Friday, October 26, 2018

না বলা ভালোবাসা পর্ব ২

No comments

না বলা ভালোবাসা♥♥
লেখিকাঃ-সামা
পর্বঃ-০২
....
হঠাৎ করেই তানজিলের মনে পরে যায়
সামার বলা একটা কথা যা তানজিলকে সামা
তাদের বিয়ের আগে বলেছিলো।তাই
তানজিল আর দেরি না করে সামার বের
হওয়ার আগেই রুমটাকে সামার মনের
মতো করে ফেলতে শুরু করে।সামা
ফ্রেশ হয়ে ওয়াসরুম থেকে বের
হয়ে যা দেখতে পায় তা দেখে সে
রীতিমতো চমকে যায়।রুমের লাইট
অফ আর কোনায় কোনায় ছোট বড়
অনেক রকমের মোমবাতি।মিষ্টি একটা
গন্ধ সারাটা রুম জুরে।হালকা হালকা নিভো
নিভো আলোতে ঘরের সুন্দরর্য
যেন আরো কয়েক গুন বেরে
গেছে।ঠিক সেই সময় তানজিল সামার
সামনে এসে দাঁড়ায়।সামাকে
বলে....................
তানজিলঃ-কি গল্প করবা না সারারাত আমার
সাথে?????
সামাঃ-তোমার মনে আছে এই
কথাটা??????
তানজিলঃ-তোমার বলা সব কথা সারাজিবন
মনে থাকবে আমার বুঝলেন মেডাম
(কথাটা বলেই আবার তানজিল হেসে
দিলো)
সামাঃ-(সামা শুধু ভয়ে ওর ওড়নাটা হাতের
আঙুলের সাথে পেচাচ্ছিলো)
তানজিলঃ-আই
সামাঃ-জি
তানজিলঃ-তোমার হাতটা যদি ধরতে চাই
তাহলে কি কিছু মনে করবা??????
তানজিলের মুখ থেক এই কথা শুনে
সামার ভয়টা যেন আরো বেরে যায়।
আসলে এইটাকে ভয় বললে ভুল
হবে।এখন সামার মধ্যে যেই জনিসটা
কাজ করছে তা হলো লজ্জা।যেই
মানুষটার সাথে এতদিন শুধু এফবিতেই কথা
হয়েছে তাকে হঠাৎ এইভাবে কাছে
পাওয়া তাও আবার তার স্বামী হিসেবে।
এখন যদি তানজিল তার কাছে আসতে চায়
তাহলে তাকে কিভাবে গ্রহন করবে
এইসব কিছুই সামার মাথায় এটে
বসেছিলো।সামার মুখ দেখে তানজিল
ঠিকি বুঝতে পারে যে সামার মনের
মধ্যে কিছু চলছে।তাই সে সামাকে
বলে....................
তানজিলঃ-ভয় পেয়ো না আজকে শুধু
তোমার হাতটাই ধরবো
সামাঃ-(এখনও চুপ করে মাথা নিচু করে
আছে)
তানজিলঃ-কি..............এইটুকু অধিকার কি
আজকে রাতটায় আমাকে দিবা না?????
তানজিলের মুখ থকে এই কথা শুনে
সামার নিজের উপরই নিজের রাগ হয় এই
ভেবে যে সে কি সব উলটা পাল্টা
জিনিস ভাবছে।এখন তানজিল তো আর
তার জন্য বাইরের কেউ না আর না এফবি
ফ্রেন্ড।এখন সে তার স্বামী তাই তার
উপর তানজিলের সম্পুর্ণ অধিকার
আছে।তাকে বাধা দেওয়ার আমি কে।
তাই আর বেশি না ভেবে নিজের হাতটা
তানজিলের সামনে দেয়।আর সাথে
সাথে তানজিল সামার হাতটা পরম
ভলোবাসায় নিজের হাতের আয়ত্তে
নিয়ে নেয়।এইভাবেই দুই জন দুই
জনের হাতে হাত রেখে সেই মধুময়
রাতটা পার করে দেয়।এইদিকে সকাল
হতে না হতেই সারা বাড়ি ভরে যায়
মেহমানে।আর ভরবেই বা না কেন
নতুন বউ বাড়িতে আছে বলে কথা।সবাই
তানজিলকে সেই কখন থেকে একটাই
প্রশ্ন করে যাচ্ছে যে তার বউ কই
আর তানজিল সবাইকে এক উত্তর দিয়ে
দিয়ে হাপিয়ে যাচ্ছে।অবশেষে আর
না পেরে তানজিল সামাকে ডেকে
আনার জন্য তাদের রুমে চলে যায় আর
যেয়ে যা দেখতে পায় তা দেখে
আর তানজিলের চোখের পলক
পরলো না।সে এক দৃষ্টিতে তার সামার
দিকে চেয়ে ছিলো।সামা কেবলি
গোসল করে বের হয়েছে।একটা
পিয়াজু কালারের জামদানি শারি আজকে
পরেছে সে।চোখে হালকা কাজল
আর ঠোটে লিপস্টিক।তার সাথে ভিজা
চুল আর তা থেকে পরা টপ টপ পনি
যেন তার সুন্দরর্যকে আরও কয়েক
গুন বারিয়ে দিচ্ছিলো।কিন্তু সামা
কিছুতেই তার শারির কুচি ঠিক করতে
পারছিলো না।যতবারই কুচিগুলাকে
একসাথে করছিলো ততবারই তা হাত
থেকে ছুটে যাচ্ছিলো।এই কান্ড
দেখে তানজিল দূরে দারিয়েই
হেসে দিলো।তানজিলের হাসি শুনে
সামা তারাতারি করে শারির আচলটা বুকের
উপর ঠিক করে নিয়ে তানজিলের দিক
চোখ কুচকিয়ে বলে..................
সামাঃ-হাসতেছ কেন তুমি?????
তানজিলঃ-সরি রাগ করো না কিন্তু না
হেসে পারলাম না
সামাঃ-ভালো
তানজিলঃ-শারি পরতে পারো না নাকি?????
সামাঃ-একবারেই পারি না যে তা না কিন্তু
বাসায় কখনো একা শারি পরি নাই তো তাই
একটু প্রব্লেম হচ্ছে
তানজিলঃ-আচ্ছা আমি তিথিকে ডেকে
দিচ্ছি ও এসে হেল্প করুক তোমাকে
সামাঃ-আমি ওকে ডাক ছিলাম কিন্তু ও মনে
হয় মায়ের হেল্প করতেছে তাই
আসতে পারে নাই এখনও
তানজিলঃ-আচ্ছা আমি হেল্প করলে কি
কোন প্রব্লেম হবে????
সামাঃ-তুমি কিভাবে হেল্প করবা
আমাকে............তুমি কি শারি পরাতে
পারো নাকি??????????
তানজিলঃ-পরাতে না পারি ধরে রাখতে
তো পারবো...........তোমার হাত
থেকে তো বারবার ছুটে যাচ্ছে।
সামাঃ-হা তা পারো
তানজিলঃ-জি মেডাম
সামাঃ-আচ্ছা এইদিকটা ধরো
তানজিলঃ-ওকে
তারপর তানজিলের সহয়তায় অবশেষে
সামা শারির কুচিটা ঠিক মতো করতে
পারে।তানজিল যখন কুচি করার সময় সামার
হেল্প করছিলো তখন সামা মাঝে
মধ্যে তানজিলের দিক চেয়ে হালকা
একটা হাসি দিচ্ছিলো।শুধু সামা কেন ঐ
সময় যে কেউই তানজিলকে
দেখলে হেসে দিতো।সে
এমনভাবে সামার কুচি ঠিক করায় ব্যস্ত
হয়ে পরছিলো যেন মনে হয় সে না
জানি কত দরকারি কাজ করছে।শারির কুচিটা
ঠিক করার পর যখন তানজিল সামাকে কুচির
গোছাটা হাতে দিতে গেলো ঠিক
তখনি সামার ফোনটা বেজে উঠল।
ফোনের দিকে তাকাতেই সামা একরাশ
হাসি মুখে নিয়ে চিল্লায়ে উঠে কারন
ফোনটা তার বাসা থেকে এসেছে।
কিন্তু ফোনটা বিছানায় উপর থাকায় সে
ধরতে পারছিলো না।আর ফোনটা
আসার সাথে সাথেই সে তা ধরার জন্য
এতটাই অস্থির হয়ে যায় যে তার মনেই
থাকে না যে তার শারির কুচিটা তানজিলের
হাতে।সামা যখনই ফোনটা ধরার জন্য
সরতে নেয় ঠিক সেই সময়ই তানজিল
সামাকে একটান দিয়ে তার একদম কাছে
নিয়ে আসে আর এতটাই কাছে যে দুই
জন দুই জনের প্রতিটা নিশ্বাস পর্যন্ত
গুনতে পারছিলো.......................।
চলবে........................................

No comments :

Post a Comment