Friday, October 19, 2018

ভালোবাসার গল্প - রহস্য পর্ব 3

1 comment

(রহস্য)
পর্ব:-০৩
গল্প শুরুর আগে বলে নেই,
(কলেজে আশিকের একমাত্র বন্ধু হয়েছে সোহাগ,
বলা যায় আশিকের একমাত্র সঙ্গী,আশিক আর সোহাগ একই ডিপার্টমেন্ট এ)
পরের বলেই সাকিব বোল্ট,
পুরো মাঠের দর্শকের মুখে কোন শদ্ব নাই,মনে হয় সবাই কথা বলা ভুলে গেছে,মিম হা করে তাকিয়ে আছে,আশিকের দিকে!
পরের দু বলে আর দুটি উইকেট পেল আশিক,
প্রথম ওভারেই হ্যাট্রিক করে বসলো আশিক।
আশিক পরে আরো দুই উইকেট পায়,
অবশেষে জোড় দলের সংগ্রহ ২০ ওভারে ১৫৯!
এখন ব্যাটিং করছে আশিক এর বিজোড় দল,
পাওয়ার প্লেলের ৬ ওভারে তাদের মোট রান ৩ উইকেটে ৪০,
আবার একজন আউট,মিম খুশিতে লাফাচ্ছে,
পরে ব্যাটিং এ আসলো আশিক,
আস্তে আস্তে দেখেশুনে খেলছে আশিক,
দেখতে দেখতে প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে জয়ের,
লাষ্ট ওভারে প্রয়োজন ১৬ রান,
হাতে আছে একটি উইকেট,
ব্যাটিং এ আছে,আশিক।
খেলার মধ্যে টান টান উত্তেজনা,
যে কোন কিছু হতে পারে,আশিকের হার্ট বিট লাফাচ্ছে,
প্রথম দুই বলে দুই ছয়,
ম্যাছ আশিক দের হাতে এসে গেছে,
এমন সময় আশিক তাকিয়ে দেখে মিম এর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে,
পরের বলেই আশিক আউট,
রান আউট!!!!
মিম খুশিতে লাফিয়ে উঠলো,
মিম যেন অনেক খুশি হয়েছে,
সোহাগ এর কাছে ব্যাপার টা কি রকম জানি লাগলো,
মনে হলো আশিক ইচ্ছা করে হারলো,
কিন্তু ব্যাপার টা চেপে গেল,
সার আশিক কে ডেকে বললো,
সাবাশ আশিক,
অনেক ভালো খেলেছো তুমি,
আমাদের কলেজ থেকে অংশ গ্রহন কারি টিমের ক্যাপ্টেন তুমি,
আর সহ ক্যাপ্টেন শাকিল।
সামনের মাসের শুরুতে টুর্নামেন্ট শুরু হবে,
তোমরা মানসিক আর শারিরিক প্রস্তুতি নিতে থাকে,
মিম গিয়ে শাকিবের সাথে গিয়ে হ্যান্ড স্যাক করে,বললো
স্বাগতম শাকিব,খুব ভালো খেলেছো তুমি,
আমি জানতাম তুমিই জিতবা?
কলেজ শেষ করে, সবাই যার যার মতো চলে গেল,
আশিক কি যেন কি ভাবছে,
এমন সময় সোহাগ আশিক কে বললো,
কিরে সাইকো কি ভাবিস?
আরে তেমন কিছু না,
আচ্ছা আশিক আমি তোকে একটা কথা বলি?,
সত্যি কথা বলবি?
আশিক বললো,আমি জানি তুই কি বলবি?
আমার মনে হয় তোর প্রশ্নটা না করাই ভালো,
কারন তোর প্রশ্নের উত্তর টা সময় হলেই তোকে আমি বলবো,
এর আগে তুই আমায় কোন প্রশ্ন করবি না?
কথা দে সোহাগ?
ওকে কথা দিলাম!
আচ্ছা তুই কি করবি এখন?
আশিক বললো তেমন কিছু না,
তাহলে আমার সাথে একজায়গায় চল....
কোথায় আগে বল?
আরে চল আগে,
দুজনেই রিক্সায় বসে আছি,
এমন সময় সোহাগ রিক্সাওয়ালা কে বললো,
মামা রাখেন,সোহাগ রিক্সা থেকে নেমে ভাড়াটা দিয়ে,
আশিক কে বললো,কিরে নামিস না কেন?
কোথায় নিয়ে আসলি আমায়?
আরে আয় তো!
রিক্সা থেকে নেমে,আশিক মনে মনে ভাবছে,
হে আল্লাহ তুমি রক্ষা করো,
আশিক সোহাগ নিয়ে,সহরের সবচেয়ে দামি রেস্টুরেন্ট নিয়ে গেল,ভিতরে যাওয়ার সময়, সবাই আশিক এর দিকে ভূত দেখার মতো করে তাকিয়ে আছে!
সোহাগ এর কাছে ব্যাপার টা একটু অন্যরকম লাগলো,
ওয়েটার এসে বললো,মহাশয়!
এইযে_____
সোহাগ বললো,
আমার জন্য একটা কোল্ড কফি,
আর একটা চিকেন'
বলার পর ওয়েটার চলে গেল,
সোহাগ বললো কিরে,তুই কিছু খাবি না,
আশিক বললো হুম খাবোতো,
একটু পর সবগুলো খাবার দিয়ে গেল,
কিন্তু সাথে একটি ব্লাক কফি,
ব্লাক কফিটি আশিকের সামনে রেখে ওয়েটার চলে গেল,
সোহাগের কাছে ব্যাপার টা সাধারন মনে হলো না,
সোহাগ আশিক কে কিছু বলতে যাবে,
ঠিক তখনি আশিক ইশারায় সোহাগ কে চুপ করে ক্ষেতে বললো,
সোহাগ কিছু না বলে,খাওয়া শুরু করলো।
খাওয়া শেষ করে সোহাগ বিল দিতে গেল,
সার আসলে আপনার বিলটা পেমেন্ট হয়ে গেছে,
সোহাগ বললো,কে দিয়েছে?
আসলে আপনার বিলটা আমাদের কাছে পেমেন্ট করা হয়ে গেছে,
কিন্তু ওনি ব্যাপার টা গোপন রেখেছেন,
তাই আমরা বলতে পারলাম না।
সোহাগ আর কিছু না বলে চলে আসলো,
আশিকে কে হোষ্টেলে নামিয়ে দিয়ে চলে আসলো।
আশিক পরেরদিন আবার কলেজে আসলো,
বরাবরের মতো দেরি করে,
ক্লাস চলাকালিন, সময় অন্য এক টিচার ক্লাসে আসলো,
সার বললো,সামনের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তোমাদের জন্য সাংস্কৃতিকমূলক অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয়েছে,
গান, তর্ক - বিতর্ক,অভিনয় ইত্যাদির আয়োজন করা হয়েছে,
তোমরা যে যেটায় অংশগ্রহন করতে চাও,
করতে পারবা,আর তোমরা যারা তর্ক-বিতর্কে অংশ গ্রহন করতে চাও,
তারা ছুটির পর দেখা করবা,
আর সার আশিক কে বললো, আশিক তুমি ও দেখা করবা আমার সাথে,
এটা বলে সার চলে গেল,বাকি ক্লাস গুলো করে,
সবাই চলে গেল,
ছুটির পর সোহাগ কে নিয়ে সারের সাথে দেখা করার জন্য চলে গেল,গিয়ে দেখলো মিম আর তার কয়েকজন বান্ধবী দাড়িয়ে আছে,আর ছেলেদের মধ্যে শাকিব ও আছে,
শাকিব আর মিম হেঁসে হেঁসে কথা বলছে,
আশিক কে দেখে,শাকিব বললো,দেখ মিম সালার ক্ষেতটাও এখানে উপস্তিত,
মিম বললো,আরে তাতে আমাদের কি?
এমন সময় সার আসলো,
সার এসে বললো তোমরা তো মোট আট জন আছো,
হুম সার!
মিম আর আশিক দুজন দুই গ্রুপের দলনেতা,
কথাটা শুনে মিম হেসে দিয়ে বললো,
সার আশিক ও কি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করবে নাকি?
সেটা পরে বলবো,আপাতত প্রাকটিস করো,
আর কালকে ছুটির পর তোমরা আমার সাথে দেখা করো
ওকে সার!
মিমের গ্রুপে আছে শাকিব,আর দুইটা মেয়ে,
আর আশিকের গ্রুপে আছে,সোহাগ, আর দুটো মেয়ে,
আশিক সবাইকে কিছু কাগজ দিয়ে চলে গেল,
আর মিম একটা রহস্যময়ী হাঁসি দিয়ে চলে গেল।
আশিক সোহাগ কে কিছু কথা বলে,হোষ্টেলে চলে আসলো,
রপরের দিন আশিক আবার কলেজে আসলো,
এসে আবার সেই চিরচেনা পেছনের সিটে বসলো,
ক্লাস চলছে,কিন্তু তাতে তার কোন খেয়াল নাই,
ক্লাস শেষ করে, আবার আসিক ও তার গ্রুপের সদস্য মিলে সারের সাথে দেখা করার জন্য গেল,
গিয়ে দেখলো মিম রা আগে থেকেই উপস্তিত,
মিম আর শাকিব ওই দিনের মতো পাশাপাশি দাড়িয়ে,হেসে হেসে কথা বলছে,
এমন সময় সার আসলো,এসে বললো,
কেমন আছো তোমরা সবাই?
জ্বি ভালো সার,আপনি?
ভালো।
তোমাদের আজকের বিতর্কের বিষয় হলো,
"দারিদ্রতা দূর্নীতির প্রধান কারন"
মিম তুমি এর পক্ষে,
আর আশিক তুমি বিপক্ষে,
ওকে সার,
মিমের গ্রুপের সবাই অনেক ভালো বলেছে,
আর বিষেশ করে, মিম খুব ভালো বলেছে,
আশিকের গ্রপের আশিক বাদে বাকি তিনজন এর বলা শেষ,
এখন শুধু বাকি আছে আশিক,
সার বললো আশিক শুরু করো,তোমার সময় শুর হলো,
আশিক চুপ করে আছে,এটা দেখে মিম হেসে দিল,
এমন সময় আশিক বলতে শুরু করলো,সবাই অবাক হয়ে গেল,এতো সুন্দর করে কথা কেমনে বলছে আশিক,
মিম শুনে তো অবাক,আর এতো ভালো ভালো পয়েন্ট বলছে আশিক,যেগুলো মিমের মথায়ই আসে নাই,
আশিক তাকিয়ে দেখলো,মিমের ফর্সা মূখখান একদম
কালো হয়ে গেছে,এমন সময় আশিকের মূখদিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না,
সবাই তো অবাক আশিক চুপ করে আছে কেন?
সময় শেষ হয়ে গেল,
সার বললো,আশিক খুব ভালো বলতেছিলে,কিন্তু মাঝে থামলে কেন,
আর মিম তোমরা সবাই মোটামুটি ভালো করেছে,
আশিক দের গ্রুপের চেয়ে মিমের গ্রুপ ভালো করছো,
কথাটা শুনে মিম খুশিতে লাফিয়ে ওঠলো,
আর সোহাগ ব্যাপারটা একটু অন্যভাবে নিলো,
মিম তোমাদের গ্রুপ থেকে দুইজন,
আশিক তুমিও দুইজন এর নাম আমায় জানাবা,
চারজন আমাদের কলেজ থেকে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করবে,
কথাটা শুনে মিমের রাগ হলো,
কিন্তু আশিক কোনো কিছু না বলে,
সোজাসোজি হোষ্টেলে চলে আসলো,
ভাবছে..........
আজকের মতো শেষ,,,,,,,

1 comment :

  1. আরো নতুন নতুন Golpo পড়তে ভিজিট করুন
    www.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete