অন্ত নীলা
#Romantic_Devil
#অন্ত_নীলা
#পর্ব_20
.
.
.
মিম আবার ঘুমিয়ে পড়ল।
-
যখন ঘুম ভাঙে তখন সন্ধা হয়ে গেছে। চোখ খুলেই পাশে দুইজন কে দেখতে পেল মিম। একজন নুফতি আরেকজন ইফাদ। ইফাদ হচ্ছে নুফতির ভাই।
-কিরে তোর ঘুম ভাঙল?
-হু
-কুম্ভকর্ণ এর ঘুম একেবারে(ইফাদ)
মিম রাগ চোখে ইফাদের দিকে তাকালো। ছেলেটার সাহস ত কম নয়। আজ ই প্রথম দেখা হল এখনো পরিচয় হয় নি আর এর মধ্যেই সে মিমকে কটাক্ষ করে কথা বলতেছে!
-হঠাৎ আমার ঘুম নিয়ে এত গোবেষণার কারণ কি?
-সেই সকাল থেকে ঘুমাচ্ছিস।
শুন বাদ দে।
এই হল আমার ভাইয়া ইফাদ।
আর ভাইয়া এ হল আমার বেষ্টি মিম। ও কিছুদিন আমাদের বাসায় ই থাকবে।
-কেন আমাদের বাসায় কেন ওর কি বাসা নাই নাকি?
-ভাইয়া তুমিওনা?
-আমিও না কি?
-এত দুষ্টু কেন তুমি।
নুফতি এত আদরে গলায় ইফাদের সকথে কথা বলছে দেখে এই প্রথম মিমের ভাই নাই বলে আফসোস হতে লাগল।
-আপনার সাথে পরিচিত হয়ে খুশি হলাম কিছু মনে করবেন না। আমি একটু এমন ই। মজা করতে পছন্দ করি। আপনার যদি কিছু দরকার হয় আমাকে বলবেন আমি এনে দিব। আর এখানে যতদিন ইচ্ছে ততদিন#1# থাকবেন কেও আপনাকে কিছু বলবেনা।
মিম ঘাড় কাত করে সম্মতি জানালো।
,
সব আত্মীয় সব বন্ধু সবার বাসায় খোঁজ নেয় শুভ্র কোথাও নেই মিম। নুফতিকেও কয়েক বার ফোন দেয়। দুই বার নুফতি রিসিভ করেনা কয়েকবার ওয়েটিং পায় আর শেষে ফোম ধরে নুফতি বলে মিম তার সাথে নেই।
শুভ্র যেনো পাগলের মত হয়ে গেছে। কোথায় গেল মিম?
-মিম আমায় ক্ষমা করে দাও। কোথায় হারয়ে গেলে তুমি প্লিজ ফিরে এস। আমি তোমার গায়ে হাত তুলা দূরে থাকুক তোমার সাথে কোনোদিন মিস বিহেভ ও করবনা।
জোড়ে কথাও বলবনা শুধু তুমি ফিরে এস।
কিন্তু মিম ফিরে আসেনা। শুভ্রর ফোনে মিমের বাবা কল দেয়।
-হ্যা বাবা বলুন।
-মিমের কোনো খোঁজ পেলে?
-না বাবা কোথায় মিম আমি ত ওকে খুঁজে পাচ্ছিনা।
-তোমার সাথে কি ওর অনেক ঝগড়া হয়েছিল?
-মোটামুটি বেশি ই বাবা। তাইবলে ও আমায় ছেড়ে এইভাবে চলে যাবে?কেন করল ও এটা।
-বাবা তুমি চিন্তা কর না ও ওর এক ফ্রেন্ডের বাসায় গেছে আমায় ফোন দিয়ে চিন্তা করতে না করল। ওর রাগ কমলে চলে আসবে।
-ফ্রেন্ডের বাসায় কোন ফ্রেন্ডের বাসায় আপনি আমায় বলুন আমি এক্ষুণি গিয়ে অকে নিয়ে আসি।#2#
-সরি বাবা ও ত ওর ফ্রেন্ডের এড্রেস দেয়নি শুধু চিন্তা করনা বলেই ফোন ডিসকানেক্ট করে দিল।
-প্লিজ আপনি জানলে আমায় বলুন।
-আরে তুমি আমার মেয়ে জামাই। তোমার আমায় এইভাবে অনুরোধ করতে হয়?
আমার মেয়ের ব্যবহারে আমি লজ্জিত পারলে আমায় ক্ষমা কর। শশুর বাড়ি থেকে না বলে এইভাবে কেও যায়?
-বাবা ওর কোনো দোশ নেই দোশ আমার। আমি ই একটু বেশি ই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম।আমায় ই ক্ষমা করবেন। বাবা প্লিজ মিমের যদি কোনো খবর পান সাথে সাথেই আমায় জানাবেন।
-অবশ্য ই।
,
ড্রইং রুম এ মিম নুফতি আর ইফাদ বসে টিভি দেখতেছে। দেখতেছে বলতে মিম শুধু সোফায় মাথা এলিয়ে দিয়েছে। ইফাদ আর নুফতি দেখতেছে। দেখার চেয়ে বেশি ঝগড়া ই করতেছে। বাংলা একটা টেলিফিল্ম হচ্ছে। নুফতি সেটা দেখতেছে। আর ইফাদ খেলা দেখতেছে টেলিফিল্ম এর বিরতি গুলাতে।
টেলিফিল্ম এর মেয়েটার ক্যান্সার। মেয়েটি বৃষ্টি খুব ভালবাসে। বৃষ্টি নিয়ে কি একটা গান হচ্ছিল। বৃষ্টি হয়ে এসেছিলে তুমি,,,, তখনি ইফাদ চেঞ্জ করে খেলার চ্যানেল দিল। নুফতি ত ক্ষেপে গেছে ভীষণ। ভাই তুই এটা কেন করলি? গান টা শুনতে দিলিনা কেন। এএএএএএ
কান্না কাকে বলে নুফরি ঋতিমত কান্না শুরউ করে দিল। মিম ত অবাক সামান্য একটা গানের জন্য ওর বয়সী একটা মেয়ে এই ভাবে কাঁদতেছে।#৩#
অবশ্য নুফতির কাঁদার কারণ যে অন্য তা একটু পরেই বুঝা গেল।
-ভাই তোর জন্য আমি গান শুনতে পারিনি। এখন তোর ই আমাকে গান শুনাইতে হবে।
-হু বল্লেই হল?
-হু
-না শুনাইলে কি করবি!
-টিভি ভেঙে ফেলব।
-অকে অন্য একটা গান শুনাবো।
-না এই গান টাই। আর এখন ই।
বলা বাহুল্য মিম এই ঝগড়ার আগে পিছে ছিল না।
কিছুক্ষণ পর খেলা শেষ হল মিম টিভি অফ করে দিল।
-চল ছাদে যাই।
-না রে শরীর ভাল্লাগছেনা।
-আরে ভাইয়া গানন গাবে।
-তুই শুন আমি ঘুমাব।
-সত্যি ই কুম্ভকর্ণ। অকে ঘুমা। আমি গান শুনতে গেলাম
,
ছাদ থেকে মিমের রুমে গান ভেসে আসছে,,,
-বৃষ্টি পরে জানালার পাশে
আমার আকাশ জুড়ে কংক্রিটের দেয়াল।
সবি ভেজা শুকনো শুধু আমি,,,,,
,
মিমের খুব ইচ্ছে ছিল কিছু গান শুনবে খুব প্রিয় কারো গলায়।
আজ সেই গান গুলো ইফাদের কাছ থেকে শুনতে ইচ্ছে করছে।
,
,
,
,
#চলবে।
Friday, October 26, 2018
রোমান্টিক শয়তান পর্ব 20
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment