার ওপর ধপ করে ছেরে দেয়,,,
,
নীরা:::: আপনি কাজ গুলো মোটেই ভালো করছেন না,,, আপনি এভাবে আমার ভালোবাসা আদায় করতে পারবেন না আর আমায় আটকেও রাখতে পারবেন না,, আপনি কি মনে করেন আমি বুঝি না মুনিরার সাথে আপনার কি চলে,,, মুনিরা,,,,,,,,,,
,
কথা শেষ করার আগেই নিলয় নীরার মুখ চেপে ধরে ঠাটিঢে একটা থাপ্পর মারে,তারপর চিল্লাতে শুরু করে,,,
,
নিলয়::: কি বুঝিস তুই? কি বুঝিস বল? আমারর আর মুনিরার মধ্যে কিছু চলছে? কোন ভিত্তি তে তুই এসব বলছিস হ্যা,,, কি দেখছিস তুই মুনিরা আর আমার রাত কাটানো দেখছিস তুই??
,
নীরা:::ওযে আপনাকে ভালোবাসে এতে তো কোনো ডাউট নাই,,,,
,
নিলয়:::: ভালোতো আমা তোকেও বাসি তুই ভালোবাসিস আমায়? মুনিরার সাথে আমার কিছু থাকলে অনেক আগেই ওর সাথে আমার বিয়ে হয়ে যাইতো,,, তুই আমার ঘরে থাকতি না, মুনিরা থাকতো, ,,,
,
নীরা:;; সেটাই আমার মতো ২-৪ টা নীরা আপনার ঘরে নেওয়া কোনো ব্যাপারই না,,,
,
নিলয় নীরার কথা শুনে নীরার গলা টিপে ধরে,,,
,
নিলয়:::; তোর সাহস কি করে হয় নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করার,,,জানে মেরে ফেলবো একদম,,
,
বলেই নীরাকে বিছানার ছিটকে ফেলে দেয়,,,
,
নিলয়::: এত্তদিন ধরে আমার কাছে আছিস তোর কাছে এমন কিছু করেছি আমি যাতে তোর মনে হয় আমি ২-৪ টা নীরা আমার ঘরে আনবো?? বল কিছু করেছি??? স্বামী আমি তোর,,, তোর ওপর পুরা অধিকার আমার আছে তাও তোর কাছে আমি অধিকার চাইতে গেছি??? বল
,
নীরা:::( সত্তিই তো ও যাই করুক কখনও আমার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টাও করে নি,, যেখানে চার দেওয়ালের মধ্যে জোর করে আমার সাথে যা ইচ্ছা করতে পারতো)
,
নিলয় নীরার বাহু ধরে দাড় করিয়ে দিয়ে শক্ত করে নিজের কাছে টেনে নেয়,,,
,
নিলয়':::: এচোখে একবার তাকিয়ে দেখো তো নীর পাখি তোমার ওপর আমার ভালোবাসাটা দেখতে পাও নাকি,,,
,
নীরা নিলয়ের চোখের দিকে তাকায়,,
,
নিলয়:::: কি দেখতে পাচ্ছো?? আমার রক্তে রক্তে নীরা মিশে আছে,,, আমি আমি কি করে অন্য কাউকে,,,,,
,
বলেই নীরাকে হালকা করে ধাক্কা দিয়ে একটু দুরে সরিয়ে দেয়,,,
,
নিলয়:::: তুমি কখনও বুঝতে পারবে না আমায়,,, বুঝবে কখন যখন আমি তোমার পাশে থাকবোনা তখন,,,
,
নিলয় রুম থেকে বের হয়ে যায়,,, নীরা ধপ করে ফ্লোরে বসে কান্না করতে শুরু করে,,, একটু পরে নিলয় রুমে আসে,, নীরা তাকিয়ে দেখে নিলয়ের ডান হাত রক্তে ভেসে যাচ্ছে , মনে হচ্ছে কোনো শক্ত কিছু দিয়ে বারি মারা হয়েছে,,,
,
নীরা দৌড়ে এসে নিলয়ের হাত ধরে চিৎকার করে উঠে,,,,
,
নীরা':::: এটা কি করছেন হাতে,,,, পাগল হয়ে গেছেন নাকি,,,
,
নিলয়::: কিছু হয়নি জান পাখি তোমায় যে হাত এ মেরেছি সেই হাতকে এতদটু সাস্তি দিয়েছি,,,
,
নীরা:::: ঠাস করে একটা থাপ্পর দিয়ে তোমার পাগলামো বের করে দিবো,,,
,
নীরার কথা শোনার সাথে সাথে নিলয় নীরাকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে,,,,
,
নিলয়::: আমাকে মাফ করে দাও নীর পাখি আমি তোমার গায়ে হাত তুলতে চাই নাই,,, সকালে তোমার ওপর রাগ করে এসে ভালো লাগছিলোনা,,, পরে মুনিরা ফোন দিয়ে বলছে যে তুমি আর অয়ন নাকি রুমে দরজা বন্ধ করে অনেকক্ষন কথা বলছো,,, এ কথা শুনে আমার খুব রাগ হয়,, আবার যখন তুমি অফিসে আমার সাথে দেখা না করে চলে আসো ারর ড্রাইভারকে না নিয়েই তখনও আমার বেশি রাগ হয়নি কিন্তুু তুমি যখন মুনিরার কথা বললে তখন আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি নি,,, তুমি বোঝোনা আমি তোমাকে কত্ত ভালোবাসি,,, তুমি ছারা আমি কিভাবে থাকবো বলো,,সব সময় আমি টেনশনে থাকি এই হয়তো তুমি আমায় ছেরে চলে যাবে,,, আমি আর এই টেনশন নিতে পারছি না,,, যদি যেতে হয় আমার মেরে ফেলে চলে যাও,,,, আমি তোমাকে সত্তি ভালোবাসি নীর পাখি,,
,
নীরা:::( ওহ্ তারমানে এসব মুনিরার কাজ, আমি কিভাবে ভুলে গেলাম মামুনির কথা। শাকচুন্নি তোরে আমি দেখে নিবো,,,) চুপ আর একটা কথাও না উঠো উঠো বলছি,,,,
,
নীরা নিলয়কে বিছানায় বসিয়ে নিলয়ের হাত কোলের মধ্যে নিয়ে ব্যান্ডেজ করতে থাকে,,, নীরার মুখের ভাব এমন যে মনে হচ্ছে ব্যাথা নিলয়ের না নীরার হচ্ছে,,, নীরা নিলয়ের হাত ব্যান্ডেজ করে নিজে সাওয়ার নিয়ে,,, নিলয়কে ফ্রেস করে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে ,,,
,
নীরা;:: আমরা কি বাসায় যাচ্ছি???
,
নিলয়:::: না নীর পাখি আগে রেস্তরাঁতে গিয়ে কিছু খেয়ে নেই,,, তারপর,,,,
,
নীরা:::: বাসায় গিয়ে মামুনির হাত এর রান্না খেলে হয় না???,
,
নিলয়:::: ঠিক আছে,,,
,
নীরা:::: আপনাকে একটা কথা বলি???
,
নিলয়:::: আগে তুমি করে বলো,,,,
,
নীরা:::: বলার সময় হলে বলবো ,, তো কথাটা কি বলবো??
,
নিলয়::: হ্যা নীর বলো
,
নীরা'::: আপনি মামুনিকে মা বলে ডাকেন না কেনো??? উনি আপনাকে কত্তভালোবাসে জানেন???
,
নিলয়:.......
,
নীরা::: মানুষের জীবনে অনেক কিছু ঘটে জানেন যা মানুষের কল্পনার বাহিরে,, আম্মু জান্নাত বাসি হইছে,,, আম্মুর বদলে আপনি আরেকটা মা পেয়েছেন,,, মা এর মুল্য আপনার থেকে কেউ বেশি বুঝে না ,, এখন মা এর মুল্য দিচ্ছেন না,,,এমন না হয় মামুনি ও আম্মুর মতো,,
,
নিলয়'::: আহ্ নীর পাখি এসব বলো না,,
,
নীরা:::: আমি একটা মা কে দেখছি যার চোখে নিজের ছেলেকে কাছে না পাওয়ার যন্ত্রনায় প্রতিনিয়তো জলছে,,,, ছেলের মুখে মা ডাক শোনার জন্য ব্যকুল,,, আর এটা ছেলেকে দেখছি সব বুঝেও না বোঝার ভান করে প্রতিনিয়ত তার মাকে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে,,,
,
নিলয়'::::: আমায় কি করতে বলছো???
,
নীরা::: প্লিজ অন্তত আমার জন্য হলেও মামুনির সাথে স্বাভাবিক আচরন করেন,,,
,
নিলয়:::: হুম চেষ্টা করবো,,,
,
নীরা :::: tnxxx
,
নিলয়:::: নীর পাখি
,
নীরা::: হুম
,
নিলয়:::: sorry
,
নীরা ::: কেনো???
,
নিলয়:::: তোমার গালে আমার আঙুলের ছাপ পরে আছে
,
নীরা::::হুম
,
নিলয়:::: আমায় মাফ করে দাও নীর পাখি,,,
,
নীরা:::ঠিক আছে,,,
,
নিলয়::: নীর পাখি???
,
নীরা::: হুম
,
নিলয়:::: আমায় ছেরে কখনও যাবে নাতো???
,
নীরা :::......
,
নিলয়::: থাক তোমার উত্তর দিতে হবে না,,,, কিন্তু শুনে রাখো,,,, বেচে থাকতে তোমাকে আমি আমার কাছ থেকে চলে যাইতে দিবো না,,, আর যদি তেমন কোনো প্ল্যান করো তো আমার মেরে ফেলে যাইয়ো,,,কারন তোমাকে ছারা আমি বেচে থাকতেও মরে যাবো ,,, ওভাবে মরার থেকে তোমার হাতে মরে আমি শান্তি পাবো,,,
,
নীরা:::: চুপচাপ গাড়ি চালান।,,,, ( এই ছেলেটা মরার কথা কেনো বলে ইচ্ছে করে কানের নিচে মেরে দেই)
,
নিলয়::: আমরা চলে আসছি নীর পাখি,,,
,
নিলয় আর নীরা বাসায় আসে,,নিলয়ের হাতে ব্যান্ডেজ দেখে ওর মা, বাবা,তিশা সবাই অস্থির হয়ে পরে,,,
,
নিলয়:::: কিছু হয়নি মামুনি গাড়ির সাথে লেগে হালকা কেটে গেছে,,,
,
নিলয়ের কথা শুনে সবাই নিলয়ের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে,, আর নীরা ইশারায় তিশাকে হাত দিয়ে বেস্ট লাইক দেখালো,,, কারন নিলয় আজ সবার সামনে ওর মা কে মামুনি বলে ডাকছে,,, নিলয় ব্যাপারটা বুঝে চুপচাপ রুমে চলে গেলো,, নীরা ও পিছে পিছে গেলো,,, কিন্তুু মুনিরা ব্যপার টা দেখে বেশ থতমত খেয়ে যায়,,,,
,
মুনিরা:::: (কি হলো এটা,,, আমার প্ল্যানটা এভাবে নষ্ট হয়ে গেলো,,সব কিছুই উল্টা হচ্ছে,,, নিলয় ওর মা এর ওপর দুর্বল হতে শুরু করছে,, এটা আর বেশি দুর এগুতে দেওয়া যাবে না নয়তো আম্মুর প্ল্যান সব ভেস্তে যাবে,,, এই সব হচ্ছে নীরার জন্য,,, তোমাকে আমি ছারবোনা নীরা ,,,,)
,
নীরা আর নিলয় একসাথে খাবার খেতে আসে ,, নীরা আজ ও এসে দেখে সেদিনের মতো মুনিরা আর তিশার পাশের চেয়ার ফাকা আছে,,, নিলয় বসার জন্য এগিয়ে যেতেই নীরা ওর হাত ধরে ফেলে,,,
,
নীরা ::: তিশু কষ্ট করে উঠে মুনিরা আপুর কাছে এসে বসবে প্লিজ,,,
,
তিশা::: কেনো নয় ভাবি অবশ্যই আমি তো সর্বদা তোমার সেবাই নিয়োজিতো,,, এই নাও বসে পরো,,,
,
নীরা নিলয়ের হাত ধরে নিয়ে এস বসে পরে , নিলয় হা করে মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে ওকে বোঝার জন্য কিন্তুু বুঝে না,,,
,
নীরা:::: মামুনি তুমি ও বসে পরো,,,
,
নিলয়ের মা ::: না রে মা তোরা খা আমি তোদের খাবার বেরে দেই,,,
,
নীরা::: আহ্ মামুনি এতো কথা বলো কেনো বসতে বলছি বসো,,এখানে সবাই বারির মানুষ যে যারটা বেরে খাইতে পারবে,,, আর মুনিরা আপুকে আমি যত্ন করে খাইয়ে দিচ্ছি,,,,
,
মুনিরা::: নিল তুই খাবি কি করে,,, তিশা তুই ওখানে যা, নীল এখানে আয় আমি তোকে খাইয়ে দেই,,,,
,
নীরা:::: না না আপু আপনার এতো কষ্ট করতে হবে না,,, গেস্টকে এতো কষ্ট দিতে নাই,বাড়ির অকল্যাণ হয় গো,,, তুমি খাও,,,
,
মুনিরা:::: কিন্তুু ও খাবে কি করে,,,,
,
নীরা:::: কেনো আপু পাশে তো উনার জলয্যান্ত মা বসে আছে,,উনি থাকতে ওনার ছেলের খাবার কষ্ট হবে কেনো???
,
মুনিরা::: নিল উনার হাত থেকে খাবে না,,,
,
নীরা:::: কে বললো তোমায়, উনি খাবে না,,, কি আপনি মামুনির হাত থেকে খাবেন না??( চোখ রাঙিয়ে)
,
নিলয়:::: হ্যা খাবো,,, এত্ত কথা না বলে আমায় কেউ খাইয়ে দাও না আমার খুব খুদা লাগছে,,,
,
নীরা ;;;; শুনলেন তো মুনিরা আপু ও খাবে,,,,আর আপনিও খান,,,
,
নিলয়ের মা চোখের পানি মুছতেছে আর নিলয়কে খাইয়ে দিচ্ছে,,, নিলয়ের বাবা ও কাদছে,,,,
,
নীরা::: হচ্ছে টা কি এখানে,, খাবার সময় কে কাদে হ্যা,,,, মামুনি আমার ও খুব লোভ হচ্ছে খাইয়ে দিবে আমাকেও,,,
,
নিলয়ের মা :;:: ধুর পাগলি মেয়ে আয়,,,
,
তিশা:;: বাহ্ বাহ্ আমি কি উরে আসলাম নাকি???
,
নীরা:::
কেনো হিংসে হচ্ছে??
,
তিশা::: বয়েই গেছে আমার হিংসে করতে,, আমি বাচ্চা না বুঝলা
,
নীরা::: তাই তাহলে তো তোমার বিয়ে দিয়ে যত তারাতারি এ বাড়ি থেকে বিদায় করে দিতে হবে,,,
,
তিশা::: ভাবি ভালো হচ্ছে না কিন্তু,,, বাবাই তুমি কিছু বলছো না কেনো,,,
,
নিলয়ের বাবা::: আরে আরে আমার বুড়িটাকে এভাবে জালাচ্ছো কেনো???
,
তিশা::: বাবাই তুমিও,,,
,
সবাই হেসে ওঠে,,,, কিন্তুু মুনিরা এসব দেখে রাগে আর হিংসায় জলতে থাকে,,,,
মুনিরা:::: (এই কাজ গুলো তুমি মোটেই ভালো করছো না নীরা পস্তাতে হবে তোমায়)
,
নীরা::: আরে মুনিরা আপু আপনি কিছু খাচ্ছেন না কেনো?? কি ভাবছেন এতো,,, খান আরে তিশা মুনিরা আপুকে বড় মাছেরমাথা টা দাও,,, দাড়াও আমি দিচ্ছি,,
নাও আপু খাও,, ( নে শাকচুন্নি মাছের মাথা খা)
,
মুনিরা::: না আমি পারবো না এতো বড় মাথা খেতে,,
,
নীরা::: মাথা চিবিয়ে খাবার এক্সপিরিয়েন্স আছে আপনার,, :পারবেন খান,,,( কেনো রাক্ষসনী আমার বর এর মাথা তো ঠিক ই চিবিয়ে খেয়েছিস,, আর মাছ এর মাথা খাইতে পারবি না,, খা জম্মের খাওয়া খা,,,নিলয়ের মাথা তো আর খাইতে পারবি না,সে আশা বাদ দে,,, ছ্যছরা মেয়েমানুষ একটা,,,এখন থেকে নিলয়ের সামনে আমি আছি,,,দেখি প্যকাটি তুই কি করিস,ডাইনি গাছপেত্নী)
,

1 comment :

  1. আরো নতুন নতুন Golpo, কবিতা, জোকস পড়তে ভিজিট করুন
    www.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete