#Romantic_Devil
#অন্ত_নীলা
#পর্ব_17
.
.
.
শুভ্র নিজের আলমারি খুলে মদের বোতল বের করল।
মিম যখন ছিল না তখন সে এগুলা রেগুলার খেত। মিমকে ভালবাসার পর থেকে মদ কেন সিগারেট এউ হাত দেয়না সে। বোতল থেকে ঢালছে আর খাচ্ছে। মিম তখনো অজ্ঞান হয়ে আছে। একসময় মিমের জ্ঞান ফিরল। মিম প্রথমে কিছুই বুঝতে পারতেছিল না । তার চারিদিকের পৃথিবী যেনো স্বপ্ন রাজ্যের ওল্অট পালট আসবাব পত্রের মত ছড়িয়ে আছে। সারাটা শরীরে ব্যাথা।
মিম দেখল সামনে শুভ্র বসে ড্রিংস করতেছে। মিম শুভ্রের দিকে এগিয়ে গেল।
-এসব কি করতেছেন আপনি আমায় মারলেনন কেন? কে কি বলেছে আপনাকে?
শুভ্রর ততক্ষণে নেসা হয়ে গেছে। মিমের কথা গুলো তার কানে গেল বলে মনে হয়না। সে মিমকে জরাইয়া ধরল।
-মিম আমি ত তোমায় শুধু ভালবাসুছিলাম একবার ত বলে দেখতে পারতা তুমি আমায় নয় অন্য কাও কে ভালবাস বিস্বাস কর তোমায় কষ্ট পাইতে দিতাম না।
কেন তুমি এমন করলা?
তুমি আমায় ভালবাস না জাননি তাই বলে তুমি অন্য ছেলেকে? কেন এটা কেন? অই ছেলের সাহস কেমনে হল তোমার ক্যারেক্টার নিয়ে কথা বলে আমার বউ এর ক্যারেক্টার নিয়ে কথা বলে? অবশ্য এর সুযোগ ত তুমি করে দিছ।
এক নিশ্বাসে এত গুলা কথা বলে ফেলে শুভ্র। মিম অবাক বিশ্ময়ে তাকিয়ে আছে। শুভ্র এসব কি বলছে? মিমম ত কোনো ছেলের সাথে প্রেম দূরে থাক ছেলেদের সাথে কথাও ঠিক মত বলত না। *
-আপনি এসব কি বলছেন? আমার কোনো ছেলের সাথে কষ্মিন কালেও সম্পর্ক ছিলনা!
-এখন আর মিথ্যে বলনা মিম।
শুভ্র পড়ে যাচ্ছিলো মিম শুভ্রমে জড়িয়ে ধরে ফেলল। শুভ্রকে এখন সে ও ভালবাসে। শুধু সে কথাটা মুখ ফুটে বলতে পারেনি। বলার আগেই এত কিছু হয়ে গেল! মিম কাঁদতেছে।
-ভেবেছিলাম তুমি ভালবেসে তোমার মনে তোমার জীববে আমায় জায়গা দিবা। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম। তোমার মনে ত আগে থেকেই অন্য একজন এর বসবাস। সেখানে আমার যায়গা হবে কীভাবে মিম?
-প্লিজ চুপ করুন আপনি একটু শুয়ে থাকুন!
-না আমি চুপ করবনা। তোমার মনে অন্য কেও থাকলে থাকুক।
তোমায় আমি অন্য কারো হতে দিব না। তোমার জীবনে শুধুই আমি থাকব। শুধুই আমি।
তারপর শুভ্র মিমের সাথে জোড়াজুড়ি শুরু করে দিল। অবশ্য মিমকে তেমন একটা জোড় করতে হল না কারণ মিমের শক্তি বলে কিছু ছিল না। মিমের অনিচ্ছায় আর শুভ্রর অজ্ঞাতসারে মিম শুভ্রর হয়ে গেল।
,,,,,,,,সকালে শুভ্র মিমকে নিজের বাহুতে আবিষ্কার করল। রাতের কথা মনে হতেই নিজের প্রতি এক চাপা ঘ্রিণা অনুভব করল শুভ্র। সে এতটা নিচ কীভাবে হতে পারে? সে ত মিমকে সুযোগ দিয়েছিল। তাহলে কাল রাতে সে এটা কীভাবে করল? কি মুখ দেখাবে সে মিমের কাছে।মিমের ত কোনো দোষ ছিল না। *সে যদি অন্য কোনো ছেলেকে ভাল বেসেও তগাকে শুভ্রর তা জানার কথানা। ওর সাথে সম্পর্ক ত বেশি দিনের না। আর সে ত মিমকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই বিয়ে করেছে।
আচ্ছা বিয়েততে কি মিমের অমত ছিল?
নিশ্চই ছিল। আমি একবারো জানার চেষ্টা করলাম না? বড্ড ভুল হয়ে গেছে। আর গতকাল রাত আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলের রায় ছিল। নিজের মনেই বলে উঠে শুভ্র। সব হয়েছে অই শয়তান ছেলেটার জন্য।
শুভ্র একবার মিমের দিকে তাকালো। ওর শরীর টা সাদা চাদর দিয়ে ঢাকা। ডান হাত দেখা যাচ্ছে অইনে বেল্ট দিয়ে মারার দাগ।
ইশশ কি করেছি আমি? মুখের দিকে ত তাকানোই যাচ্ছেনা।
নিজেকে নিজেই ধিক্কার দেয় শুভ্র। নিজের উপর রাগ করেই বাসা থেকে বের হয়ে যায় শুভ্র।
,,,,,,,, মিমের ঘুম ভাঙে অনেক বেলা করে। সারাশরীর এ ব্যাথা । কিছুতেই উঠতে পারছেনা। রাতের কথা মনে করে কান্নার ফোয়ারা ছেড়ে দেয়। সে যেনো একটা নরকে আছে। এত শাস্তি কেন দিল শুভ্র তাকে? তার দোষটা কি? সে বোধ হয় প্রথম অপরাধি যে সাজা পেল কিন্তু অপরাধ জানার প্রশ্ন করার সুযোগ টাও পেল না। কাঁদতে কাঁদতে বালিশ ভিজিয়ে ফেলে মিম। সে আর কিছুতেই থাকবেনা এই বাড়িতে। বাবা মার ওপর বড্ড অভিমান হচ্ছে। আব্বু আম্মু কেন এটা করল? আমার কি দোষ ছিল? আমি কি বাবা মা এর কাছে বেশি হইছিলাম? জানা নেই শোনা নাই অজানা বাজে একটা ছেলের সাথে আমার বিয়ে দিয়ে* দিল? সম্পত্তি ই কি সব? ছেলেটা ত আমার মন বুঝল না আমার কষ্ট ও না। নিজের বাবা মা ই চিন্তা করেনাই যখন মানুষের ছেলে কি চিন্তা করবে। ও একবার আনার কথা শুনার চেষ্টাও করল না?
কাঁদতে কাঁদতে বিছানা থেকে উঠে মিম। টেবিলে বসে দুইটা চিঠি লিখে একটা শুভ্র কে আরেকটা তার শাশুরি কে।
সারা শরীরে মাইর এর দাগ। শারিতে ঢাকছেনা। মিম বুরখা পড়ে। হিজাব দিয়ে মুখ টাও ঢেকে ফেলে।
শুভ্র কে লিখা চিঠিটা বিছানার উপরে, আর শাশুরিকে লেখা চিঠিটা বাইরে টেবিলের উপর রেখে মিম বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
,
,
,
,
,
#চলবে
Friday, October 26, 2018
রোমান্টিক শয়তান পর্ব 17
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment