দ্বিধা
তাবাস্সুম রিয়ানা
৩৩
-নাস্তা নিয়ে ওনাদের সামনে বসলাম।সব ঠিক আছে তো(মাহিরা)?
-হ্যা ঠিক আছে।গরম পানির ব্যাগে করে একটু পানি দিও(আরহান)।
-আরহানের বিহেভিয়ার খুব অদ্ভুত লাগছে মাহিরার।মাথা সোজা করে রেখেছে নাড়ছে ও না।নাস্তা ও খাচ্ছে ঘাড় সোজা করে।ভীষন হাসি পাচ্ছে মাহিরার।
-পাপা!!!(ইনায়া)
-জি মামনি (ইনায়ার দিকে না তাকিয়ে)
-এমন করে খাচ্ছো কেন(মাহিরা)?
-এমনেই মা।খাও তুমি (আরহান)।ঘাড়ে প্রচুর ব্যাথা হচ্ছে আরহানের।ঘাড়ে হাত দিয়ে টিপছে বারবার।হঠাৎ মাহিরার দিকে চোখ পড়তেই দেখলো মুচকি মুচকি হাসছে ও।কি হলো হাসছো কেন?(ভ্রু কুঁচকে)
-(হাসি থামিয়ে)কই নাতো।আমি তো খাচ্ছি। এক চামচ স্যুপ মুখে দিয়ে।
-হুহ।টেবিল থেকে উঠে ছাদের দোলনায় গিয়ে বসে পড়লো আরহান।(মাহিরা কেন বুঝতে পারছোনা কতোটা ভালবাসি তোমায়)বুক থেকে একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো আরহানের।
-আপনার গরম পানি(মাহিরা)।
-হাত বাড়িয়ে দিলো আরহান।দাও।
-ওনার হাতে দিয়ে দিলাম গরম পানির ব্যাগটি।কোনো সাহায্য লাগবে(মাহিরা)?
-সাহায্য তো লাগতো একটা(আমতা আমতা করে)
-কি বলুন?
-ঘাড়ে সকাল থেকে প্রচুর পেইন হচ্ছে।একটু গরম পানি ছ্যাকা দিয়ে দিবে ঘাড়ে?(আরহান)
-হুম আমার কাছে দিন(মাহিরা)।
-ওর হাত গরম পানির ব্যাগটি ধরিয়ে দিলাম।মাহিরা আলতো হাতে গরম ছ্যাকা দিতে লাগলো ঘাড়ে।
-খাট থাকতে সোফায় শুয়েছিলেন কেন?(মাহিরা)
-অফিসের কাজ করছিলাম(আরহান)।
-অফিসের কাজ তো আপনার খাটে বসে ও করা যেতো।
-(নিজের রুমে বসে কাজ করলে তোমাকে কি দেখতে পারতাম?কাজ তো ছিলোই শুধু বাহানা।)না মানে এমনেই।থ্যাংকস (উঠে চলে গেল)।
-রুমে এসে দেখি ফোনে কথা বলছেন।কাজের বাহানায় শুনার চেষ্টা করছি কার সাথে কথা বলছেন?
-হ্যা অনামিকা তাতো অবশ্যই।এটা আমার দায়িত্ব তোমার প্রতি।ওকে কাল দেখা হচ্ছে বিকেল চারটায়।
-ওকে বায়।কি করছো মাহিরা?(আরহান)
-এইতো কাপড় গুলো ভাজ করছিলাম।
-ওহ।আমার বাহিরে কাজ আছে এখন যেতে হবে।
-ওকে জলদি চলে আসবেন।
-হুম।বায়।
-বায়।বেরিয়ে গেল আরহান।কাল দেখা করবেন অনামিকার সাথে আমার ও দেখতে হবে এতো কি কথা বলেন।অনলাইন থেকে একটা কালো বোরকা অর্ডার করলো মাহিরা।ইনায়াকে বুদ্ধি করে আরহান এর মা বাবার কাছে পাঠিয়ে দিলো।
-মাহিরা ইনায়া কই?
-জেদ করছিলো দাদা দাদির কাছে যাবে।অনেক না করেছি শুনতেই চায়নি।মাহিরা বুঝতে পারছে ওর কপাল বেয়ে ঘাম ঝরছে। তবুও নরমালি মিথ্যা বলার চেষ্টা করলো।
-এই তোমার কন্ঠ এমন শোনাচ্ছে কেন? মনে হচ্ছে ভয় পাচ্ছো(মাহিরার দিকে এগিয়ে)।মুচকি হেসে এগোচ্ছি মাহিরার দিকে।
-(পিছাতে পিছাতে)না মানে এমনেই ঠান্ডার কারনে...... হয়ত...... এমন (গলা পরিষ্কার করে)শোনাচ্ছে।
-তাই বুঝি(মুচকি হেসে)?
-মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো।দেয়ালের সাথে আটকে গেল মাহিরা।আরহান এক হাত দিয়ে দেয়াল চেপে ধরেছে।ঢোক গিলে নিচে তাকালো মাহিরা।
-আর কোনো এক্সকিউজ আছে বাকি(ভ্রু কুঁচকে)?
-এক্সকিউজ কোথায় সত্যিই তো বললাম(মাহিরা)।
-ওকে মানলাম।মাহিরার আরেকটু এগিয়ে গেলো আরহান।ওর কপালে চুমো দিয়ে কাঁধের জামা একটু সরিয়ে ঠোঁট ছোয়ালো।
-বেচারি মাহিরা মাথা উঠাতেই পারছেনা।বুক মনে হচ্ছে কিছুক্ষনের মধ্যে বিস্ফোরিত হবে।
-আরহান সামনে এসে মাহিরার থুতনি ধরে মুখটি উঁচু করলো।চোখ বন্ধ করে আছে মাহিরা।মাহিরার ঠোঁট দুটিতে আরহান জায়গা করে নিলো।
-মাহিরাও আরহানের ঠোঁটের ছোঁয়া নিতে শুরু করলো।আরহানের শার্টের হাতা খামচে ধরলো মাহিরা।কিছুক্ষনের জন্য দুজনে ভালোবাসর অতল সাগরে ডুব দিলো।
আরহান মাহিরা কে কোলে তুলে রুমের দিকে এগোলো।
-মাহিরা আরহানের গলা জড়িয়ে ধরেছে।আজ মাহিরা ও যেন আরহান থেকে দুরে থাকতে পারছেনা।আজ আরহানের ভালোবাসায় নিজেকে হারিয়ে ফেলতে চায় ও।
-মাহিরাকে ধীরে খাটে শুইয়ে আরহান ওর ওপর অাধোশোয়া হলো।মাহিরার চাহনি, ওর ঠোঁট দুটি প্রকাশ করছে আজ মাহিরা আরহানের মধ্যে ডুবে থাকতে চায়।আরহানের জন্য মাহিরার মনের গভীরের সুপ্ত ভালোবাসা উঁকি দিচ্ছে।আরহান মাহিরা গলায় অনবরত চুমো দিতে শুরু করলো।মাহিরার কামিজের চেইনে হাত দিয়ে ও থেমে গিয়ে মাহিরার কানে জিঞ্জেস করলো "আগাবো"?
-মাহিরা কিছু বললনা কিন্তু আরহানকে জোরে নিজের সাথে চেপে ধরলো।
-মাহিরার জামার চেইন একটানে খুলে ফেলল আরহান।অসীম ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতে লাগলো মাহিরাকে।সকাল বেলায় ঘুম ভাঙ্গতেই মাহিরা নিজেকে সাদা একটি চাদরের ভিতর পেল।উঠে বসলো।পাশে আরহান বেঘোরে ঘুমোচ্ছে।চাদর একটু ফাঁকা করতেই মাহিরা চোখ চড়কগাছ।হাসবেনা কাঁদবে বুঝতে
পারছেনা।কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।আরহান
জেনে ফেলেছে মাহিরা ও যে আরহানকে কতোটা
ভালোবেসে ফেলেছে।চাদর জড়িয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলো
মাহিরা।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখি আরহান ঘুমোচ্ছে।
কিচেনে চলে এলো মাহিরা।ঠোঁটের কোনের হাসিটা
লেগেই রয়েছে কেননা আজ সে পূর্ন ভাবে মিসেস
মাহিরা আরহান শেখ হতে পেরেছে।আরহানের
ভালোবাসায় নিজের পরিপূর্নতা খুঁজে পেয়েছে মাহিরা।
সামনে তাকিয়ে দেখে আরহান ডাইনিং টেবিলে বসে
পেপার পড়ছে।নাস্তা নিয়ে আরহানের পাশে গিয়ে
বসলো মাহিরা।
-মাহিরার উপস্থিতি উপলব্ধি করতে পেরে গলা পরিষ্কার করলো আরহান।
-কিছু বলবেন? কাপে চা ঢালতে ঢালতে জিঞ্জেস করলো মাহিরা।
-জি।কাল যা হয়েছে তারা জন্য এক্সট্রিমলি সরি।জানিনা কি হয়ে গেছিলো কাল?জানতাম তুমি প্রস্তুত নও তারপর ও(মাহিরা থামিয়ে দিলো)।
-চা নিন।দেখুন কাল যা হয়েছিলো সেটা একসময় না একসময় হবারই ছিলো।আর আমার কথা বলতে গেলে(ঠোঁটের কোনে হাসির সাথে যোগ হলো একরাশ লজ্জা)আমি পরিতৃপ্ত। তাই আপনাকে সরি বলতে হবেনা।
-আরহান যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছেনা।কোনোমতে নিজেকে সামলে নিলো।আমি ও।
-মাহিরা নিজের কথায় লজ্জা পেয়ে গেলো।আচ্ছা নীলের কিছু হলো কি?
-হুম।ওকে ধরে এনেছে।তাই আমাদের বিকালে যেতে হবে।
-আপনার না অনামিকা আপুর সাথে দেখা করতে যাওয়ার কথা?
-ওহ ওইটা হোহো করে হাসতে লাগলো আরহান।
-হাসতেছেন কেন(কিছুটা রাগ হয়ে)?
-না মানে ও অনামিকা না।তুমি ভুল শুনেছিলে ও ছিলো আশফি।রাতে ও অাশফি কল করেছিলো।কনফিউজড হয়ে তুমি অনামিকা শুনে ফেলেছিলে।
-লজ্জায় মাথা নামালো মাহিরা।
-অনামিকার তো বড় একটি ছেলে আছে মাহিরা।পরশু জার্মান থেকে এসেছিলো তাই আমার অফিসে এসেছে দেখা করতে।
-হুম(ছিঃ কি কি ভেবেছে কাল আরহান কে নিয়ে)
চলবে
#দ্বিধা
তাবাস্সুম রিয়ানা
৩৪
-কি ভাবছো(আরহান)?
-নাহ কিছুনা।নাস্তা করে নিন।মাকে ফোন করে ইনায়া কে পাঠিয়ে দিতে বলি(মাহিরা)।
-আমরা এখন থানায় যাবো।বিকেলে আসুক ইনায়া(আরহান)
-ওকে।নাস্তা করে নিন(মাহিরা)।
-তুমি ও খেয়ে নাও।আমরা একটু পর বের হবো।
-ওকে।নাস্তা করে রুমে চলে এলাম।সাদা একটি স্যালোয়ার কামিজ পরে হালকা গোলাপি বর্নের লিপস্টিক লাগিয়ে চুল গুলোকে ছেড়ে দিলাম।
-মাহিরা হয়েছে(মাহিরা কে দেখে আরহান থমকে গেল)।সাদা পরী লাগছে মাহিরাকে।ধীর পায়ে মাহিরার কাছে এসে দাড়ালো আরহান।মাহিরার একটি গালে খুব আস্তে করে হাত ছোঁয়ালো।কপালের চুল গুলো সরিয়ে আলতো করে চুমো একেঁ দিলো।
-মাহিরা চোখ খিচে বন্ধ করে আছে।পুরো শরীর কাঁপছে ওর।
-চলো।দেরি হয়ে যাচ্ছে (মুচকি হেসে)
-আরহানের কথায় চোখ খুলল মাহিরা।হুম চলুন।দুজনো বেরিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো।
-গাড়ির ছোট্ট গ্লাসটি দিয়ে মাহিরাকে দেখছে আরহান।মাহিরার বারবার হাত দিয়ে চুল সরানোরর কাজটি বেশ আনন্দ দিচ্ছে আরহানকে। হঠাৎ মাহিরার তাকানোয় চোখ সরিয়ে নেয় আরহান।
-মাহিরা মুচকি হেসে জানালার দিকে চোখ নিলো।কালকের কথা মনে পড়তেই মুখে একরাশ লজ্জা এসে পড়লো মাহিরার।
-নামো(আরহান)
-আমি কি কিছু করেছি?(মাহিরা)
-কিছু করোনি।তবু ও নামো।
-পাশে তাকিয়ে দেখে ওরা এসে পড়েছে।কিছু না বলে নেমে পড়লো মাহিরা।থানায় ঢুকতেই আশফি ওদের সামনে এসে দাড়ালো।
-মাহিরার গলার নিচের ছোট্ট লাভবাইটটা আশফির চোখে পড়লো।
-মাহিরা নিচে তাকিয়ে সেটাকে ঢাকার চেষ্টা করছে।আশফির দিকে তাকাতে ভয় পাচ্ছে ও।
-আশফি নীল কোথায়?(আরহান)
-চল আমার সাথে(আশফি)।
-মাহিরার হাত ধরে আশফির পিছু নিলাম।একটি জেলে নীলকে আটকে রাখা হয়েছে।নীল শুয়ে ছিল।আমাদের দেখে উঠে এলো।হায় মিঃ আরহান আর মিসেস মাহিরা আরহান শেখ।
-কি লাভ হয়েছে এতো কিছু করার পর নীল রাগী গলায় বলে উঠলো আরহান।
-লাভ হতো যদি আরহান নামের এই কাঁটা আমার রাস্তায় না আসতো।
-তোমাকে যে কি শাস্তি দিবো নীল তুমি কল্পনাও করতে পারবেনা(রাগি গলায়)
-ওহ ভয় পেয়ে গেছি মিঃ আরহান(মজার ছলে)
-আশফি ভাই আমি কি একটু ভিতরে ঢুকতে পারবো জ্বলজ্বলে চোখে মাহিরা বলল।ওর চোখের ভিতর রাগ ঘৃনা বাবা হারানোর কষ্ট আশফি বুঝে নিলো।কতো কষ্ট হয়েছে মাহিরার সেটা কেউই বুঝতে পারবেনা একমাত্র মাহিরা ছাড়া।
-যান ভাবি(দরজা খুলে দিয়ে)
-মাহিরার কাঁধে হাত রাখলো আরহান।সব ঠিক হয়ে যাবে।
-আরহানের দিকে তাকিয়ে ওর হাতের ওপর হাত রাখলো মাহিরা।জেলের ভিতর ঢুকে কষে চড় দিলো নীলকে।শার্টের কলার চেপে ধরলো কেন মেরেছিস বাবাকে?কি দোষ ছিল ওনার?দোষ তো আমার ছিল আমাকে মারতি।বাবা হাঁটতে পারতোনা হুইল চেয়ারে চলা ফেরা করতো এটার সুযোগ নিয়েছিস।তুই তো জানোয়ার। বাবা কে মেরে ও ক্ষান্ত হসনি আরহানকে মারতে চেয়েছিলি।কি লাভ হয়েছিলো তোর?অনবরত থাপড়াতে লাগলো মাহিরা নীলকে।কাঁদছে মাহিরা।ওর চোখের সামনে বাবার সাথে কাঁটানো বেস্ট সময় গুলো ভাসছে।
-আরহান জলদি যেয়ে মাহিরাকে পিছন থেকে ধরলো।মাহিরা চলো।
-এখন সারাজীবন জেলে থাক।আর প্লান কাকে খুন করবি?চিৎকার করে বলল মাহিরা।
-আরহান বের করে আনলো মাহিরাকে।কাঁদছে মাহিরা।আশফি থ্যাংকস এ লট দোস্ত।
-হুম।দায়িত্ব ছিলো আমার প্লিজ থ্যাংকস বলে ছোট করিসনা।মাহিরার চোখের পানি আশফির বুকে কাঁটার খোঁচার মতো লাগছে।
-আশফি ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ(মাহিরা)
-ওয়েলকাম(আশফি)।
-মাহিরা চলো(আরহান)।
-দুজনে বেরিয়ে এলো।মাহিরার কান্না থামছেইনা।
-আরহান বুকে জড়িয়ে নিলো মাহিরাকে।প্লিজ কেঁদোনা।
-কেন মারলো বাবাকে?কি দোষ ছিলো বাবার?বাবাতো আমার সুখ চেয়েছিলেন।এটাই তার কাল হলো।বাবা আমার বেঁচে থাকার অন্যতম কারন ছিলো।আপনাকে ও মারতে চেয়েছে ও কেন?কেন করলো এসব?(কাঁদতে কাঁদতে)
-ওর ন্যায্য শাস্তি ও পাবে মাহিরা।মাহিরার কপালে চুমো দিয়ে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরলো আরহান।
-কিছুক্ষণ পর সরে এসে চোখের পানি মুছলো মাহিরা।
-মাহিরার মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে দিলো আরহান।পাশেই একটা পার্ক আছে চলো যাই।
-চলুন।
-লেকের পাশে বসে আছে পাশাপাশি আরহান আর মাহিরা।আশেপাশে তাকিয়ে মাহিরার হাতের ওপর হাত রাখলো আরহান।
-হাতের ছোঁয়া আরহানের দিকে তাকায় মাহিরা।
-এই তোমার গলায় কি হয়েছে(চিন্তিত হয়ে)?
-কই নাতো কিছুনা(উড়না দিয়ে ঢেকে)।
-লাল হয়ে আছে কেন?
-পোকা কামড় দিয়েছে।
-পোকা???(আরহান)
-হুম।
-ওহ।ঘরে গিয়ে মলম লাগিয়ে নিও নাহলে ইনফেকশন হয়ে যাবে(আরহান)।
-অবাক দৃষ্টিতে আরহান কে দেখছে মাহিরা।(এত বোকা কেন উনি?বুঝতে পারছেন না এটা ওনার কামড়ের দাগ?)
-এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?(আরহান)
-কিছুনা।চলুন ইনায়া কে নিয়ে ঘরে যাই।
-হুম চলো।
চলবে
No comments :
Post a Comment