পরী
লেখক: অজ্ঞাত
-মা,পরীদের কি ডানা থাকে?
.
আম্মা আমার প্রশ্নটা শুনে একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে
গেলেন।নিজেকে সামলে নিয়ে জবাব দিলেন,
-পরী তো দেখিনি কখনো,,
-ও আচ্ছা,,
-কেন? তুই দেখেছিস নাকি?
-হুম,,
-কোথায়?
-বাসার সামনের মাঠে.
.
আম্মা আমার দিকে অবিশ্বাসের চোখে তাকাল।
আমি
আবার বললাম,
-সত্যি,, ডানা ছিলনা,,
-কখন দেখেছিস?
-রাতে,,
-দেখতে কেমন?
-খুব সুন্দর,,
.
মা কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে গেল। কিছু
একটা ভেবে নিয়ে বলল,
-আচ্ছা,,তুই যা।এ নিয়ে পরে কথা হবে,,
আমার মনে হল আমি মাকে বিশ্বাস করাতে পারিনি
যে
দুদিন ধরে আমি একটা পরী দেখছি।
মানুষ পরী না,সত্যি কারের পরী। যদিও সে পরীর
ডানা নেই।
আর সব চাইতে অদ্ভুত বিষয় এ পরী সাইকেল
চালায়। আমার যে কোন সমস্যা হয় তা না,,
ভালই লাগে দেখতে।
.
বিকালে এক ফ্রেন্ডকেও বললাম ব্যাপার টা।
ও বলল এটা পরী নয়,কোন মেয়ে হতে পারে।
কিন্তু আমাদের বিল্ডিং এ এত সুন্দর কোন মেয়ে
নাই। প্রায় মেয়ে গুলাই খুব ধার্মিক, এক মেয়ে
তো সব সময় বোরকা পড়ে। তার চেহারাই
কখনো দেখিনি।
এরা কি আর সাইকেল চালাবে নাকি এত রাত্রে?
অসম্ভব ব্যাপার।
তবে আমাদের এখানে আশে পাশে কিছু বাসা
আছে,সেখানকার কোন মেয়ে হতে পারে।
তবে কোন মেয়ে এত রাত্রে বের হবে তা
ভাবতেই খটকা লাগছে।
.
রাতে বাসায় ঢুকে একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে
গেলাম।
এক হুজুর বসে আছে। মা আমাকে ডেকে নিয়ে
গিয়ে হুজুরের পাশে বসিয়ে দিলেন।
মা যে পরীর বিষয় নিয়ে এত ভয় পেয়ে যাবেন
ভাবিনি। পরীদের গল্পে শুনেছিলাম পরীরা নাকি
ছেলেদের পছন্দ হলেই উঠাই নিয়ে যায়। যদিও
আমি তেমন সুন্দর না,, তবে আমি কেন দেখব?
যাই হোক,,হুজুর নানান কথা জিজ্ঞেস করলেন।
তারপর দোয়া পরে আমাকে বুকে ফুঁ দিয়ে চলে
গেলেন।
.
তবে সে ফুঁহ তে কাজ হলো না।আমি ওই রাত্রে
ও পরী দেখলাম।আগের মত সেম,,সাইকেল
চালাচ্ছিল।তারপরে আরো দুজন ফ্রেন্ডসকে
বললাম এ পরী দেখার বিষয় টা।
তারাও কোন সলুশন দিতে পারল না।
.
পরী দেখার বিষয় টা আস্তে আস্তে ছড়িয়ে
গেল সারা বিল্ডিং এ। সব চেয়ে খারাপ যেটা হল
সেটা
হচ্ছে,,পরী টা বিকৃত হয়ে ভুত হয়ে গেল।
.
যে কেউ দেখলেই জিজ্ঞেস করে,
-তুমি নাকি ভুত দেখ?
আমি শুধু হুঁ বলে কেঁটে পরি,,,
প্রথম কদিন এটা নিয়ে হাসি ঠাট্টা হলেও
কিছুদিনের
মধ্য সিরিয়াস হয়ে গেল। বিল্ডিং এর আরো কয়েক
জন নাকি দেখেছে?
.
তারা যে সবাই মিথ্যা বলছে এটা আমি বুঝেছি,,ওরা
সবাই
বলছে ওরা কাল কাপড় পড়া কোন মেয়েকে
দেখেছে।এটা ভুল,, মেয়েটা বেশীর ভাগ সময়
সাদা ড্রেস পরে,, মাঝে মাঝে লাল ও।
মাঠে যে লাইট টা থাকে তাতে খুব ভাল ভাবেই
কাপড়ের রং টা বোঝা যায়।
.
আমাদের বিল্ডিং এর দাড়োয়ান ছুটিতে,,
তাই এই ব্যাপারের সলুশন টা হচ্ছে না।আমি কয়েক
বার নিচে গিয়ে দেখতে চেয়েছি ব্যাপার টা কি?
কিন্তু মার জন্য হয়নি।
তবে যেদিন থেকে সবার জানাজানি হয়েছে
সেদিনের পর আর পরীটাকে দেখিনি।ইদানিং
অনেকেই পরী দেখার জন্য রাত জেগে
থাকে। এজন্যই হয়ত পরী টা আসেনা।
.
ইদানিং আবার মা খুব তাড়া দিচ্ছে বাবাকে যেন
বাসাটা
ছেড়ে দেই।আমি একমাত্র ছেলে তাই মা সব
সময় অত্যাধিক টেনশন করে।গত রাতে বাবা আমার
সাথে থাকতে চেয়েছিল, আমি মানা করে দেই
কারণ আমি মোটেও ভয় পাচ্ছিনা।ভয় পেলে অন্য
ব্যাপার হত। আর এত উতলা হবারও কিছু হয়নি।
.
তবে মজার ঘটনা ঘটলো আজ সকালে।
বাসা থেকে বের হয়ে বাসার সামনের এক চায়ের
দোকানে গিয়ে বসেছি।এক কাপ চা অর্ডার দিয়ে
অপেক্ষা করছি,তখনি এক মেয়ে, সুন্দরী মেয়ে
এসে বললো,,
-তুমি সেই ছেলে?
.
আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে অবাক হলাম। এই
মেয়েটাও পরীর মত সুন্দরী। এও পরী কিনা।
মাঠের পরীর চেহারা ঠিক ভাবে দেখতে পারিনি,,
তবে হালকা এই মেয়েটার মত।
আমি আমার অবাক হওয়ার ভাব কাঁটিয়ে নিয়ে
বললাম,
-মানে?
-তুমি ভুত দেখো,,
-হ্যাঁ,,ভুত না পরী,,
-নাম কি তোমার?
-নয়ন, কেন?
-আমিও সেই পরী টা দেখেছি,,
-ও তাই নাকি,,
-হ্যাঁ,,আমার নাম তৃষ্ণা,,
-ও আচ্ছা,,,বসুন,,
.
আমি তৃষ্ণারর জন্য এক কাপ চায়ের অর্ডার দিলাম।
চা
খেতে খেতে তৃষ্ণা বলল,
-পরীটাকে আমাদের ধরা দরকার,,
-পরী কিভাবে ধরব,,
-আজ রাতে নিচে নেমে আসো, যখন পরীটা
আসে,,
-আচ্ছা,,
-আমিও আসব,,তাহলে ধরা যাবে।
-হুম,, কখন বের হব? আর আপনি কখন আসবেন?
-পুরো তিনটার দিকে বের হবেন,
-আচ্ছা,,
.
তৃষ্ণা যাওয়ার পর একবার মনে হল রাতের পরীটা
তৃষ্ণাই।
নিজেই নিজের মন কে বোঝালাম,,
কি সব ভাবছি,, মানুষ কখনো পরী হয় নাকি?
তৃষ্ণা বেশি একটু সুন্দরী বাট পরী না।পরী
মেয়েটা আরো সুন্দর, তৃষ্ণার চাইতে বেশি।
আর এই মেয়েটাও আমার মত একই সমস্যায়
পরেছে।
তবে এটা ভেবে ভাল লাগছে যে আমি শুধু একা
না,আরো একজন আছে যে আমার মত পরী
দেখে।
.
রাতের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম,,
রাত তিনটার সময় বাসা থেকে বের হলাম।
আমি সোজা মাঠে চলে গেলাম সেখানে গিয়ে
দেখি তৃষ্ণা আগে থেকেই আমার জন্য অপেক্ষা
করছে। তবে ওকে দেখে কেমন জানি লাগল,
সকালে ওর চুপ ছিল স্ট্রিট,এখন পুরো
কোকরানো। আমি অত কিছু না ভাবে ওর সাথে
গাছের পিছনে লুকালাম। পরী আসার জন্য অপেক্ষা
করতে লাগলাম।সময় হয়ে গেছে অবশ্য পরী
আসার। গত দুইদিন আসেনি,তবে মন বলছিল আজ
আসবে।
.
মাঠে দুটা গেট,,
যে গেটের দিকে আলো নেই,সেদিক দিয়ে
কেউ একজন মাঠে ঢুকল।স্পষ্ট না দেখা
গেলেও, অবয়ব দেখে বোঝা গেল এটা একটা
মেয়ে। আর সেটা পরীই। সেই সাদা ড্রেস।
যদিও আজ সাইকেল নেই সাথে।
.
পরী হেঁটে হেঁটে আমাদের দিকেই আসতে
লাগল। যখন পরী মেয়েটার মুখ আলোয় স্পষ্ট
হল, তখন আমি চমকে উঠে আমার পাশে দাঁড়িয়ে
থাকা তৃষ্ণার মুখের দিকে তাকালাম,
কি অদ্ভুত!!
দুই জনের চেহারা একি?
আমার এ অবস্থা দেখে মেয়ে দুইটা হেসে
উঠল।আমি ওখানে আর দাঁড়ালাম না ,যত জোরে
পারলাম দৌড়ালাম।সেই দৌড় এসে থামল আমাদের
ফ্লাটের সামনে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের রুমে
ঢুকে,দরজা জানালা বন্ধ করে শুয়ে পরলাম।
এত টা ভয় আগে কখনো পাইনি।
বিষয় টা পুরোটাই চেপে গেলাম,,কাউকে বললাম না
এমন কি মাকেও না। কদিন তো রাতে জানালা
খোলার
সাহস ও পেলাম না।
.
.
দুই,,
.
এই এলাকায় আমার বন্ধু সংখ্যা সামান্য,, নতুন আসছি
তো।যে কজন বন্ধু হয়েছে তার মধ্য একজনের
নাম সাদিক।
ছেলেটার সব ভাল তবে শুধু একটু মেয়েদের
প্রতি টান বেশি। ওই একদিন আমাকে বলল,
-দোস্ত,তুই তো পরী দেখতি তাই না?
-হুম,কিন্তু ওই কথা মনে আনতে চাইনা,,
-আরে সে সব বিষয় না,, চল তোকে আসল পরী
দেখাই,,
-মানে,
-আরেচল তো,,
.
সাদিক এক প্রকার জোর করে আমাকে এক টা
চায়ের দোকানে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে বলল,
-মিনিট পাঁচেক দ্বারা, পরী আসার সময় হয়ে
গেছে,,
.
কিছুক্ষন বসে থাকতেই দেখি,একটা মেয়ে
আসছে। সাদিক আমাকে ইশারায় বুঝিয়ে দিল এই
মেয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
মেয়েটা কাছে আসতেই আমার বুক টা ছ্যাৎ করে
উঠল।সাদিক এগিয়ে গেল মেয়েটার সাথে কথা
বলার
জন্য,, সাদিকের একটু পিছনেই ছিলাম আমি।
মেয়েটার চোখ আমার দিকে পরা মাত্রই সে খুব
দ্রুত হেঁটে চলে গেল।
.
সাদিক নিরস মুখে এসে আমার সামনে বসে বলল,
-মেয়েটা এমনি,, কারো সাথে কথা বলে না,,
-মেয়েটার সমন্ধে তুই ভাল করে জানিস?
-হুম,মাঠের ওপাশ টায় বাসা,,
-এর কি ভাই বোন আছে?
-হুম,কেন?
-বলনা?
-হ্যাঁ,বোন আছে একটা বড়।বিয়ে হয়েছে।
-জমজ তাইনা,,
-হ্যাঁ,, কিন্তু তুই কিভাবে জানিস।তুই তো নতুন,,
-মেয়েটার নাম কি?
-তিশা,,
-আচ্ছা,ঠিকাছে। আজ উঠি,,
-কই যাস,,
-বাসা,,
.
সাদিকের কাছ থেকে বাসায় চলে এসে একটু চিন্তা
করতেই সব ক্লিয়ার হল।
এই মেয়েটাই রাতে সাইকেল চালাত,যাকে আমি
পরী ভেবে ছিলাম।আর এরা দুই বোন, একি
চেহারার হওয়ার কারণে খুব সহজেই আমাকে ভয়
দেখিয়েছিল।
.
পরের দিন রাস্তায় তিশার জন্য অপেক্ষা করতে
লাগলাম। ওকে দেখেই ডাক দিলাম,
-পরী,,
.
ও আমার ডাক শুনে দাঁড়াল। ওর কাছে যেতেই ও
বলল,
-দেখুন,আমি খুব সরি,,
-কেন?
-সেদিনের জন্য,,আমার প্লান ছিলনা। সব আপার,
-আচ্ছা,,আমি কিছু মনে করিনি পরী,,
-আমি পরী না,,
-আমি জানি তিশা,
-হুম,,
-এক কাপ চা খাবে?
-আচ্ছা,চলেন,,
.
তিশাকে আমার ভাল লেগেছে,,
পরী টাকে যখন প্রথম দেখেছি তখনি ভাল
লেগেছিল,কিন্তু সে সময় মন খারাপ হয়েছিল পরী
ভেবে। কিন্তু যখন জানলাম এ মানুষ তখন মন খুশিতে
ভরে গেল।
.
চা খেতে খেতে তিশাকে জিজ্ঞেস করলাম,
-কাহিনীটা কি বলুন তো,,
.
তিশা একটু হেসে বলতে শুরু করল,,
-আসলে আমার সাইকেল চালাতে ভাল লাগত।কিন্তু
দিনে তো সম্ভব হয়না তাই রাত্রে চালাতাম।কিন্তু
আপনি দেখে ফেলেন।আর সবাই জেনে যায় ভুত
আছে মাঠে। তাই আমার আর সাইকেল চালানো হয়
না,,
-তারপর?
-তারপর আপাকে বললাম,, আপা বলল আপনাকে মজা
দেখাতে,, সেই প্লান বলল।
প্লান অনুযায়ী আমি আপনার কাছে গিয়েছিলাম
সেদিন
সকালে।
.
আমি তিশার কাছে গল্প টা শুনে খুব মজাই পেলাম।
হাসতে হাসতে বললাম,
-আমি কিন্তু আপনাকে দেখে সত্যিকারের পরীই
ভেবে ছিলাম,
-তাই নাকি?
-হ্যাঁ,পরীর মতই সুন্দর আপনি,,
-পরী দেখেছেন?
-না তা দেখিনি, তবে আপনার মতই হবে,,
.
তিশা আমার কথা শুনে একটু লজ্জাই পেল।ও বলল,
-আচ্ছা, আজ উঠি।
-আপনার ফোন নাম্বার টা পাওয়া যাবে?
-কেন?
না এমনিতেই,,না দিলেও সমস্যা নাই।আসলে
পরীদের তো খুব কমই দেখা যায়।আরেকবার
দেখা হওয়ার আশায়,,
.
তিশা কি যেন ভেবে বলল,
-আচ্ছা,নিন।
.
আমি ভাবিনি প্রথম বারের দেখাতেই ও ওর ফোন
নাম্বার আমাকে দিবে।যদিও এটা আমাদের চতুর্থ
বার
দেখা,,কিন্তু ভালভাবে প্রথম বার। হয়ত তিশা
সেদিনের জন্য গিল্টি ফিল করছিল,এ জন্যই চাইতেই
নাম্বার দিয়ে গেছে।
.
সেদিন রাতেই তিশাকে ফোন দিলাম।
তারপরের দিনেও,, প্রথম দুদিন ফোন আমি
করেছিলাম,তার পর থেকে তিশাই ফোন করত।
কয়েক দিনের মধ্য আমাদের সমর্পক আপনি
থেকে তুমিতে নেমে এলো।
এর মধ্য আবার কয়েক বার দেখাও হয়েছিল।
.
একদিন তিশাকে আমাদের বাসায় নিয়ে গিয়ে
মাকে দেখিয়ে বললাম,
-এই যে মা মাঠে দেখা আমার পরী,,,
.
মা তিশাকে দেখে বলল,
-সত্যি, পরী তো,,
মাও হয়ত আমার মত এত সুন্দর মেয়ে আগে
কখনো দেখেনি।
.
তিশার কত প্রশংসা মায়ের সামনে করলাম তার
ইয়াত্তা
নেই। সেদিনই হয়ত তিশা বুঝেছিল যে আমি ওকে
পছন্দ করি।
.
আমি আমার মনের কথা তিশাকে জানাতে খুব একটা
দেরী করিনি। ওকে বলে দিয়েছিলাম, যে আমি
ওকে ভালবাসি। ওকে ছাড়া আমার চলবেন্স,কোন
ভাবেই চলবেনা।
.
তিশা সব শুনে বলেছিল,
-একটু ভেবে বলি।
কাল বিকেলে দেখা করো,
-আচ্ছা,,
.
আমি একটু খুশি হলাম,, যেহেতু সময় নিয়েছে
সেহেতু আমার বিষয়ে ও ভাববে।আর ভাবলে সব
পজিটিভই পাবে, সো আমাকে হ্যাঁ ই বলবে। নো
টেনশন।
.
পরের দিন ঠিক সময়ে চলে গেলাম তিশার সাথে
দেখা করতে। পার্কে গিয়ে তিশাকে দেখে আমি
অবাক,কারণ ব্রেঞ্চে দুটা তিশা বসে আছে। যদিও
ওখানে একজন তৃষ্ণা, তিশার বড় বোন।কিন্তু কে
কোনটা?
এক ড্রেস,একি হেয়ার স্ট্যাইল। সব কিছু এক।
.
দুজনের মধ্য ডানের জন ডেকে নিয়ে আমাকে
ওদের মাঝে বসতে বলল,আমি বসলাম। তারপর আমার
বামের জন বলল,
-আমাদের মধ্য যদি চিনতে পারো তিশা কে তবে
তুমি এ পরীক্ষায় পাশ,,
.
আমি দুজনের মুখের দিকেই তাকালাম।
আগের বার তিশার বড় বোনের চুল কোকড়ানো
ছিল কিন্তু এখন দুজনের চুলই স্ট্রেট।কি মুশকিল,,
এত ঝামেলায় পরতে হবে কখনো ভাবিনি।
তিশার বাসার প্রায় সবার সাথে কয়েকবার করে
দেখা
হয়েছে শুধু তিশার বড় বোনের সাথেই দেখা
হয়নি।
.
আমি দুইজনের চোখের দিকে তাকালাম,,
মুভিতে তো দেখা যায় চোখের দিকে তাকিয়ে
বলে দেয়া যায় কে ভালবাসে? আর কে বাসেনা।
দুইজনের চোখের দিকে তাকিয়ে যা বুঝলাম তা
হচ্ছে,,এক জনের চোখ খুব কঠিন হয়ে আছে,,
আরেক জনের চোখে মায়া। মায়া মানে নরম কিছু,
দেখলে ভাল লাগে এ টাইপ। আমার মনে হল,এটাই
তিশা।
কারণ তিশাকে আমি কখনো রাগ হতে দেখিনি, সব
সময় হাসি খুশি দেখেছি।
.
আমার মনে হল ডানদিকের মেয়েটাই তিশা,,
তাই আমি বাম দিকের মেয়েটার দিকে তাকিয়ে
বললাম,
-তুমি তৃষ্ণা,,
.
পাশ থেকে তিশা বলে উঠল,
-দেখছ আপু বলছিলাম না,,ও পারবে। ও আমাকে
ভালবাসে। তোমার বরের মত না যে ভুল
করবে,,,চোখ দেখেই বলে দিল।
.
আমি একটু অবাক হয়ে বললাম,,
-তোমরা আগেও এমন করছ,,
তিশা জবাব দিল,
-হুম,দুলাভাইয়ের সাথে। কিন্তু পারেনাই,,
.
নিজের প্রতি একটু ভাললাগা কাজ করল,,যাক প্রিয়
মানুষটাকে চিনতে ভুল করিনি।
Monday, October 15, 2018
ভালোবাসার গল্প - পরী
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)


আরো নতুন নতুন Golpo পড়তে ভিজিট করুন
ReplyDeletewww.valobasargolpo2.xyz