রহস্য (পর্ব -০৬)
লেখক- স্বপ্নীল শুভ্র
কথাটা শুনে মিমের আফছোস লাগলো,
আশিক মিমকে বলে চলে আসলো ক্যাম্পাসে,
মিম শুয়ে শুয়ে ভাবছে,
আশিক কেমন করে জানলো,
তার বাসা কোথায়,
তাহলে কি আশিক আগে থেকেই জানতো!!!
আচ্ছা আশিক ও কি আমায় ভালোবাসে,
আশিককে ছাড়া আমি বাঁচবো না,এমন সময় মিমের মা আসলো,
কিরে মা কি ভাবিস?
কিছু না মা,আমার লজ্জা লাগে,
আরে আমার কাছেও লজ্জা লাগে,
আমায় বলবি না?
বলছি মা,আসলে আমি একজনকে ভালোবাসি মা,
কথাটা শুনে মা খুব অবাক হলো,
তাই নাকি ছেলেটা কে? বাসা কোথায়?
নাম কি?কিসে পড়ে?
আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবি কবে,
তাহলে খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে আয় আমাদের বাসায়?
আরে মা শুনো আগে আমার কথা,
ছেলেটার নাম আশিক, এ ছাড়া আমি আর কিছু না,
আর আশিক আমার সাথেই পড়ে,
আর আমি ওকে এখনো জানাইনি আমি ওকে ভালোবাসি,
তারমানে এখনো ডুবে ডুবে পানি খাচ্ছিস শুধু,
তাহলে আগে তারাতারি বলে দে,
নাহলে আবার পরে হারিয়ে যাবে কিন্তু,
না মা ওকে ছাড়া আমি বাচবো না,
আমি কালকেই বলে দিবো মা।
আচ্ছা এখন তাহলে ঘুমা।
ওকে মা,
ঘুম থেকে উঠে, পরেরদি একটু তারাতারিই গেলো কলেজে মিম,আজকে কি রকম জানি লাগছে মিমের, আশিক কে আজকে ভালোবাসার কথা জানাবে,
গিয়ে দেখে আশিক এখনো আসে নি,
কিছুক্ষন পর আশিক আসলো কলেজে,
একটা ক্লাস শেষ হওয়ার পর,
মিম আশিক কে গিয়ে বললো,
তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে আশিক,
জ্বি বলো,
এখন না ক্লাস শেষ করে আমি তোমার জন্য বকুল তলা থাকবো,
আর ওখানেই বলবো,
কেন এখনি বলো,
খুব দরকারি কথা এখন বলা যাবে না,
ওকে।ক্লাস শেষ করে প্রথমে হোষ্টেলে গেল আশিক,
কাপড় চেন্জ করে,তারপর আসলো বকুল তলায়,
দূর থেকে দেখলাম মিম মেয়েটা মুচকি মুচকি হাঁসতেছে,
সামনে যাওয়ার পর বললাম,
কি বললা বলো,
মি বললো,
অস্থির হইসো কেন,
বলছিতো,
আসলে আশিক আমি জানি না তুমি কথা গুলো কেমনে নিবা,
আসলে আশিক তোমায় প্রথম যেদিন দেখে সেদিন তোমায়
দেখে আমার অনকে রাগ হয়েছিলো,
আর সেই রাগ টা বাধ্য করতো তোমাকে নিয়ে ভাবতে,
তোমাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে,
আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি,
আই লাভ ইউ আশিক,
লাভ ইউ আশিক,,,,,,,,,,,,,,
ঠাসসসসসসসস,,,,,,,,ঠাসসসসসাসসস,,,,,,,
তোর সাহস হললো কেমনে আমায় ভালোবাসার কথা বলার,
তুই নিজেকে কি খুব চালাক ভাবিস,
এখন তুই আমায় নিয়া নতুন করে গেম খেলবি,
আর আমি কষ্ট পেতে পেতে সেই খেলা উপভোগ করবো,
তাহলে তুই ভূল ভেবেছিস,
কারন আমি তোর ভালোবাসার ফাঁদে কখনোই পা দিবো না,
কথা গুলো শুনে মিমের চোখ দিয়ে জল পড়ছিলো,
আশিকের সেটা দেখে একটু মায়া হলো,
কিন্তু মায়া হলে কাজ হবে না,
কারন বড়লোকের মেয়েরা জেতার জন্য চোখের জ্বল কেউ হাতিয়ার বানাতে পারে,
সো চোখের জ্বল দেখে মায়া করার কোন কারন নাই,
মিম বললো,
আসলেই আশিক, আমি সত্যি তোমায় অনেক ভালোবেসে ফেলেছি,তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না,
প্লিজ আশিক তুমি আমায় ফিরিয়ে দিয়ো না!!!!!!!
এই মেয়ে তুমি ভালোবাসা সমন্ধে কি বোঝো?
আর আমি কে জানো তুমি?
আমার পরিচয় কি?
আমার বাবা মা কি করে?
কেন আমি সারাক্ষন চুপ করে থাকি?
কেন ক্লাসে আমি সবসময় দেরি করে যাই?
আর আমি কেমনে তোমার সমন্ধে সব কিছু জানি?
সোহাগ ছাড়া আমি কেন কারো সাথে মিশি না?
বলো? কি হলো বলছো কেন?
আর কোন কিছু না জেনে কেমনে আমায় ভালোবেসে ফেলছো?
আমি কিছুই জানি না,
আর জানতেও চাই না,
আমি তোমাকে ভালোবাসি ব্যাছ,কিছুই তো জানো না,
আমার তো জিএফ ও থাকতে পারে,
তাহলে তুৃমি কিছু না জেনে আমায় কেমনে ভালোবাসলা,
কি বল্লা তুমি তোমার জিএফ,
যদি আরেক বার ওই কথা মূখ দিয়ে বের করো তাহলে আমি তোমার বারোটা বাজিয়ে দিবো!!!!
কথাটা শুনে আশিক কিছুটা ভয় পেয়ে গেল,
কারন সে এতো দিনে মিমকে খুব ভালোবাবেই জানতে পেরেছে যে,মিম খুব রাগী আর পাগলী টাইপের একটা মেয়ে,
যে কোনো সময় যে কোন কিছু করতে পারে!!!!
আর তাছাড়া আমি তোমায় কোন দিন ও ভালবাসবো না,
কারন আমি তোমাকে মনে প্রানে ঘৃনা করি,
I HATE YOU_______
কথাটা শুনে মিমের রাগ হয়ে গেলো,
কারন জীবনে যা চেয়েছে তাই পেয়েছে,
আর আজকে নিজের ভালোবাসাকে পাবে না,তা কি কখনে হয়!মিম আশিকের কলারে ধরে বললো,
তুই নিজেকে কি ভাবিস,
তোকে ভালোভাবে বললাম শুনলি না,
তোকে বল্লাম আগামি এক মাসের মধ্যে তুই আমাকে তোর নিজের মূখ দিয়ে ভালোবাসি বলবি পুরো ক্যাম্পাসের সামনে!!!
এটা শুধু আমার স্বপ্ন না,
এটা তোর সাথে আমার চ্যালেন্জ,কথাটা বলে মিম___________একটা উম্ম্মাআআ
দিয়ে চলে গেল,
মনে হলো আমার শরীর দিয়ে ২৪০ ভোল্ট দিয়ে শক দেওয়া হলো,
ওইটা দিয়েই মেয়টা সরাসরি চলে গেল,
মনে হয় লজ্জা পেয়েছে,,,,
কিন্তু মিম মেয়েটা হটাৎ করে এমন পাগল হলো কেন আমার জন্য,
আর যেভাবে বলে গেল মনে হয়,
সামনে আমার কপালে মনে হয় খুব খারাপ কিছুই আছে,
এটা ভাবতে ভাবতে আমি আমার রুমে আলে আসলাম,
ইসস ভালে কথা মনেই তো নাই কালকে আবার অফ দে,
কি রকম জানি অজানা ভালো লাগা কাজ করছে,
কারন মিমের প্যারা আর ভালো লাগেনা,
আসলেই মেয়েটা এমন কেন,
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই,
আশিক তার ডাইরটা নিয়ে বসে গেল,
কিছুক্ষন ডাইরিতে লিখার পর সোহাগ আসলো,
কিরে কি লিখিস??
কিছুনারে,
আচ্ছা আশিক তুই এমন কেন?
আমায় কোন কিছু বলতে চাস না,
আমি কিন্তু তোকে আমার ভাইয়ের মতন ই দেখি,
কিন্তু তুই তোর জিবনের কোন কিছুই আমায় বলিস না,
আসলে সোহাগ সময় আসলে সবই বলবো তোকে,
আপাতত বল,
সামনে তো সেমিষ্টার ফাইনাল পরিক্ষা,
প্রস্তুতি কেমন তোর?
জ্বি আমার তো ভালো,
কিন্তু তোকে তো কোনদিন কেউ পড়তেই দেখি না,
ফেল করলে তো তোর ইয়ার লস হয়ে যাবে,
প্লিজ আশিক এখন থেকে একটু ভালোভাবে পড়িস,
নাহলে তোর সাথে আর ক্লাস করতে পারবো নারে,
আরে সোহাগ আমার কথা ভাবতে হবে না,
তুই বাসায় গিয়ে মন দিয়া পড়াশোনা কর,
ওকে ভালো থাকিস ,,,,,,,,
সোহাগ চলে গেল,
আশিক ডাইরিটা কে লুকিয়ে রেখে,
ফ্রেস হয়ে বসে বসে ভাবছে,
এমন সময়,
একজন লোক এসে বললো,
এখানে আশিক কে,
জ্বী আমি ই আশিক,
এখানে সাইন করে দিন,
এগুলো কি?
আসলে কাগজ টা খুলে দেখেন স্যার,
ওকে,
কিন্তু কে পাঠিয়েছে এটা!!
ভিতরে সব লেখা আছে,
আশিক কাগজ টা খুলে দেখলো ভিতরে টিফিনের বাটি,
আর একটা নীল পান্জাবী,
আর একটা চিরকুট________
আজকের মতো শেষ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
Friday, October 19, 2018
ভালোবাসার গল্প - রহস্য পর্ব 6/
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)


আরো নতুন নতুন Golpo পড়তে ভিজিট করুন
ReplyDeletewww.valobasargolpo2.xyz