না বলা ভালোবাসা পর্ব ৩

বলা ভালোবাসা♥♥
লেখিকাঃ-সামা
পর্বঃ-০৩
....
তানজিলের বুকের উপর দুই হাত
রেখে সামা এক দৃষ্টিতে তার দিক
চেয়ে ছিলো আর তানজিলের দুই হাত
ছিলো সামার কোমরে।দুই জনের
চোখই যেন দুই জনকে তাদের না
বলা হাজারোটা কথা বলে দিচ্ছিলো
কিন্তু মুখ থেকে তার এক অংশও বের
হচ্ছিলো না।ঠিক এমন সময় তানজিল
সামাকে বলে উঠলো...........
.............
তানজিলঃ-আস্তে এত কষ্ট করে কুচিটা
করলাম আবার নষ্ট হয়ে যাবে
তো.........আগে এইটা ঠিক মতো
গুজে নাও তারপর ফোন ধরো
সামাঃ-জি
তানজিলঃ-আচ্ছা তুমি তারাতারি আসো
এমনিতেও অনেক লেট হয়ে
গেছে
সামাঃ-তুমি যাও আমি আসতেছি
তানজিলঃওকে
ঐদিনটা সামার এইভাবেই বাড়ির সবার সাথে
থাকতে থাকতে পার হয়ে যায় যার
কারণে তানজিলের সাথে তেমন আর
একটা বেশি কথা হয় না সেইদিন আর
এমনিতেও লজ্জার কারনে সামা
তানজিলের সামনে যেয়ে দাড়াতেও
ইতস্ত বোধ করছিলো কিন্তু মন
তো আর এইসব বুঝে না সে তো
মনের মানুষটাকে দেখার জন্য অস্থির
হয়ে পরছিলো।এত মানুষ ঘরে থাকার
সত্ত্বেও সামার চোখ বারবার খালি
দরজার দিকেই যাচ্ছিলো আর এই
ব্যাপারটা তানজিলের ছোট বোন তিথি
খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পারে তাই
সে সবার সামনে যেয়ে
বলে.....................
তিথিঃ-দেখি সরো তো তোমরা সবাই।
অনেকখন আমার ভাবির সাথে থাকছো
এখন আমি থাকবো...............এই নিয়ে
গেলাম আমার ভাবিকে ঘরে
কথাটা বলেই তিথি সামার হাত ধরে সামাকে
তাদের রুমে নিয়ে যায়।সামাও মনে
মনে একটু খুশিই হয়।এতখন ধরে শারি
পরে বসে থাকতে থাকতে সেও
ক্লান্ত হয়ে গেছিলো।রুমে যাওয়ার
পরই তিথি সামার হাত ধরে তাকে খাটে
বসিয়ে নিজেও সামার সামনে বসে
পরে তারপর বলে........................
তিথিঃ-ঐখনে তুমি বোর হচ্ছিলা তাই না
ভাবি?????
সামাঃ-আরে না শুধু একটু কষ্ট হচ্ছিলো
আসলে কখনো শারি পরে এতখন
থাকতে হয় নাই তো তাই
তিথিঃ-এর জন্যই তো তোমাকে
এইখানে নিয়ে আসলাম
সামাঃ-ধন্যবাদ ননোদিনী
তিথিঃ-হি হি..............আর একটা কারনেও
তোমাকে এইখানে আনছি
সামাঃ-কি?????
তিথিঃ-তুমি ভাইয়াকে মিস করতেছো তাই
নাহ..................তা না হলে তোমার
চোখ কেন বার বার দরজার দিকে
যাবে
সামাঃ-অনেক পাকা হয়ে গেছে তো
আমার ননোদিনীটা সব বুঝে
তিথিঃ-তা তো আমি অনেক আগেই
হয়ে গেছিলাম বোকা তো আমার
ভাইটা
সামাঃ-হমম একটা গাধা তোমার ভাই কিছুই
বুঝে না
তিথিঃ-একদম ঠিক বলছো ভাবি
সামাঃ-তাই নাহ
তিথিঃ-হা ভাবিজি
সামা আর তিথি যখন এইসব বলে হাসাহাসি
করছিলো ঠিক সেই সময়ই তানজিল
ঘরে এসে ঢুকে।সামা আর তিথির এমন
অবস্থা দেখে তানজিল তাদের
বলে..................
তানজিলঃ-কি ব্যাপার কি নিয়ে তোমাদের
দুইজনের মধ্য এত হাসাহাসি
হচ্ছে............আমাকেও একটু বলো
আমিও একটু হাসি তোমাদের সাথে
তিথিঃ-সরি এইটা ভাবির আর আমার মধ্যের
কথা তাই তোমার শুনা যাবে না
তানজিলঃ-কি এমন কথা যে আমাকে বলা
যাবে না????
তিথিঃ-বলছি না বলা যাবে না তার মানে বলা
যাবে না আর কোথায় ছিলা এতখন তুমি
জানো ভাবি তোমাকে কত মিস
করতেছিলো
তিথির মুখ থেকে এই কথা শুনা মাত্রই
তানজিল চোখ কুচকিয়ে সামার দিকে
তাকায়।আর সামা তো লজ্জায় সেই কখন
থেকেই মাটির দিকই চেয়ে আছে।
দুইজনের এমন অবস্থা দেখে তিথি
হাসতে হাসতে ওদের রুমের দরজা
চাপায়ে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে
যায় তারপর তানজিল সামার কাছে এসে
বলে...............
তানজিলঃ-আই সত্যি কি মিস করছো
আমাকে???????
সামাঃ-মিস করতে যাবো কেন আমি?????
তানজিলঃ-তিথি যে বললো
সামাঃ-ছোট মানুষ মজা করে একটা কথা
বলতে পারে না নাকি?????
তানজিলঃ-হমম বলছিলাম না অনেক দুষ্টু
সামাঃ-দুষ্টু না অনেক চালাক আর মিষ্টি
তানজিলঃ-হমম আমার দুইটার সমান ও একটা
সামাঃ-হা তা তো একদম ঠিক
তানজিলঃ-আই সামা তোমার পিছনে
তেলাপোকা দেখো
সামাঃ-কিহহহহ!!!!!!!!!!
কথাটা বলেই সামা এক দৌড় দিয়ে এসে
চোখ বন্ধ করে তানজিলকে পিছন
থেকে জোরায়ে ধরে
বলে.....................
সামাঃ-প্লিজ ঐটাকে সোরাও প্লিজ
তানজিলঃ-কিভাবে সোরাবো????
সামাঃ-আমি জানি না এত কিছু............তুমি
প্লিজ ঐটাকে সোরাও
তানজিলঃ-আমাকে না ছারলে আমি কিভাবে
সোরাবো বলো
সামাঃ-আমি ছারবো না এইভাবেই সোরাও
তুমি
তানজিলঃ-আচ্ছা এত ছোট একটা জিনিস কি
করবে ও তোমার যে এমন
করতেছো তুমি????
তানজিলের মুখে এই কথা শুনে সামা
রেগে যায় তারপর তানজিলকে
বলে..................
সামাঃ-তোমাকে কি আমি এখন জ্ঞান
দিতে বলছি...............আগে ঐটা
সোরাও তারপর যা মন চায় তাই বইলো
তানজিলঃ-আচ্ছা এইদিক আসো আমি
সোরায়ে দিচ্ছি
তারপর তানজিল ঐটাকে ফেলে দিয়ে
সামাকে বলে।এরপর সামা তানজিলকে
ছারে আর সামার ছারার পর তানজিল খাটে
বসে মুখ চেপে হাসতে শুরু করে।
সামা সেইদিকে খেল না করে ড্রেসিং
টেবিলের সামনে বসে গয়না গাটি
খুলতে থাকে আর তানজিল সামার পিছনে
দারায়ে গায়ের শার্টটা খুলতে নিলেই
সামার চোখ তানজিলের বুকের উপর
পরে যা সে আয়না দিয়ে এতখন
দেখতে পারতেছিলো।সে এত
জোরেই তানজিলকে চেপে
ধরেছিলো যে তানজিলের বুকের
উপর তার নখের দাগ খুব ভালো করেই
বুঝা যাচ্ছে
চলবে.................................