Friday, October 26, 2018

I Love You পর্ব ১

No comments

গল্পোঃ- আই লাভ ইউ ৩

(পর্ব---১)

নীরবে নিস্তব্ধ এক মোহনীয় রজনীর
দাঁড়প্রান্তে,
তোমার অপেক্ষায় অপেক্ষারত পথিকের
শেষপ্রান্তে,
আজও আমি মলিনতার আঁকিবুঁকি করে যাই।
সে মলিনতায় নেই কোনো স্বস্তির আভাস।
ছোট বেলাতেই আমি অনেক দুষ্টু ছিলাম। কিন্তু
বুঝতে শিখেছি যখন তখন থেকে একা থাকতেই
বেশি পছন্দ করি। শান্ত কোলাহলমুক্ত নিস্তব্ধ
রজনী। বয়ে চলে ভৈরব নদের পানির শব্দ আর
ফিরফিরে বাতাস একাকিত্বটাকে আরো গভীর
করে তুলতো। তাই সবসময় কোলাহল থেকে
সর্বদা দুরে থাকতাম। কিন্তু এবার আর সেটা হল না।
ঠিকই চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের জন্য ঢাকা থেকে
আসতে হল। আজ গায়ে হলুদ। সন্ধ্যার একটু আগে
এসেই পৌছেছি গ্রামের এই বাড়িতে। গ্রামে বাড়ি
হলেও বড় চাচা আর আব্বুরা মিলে তিনতলা বাড়ি
তুলেছে।
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ভরপুর চারিদিক। লাগাতার
মাইকে বেজেই চলেছে। তাই ঠিক এ কারনেই
আমি আসতে চাইনি এখানে। অবশ্য আরো একটি
কারন আছে তবে প্রধান কারন হল এখানে আসলে
কোলাহলে ভর্তি থাকবে চারিদিক। তাই সেই
কোলাহলটাকে হালকা দুর করতে উঠে আসলাম
ছাদে। জ্যোৎস্না রাত, চারিদেক তারাদের
সমারোহ। আর আলো ছড়াচ্ছে চুপটি করে থাকা
চাঁদটি। ছাদের দেয়াল ধরে দাড়িয়ে একমনে
তাকিয়ে দেখছি সেসব। ঠিক তখনি শুনলাম...
- আজকের আকাশটা অনেক সুন্দর তাই না?
- হুমমম
- তারাভরা আকাশ, নির্মল বাতাস, চাঁদের আলো
জোনাকি পোকার পিটপিটে আলো ওহ যা লাগছে
না তাই না?
- হুমম
- দেখতে অনেক আকর্ষনীয় করে তুলেছে।
যেন একাকিত্বটাকে আরো গভীরভাবে
পর্যাবেক্ষন করে তাই না হৃদয় সাহেব?
আমি চমকে উঠলাম। কারন এতক্ষনে খেয়ালই করিনি
কেউ একজন আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে কথা
বলছে। আগুন্তক এর মুখে আমার নামটা শুনে হুশ
ফিরলো। আর আগুন্তকটা যে আর কেউ না সে
হল ইভা। আব্বুর ও চাচাদের বন্ধুর মেয়ে। এখানে
না আসার আরেকটি কারন হল এই ইভা।
- কিরে অবাক হলি মনে হয়? (ইভা)
- নাহ মানে, আপনি মানে তুমি সরি তুই এখানে মানে
ছাদে?
আমার তোতলামো দেখে ইভা হাসছে। আমি দৃষ্টির
বিরতি না দিয়ে তাকিয়ে আছি। এই তারা,চাঁদ, জোনাক
পোকার থেকে আমার পাশে যে দাঁড়িয়ে আছে
সেই মেয়েটির হাসিই সবচাইতে সুন্দর। আমি
তাকিয়ে বেশ অবাকই হচ্ছি। কারন ইভা আমার সাথে ৭
বছর পর কথা বলছে।
- কি দেখছিস এভাবে? (ইভা)
- ইয়ে মানে নাহ কিছু না।
- তুই কিন্তু সেই আগের মতই আছিস হৃদয়। ভয়
পেলে তুতলিয়ে যাস। হিহিহি।
- মানুষ বদলায় কিন্তু মানুষের কিছু স্বভাব বদলায় না।
আমারো তেমনি অবদল হয়ে তোতলামিটা রয়ে
গেছে। আর তোর রয়ে গেছে কথায় কথায় হিহি
করে হাসি।
- হিহিহি...তা এতদিন পর এলি যে? মেজ আম্মু কি খুব
জোর করে আনলো তাই না?
- আমি গেলাম।
কথাটি বলে চলে আসলাম ছাদের গেটের কাছে।
ঠিক তখনি ইভা গলা উচিয়ে বললো..
- আমি জানি হৃদয়, তোর এখানে না আসার কারন আমি
তাই না?
- হিহিহি...
শুকনো একটি হাসি দিলাম। সেই হাসিতে কোনো রং
নেই। আছে কেবল এক রাশি নিমের বিদগ্ধতা।
এককন্দ রংহীন পরিশ্রমা। যার বিকলে আমি
অনালড়ের চাঁদরে আটকা। সময় সাপেক্ষে কিছু
স্মৃতি আজো পিছনের গর্তে ধাক্কা দিয়ে
ফেলতে লাগলো। এক ধাপ করে ভেঙে নিচে
নামছি আর ভাবছি ৭ বছর আগের কথা।


ইভা হল আব্বুদের বন্ধু ফরিদ চাচার মেয়ে।
আব্বুদের ব্যবসা আর ফরিদ চাচাদের ব্যবসা একই
থাকায় ওনারা পার্টনারশিপ এ ব্যবসা করে। তাই সেই
হিসেবে ইভা সেই ছোট থেকেই আমাদের
বাড়িতে থাকে। বড় চাচু, আব্বু আর ফরিদ চাচা মিলে এ
তিনতলা বাড়িটা করা। আমি ঢাকায় যাবার আগে তখন দুইতলা
ছিল আর এখন তিনতলা হয়ে গেছে।
ছোট থেকেই বেড়ে ওঠা আমার আর ইভার। সবাই
আমাদের থেকে ছোট বড় ছিল। কেবল আমি
আর ইভা ছিলাম একই বয়েসের আর একই ক্লাসে
পড়তাম।।দুজনে একই সাথে স্কুলে আসা যাওয়া। ইভার
সবচাইতে সুন্দর লাগতো ওর সাদা দাঁতগুলো বের
কর হিহি করে হাসিটা। ওর হাসি দেখে দেখে কখন
যে ওর প্রেমে পড়ে গেছিলাম টেরই পায়নি।
যখন বুঝলাম আমি ইভাকে ভালোবাসি তখন ক্লাস টেন
এ পড়ি। কিন্তু ইভাকে সে ব্যাপারে বলিনি
কোনোদিনও। কিন্তু সেদিন ক্লাস শেষে দেখি
আকাশের সাথে সাইকেল করে ইভা বাড়িতে
আসছে আর হেসে হেসে গল্প করছে সেদিন
খুব রাগ হয়ে যায়। সেদিন বিকেলে...
- ইভা ছাদে আই কথা আছে তোর সাথে।
- কি কথা বল।
- আমি ছাদে গেলাম তাড়াতাড়ি আই।
কথাটি বলেই ছাদে চলে এলাম। খানিকবাদে ইভা
ছাদে আসলো।
- কিরে খরগোশ ডাকলি কেনো?
-....
- কিরে চুপ হয়ে আছিস কেনো? কিছু বলবি?
কিছু না বলে ইভার হাত ধরে বললাম..
- ইভা বিশ্বাস কর তোকে আমি অনেক ভালোবাসি।
আমার সবটা সময় তোর কথা ভাবতে ভাবতেই
কেটে যায়। আজ তুই যখন আকাশের সাইকেল এ
চড়ে বাড়িতে আসছিলি তখন খুব কষ্ট লাগছিল। ইভা
আমি তোকে ছাড়া থাকতে পারবো না প্লীজ ইভা
আমাকে ভালোবাসবি?
ইভা এক ঝটকায় আমার থেকে হাত ছাড়িয়ে নেয়।
আমি ওর দিকে তাকালাম। ততক্ষনে চোখ বেয়ে
আমার পানি পড়ছে। ইভা আমার দিকে রাগি মুখে
তাকিয়ে বললো..
- হৃদয় কি বলছিস এসব তুই? তুইও সবার মত? আর তাছাড়া
আমি তোকে অন্যরকম ভাবতাম। কিন্তু তুইও
আমাকে ভালোবাসলি? আমি এক্সেপ্ট করতে
পারবো না।
- কেনো?
- তোর থেকে আরো ভালো ছেলে
আমাকে প্রপোজ করে রোজ। একজনের
জন্য কি সবকিছু ইনজয় করা ছেড়ে দিবো নাকি?
- ইভা আমি তো অনেক ভালোবাসি সেই ক্লাম এইট
থেকে। প্লীজ ইভা ফিরিয়ে দিস না।
- চুপ করতো ছাগল, তোর মত ছেলে আমার
পিছে রোজ ১০ টা করে ঘোরে বুঝলি? তাই
ভালো হবে আমার পিছন ছেড়ে দে।
কথাটি শোনা মাত্রই রাগ উঠে যায় মাথায়। আমার সবার
সাথে তুলোনা করছে ও। কথাটি বলে ও চলতে
আসতে যাবে তখনি ওর ডান হাত ধরে ঠোঁটে
একটা _____ করে বললাম..
- এখন বল সব ছেলেরা কি এটা পারবে? আমি
তোকে ইচ্ছে করেই _____ করতে চাইনি কিন্তু
রাগ হয়ে গেছে।
- ঠাসসসস...ঠাসসসস...কুত্তা, তুই আমাকে _____±
করলি? তোর কি মনে হয় আমি সব মেয়েদের
মত? বেয়াদপ ছেলে কোথাকার আর যদি তুই আমার
সামনে আসিস তো তোর খবর আছে। আর এখনি
যেয়ে বড় আব্বু মেজো আব্বু আর মেজো
আম্মুকে বলবো দাঁড়া।
ঘটনাটা এতটাই তাড়াতাড়ি হয়ে যায় যে কিছু বুঝে ওঠার
আগেই আম্মু এসে পিটাতে থাকে। এতটাই মারে
যে আমি নাকি সেইদিন সারারাত ঙ্গান হারিয়ে ছিলাম।
পরেরদিন যখন সকাল হয় তখন দেখি আমার সারা গায়ে
ব্যাথা। তারপরই আম্মু আর আব্বু মিলে ঢাকাতে
পাঠিয়ে দেয় ছোট চাচুর বাসাতে।
আসার আগে ইভার দিকে তাকিয়ে ছিলাম বারবার। ইভা
আমার দিকে তাকিয়ে বিজয়ের হাসি হেসেছিল।
সেদিনিই রাগ হয়ে যায় মনে মনে বলেছিলাম আর
আসবো না এখানে। সাত বছর এর মধ্যে একদিনও
আসিনি আমি গ্রামে। আম্মু আব্বু যেয়ে দেখা
করে আসতো। তবে আমি আসতাম না রাগের
কারনে।


- ভাইয়া হলুদ দিলাম,হলুদ থেকে পালিয়ে কোথায় যাবা
হুম? (অদ্রিতা) (অপু) (শিমি) (মাহিম)
কথাগুলো ভাবতে ভাবতে নিচে আসতেই দৌড়ে
এসে সব কাজিনরা গায়ে হলুদ মাখিয়ে দিয়ে গেল।
- ঐ এটা কি করলি তোরা?.
- হাহাহা,, ভাইয়া এসব ইভা আপুর প্ল্যান। তোমাকে হলুদ
লাগানোর। মুখে আরেকটু দিই ভাইয়া। (অদ্রিতা, আমার
বোন)
- থাপ্পড় চিনিস যা ভাগ।
- ইভা আপু আরো মাখাতে বলেছে ধরতো
তোরা আরো মাখিয়ে দিই। (অপু, জান্নাতের ভাই)
- ঠিক আমি, মাহিন আর অদ্রিতা আপু হাত ধরছি অপু মাখাবি
কিন্তু ভালো করে। (শিমি, ছোট চাচার মেয়ে)
কিছু বোঝার আগেই মুখে কাঁচা হলুদের বন্যা বয়ে
শয়তানগুলো সব চলে গেল। আমি হাবার মত খালি
দাড়য়ে দেখছি। ঘটনা এতটাই অবাক করার মত যে
দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। দৌড়ে রুমে আসতে
যাবো তখনি শুনি খিলখিলিয়ে হাসির শব্দ। হাসির উৎসের
দিকে তাকিয়ে দেখি ইভা সিড়িতে দাড়িয়েই আমার
দিকে তাকিয়ে হাসছে। ওর সেই হাসি যা আমার মাঝে
শীতলতা এনে দেয়। তবে সেই শীতলতার
মাঝে শুকনো কাটের আগুন করে উপভোগ করার
শক্তি আমার নেই। তাই চলে আসলাম সেখান
থেকে।
.
.
স্বপ্ন দেখছি খুব বৃষ্টি হচ্ছে। আর আমি সেই
বৃষ্টির মাঝে দাড়িয়ে ইভার হাত ধরে ভিজছি। ঠিক তখনি
শুনলাম...
- ঐ খরগোস ওঠ তাড়াতাড়ি। আজ সাইফ ভাইয়ার বিয়ে
আর ইনি পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে।
খোরগোস ডাক শুনেই লাফিয়ে উঠলাম। দেখি ইভা
আমার গায়ে পানি দিচ্ছে। তারমানে ওটা স্বপ্ন না
সত্যিই পানি পড়ছিল আমার গায়ে? রাগে গাল লাল হয়ে
গেছে আমার বুঝতে পারছি। দু কথা শোনাতে
যাবো তখনি গায়ে পড়ল রং এর পানি। আমি লাফ দিয়ে
বিছানা থেকে উঠলাম। পিছনে তাকিয়ে দেখি
শয়তানগুলো এ কাজ করেছে আর এদের লিডার
হল ইভা। সবাই হাসছে হো হো করে। আর ইভা
হাসছে হিহি করে কিন্তু ও আমার দিকে তাকিয়ে
হাসছে মানে নিচের দিকে। তারমানে আমি কি নিচে
কিছু পরিনি? হায় হায়,,নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি
ছোট্ট একটি প্যান্ট পরা। আর তা দেখেই ইভা
হাসছে।
আমি ফ্রেম হতে গেলাম। আজ তাহলে বিয়ে। যাক
বাবা বাঁচলাম আজ বিয়ে হলে কালই চলে যাবো এখান
থেকে। আমি কারো বিরক্তির পাত্র হতে চাই না। যার
কাছে সবার প্রোপোজ বড় হয় ভালোবাসার
থেকে তার থেকে দুরে থাকায় ভালো।
.
দুপুরের সময় রওনা দিলাম বর যাত্রীর কারনে। আমি
মাক্রবাসের সামনে বসলাম। আর পিছনে বসেছে
ইভা, অদ্রিতা, মাহিম, শিমি, অপু আরো পিচ্চিরা। হঠাৎ
করেই চোখ গেল ব্যাক গ্লাসের দিকে। দেখি
ইভা আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমি
ঘুরে পিছনে তাকাতেই ইভা মুচকি হেসে চোখ
সরিয়ে নিল। সারাটা রাস্তা ইভা আমার দিকে তাকিয়ে ছিল।
কিন্তু কেনো? সবটা সময় এই কেনোর উত্তর
খুজে চলেছি কিন্তু পায়নি।
বিয়ে বাড়িতে নামতেই দেখি একদল মেয়েরা
সামনে দাড়িয়ে গেট আটকে ধরল। আমি ইভার
দিকে তাকালাম দেখি তখনও তাকিয়ে আছে।
- গেট সাজানোর বখশিশ দিতে হবে না হলে
ভিতরে প্রবেশ নিষেধ। (একটি সুন্দর লাল শাড়ি পরা
মেয়ে সামনে এগিয়ে এসে কথাটি বললো)
- অবশ্যই মা, কিন্তু কত টাকা চাচ্ছো তোমরা? (ইভার
আব্বু)
- ২০ হাজার টাকা। (মেয়েটি)
- কিহহহ? ২০ হাজার টাকা? এতটাকা কেনো? (আব্বু)
- আমাদের বখশিশ। নাহলে বর ঢুকবে না।
এভাবে এক কথায় দু কথায় বেশ জমিয়ে এক চোট
ঝগড়া লেগে গেল। আমাদের মুরুব্বিরা সরে
যেয়ে ভাইয়ার কিছু বন্ধু আর আমাদের কাজিনরা
মিলে তর্ক ঠেলতে লাগলো। আমি চুপকরে
দাঁড়িয়ে শুনছি আর ইভার দিকে তাকাচ্ছি। অবাক হলাম
কারন ইভা আজ অনেক চুপচাপ হয়ে আছে। কিন্তু ও
তো এমন চুপ করে থাকা মেয়ে না। ২০ হাজার টাকা
দেয়া বড় কথা না। কিন্তু এরা এত নিবে কেনো?
কোনো কিছুতেই ছেলে পক্ষরা পারছে না
মেয়েদের সাথে। শেষে বিরক্তি হয়ে আমি
সামনে এগিয়ে গিয়ে বললাম...
- কি সমস্যা আপনাদের?
- দেখতে পাচ্ছেন না নাকি কানা? (মেয়েটি)
- আব্বু ২০ হাজার টাকাই দাও। আর ভাইয়াকে এখানে
বিয়ে দিবো না। কারন ২০ হাজার টাকার জন্য মনে হয়
এরা বিয়ে দিচ্ছে। তাহলে টাকাটা দিয়ে দাও ভাইয়াকে
বাড়িতে নিয়ে চলো। যেন মনে হচ্ছে কন্যাকে
আমরা টাকা দিয়ে কিনতে এসেছি।
কথাটি বেশ জোরেই বললাম। বিয়ে বাড়িতে
নির্জনতার ছায়া পড়ে গেল। কারো মুখে
কোনো কথা নেই। সবাই আমার দিকে তাকিয়ে
আছে। আমি সবার দিকে একবার করে তাকালাম।
সামনে দাড়িয়ে থাকা মেয়েটি চোখ বড় করে
তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে এটা কন্যার কোনো
বোন হবে। তখনি একজন মুরুব্বি লোক জোরে
হেটে এসে সামনে দাড়িয়ে বললো..
- এসব কি বলো বাবা? বিয়ের দিনে কি কেও বর
নিয়ে চলে যায়?.
- তো আমরা বিয়ে করতেই তো এসেছি তাই না।
কিন্তু আপনারা তো মনে হয় সেটা চান না।
- সরি বাবা, আসো ভিতরে আসো। ওরা তো বাচ্চা
তাই বুঝেনি। আর টাকা দিয়ে কন্যা কিনতে
এসেছো? হাহাহা,,আসো ভিতরে আসো।
- নাহ আমরা তো এখন ভিতরে আসবো না। গেট
সাজানোর টাকা সবটাই দিবো তারপর।
তখনি পকেট থেকে চেক বের করে সামনে
দাড়িয়ে থাকা মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললাম..
- এই নিন গেট সাজানোর টাকা। আর পারলে সাইড হন।
যার বিয়ে তার খোজ নেই পাড়াপড়শির ঘুম নেই। এটা
তেমনই হলো মিস পেত্নীদের দল।
.
to be continue...........

No comments :

Post a Comment