Friday, October 19, 2018

ভালোবাসার গল্প - রহস্য পর্ব 4/

1 comment

রহস্য) পর্ব- ০৪
লেখক- স্বপ্নীল শুভ্র
হোষ্টেলে এসে আশিক ভাবছে,
মিম মেয়েটা এমন কেন,
ভাবতে ভাবতে খাওয়া খাওয়া শেষ করে,
আশিক ঘুমিয়ে পড়লো,
সকালে ঘুম থেকে, উঠে ফ্রেস হয়ে,
কলেজে চলে আসলো,
বরাবরের মতো দেরি করে আসলো ক্লাসে,
আজকে টিউটিরিয়াল পরিক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে,আস্তে আস্তে সবার রেজাল্ট দিয়ে দিলো,
সবার রেজাল্ট দিয়ে দিলো,
কিন্তু আশিক এর রেজাল্ট সার বললো না,
সবাই কিছুটা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ক্লাসের সবাই তাকিয়ে আছে আশিকের দিকে,
এমন সময় সার বললো,
তোমাদের মধ্যে ফাষ্ট হয়েছে,
মিম।তুমি ৫০ এর মধ্যে ৪৯ পেয়েছে,
কথাটা শুনে আশিক দাড়িয়ে হাত তালি দেওয়া শুরু করলো,
আশিকের দেখাদেখি সবাই হাত তালি দেওয়া শুরু করলো।
মিম অনেক খুশি হলো,
কিন্তু আশিক কেন হাত তালি দিলো,
এমন সময় সার আশিক এর দিকে তাকিয়ে রহস্যময় ভঙ্গিতে তাকিয়ে চলে গেল,
ব্যাপার টা মিম এর চোখে পড়লো,
শাকিব আর মিম কথা বলছে,
এমন সময় আশিক কে দেখে শাকিব চলে গেল,
মিম বললো কই যাচ্ছো শাকিব,
আসলে মিম আই এম সরি!!
আসলে আমার গার্ল ফ্রেন্ড আছে,
আমাদের ক্লাসের দিনার সাথে আমার রিলেশন,
আমি তারপরেও আমি তোমার সাথে লাইন মারার চেষ্টা করেছি,এর জন্য আমি দুঃখিত, মিম দয়াকরে আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও,
আর একটা কথা বলার ছিলো,
আশিক!!!!!
আশিক আসলে,
আশিক না,
কথা টা বলতে গিয়ে শাকিব আটকে গেল,
কারন আশিক তার পাশে দাড়িয়ে আছে,
কোন কিছু না বলে,শাকিব তাড়াতাড়ি চলে আসলো,
আর আশিক ও চলে আসলো,
মিম বাকি ক্লাস গুলো করে বাসায় চলে আসলো,
বাসায় এসে কোন কিছুতে মন বসাতে পারছে না,
শুধু মনে হচ্ছে, আসলে আশিক ছেলেটি আসলে কে?
কি ওর পরিচয়,ওর বাবা মা কি করে?
আর শাকিব ওর নামে কি বলতে চাইলো,
আর আজকে ওর পরিক্ষার খাতা টা কই গেল,
আর সোহাগ ছাড়া কেন আশিক কারো সাথে কথা বলে না,
মনে মনে মিম বলছে,
আমাকে অবশ্যই এগুলোর রহস্য গুলো জানতে হবে,
এগুলো ভাবতে ভাবতে মিম খাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়লো,
পরের দিন ঘুম থেকে উঠে একটু তারাতারি,
কলেজে আসলো মিম,
এখনো তেমন কেউ আসে নাই কলেজে,
এমন সময় মিমের মাথায় একটা বুদ্ধি এলো,
সে হোষ্টেলে গেল,
হোষ্টেল গিয়ে সে আশিক এর সমন্ধে যে তথ্য গুলো জানলো,
তাতে তার চিন্তা কিছুটা কমলো,
হোষ্টেলের ছেলেদের কাছে সে শুনলো যে,
আশিক সারারাত পড়ে পড়ে ঘুমায়,
ওকে আমরা কোন দিন পড়তে দেখি নাই,
আসার পর থেকে দেখছি,
ও প্রতিদিন ও একটা শার্ট পড়েই কলেজে যায়,
তাছাড়া ও আমাদের সাথে তেমন কথা বলে না,
সবসময় ই চুপচাপ থাকে,
কিন্তু সোহাগ আসলে আশিক কেমন যেন পাল্টে যায়,
ওকে জোড়ে জোড়ে হাঁসে,
কথা গুলো শুনে মিম আশিকের রুমে যায়,
গিয়ে দেখে আশিক ঘুৃমিয়ে আছে,ঘুমের মধ্যে আশিকের চেহেরাটা নিষ্পাপ দেখাচ্ছে,
মিম আস্তে আস্তে আশিকের পড়ার টেবিলের দিকে এগিয়ে গেল,টেবিলের ওপরের একটা জিনিস দেখে তো মিম কারেন্টের শক খেলো,
এ তো আশিকের টেউটিরিয়াল পরিক্ষার খাতা,
এই খাতা এখানে আসলো কেমনে,
মিম কিছু না ভেবে,খাতাটা নিজের সাথে নিয়ে,
কলেজে চলে আসলো,বরাবরের মতো
আশিক সবার পরে আসলো ক্লাসে,
দেখতে দেখতে সারও এখন আশিক কে কিছু বলে না,
সবগুলো ক্লাস শেষ করে মিম কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় দেখে,আশিক আর সোহাগ হেঁসে হেঁসে কথা বলছে,
মিম কিছুটা এগিয়ে এসে,
সোহাগ কে বললো,
সোহাগ তোমার সাথে আমার কিছু দরকারি কথা আছে,
প্লিজ তুমি আজকে আমার সাথে সন্ধা রেস্টুরেন্টে বিকাল ৫ টায় দেখা করবা,
এটা বলে মিম চলে গেল,
আশিক কি হতে চলছে কিছুটা বুঝতে পারলো,
সে সোহাগ কে বললো,
মিম মনে হয় তোকে আমার ব্যাপারে কিছু বলতে পারে,
তোকে সাবধান করে দিলাম,
আমার সমন্ধে কিছু ওকে বলবি না,
এটা বলে আশিক চলে গেল হোষ্টেলে,
সোহাগ মূর্তির মতো দাড়িয়ে আছে,
কি হচ্ছে এসব, যে মেয়েটা কোনদিন আশিক এর ছায়াটাও পর্যন্ত দেখতে পারতা না,
সেই মেয়েটা কেন আজকে আবার আশিক এর কথা জানতে চাবে,আর আশিক ও তো কোনদিন মিম এর দিকে তাকিয়েও দেখে নি,
যে মেয়েটার সাথে কথা বলার জন্য ক্যাম্পাসের সবাই পাগল,
আর সেখানে আশিক মিমের নামটাও কোনদিন উচ্চারন করেনি,
তাহলে এখন এমন হচ্ছে কেন?
ভাবতে ভাবতে সোহাগ বাসায় চলে আসলো,বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে বিকালে চলে গেল মিমের সাথে দেখা করার জন্য,
রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখে মিম আগে থেকেই বসে আছ,
সোহাগ একটু কাশি দিয়ে বললো,
বসতে পারি?
হুম বসো,
সরি আসতে একটু দেরি হয়ে গেলো,
ইটস ওকে,
আসলে সোহাগ আমি তোমায় এখানে ডেকেছি,
কিছু কথা জানার জন্য,
সোহাগ বললো আমি জানি তুমি আমায় কি বলতে চাচ্ছো,
মিম কিছুটা অবাক হয়ে বললো,
কেমনে জানো তুমি?
বল্লে তুমি তো রাগ করবা না?
আরে না বলো,
আসলে তোমার মতো প্রশ্নগুলো আমার ও একটু অজানা?
আসার সময় আশিক আমায় বললো,
তুমি আমার কথা জানতে চাইবা?
হুম তুমি ঠিকই ধরেছো,
আসলে একমাত্র আশিক তোমার সাথেই কথা বলে,
আর কারো সাথে ওর তেমন যোগাযোগ নাই বল্লেই চলে,
কিন্তু আমি ওর সমন্ধে কিছুই তোমায় বলতে পারবো না,
কিন্তু শুধু এটুকু বলতে পারি,
আশিক ওইদিন ক্রিকেট খেলায় ইচ্ছে করেই হেরে যায়,
তর্ক বিতর্ক রিয়ারসেল করার সময় ও ইচ্ছে করেই চুপ করে ছিলো,
মিম কিছু বলার আগেই সোহাগ বললো
এর চাইতে বেশি আমি আর কিছু জানি না,
তোমার জানার ইচ্ছে হলেই ওর থেকেই জেনে নিও,
এখন তাহলে আমি উঠি,
কালকে আবার দেখা হবে,
ভালো থেকো।
কথা গুলো শুনে মিম অবাক হয়ে গেল,
মিম বিলটা দিয়ে, বাসায় চলে আসলো।
বাসায় এসে রুমে শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলো,
আশিক কেন ইচ্ছে করেই হারবে,
বিতর্ক তে কেন চুপ করে থাকলো,
ইশশ ভুলেই গেছি,আশিকের পরিক্ষার খাতাট দেখলেই তো কিছুটা রহস্য খুলে যাবে,
আশিকের খাতাটা খাতাটা ব্যাগ থেকে বের করে,
চোখ রাখতেই তো হতোবাক,
এ কি দেখছে মিম,
এতো কম্পিউটার এর টাইপ করা মনে হচ্ছে,
এতো সুন্দর লেখা কারো হতে পারে,
মিমের ইচ্ছে হচ্ছে লেখার প্রেমে পড়ে যেতে,
মিম আস্তে আস্তে উত্তর গুলো মিলাচ্ছে,
সবগুলো মিলিয়ে মিম থ হয়ে গেল!!!!
একি আশিকের সবগুলো উত্তর ই সঠিক,
তাহলে আশিক খাতাটা কেন ওর নিজের কাছে রেখেছে,
আর কিভাবে খাতাট পেল,
ওই দিন সার সআগুলো খাতা গুনে গুনে জমা নিয়েছিলো,
তাহলে আশিক খাতাটা কিভাবে পেল,মনে মনে মিম ভাবছে,
রহস্য র জট গুলো আশিক ই খুলতে পারবে,
পরের দিন একটু আগেই কলেজে আসলো,
এসে সরাসরি চলে গেল হোষ্টেলে,
আশিকের রুমে গিয়ে সরাসরি আশিকের শার্টের কলার
ধরে, বললো কে তুমি?
ব্যাপার টা আশিকের কাছে লজ্জাজনক মনে হলো,
আশিক মিমকে ছাড়িয়ে নিয়ে,
ঠাসসসসস,,,,,,,,
ঠাসসসসসসস,
মিম কোনো কথা না বলে,
কাদঁতে কাঁদতে চলে গেল,, ,,,,
আশিকের মনে হলো কি করলাম আমি!!!!!!
আজকের মতো শেষ,,,,,,,,,

1 comment :

  1. আরো নতুন নতুন Golpo পড়তে ভিজিট করুন
    www.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete