#Devil_Teacher
#part - 4
তানিশা : স্যার আমাকে ছেড়ে দিন, আমি আর কোন দিনও আপনার সামনে আসবো না, এই ভার্সিটিতেও আসবো না,,, স্যার please ( কান্না করতে করতে)
কাব্য : কি বললে তুমি ( থেমে গিয়ে তানিশার দিকে ফিরে তাকিয়ে)
তানিশা : স্যার আমার ভুল হয়েগেছে, আমি আর কোন দিনও আপনার সামনে আসবো না, please আমাকে যেতে দিন।
--- কাব্য মনে মনে বলছে, সত্যি যদি তানিশা আর ভার্সিটিতে না আসে, এতো দিন পর তানিশাকে পেয়েছে আবার যদি হাড়িয়ে যায়,,,
কাব্য : ok fine... ছেড়ে দিলাম কালকে থেকে প্রতিদিন যেন তোমাকে ভার্সিটিতে দেখি। আর হ্যা ভার্সিটিতে এসে প্রথমে আমার সাথে দেখা করবে, class শেষে আমার সাথে দেখা করে যাবে। এটা তোমার punishment মনে থাকে যেন ( হাত ছেড়ে দিয়ে)
তানিশা : হুম থাকবে
কাব্য : এখন বাসায় যাও
--- তানিশা বাসায় গিয়ে মনে মনে বলছে, যাক বাবা বেচে গেছি, আর কোন দিনও ঐ devil কে কিছু বলবো না। পরদিন ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছে, রাতুল বাইক নিয়ে সামনে এসে বলল,,,
রাতুল : চল এক সাথে যাই
তানিশা : তুই হঠাৎ এদিকে?
রাতুল : একটা কাজে এসেছিলাম, দেখলাম তুই দাড়িয়ে আছিস ভাবলাম এক সাথে ভার্সিটিতে যাই।
তানিশা : হুম চল
--- তানিশা রাতুলের বাইকে করে ভার্সিটিতে চলে গেলো, বাইক থেকে নেমে দুজনে কিছু একটা নিয়ে হাসতে হাসতে ভার্সিটিতে ঢুকছে। কেউ একজন তাদের দিকে আগুনের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, সেদিকে তানিশার খবর নেই বন্ধুদের কাছে চলে গেলো,,,
রিতু : তানিশা তোর কাছে তো স্যারের নাম্বারটা আছে আমাকে দিবি please...
তানিশা : ভাল কথা মনে করেছিস devil বলেছে এসে আগে তার সাথে দেখা করতে।
রিতু : তোর সাথে স্যারের এতো ভাব কিসের? ( ভ্রু কুচকে)
নীলা : তাতে তোর কি? স্যার ৩ বছর আগে থেকে তানিশাকে পছন্দ করে। তুই স্যারের আশা ছেড়ে দে
তানিশা : তোকে কে বলল? ( অবাক হয়ে)
নীলা : তুই,,তো বল,,লি ( আমতা আমতা করে)
তানিশা : আমি আবার কখন বললাম, আমি তো নিজেই জানিনা ( চিন্তিত হয়ে)
রিতু : তার মানে তুই স্যারকে আগে থেকে চিনিস, আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিস, তুই আমার সাথে এটা করতে পারলি ( ন্যাকা কান্না করে)
তানিশা : জাদু devil হাতে একটা থাপ্পড় খেলে তোমার সব ভালবাসা জালানা দিয়ে পালাবে, আমি খেয়েছি আমি জানি ( নিজের গালে হাত দিয়ে)
--- সবাই অবাক হয়ে তানিশার দিকে তাকিয়ে আছে,,,
রিতু : কি এমন হয়েছে স্যার আর তোর মধ্যে?
তানিশা : এসে বলব আগে devil এর সাথে দেখা করে আসি।
--- তানিশা কাব্যর সাথে দেখা করতে যায়, কাব্য রেগে আগুন হয়ে আছে,,,
তানিশা : আসবো স্যার
কাব্য : হুম, কখন এসেছো?
তানিশা : স্যার মাত্রই এসেছি
--- কাব্য তানিশার দিকে এগিয়ে আসছে, তার মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক রেগে আছে। তানিশা ভয়ে পিছিয়ে যেতে দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেলো, কাব্য তানিশার এতটা কাছে চলে এলো যে সে কাব্যর স্পন্দন গুলো শুনতে পাচ্ছে, কাব্যর গরম নিঃশ্বাস তানিশার মুখে এসে পরছে। তানিশা ভয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে আছে,,,
কাব্য : রাতুলের সাথে বাইকে করে কেন এসেছো?
তানিশা : স্যার রাস্তায় রিক্সা পায়নি( ভয়ে ভয়ে)
কাব্য : কেন রাস্তায় রিক্সার অভাব ( দাতে দাত চেপে)
তানিশা : স্যার সত্যি বলছি,,
কাব্য : কালকে থেকে আমি তোমাকে নিয়ে আসবো।
তানিশা : মানে!
কাব্য : কানে কি কম শুন নাকি?
তানিশা : স্যার আমি কোন দিনও কারো বাইকে উঠবো না, আমার স্বামীর ছাড়া
কাব্য : কি! ( চোখ রাঙ্গিয়ে)
তানিশা : স্যার স্বামীর বাইকেও উঠবো না, সবসময় একা একা চলাফেরা করবো।
কাব্য : স্বামীকে নিয়ে স্বপ্ন দেখো নাকি ( মুচকি হাসি দিয়ে)
তানিশা : না স্যার মানে,,, আসলে ( তানিশা কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা)
কাব্য : লজ্জায় তো লাল হয়ে যাচ্ছো ( তানিশার অবস্থা দেখে কাব্যর রাগ সব উধাও হয়ে গেলো, অপলক তাকিয়ে আছে তানিশার দিকে)
তানিশা : স্যার একটু দূরে সরবেন
কাব্য : আমি কাছে আসলে কি সমস্যা ( ভ্রু কুচকে)
তানিশা : স্যার কলিজার পানি সব শুকিয়ে গেছে একটু পানি খাবো ( করুণ দৃষ্টিতে)
কাব্য : আমাকে এতো ভয় পাবার কি আছে ( আরো কাছে গিয়ে)
--- তানিশা কিছুই বলতে পারছে না, চোখ বন্ধ নিঃশ্বাস জোড়ে জোড়ে ফেলতে লাগলো। কাব্যর ঠোট দুটো ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে তানিশার ঠোটের কাছে, হঠাৎ কাব্য তানিশার চোখে তাকাতেই দেখলো বিন্দু বিন্দু জল চলে এসেছে চোখের কোনে। কাব্য তার থেকে দূরে সরে গেলো, তানিশা যেন হাফ ছেড়ে বাচলো, টেবিলে রাখা এক গ্লাস পানি ঢকঢক করে খেয়ে নিলো। কাব্য অবাক হয়ে তানিশার দিকে তাকিয়ে আছে, মেয়েটা এতো ভয় পায় তাকে? অবশ্য ৩ বছর আগে যা হয়েছে এটাই স্বাভাবিক,,,
তানিশা : স্যার আমি আসি ( বলেই তানিশা বেরিয়ে যাচ্ছে)
কাব্য : একটা কথা বলা হয়নি
তানিশা : জ্বি
কাব্য : next time যেন তোমাকে কারো বাইকে না দেখি
তানিশা : আমাকেও দেখবেন না, কবে যেন heart attack মারা যাই ঠিক নাই ( বিড়বিড় করে)
কাব্য : কি বললে?
তানিশা : কিছুনা, মনে থাকবে।
--- তানিশা ক্লাস শেষ করে প্রতিদিনের মতো কাব্যর কাছে যায়। কাব্য নিজের মতো কাজ করছে, তানিশা মনে মনে বলে,, বজ্জাত devil এর জন্য প্রতিদিন আমাকে এখানে দাড়িয়ে থাকতে হয়। অযথা দাড় করিয়ে রাখার কোন মানে হয়?
তানিশা : স্যার আর কতক্ষণ দাড়াতে হবে?
কাব্য : যতক্ষণ আমি না বলি ( ফোনের দিকে তাকিয়ে )
তানিশা : স্যার আমার বাসায় যেতে হবে
কাব্য : তোমাকে একটা request দিছি accept করো
তানিশা : কিসের?
কাব্য : fb তে
তানিশা : স্যার মোবাইলে mb নাই
কাব্য : ok fine... আমি id hack করে নিচ্ছি
তানিশা : না না স্যার আমি এখনি করছি
কাব্য : good
তানিশা : স্যার এখন যেতে পারি?
কাব্য : হুম
--- তানিশা বাসায় চলে গেলো, রাত ১১ টায় fb তে ঢুকতেই কাব্যর message চলে আসলো,,,
কাব্য : এতো রাতে online কি করো?
--- তানিশা reply না দিয়ে online থেকে বেরিয়ে কাব্যকে বকতে লাগলো,,,
তানিশা : গন্ডার devil এর জন্য এখন online ও শান্তি নাই। আমার পিছে এমন ভাবে লেগে থাকার মানে হয়? একটা ভুল নাহয় হয়েছে, তাই বলে এভাবে শাস্তি পেতে হবে, কেন যে তখন রাজশাহীতে গেলাম
তান্নিমা : আপ্পি একা একা বকবক করছিস কার সাথে? পাগল হয়ে গেলি নাকি?
তানিশা : বোন devil টা আমাকে পাগল বানিয়ে ছাড়বে, আমার স্বপ্নগুলো পূরন হওয়ার আগে জীবনটা শেষ হয়ে যাবে।
তান্নিমা : কি বলছিস কথার আগামাথা কিছুই বুঝতে পারছিনা।
তানিশা : এতো বুঝতে হবেনা, চুপ করে ঘুমা।
--- তানিশা পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পরে, এভাবে দিনগুলো কাটছিল তাদের। পরিক্ষা ও শেষ হয়ে গেলো আজ result দিবে, তানিশা ভার্সিটিতে গিয়ে সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছে,,,
রিতু : খুব tension হচ্ছে, result কি হবে কে জানে
তানিশা : আমার কোন চিন্তা নাই, আমার exam ভাল হয়েছে। ( হাসি দিয়ে)
নীলা : তোর তো সবসময় result ভালো হয়, তোর কিসের tension
তানিশা : তোরা যাবি? আমি result দেখতে যাবো
রিতু : হুম চল।
--- তানিশার result দেখে মাথায় বাঁশ পরলো, যে মেয়ের result সবসময় top থাকে আজকে তার math ( F ) আসছে। তানিশার মেজাজ অনেক খারাপ হয়ে গেছে, না আজকে devil কে একটা কিছু বলতে হবে। খুব রেগে অফিস রুমে যায়, কাব্যর সামনে গিয়ে result paper টা এগিয়ে দিয়ে বলল,,,
তানিশা : এটা কি?
চলবে,,,
Friday, October 26, 2018
শয়তান শিক্ষক পার্ট ৪
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
আরো নতুন নতুন Golpo পড়তে ভিজিট করুন
ReplyDeletewww.valobasargolpo2.xyz