#Romantic_Devil
#অন্ত_নীলা
#পর্ব_21
.
.
.
শুভ্র কিছুই ভাবতে পারতেছেনা। রাহাত নামের অই ছেলেটা ত কোনো প্রুভ দেয় নি। রাহাতের কথা যদি মিথ্যে হয়? তবে? শুভ্র রাহাত কে ছেড়ে দিবেনা।
ঘড়িতে সকাল পাঁচটা বাজে। শুভ্র এখনো ঘুমায়নি। রাহাতের সাথে কথা না বলা অবধি সে শান্তি পাচ্ছে না। ভোরের আলো কেবল ফুটতে শুরু করেছে শুভ্র বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল।
পাঁচটা পঁয়তাল্লিশ এ শুভ্র রাহাতের হোস্টেল এর সামনে এসে দাড়ালো। হোস্টেলের অনেক ছেলেমেয়ে ই শুভ্রর পরিচিত। এমন কি অনেকে ত শুভ্রর কথায় উঠে বসে। হাজার হলেও মন্ত্রীর ছেলে বলে কথা। শুভ্র ওমন ই কয়েক জন কে ফোন করল।
,
রাহাত বুঝতে পারছেনা এত সকালে তাকে কে খুজতে কে আসতে পারে। তার রুমমেট তার রুমের দরজা খুলে দিছে রাহাত তখনো ঘুমাচ্ছিল। কয়েকটা ছেলে এসেছে। রাহাত কে অরা ধাক্কা দিয়ে উঠিয়ে দিল।
-চল
-কোথায়
-গেলেই বুঝবি।
এতক্ষনে রাহাতের কাছে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যায়। সামনে শুভ্র। দাড়িয়ে আছে।রাগে থরথর করে কাপছে। শুভ্রর রাগ সম্পর্কে ভার্সিটির সবার ই কম বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। রাহাত ও জানে। রাগ করলে শুভ্র আর ঘায়েল সিংহ এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।#
-ভাইয়া আপনি এখানে এত সকালে! আমাকে বললেই ত আমি আপনার কাছে চলে যেতাম আপনার এখানে আসতে হতনা।
-বাজে কথা রাখ। তোর সাথে মিমের রিলেশন তাইনা?
-জি ভাইয়া।
-কতদিনের?
-সেই কলেজ লাইফ থেকে।
-তাইনাকি?
-হুম।
-রাহাত বিশ্বাস করলাম তোমার আর মিমের রিলেশন কলেজ লাইফ থেকে। তুমি ত এইবার থার্ড ইয়ারে তাইনা?
-জ্বি।
-এর আগের বার তুমি বলেছিলে মিম আর তুমি একই কলেজে পড়তে। তুমি ৫ বছর আগে অই কলেজে ঢুকেছ আর ৩ বছর আগে বেড়িয়েছ তাইনা।
-জ্বি।
-আর মিম ৩ বছর আগে ভর্তি হয়ে গত বছর বের হয়েছে তাইনা।
-জ্বি!
-যেহেতু HSC exam এর অনেক পরে ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তী শুরু হয় তাহলে তুমি বের হওয়ার কয়েক মাস পরে মিম অই কলেজে ভর্তী হয়। তাহলে তোমার সাথে মিমের পরিচয় টা কীভাবে হল? আমায় একটু বুঝিয়ে বলবে প্লিজ?
রাহাত অবাক হয়ে গেল। এইসব কথা ত সে আগে ভাবেনি।#
-কি হল রাহাত চুপ করে আছ যে?
আচ্ছা মিমের সাথে ত তোমার ছবি নিশ্চই ই থাকবে তাইনা। দেখি তোমার ফোনটা দাও।
রাহাতকে ফোন টা দিতে হল না। শুভ্র রাহাতের হাত থেকে ফোনটা কেড়ে নিল।
-password বল।
রাহাত চুপ করে থাকে।
-password বল কুত্তারর বাচ্চা।
দিল এক ঘুষি। রাহাতের নাক থেকে রক্ত পড়তে শুরু করল। রাহাত শুভ্র র পা চেপে ধরল।
-প্লিজ ক্ষমা করে দিন প্লিজ। আমি আর কক্ষনো এমন করব না। মিমের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। মিম কে ত আমি চিনিও না।
-চিনিস না?
তাহলে কেন আমার সংসারে আগুন লাগাইলি? বল কেন?
শুভ্র রাহাত কে নির্দয় ভাবে মারতে থাকে।
-কি হল বলবি?
- নিসা বলেছিল!
-তুই অই নিসা * এর কথায় এগুলা করলি?
অই তোর কে লাগে?
নিশা শুভ্রকে পছন্দ করে।খুব একেবারে পাগলামীর পর্যায়ের পছন্দ। এক বার শুভ্রর জন্য হাত কেয়ে ফেলেছিল।
-নিশা আমার চাচাত বোন।
আসলে আমি আমার প্রেমিকার সাথে ওর কাছে ধরা পরে যাই। আর ও আমাদের একসাথে ছবিও উঠিয়ে# নেয়। আমি এটা না করলে ছবিটা সবাইকে দেখিয়ে দিত।
-কুত্তা তাই তুই আমার সংসার ভাঙবি?
আরেকদফা মাইর দেয় শুভ্র রাহাতকে।
,,,,,,,,
নিশা কে শুভ্র কিছুতেই ছেড়ে দিবেনা। অর সংসারে হাত দেয়া? শুভ্র এটা কিছুতেই সহ্য করবেনা।
আর এই জন্য সে মিমকে অইভাবে অমানুষের মত মারল?
খুব অনুশোচনা হচ্ছে শুভ্রর।
মিমের কাছে ক্ষমা না চাইলে যে বড্ড অন্যায় হয়ে যাবে।
যে করেই হোক মিমকে ফিরিয়ে আনতেই হবে।
,,,,,,,,
আজ মিমের ভার্সিটি যেতে চাচ্ছিল না। কিন্তু সে একটা বই ও আনে নি। তাই বাদ্ধ হয়েই নুফতির সাথে ভার্সিটি তে গেল।
ভার্সিটিতে,,,,
মিম বরাবর ই একটু বেশি পড়ুয়া। কিছু ইম্পরট্যান্ট বই নিতে সে লাইব্রেরী তে ঢুকে। শুভ্র ত জানে মিম বাড়ি না এলেও ভার্সিটি আসবে আর লাইব্রেরী তে অবশ্যই যাবে। সে লাইব্রেরী তেই বসে ছিল। লাইব্রেরীর ভিতরের দিকটা ফাকা। মিম অই দিকে গেছে বইটা অনেক উপরে কিছুতেই থা পাচ্ছেনা। শুভ্র পিছন থেকে মিমের কমড়ে হাত দিল। মিম চেঁচাতে যাবে তখন শুভ্র মুখ চেপে ধরল হাত দিয়ে। ঠোঁট মিমের কানের কাছে এনে বলল
-এতো চেঁচাঅঅ কেন সব সময়? আমি ই ত। তোমার বর।
যখন শুভ্র টের পেল মিম আর চেঁচাবে না হাত মুখ থেকে নামিয়ে মিম কে শক্ত করে ধরে উপরে উঠালো। মিম বইটা নিল। শুভ্র মিমকে নামিয়ে দিল। মিম কে ছাড়ার সাথেই মিম শুভ্রর পায়ে হিল দিয়ে এমন জোড়ে চাপ দিল যে শুভ্র লাইব্রেরী তেই চেঁচিয়ে উঠল।
-ডেভিলের বাচ্চা ডেভিল। আজ থেকে তুই বুঝবি এই মিম কি জিনিস হুহ!
,
,
,
,
#চলবে
Friday, October 26, 2018
রোমান্টিক শয়তান পর্ব 21
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment