Devil_Teacher
#part - 12
কাব্য : তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো
তানিশা : আরে ভাইয়া অনুমিত নেয়ার কি আছে, বলে ফেলেন।
কাব্য : please ভাইয়া বলা বন্ধ করো ( বিরক্ত নিয়ে )
তানিশা : আচ্ছা ঠিক আছে বিয়ের পর ডাকবো ( এক গাল হেসে )
কাব্য : বিয়ের পর কেন? ( ভ্রু কুচকে )
তানিশা : তো! বিয়ের পর কি বলে ডাকবো!
কাব্য : নাম ধরে ডাকবা,,,
তানিশা : আপনি কি পাগল নাকি আপ্পি আমাকে দৌড়ানি দিবে ( হাসতে হাসতে )
কাব্য : কোন আপ্পি?
তানিশা : আপনার gf
কাব্য : fun করার একটা limit থাকে, এখন চলো। আমাদের এলাকায় ঘুরাবো
--- কাব্য তানিশার হাত ধরে নিজের সাথে নিয়ে গেলো, একটা বড় পুকুরপাড় সামনে নিয়ে যায়। পুকুরের এক দিকে বড় বড় শাপলা ফুল ফুটে আছে, বড় একটা ঘাট বাধানো, চারদিক থেকে সুপারি গাছের ঘেরা। সব মিলে দেখার মতো একটা দৃশ্য, তানিশা অবাক হয়ে চারদিকটা দেখছে, হয়তো এত সুন্দর দৃশ্য কখনো দেখা হয়নি তার। হঠাৎ কাব্য তানিশার সামনে হাটুগেরে বসে পরে, তানিশা কিছুটা অবাক হয়,,,
কাব্য : আমি আমার লাইফ টাকে সাজাতে চাই, তার জন্য তোমাকে প্রয়োজন।
তানিশা : মানে?
কাব্য : I love you... কখন, কিভাবে বলতে পারবো না, এতটুকু বলতে পারবো তোমাকে আমার প্রয়োজন।
তানিশা :.... ( নিশ্চুপ )
কাব্য : আমার family সাথে তোমাকে দেখা করাতে চাই, সমস্যা নেই তুমিতো এখনো অনেক ছোট আগে বড় হও আমি ততদিন নাহয় অপেক্ষা করবো। ( মুচকি হেসে )
তানিশা : আমার সাথে চলেন
--- তানিশা কাব্যর হাত টেনে মুক্তার সামনে নিয়ে যায়,,,
তানিশা : আপ্পি তোমার bf তো আস্ত একটা লুচু, একজন হয়না একসাথে অনেক জন লাগে। ( কাব্য অবাক হয়ে তানিশার দিকে তাকিয়ে আছে, কি বলছে এসব )
মুক্তা : কি আবোল তাবোল বকছিস
তানিশা : আরে তুমি ওকে জিঙ্গাসা করো
কাব্য : তানিশা তুমি ভুল করছো
আরিফ : কি হচ্ছে এখানে? ( মুক্তার bf )
তানিশা : আপনার friend মুক্তা আপ্পিকে ধোকা দেয়ার চেষ্টা করছে।
আরিফ : মানে! কাব্য কিভাবে ধোকা দিচ্ছে মুক্তাকে?
কাব্য : দোস্ত ও ভুল বুঝছে
মুক্তা : তানিশা কাব্য আমার bf হতে যাবে কেন?
তানিশা : তুমিতো নিজেই বললা ও তোমার bf
কাব্য : তানিশা please stop it.... ( রেগে গিয়ে )
আরিফ : ও চুপ করবে কেন? আমি সত্যিটা জানতে চাই, তোরা দুজনে মিলে আমাকে ধোকা দিচ্ছিস? ( তানিশা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে হয়তো বুঝার চেষ্টা করছে কি হচ্ছে )
মুক্তা : বিশ্বাস করো ও হয়তো ভুল বুঝেছে
আরিফ : আমি কিছু বিশ্বাস করতে চাইনা। তুই আমার দোস্ত হয়ে এটা করতে পারলি? আমি তোদের কে কখনো ক্ষমা করবো না ( কাব্যকে উদ্দেশ্য করে )
তানিশা : আমি মনে হয় কোথাও একটা ভুল করছি ( সবার উদ্দেশ্য )
--- এতক্ষণে পরিস্থিতি অনেকটা বদলে গেছে, কাব্যর প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। তানিশার কথা শুনা মাত্রই কষে একটা চড় বসিয়ে দিয়েছে ফর্সা গালে,,,
কাব্য : এতক্ষণে বুঝেছো তোমার ভুল হচ্ছে? আর আমি যে তখন থেকে বলছি কানে যায়নি ( রেগে গিয়ে খুব জোড়ে )
তানিশা :.... ( অবাক হয়ে নিজের গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে )
কাব্য : কথা বলছো না কেন?
--- রাগের চোটে আরো একটা চড় বসিয়ে দিলো, তানিশা দুগালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে। কিছু বলার মতো বোধগম্য হাড়িয়ে ফেলেছে,,,
মুক্তা : কাব্য please ও বলছেতো ওর ভুল হয়েছে।
কাব্য : তুমি বিয়ের আগে এমন করছো তো বিয়ের পর কি করবে?
তানিশা : কাকাকার বিয়ে ( কাঁপা কাঁপা গলায় )
কাব্য : আমাদের।
--- তানিশার কথা শুনে সবাই হতবাক হয়ে তানিশার দিকে তাকিয়ে আছে। স্যার এতো বছর ধরে তানিশার জন্য অপেক্ষায় ছিলো,,,
রাফি : বিয়ের কথা বলাতে তুই কি বলেছিলি?
তানিশা : আমি কি বলবো! দুই গালে হাত দিয়ে এক দৌড় দিছি, আমাকে আর পায় কে? এই যে রাজশাহী ছাড়ছি আর কখনো যাইনি। ( হতাশ হয়ে )
রিতু : একটা কথা বলি, তোর কথায় বুঝা যাচ্ছে স্যার তোকে অনেক ভালবাসে।
তানিশা : ভালবাসে না কচু, কালকে বলছে আমাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলাবে।
নীলা : ওর সাথে কথা বলে লাভ নেই, ও কখনো ভাইয়ার ভালবাসা বুঝবেনা ( রিতুকে উদ্দেশ্য করে )
রাতুল : তানিশা তুই কিন্তু নিজেও স্যারকে ভালবাসিস, তবে বুঝতে পারছিস না।
তানিশা : আমাকে বুঝতে হবেনা।
রিতু : একদিন ঠিকি বুঝবি স্যার যখন তোর এই ব্যাবহারে অতিষ্ঠ হয়ে তোর থেকে দূরে চলে যাবে।
তানিশা : মানে!
রিতু : মানেটা নিজেই বুঝেনে,,,
--- কাব্য সন্ধায় বাসায় ফিরে, তানিশা কাব্যর জন্য কফি করে নিয়ে আসে,,,
তানিশা : সারাদিন কোথায় ছিলেন?
কাব্য : তুমি জানোনা আমি যে আরো একটা বিয়ে করছি ঐ বৌয়ের কাছে ছিলাম।
তানিশা : রিতু ঠিক বলছে, আপনি আবার বিয়ে করবেন। ( ন্যাকা কান্না করে )
কাব্য : কি! ( অবাক হয়ে )
তানিশা : আমি জানতাম আপনি এমন কিছু করবেন। সাধে কি আর আপনার নাম লুচু দিছি নাকি ( রেগে গিয়ে )
কাব্য : এই তুমি কি পাগল নাকি? আমি কেন বিয়ে করবো?
তানিশা : আপনিতো বললেন!
কাব্য : তুমি আজকে ভার্সিটিতে যাওনি?
তানিশা : হুম
কাব্য : তাহলে তো তোমার জানার কথা কলকে ভার্সিটিতে program আছে আর আমি সেই কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ( তানিশার দুগালে হাত দিয়ে )
তানিশা : আপনি সত্যি বিয়ে করেননি তো ( করুণ দৃষ্টিতে )
কাব্য : করলেই বা কি? তোমার তো কিছু যায় আসেনা,,, ( কফি খেতে শুরু করলো )
--- সত্যি যদি devil টা আবার বিয়ে করে ফেলে তাহলে আমার কি হবে? এনাকন্ডা হোক আর জিরাফ মানুষটা তো আমার, না কিছু একটা করতে হবে কিন্তু কি করা যায়। নাহলে সত্যি সত্যি বিয়ে করে ফেলবে,,,
কাব্য : কি হলো? কি ভাবছো?
তানিশা : কই কিছুনা
কাব্য : তাহলে এভাবে চুপচাপ বসে আছো কেন
তানিশা : স্যার আপনি আবার বিয়ে করবেন নাতো?
কাব্য : আমার ভুল হয়ে গেছে, তখন একটু মজা করছি। হয়েছে,,,
তানিশা : না বলেন বিয়ে করবেন কিনা?
কাব্য : আমি আবার বিয়ে করতে যাবো কেন? ( রেগে গিয়ে )
তানিশা : কারন আমি বেশি কথা বলি, আমি বাচ্চাদের মতো আচরন করি। আপনার কোন কথা শুনিনা। আরো কত কি,,,
কাব্য : পাগল নাকি? কি যাতা বলছো, তুমি যেমন আছো আমি তোমাকে তেমনি ভালবাসি। আর সবসময় ভালবাসবো ( নিজের বুকে টেনে নিয়ে )
তানিশা : কেন ভালবাসেন?
কাব্য : ভালবাসা অকারনেই হয় ( কপালে একটা চুমু একে দিয়ে )
তানিশা :..... ( নিশ্চুপ )
কাব্য : জানো মাঝে মাঝে তোমাকে খুব কাছে পেতে ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে তোমার মাঝে ডুবে যাই, তোমাতে হাড়াতে ইচ্ছে করে। চিন্তা করোনা আমি অপেক্ষায় থাকবো।
তানিশা :.... ( নিশ্চুপ )
--- তানিশা নিশ্চুপ হয়ে কাব্যর বুকে মিশে আছে, আজ ইচ্ছে করছেনা কাব্যর থেকে দূরে থাকতে। devil টা যে তাকে এতো ভালবাসে আজ অনুভব করতে পারছে। সকালে কাব্য নাস্তা শেষে ভার্সিটিতে চলে যায়, নীলা আর তানিশা পরে যাবে। তানিশা নীলার কাছে একটা শাড়ি নিয়ে যায়,,,
তানিশা : নীলা শাড়িটা পরিয়ে দে,,না please
নীলা : তুই হঠাৎ শাড়ি পরবি কেন?
তানিশা : devil কে চমকে দেবো
নীলা : তুই ভাইয়ার জন্য পরবি ( অবাক হয়ে )
তানিশা : এতো অবাক হওয়ার কি আছে? ( ভ্রু কুচকে )
নীলা : ভাবি তুমি মানুষ হইছো ( বলেই তানিশাকে জড়িয়ে ধরলো )
তানিশা : আমি আবার কবে অমানুষ ছিলাম?
নীলা : তুই মানুষ ছিলি কবে? তুইতো একটা এলিয়েন।
তানিশা : যা তোর পরাতে হবে না ( রেগে গিয়ে )
নীলা : আরে ভাবি রাগো কেন পরিয়ে দিচ্ছিতো
তানিশা : একদম ভাবি ডাকবি না
নীলা : ওকে গাধী ( বলেই হেসে দিলো )
--- নীলা তানিশা তৈরি হয়ে ভার্সিটিতে গেলো, তানিশাকে আজ অপূর্ব লাগছে। সবাই তানিশাকে দেখছে, অনেক প্রশংসা করছে। কাব্য তানিশাকে এখনো দেখেনি, program শুরু হয়ে গেছে। তানিশা stage উঠতেই কাব্য অবাক হয়ে গেলো তাকে দেখে, চোখ সরাতে পারছেনা। তানিশা মাইক নিয়ে বলতে শুরু করলো,,,
চলবে,,,
Friday, October 26, 2018
শয়তান শিক্ষক পার্ট ১২
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment