না বলা ভালোবাসা পর্ব ৪

না বলা ভালোবাসা♥♥
পর্বঃ-০৪
লেখিকাঃ-সামা
.
তানজিলের বুকে নখের দাগ দেখার
সাথে সাথেই সামা বসে থাকা থেকে
উঠে পরে তারপর তানজিলের সামনে
এসে বলে...............
সামাঃ-এইখানে কি হইছে তোমার????
তানজিলঃ-কোনখানে????
সামাঃ-এই যে এইখানে...............(সামা তার
হাতের আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে
দেখায়)
তানজিলঃ-কেন তুমি জানো না কি
হইছে?????
সামাঃ-তো তুমি আমাকে তখন কেন
বলো নাই যে তোমার ব্যাথা
লাগতেছিলো
তানজিলঃ-তোমাকে কে বললো যে
আমি ব্যাথা পাচ্ছিলাম??????
সামাঃ-আজিব তো এইখানে বলার কি
আছে..................তোমার বুকের
দাগ দেখেই তো বুঝা যাচ্ছে যে
তুমি অনেক ব্যাথা পাইছো
তানজিলঃ-এখন থেকে এইরকম অনেক
দাগই আমার গায়ে থাকবে...............
(কথাটা বলেই তানজিল একটা দুষ্টু হাসি
দেয়)
সামাঃ-(তানজিলের কথা শুনে সামা লজ্জায়
মুখ অন্য দিক করে নেয়)
তানজিলঃ-তুমি কি এইটা জানো না যে কিছু
কিছু ব্যাথা ভালো লাগে
সামাঃ-তোমার মাথা তো ঠিক আছে
নাকি...............ব্যাথা আবার কাউরো
কিভাবে ভালো লাগে.............
(তানজিলের দিকে মুখ করে কথাটা
বলে সামা)
তানজিলঃ-ওকে আজকে রাতে দিয়ে
দেখাবো নে
সামাঃ-ছিঃ..................
কথাটা বলেই সামা রুম থেকে বের
হয়ে যায়।আর তানজিল নিজেই একা একা
তার বউয়ের কান্ড দেখে হাসতে
থাকে।সে খুব ভালো ভাবেই বুঝতে
পেরেছে যে সামা তার কথায় অনেক
লজ্জা পেয়েছে।
রাতের খাবার শেষ করে যে যার
মতো রুমে চলে যায়।সামাও নিজের
রুমে যেয়ে বেড ঠিক করে ফ্রেশ
হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে চলে যায়।আর
তানজিল রুমে এসে সামাকে খুজতে
থাকে।রুমে না পেয়ে তানজিল বারান্দায়
যায় কিন্তু সেইখানেও সামাকে পায় না
সে।বারান্দা থেকে রুমে আসতে
নিলেই সামা আর তানজিল দুইজন একদম
দুইজনের মুখোমুখি পরে।তানজিলকে
দেখেই সামা তারাতারির করে বেডের
উপর থেকে ওড়নাটা নিজের গায়ে
নিয়ে বলে...............
সামাঃ-এইভাবে কেউ হঠাত করে রুমে
ঢুকে.........এখন যদি আমি এইখানে
চেঙ্গ..................(কথাটা বলতে
নিয়েই থেমে গেলো সামা)
তানজিলঃ-কি চেঙ্গ??????
সামাঃ-কিছু না তুমি এইভাবে কেন ঢুকলা
রুমে??????
তানজিলঃ-তো নিজের রুমে আবার
কিভাবে ঢুকবো????
সামাঃ-কেন নক করে
তানজিলঃ-নিজের ঘরে আবার কেউ নক
করে ঢুকে নাকি????
সামাঃ-নিজের রুম মানে এইটা এখন
থেকে আমারও রুম
তানজিলঃ-মানুষ কি বলবে দেখলে
সামাঃ-যার যা খুশি বলুক কিন্তু এরপর নক
করেই ঢুকবা
তানজিলঃ-ওকে মেডাম
সামাঃ- জি মনে থাকে যেন কথাটা
তানজিলঃ-একশোবার থাকবে
সামাঃ-গুড
এরপর তানজিল ঘরের দরজা বন্ধ করতে
নিলেই সামা ভয় পেয়ে যায়।তখন
তানজিলের সন্ধ্যায় বলা কথাটা সামার মনে
পরে যায়।তানজিল দরজা বন্ধ করে
নিজের গায়ের ফতুয়াটা খুলতে নিলেই
সামা বলে উঠে........................
সামাঃ-দরজা কেন বন্ধ করলা????
তানজিলঃ-তো দরজা খুলে বউকে নিয়ে
ঘুমাবো নাকি???
সামাঃ-ফতুয়া কেন খুলতেছো?????
তানজিলঃ-এইটা পরে রাতে ঘুমাবো
নাকি?????
সামাঃ-না মানে............
তানজিলঃ-চলো আসো
সামাঃ-কই আসবো????
তানজিলঃ-কেন ঘুমাবা না তুমি...........
....কালকে সারারাতও জেগে ছিলা আবার
আজকেও কি জাগবা নাকি...........
.এমনিতেও কালকে আমার অফিস
আছে
সামাঃ-কালকেই তোমার অফিস?????
তানজিলঃ-জি মেডাম আর কতদিন ছুটি
কাটাবো পরে তো সবাই বলবে নতুন
বউ পেয়ে কাজকর্ম সব গোল্লায় দিছি
সামাঃ-আচ্ছা শুয়ে পরো তুমি
তানজিলঃ-তুমিও শুয়ে পরো এমনিও
কালকে ঘুমাও নাই............এইভাবে রাত
জাগলে শরীর খারাপ হয়ে যাবে
সামাঃ-হমম
তানজিলের মুখ থেকে অফিস যাওয়ার
কথা শুনেই সামার মনটা খারাপ হয়ে যায়।
রাতের ঘুমটাই যেন চোখ থেকে
উড়ে যায়।সারারাত এপাশ ওপাশ করতে
করতে অনেক রাতে সামার ঘুম আসে
আর সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর সামা যা
দেখতে পায় তা সে কোনভাবেই
আশা করে নাই।ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে
সে নিজেকে তানজিলের বুকে
আবিষ্কার করে।ঘুমের মধ্যে কখন
কিভাবে তানজিলকে এইভাবে
জোরায়ে ধরছে তা তার একটুও মনে
নাই আর তানজিলও সামাকে নিজের
বুকের সাথে আস্টে পিস্টে ধরে
আরামের ঘুম দিচ্ছে।সামার মন তো
চাচ্ছিলো এইভাবেই মানুষটাকে ধরে
রাখতে কিন্তু তানজিলের ঘুম ভেঙ্গে
গেলে সামাকে এক লজ্জার পরিস্থিতির
মধ্যে পরতে হতো যার জন্যই সে
আস্তে করে তানজিলের হাতটা নিজের
উপর থেকে সরিয়ে উঠে পরে।
তারপর ফ্রেশ হয়ে তানজিলকে
ডেকে দেয়।তানজিল উঠে গোসল
করে রুমে এসে দেখে যে
বেডের উপর সামা তার জন্য শার্ট প্যান্ট
ঘড়ি ওয়ালেট রুমাল এইসব কিছু বের
করে রেখেছে।এইসব দেখে
তানজিল নিজেই মনে মনে হেসে
দেয়।এরপর তানজিল রেডি হয়ে
টেবিলে ব্রেকফাস্ট করার জন্য
বসে।ব্রেকফা্স্ট করা শেষ হলে সামা
তানজিলকে তার অফিসের ব্যাগটা এনে
হাতে দেয়।ব্যাগটা নেওয়ার সময়
তানজিল সামার দিক তাকাতেই বুঝতে
পারে যে ওর মনটা ভালো না।তাই সে
সামাকে বলে...........................
তানজিলঃ-আই কি হইছে তোমার মুখটা
এমন শুকনা শুকনা লাগতেছে কেন????
সামাঃ-এমনি............কখন আসবা তুমি????
তানজিলঃ-দেখি কখন আসা যায় বাট তারাতারি
আসার ট্রাই করবো
সামাঃ-হমম
তানজিলঃ-ওকে বাই
সামাঃ-বাই
কথাগুলা বলে দরজার কাছে যেতেই কি
ভেবে যেনো আবার তানজিল সামার
সামনে এসে দাঁড়ায়।সামা চোখের ইশারা
করে তানজিলকে জিজ্ঞেস করে
যে কি।তানজিল কিছু না বলে তার বাম হাতটা
সামার ঘারের পিছনে দিয়ে চুলগুলোর
মধ্যে হাত রেখে সামাকে আচমকাই
নিজের কাছে টেনে এনে খুব
গারো করে কপালে একটা চুমো
একে দেয়।