Friday, October 19, 2018

ভালোবাসার গল্প - অদ্ভূত ভালোবাসা পর্ব 29 এবং 30

1 comment

#অদ্ভুত_ভালোবাসা
পর্ব :২৯+৩০
_____অন্না
,
বলতেই ঠাসসসস করে একটা আওয়াজ হয়,,,
হ্যা আপনারা যা ভাবছেন তাই,, নীরার গালেই একটা পরলো,, আশে পাশের সব মানুষের দৃষ্টি ওদের দিকে কফি সোপের ম্যানেজার এসে সব মানুষদের বের করে নিয়ে যায়, কারন এটা নিলয়ের কফি সোপ,,,, এটা নীরা জানে না,,,, ;
,
নীলা গালে হাত দিয়ে চুপ করে বসে আছে, নিলয় আবার ও না চাওয়া সত্তেও নীরার গায়ে হাত তুললো,, নিলয় ঠাস করে নিজের হাত টেবিলের ওপর বারি মারে,,, নীরা চমকে উঠে আবার কাদতে শুরু করে দেয়,,, , নিলয় দাড়িয়ে লাথি মেরে চেয়ার ফেলে দিয়ে পায়চারি করছে ,,,,,, নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে,,, কিন্তুু পারলো না,,,,চিল্লিয়ে ওঠে,,,,,,
,
> ছেরে দিয়ে রেখেছি জন্য পাখা গজিয়েছে? পাখা? একদম পাখা কেটে ঘরে বসিয়ে রাখবো,,,, সাহস কি করে হয় আমায় ছেরে যাবার কথা তুমি মাথাতে নিয়ে আসো,,,আমি তোমায় বলেছি না আমি বেচে থাকতে তোমায় আমি আলাদা করবো না,,, কি করতে এসেছো এখানে হ্যা কি করতে?
,
> নিজেকে কি মনে করো তুমি কিছু করতে গেলে আমি জানবো না? তোমার দুনিয়াটা আমার গন্ডির মধ্যে,,,, কোন সাহসে তুমি সকালে আমাকে কিছু না বলে এখানে এসে এতো বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছো? কোন সাহসে????
,
বলেই টেবিলে আবার হাত দিয়ে বারি মারে নীরা তো লাফিয়ে ওঠে,,,,,
,
> তুমি কি ভাবো আমায় হ্যা কি ভাবো, তোমার কি ধারনা আমি আলো কে ভালোবাসি? তুমি বোঝা আমার কাছে? সেইটা মনে হবার কারন কি বলো ,,,, তোমার এমন কোনো কথা বলছি?? নাকি কোনো মেয়েকে তোমার সামনে দিয়ে আমার ঘরে তুলেছি? বলো,,,,
,
নীরা::::......
,
> মন আমার এটা কোনো পাবলিক প্লেস না, যে যখন তখন কেউ আসবে আর চলে যাবে,
,
, ভালোবাসি তোমাকে আমি,,,, তুমি বাসো আর নাই বাসো আমার সাথেই তোমার থাকতে হবে,,
,
নীরা:.......
,
> ভালোবাসোনা যানি কিন্তুু এভাবে আমায় দুরে ঠেলে দিবে আমায়?
এতই অসহ্য লাগে আমায়? এতই বিরক্ত লাগে????
,
নীরা::::.......
,
> এখন বুঝবা নাতো আমাকে আর আমার ভালোবাসাকে,,,, যখন থাকবোনা তখন খুজো আমায়,,,
,
নিলয়ের কথা শুনে নীরা জোরে কেদে ওঠে,,,
নীরার কান্না নিলয় সহ্য করতে পারে না ধুপ করে নীরাকে টেনে তুলে বুকের সাথে জরিয়ে ধরে,,,,নীরা আরো ফুপিয়ে কান্না করে উঠে,,,,,
,
নিলয়::::: আরে মেয়ে বুঝনা কেনো আমি যদি আলোকে ভালোবাসতাম তাহলে আজ আমার ঘরে আলো থাকতো তুমি না,, আলো বিগত ৩ বছর অফিসে কাজ করছে,,,,আমি তো কোনোদিন অফিসে পা দিয়েও দেখিনি তোমার জন্যই আমি অফিসে যাওয়া শুরু করেছি,,,
,
কি করে বোঝাই তোমায় নীর পাখি বলো,,, নীরা নিলয়ের ওপর অধিকার দেখাক আর না দেখাক, ভালোবাসুক আর না বাসুক নিলয় শুধুই নীরারই থাকবে,,,, অনেক ভালোবাসি তোমায় জান পাখি,,,,,
,
নীরা চুপচাপ নিলয়ের কথা শুনছে আর কাদছে,,, নিলয় নীরাকে চেয়ারের ওপর বসিয়ে আর একটা চেয়ার টেনে ওর পাশে বসে,,,, নিলয় নীরার দিকে তাকিয়ে দেখলো ওর গালে পাচ আঙুলের ছাপ বসে গেছে,,,,,,
,
নিলয় নীরার দুগালে হাত দিয়ে মুখ টা উচু করে ধরে,,,,,
,
নিলয়:: খুব লেগেছে জান পাখি?
,
নীরা:::,,,,,
,
নিলয়::::: তুমি জানোই আমি সব সহ্য করলেও তোমার আমার থেকে দুরে যাওয়া সহ্য করতে পারি না,,, কেনো বাধ্য করো আমায় তোমার গায়ে হাত তুলতে,,,
,
নীরা কিছু বলছে না,,,, নিরবে চোখের জল ফেলছে,,,
,
নিলয় নীরাকে কাছে টেনে নিয়ে কোলের ওপর বসিয়ে নেয়,,, তারপর এক হাত দিয়ে বুকের সাথে জরিয়ে ধরে আর এক হাত নীরার চুলের মধ্যে দিয়ে নীরার মুখটা নিজের দিকে এগিয়ে নিয়ে এসে দু চোখের পাতায় আলতো করে নিজের ঠোট ছোয়ালো,,, নীরা নিজের চোখ বন্ধ করে নেয়,,,, কিন্তুু চেখ দিয়ে পানি বের হতেই থাকে,,,, নিলয় নীরার চোখের টানি মুছে দিয়ে গালো অজস্র ভালোবাসার পরশ দিয়ে ভরিয়ে দেয়,,,,
,
নীরা চোখ বন্ধ করেই ভাবতে থাকে,,,,
> আমি তোমাকে ভালোবেসে ভুল করিনি নিলয়,,,, আমি জানি তুমি আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসো,,,, কিন্তুু আমি নিজের চোখে যেটা দেখলাম সেটা কি করে অবহেলা করি বলো তো,,,, মানলাম তুমি আমাকেই ভালোবাসো তাহলে আলোর সাথে,,,,,,,
,
ভাবতে ভাবতেই নীরার হাতে কয়েক ফোটা গরম পানি পরলো,,,, নীরা চোখ খুলতেই দেখে নিলয় ওর দিকে অপলোক চেয়ে নিরবে কান্না করছে,,,,
,
নিলয়:::: আমাকে মাফ করে দাও জান পাখি,আমি তোমাকে মারতে চাইনা,,,, কেনো তুমি আমাকে বোঝো না বলো,,,কেনো তুমি আমাকে দুরে সরিয়ে দেবার চেষ্টা করো,,,
,
আমি তো বলিনি তেমায় আমাকে ভালো বাসো,, আমি চাই তুমি আমার পাশে থাকো, ভুল হলে আমায় শাষন করো,,, তোমার পৃথিবীতে শুধু আমার আনাগোনা হবে শুধু আমার,,,, ভালোবেসে কাছে না থাকো অবহেলা করেই থাকো,,, তবুও আমায় ছেরে যেওনা নীর পাখি,, আমি তোমাকে ছেরে থাকতে পারবো না,,, ভালোবাসি তোমায় জান পাখি অনেক ভালো বাসি,,,,
,
নীরা কি বলবে বা ওর কি বলা উচিৎ ও ভেবে পাচ্ছে না,,,, কারন যে ছেলেটা ওকে বলতে পাগল সেই ছেলেটাকেই অন্য কারো কাছে তুলে দিতে এসেছিলো ও,,,, কিন্তুু অফিসে ওর আলোকে হাত ধরার কথা কিছুতেই মন থেকে বের করতে পারছে না,,,,,, নীরা নিলয়ের কোল থেকে নামতে লাগলেই নিলয় নীরার কোমড় দুহাত দিয়ে নিজের কাছে টেনে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে নীরার ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দেয়,,,, নীরা নিলয়ের হাত খামচে ধরে,,,,,,
,
বেশ খানিক পরে নিলয় নীরাকে ছেরে দেয়,,,,
,
নিলয়;;:: নীর পাখি আর কখনও আমাকে ছেরে যাবার কথা মাথাতেও আনবা না,,,, আমি তোমাকে ছারা থাকতে পারবো না,,, চলো বাসায় চলো,,,,
,
নীরা::;: একটা কথা বলবো,,,,
,
নিলয়:::; বলো না জান পাখি,,,,
,
নীরা ::;; আপনি যদি মনে করেন আমার জন্য আপনাদের কোনো সমস্যা হবে তাই আপনি আপনার কাছে রেখে দিচ্ছেন,,, তাহলে আমায় বলতে পারেন,,,,
,
নিলয়:::: মানে,,,
,
নীরা :::: না আপনার সাথে যদি আমার ডিভোর্স না হয় তো আপনি আলোকে বিয়ে করতে পারবেন না, আর ডিভোর্স দিতে গেলে আমার পরিবার বা আমি যদি কোনো সমস্যা করি সেই জন্য আপনি আমাকে ছারতে চাইছেন না,,, তাহলে একটা কথা বলি,আপনার আমার বিয়ে টা শরীয়ত মতে কাবিননামা দিয়ে হয় নি,,, শুধুমাত্র একটা সই দিয়ে হইছে,,,, এটাকে বিয়ে বলে না,,, তাই যেমন একটা সই দিয়ে আমরা এক সাথে আছি তেমনি একটা সই দিয়ে আলাদা থাকতে পারবে,,,, আর সব থেকে বড় কথা আপনার আর আমার মধ্যে এমন কিছু হয় নি যাতে ভবিৎষতে কোনো সমস্যা হবে,,,,
,
নীরার কথা গুলা সোনার সাথে সাথেই নিলয়ের মুখের রং টা আবার পালটে গেলো ,,,, আবির চেয়েছিলো নিজের উপার্জনের টাকায় নীরাকর ধুমধাম করে সবার সামনে দিয়ে বিয়ে করে নীরার ওপর থেকর নিজের অধিকার টা আদায় করে নিবে,,,, কিন্তুু নীরার কথায় নিলয় রেগে আগুন,,,
, সাহস হয় কি করে নীরার ওর সামনে দারিয়ে এসব বলছে,,,, কাবীননামা হয়ে বিয়ে হয় নি আর কি বললো ওর আর আমার মধ্যে তেমন কিছু হয় নি,,,,, ও কি ভাবছে আমি কিছু করিনি জন্য সহজেই অন্য কারো কাছে চলে যাবে,,,,
নিলয় দেখবে আজ কের ঘটনার পরে তুমি কি করে অন্যের কাছে যাবার চেষ্টা করো,,, তোমার কথাই থাক যেটা পরে হবার কথা ছিলো সেটা আগেই হবে,,,,,
,
নিলয় ধুম করে বেরিয়ে গেলো,,, নীরা চুপচাপ বসে পরে,,,, ঘন্টা খানিক পরে আচমকা এসে নীরাকে কোলে তুলে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দেয় ,,,, তারপর কাজী অফিসের সামনে গাড়ি দার করায়,,,, নীরা শুধু হা হয়ে নিলয়ের দিকে তাকিয়ে আছে,,,, নিলয় গাড়ি থেকে নেমে নীরার হাত ধরে টানতে টানতে গাড়ি থেকে নামিয়ে হাত ধরে টানতে টানতে ভেতরে নিয়ে যায়,,,,, নীরা বুঝতে পারে আজ ওর সাথে কি ঘটতে চলেছে,,,,,
,
continue,,,,,,,,,,,,♥♥♥
,
,
♥♥অদ্ভুত ভালোবাসা♥♥
পর্ব :৩০
____অন্না
,
নিলয় ধুম করে বেরিয়ে গেলো,,, নীরা চুপচাপ বসে পরে,,,, ঘন্টা খানিক পরে আচমকা এসে নীরাকে কোলে তুলে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দেয় ,,,, তারপর কাজী অফিসের সামনে গাড়ি দার করায়,,,, নীরা শুধু হা হয়ে নিলয়ের দিকে তাকিয়ে আছে,,,, নিলয় গাড়ি থেকে নেমে নীরার হাত ধরে টানতে টানতে গাড়ি থেকে নামিয়ে হাত ধরে টানতে টানতে ভেতরে নিয়ে যায়,,,,, নীরা বুঝতে পারে আজ ওর সাথে কি ঘটতে চলেছে,,,,,
,
নিলয়:::: কাজী সাহেব বিয়ে পরানো শুরু করেন ,,,,
,
নীরা::;; এভাবে আমি বিয়ে করবো না,,,,
,
নিলয়::: কেনো নীর পাখি? তুমি না বললা আমাদের বিয়ে টা কাবীননামা না হলে স্বীকৃতি পাবে না,,, তোমার ইচ্ছাতেই তো এটা হচ্ছে,,,( রাগে কটমট করতে করতে কথাগুলো বলে),
,
নীরা:::: মা,বাবা,মামুনি, বাবাই,তিশা এদের বাদ দিয়ে আমি এ কাজ করতে পারবো না,,,
,
নিলয়:::: আমিও সেটাই চাইছিলাম কিন্তুু তোমার বড্ড তারা আমার কাছ থেকে পালানোর,,,, তোমাকে তো আটকাতে হবে বলো জানপাখি( দাতে দাত চেপে)
,
নীরা::;:; (আল্লাহ্ এটা হবারই বাকি ছিলো আমি উনাকে আটকাই কি করে,, এই স্টুপিড এর মতো কাজটা কেনো করতে গেলাম আমি,,,)
,
নিলয় নীরার কানের কাছে গিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে,,,
,> আমার রাগ টা আর বারাবেন না,,, অনেক কষ্টে রাগ টা কন্ট্রোল করে রাখছি,,, এবার কিন্তুু তান্ডব করে দিবো,,,,,
,
নিলয়ের কথা শুনেই নীরা চুপ মেরে বসে যায়,,,, নীরা বুঝতে পারে এই ছেলেকে আর কোনো ভাবেই বোঝানো সম্ভব না,,,,,
,
বিয়ের এক পর্যায়ে নীরাকে কবুল বলতে বললে নীরা চুপ করে থাকে,,,, কিছুতেই কবুল বলে না,,,, নিলয় এতে আরো রেগে যায়,,,চিল্লিয়ে উঠে,,,,
,
নিলয়:::: কবুল বলবা নাকি খাবে আর পাচ টা কানের নিচে,,,,,
,
নীরা নিলয়ের কথা শুনেই
,
নীরা:::: ক,,,,,,,,,
,
নিলয়::::what the,,,,,,
,
নীরা:::: ক,,,,,বু,,,,ল
,
বিয়ে টা নিলয়ের রাগে ভালোভাবেই শেষ হয়ে যায়,,, এবাে বাসায় ফেরার পালা,,,, নীরা আর গাড়িতে ওঠে না,,,,গাড়ির পাশে চুপচাপ দারিয়ে আছে,,, কারন নিলয়ের রাগ একটুকুও কমে নি,,,,ও যে এমন একটা কাজ আবার করতে পারে কেনোদিন ও ভাবে নি,,,,,
,
নীরা:::( এই ছেলেটা আজ আমায় আস্ত রোস্ট বানিয়ে খাবে,,,, আল্লাহ গো বাচাও আমায়,, আমার কাজ কি ভুল ছিলো,,, আমার দেখার মধ্যে কি কোনো ভুল ছিলো,,,, যদি সত্তিই ভুল থেকে থাকে তো আজ আমার কপালে দুঃখ আছে,,,, আমি ওর সাথে যাবো না,,, কি করি,,, করি,,,,, হ্যা চুপচাপ কেটে পরি,,,)
,
নীরা ভেবে ভেবে চুপচাপ কেটে পরে,,, রাস্তায় এসে রিক্সা ডেকে যেই না উঠতে যাবে তখনই নিলয় নীরার হাত টা ধরে,,,,
,
নীরা:::: কোন শয়তান রাক্ষস রে আমার হাত,,,,,,,,,,
,
নীরা তাকিয়ে দেখে নিলয় রাগি লুক নিয়ে নীরার হাত টেনে ধরে দাড়িয়ে আছে,,,,
,
নীরা:::: আ,,,,,প,,,,,,নি???আ,,,,,স,,,,লে আমি,,,, আমি,,,,, আমি আপনাকেই খুজতেছিলাম,,,, কই গেছিলেন???
,
নিলয় চুপ করে আছে,নীরা ভালোকরেই বুঝতে পারে ওর কথাটা টা নিলয় মোটেই বিশ্বাস করে নি,,,,,
,
নীরা::::: আমি,,,, পানি খাবো
,
নিলয়' নীরার কথা শুনে ওর হাত আলতো করে ধরে গাড়িতে এনে বসিয়ে দেয়,,,, তারপর পানির বোতলের মুখ খুলে নীরা হাতে ধরীয়ে দেয়,,,, নীরা ঢকঢক করে পানি খেয়ে নিলয়ের দিকে আস্তে আস্তে আস্তে নিলয়ের দিকে তাকালো,
কিন্তুু নিলয় সেই একই লুকে এখনও নীরার দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,,,,,
,
নীরা :::;; বাসায় যাবো,,,,
,
নিলয় কিছু না বলেই ধপ করেই গাড়ির দরজা লাগিয়ে দিয়ে গাড়িতে উঠে ড্রাইভ করতে শুরু করে,,,,রাস্তাটা নিলয়ের বাড়ির দিকে না যেয়ে বাংলোর দিকে যেতে দেখেই নীরা চিল্লিয়ে ওঠে,,,,,
,
নীরা:::: আপনি আবার এখানে যাচ্ছেন কেনো আমি বাসায় যাবো মামুনির কাছে,, আমি এখানে যাবো না,,,,
,
নিলয় নীরার সাথে কোনো কথাই বলছে না,,, চুপচাপ ড্রাইভ করে যাচ্ছে,,,, নীরা বেচারি চিল্লিয়ে চাল্লিয়ে থেমে গেলো,,,নিলয় বাংলোতে ঢুকে গাড়ি পার্ক করে নীরাকে নামতে বলে. নীরা চুপ করে বসে থাকে,,,, আর নিলয় নীরাকে টেনে কোলে তুলে নিয়ে বাসার মধ্যে নিয়ে যায়,,,,,,,, বাসার মধ্যে এসে নিলয়ের রুমের সামনে নীরাকে নামিয়ে দিয়ে হাতটা চেপে ধরে রুম টা খুলে দেয়,,, নীরা অবাক হয়ে যায় রুম টা দেখে,,, কারন পুরা রুম ফুলে ডেকোরেশন করা,,,,,, মনে হচ্ছে কেউ ফুল দিয়ে পুরা রুম ঢেকে দিছে,, নীরার রুমটা দেখে মন টা পুরাই ভালো হয়ে যা,,, মন খুলে হাসি দিয়ে রুমে ঢুকে যায়,,,, কিন্তুু নীরা এ ফুলের ব্যপার টা বুঝতে পারেনা,,, নীরা ফুল গুলো নেড়েচেরে ফুলের ঘ্রান নিচ্ছে,,,, হঠাৎই নীরার মুখটা শুকিয়ে যায়,,, ও বুঝতে পারে এ ফুলের পিছে কারন কি আর নিলয়ের এসব করার পিছের কারন কি,,,, নীরা দৌড়ে রুম থেকে বের হতে গেলেই নিলয় এক হাতে নীরার কোমড় জরিয়ে ধরে নিজের কাছে টেনে নিয়ে আর এক হাত দিয়ে দরজা লক করে দেয়,,,,,
,
নীরা::::;ছারুন আমায়,,প্লিজ ছারুন,,,,, আমি এসবের জন্য এখনও তৈরি হই নি,,,, আমার সময়,,,,
,
তার আগেই নিলয় নীরার ঠোট দুটি নিজের আয়ত্তে করে নেয়,,,,,, নীরা লাফালাফি শুরু করে দেয়,,,, নিলয় নীরারে টেনে একেবারে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়,,, আস্তে আস্তে নীরার কোমড় থেকে হাত নামিয়ে পেটে স্লাইড করতে থাকে,,,,, নীরা ধাক্কা দিয়ে নিলয়কে সরিয়ে দিয়ে ঠোট মুছতে মুছতে রুম এর দরজা তে হাত দেয়,,,, নিলয় গিয়ে নীরাকে কোলে তুলে নিয়ে এসে বিছানার ওপর শুইয়ে দেয়,,,,,
,
নীরা:::; কাজটা মোটেই ভালো করছেন না,,,, আমার সময় লাগবে আপনাকে মেনে নিতে,,,,,
,
নিলয় নীরার কেনো কথাই কানে নিচ্ছে না, নিজের শার্টটা খুলে ফ্লোরে ছুরে মেরে নীরার ওপর ঝুকে পরে,,,,নীরা উঠে যেতে লাগলে নিলয় নীরার দুহাত নিজের আঙ্গুলের ফাকে নিয়ে শক্ত করে ধরে বন্দি করে নেয়,,, তারপর আবার নীরার ঠোটে কিস করতে গেলে নীরা মুখ ঘুরিয়ে নেয়,,,, এতে নিলয়ের রাগটা ওভার হয়ে যায়,,,, এক ঝটকায় নীরার বুকের ওপর থেকে শাড়ির আচলটা সরিয়ে নীরার ওপর ওর অধিকার টা পুরন করতে ব্যাস্ত হয়ে পরে,,,,,
,
নীরা বাধা দিয়েও পেরে উঠছে না নিলয়ের সাথে,,,, নিলয় আজ ভালোবাসা দিয়ে নীরাকে ভরিয়ে দিচ্ছে না,,, নিজের রাগ টা কমানোর চেষ্টা করছে,,,,নীরার দোষ একটাই ও বারবার নিলয়ের কাছ থেকে পালানোর চেষ্টা করে,,,,
,
নীরা চুপচাপ নিলয়ের দেওয়া এ শাস্তি সহ্য করতে থাকে,,,,,,,,,,
,
#continue,,,,,,,,,,,,,,,♥♥♥
,

1 comment :

  1. আরো নতুন নতুন Golpo, কবিতা, জোকস পড়তে ভিজিট করুন
    www.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete