শয়তান শিক্ষক পার্ট ১০

#Devil_Teacher
#part - 10
রিতু : আমাদের নতুন বৌ ভার্সিটিতে
তানিশা : তো! তুই কি চাস আমি পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে বাড়ির কাজের বুয়া হয়ে যাই
নীলা : এই তুই সবসময় এমন ভাবে কথা বলিস কেন?
তানিশা : আমি আবার কি করলাম!
নীলা : বাড়ির বৌ টুকটাক কাজ করে তাই বলে কাজের বুয়া, এটা কেমন কথা?
রাফি : আচ্ছা বাদ দে,, চল সবাই মিলে ফোসকা খাই।
রিতু : হুম চল, আজকে treat তানিশা দিবে
তানিশা।
তানিশা : কি! আমি খাওয়াবো কেন?
নীলা : তোর বিয়ে উপলক্ষে খাওয়াবি
তানিশা : তোর ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে তুই খাওয়া
নীলা : ভাইয়া যে তোকে কি দেখে বিয়ে করছে, আল্লাহ জানে। হাড় কিপটা কোথাকার ( রেগে গিয়ে )
তানিশা : তোর কারনে তো বিয়েটা হইছে, নাহলে আমার একটা সহজ সরল স্বামী থাকতো।
নীলা : তুই আসলে একটা পাগল,,,
রাফি : থাক তোদের খাওয়াতে হবে না, আমি খাওয়াবো তাও ঝগড়া করিসনা।
রিতু : হুম চল,,,
নীলা : আরে এটা সিন্থিয়া ম্যাডাম না? ( ফোসকা খেতে খেতে )
রিতু : হুম, ম্যাডাম back করছে তো
তানিশা : কবে!
রিতু : তোর বিয়ের আগে
তানিশা : এই তোরা একটু বস, আমি ম্যাডামের সাথে দেখা করে আসি ( খুশি হয়ে )
--- আমি ম্যাডামের সাথে দেখা করার জন্য অফিসকক্ষে গিয়ে দেখি devil টা ম্যাডামের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে। এতো হাসির কি আছে? কই আমার সাথেতো কখনো হেসে কথা বলেনা, সবসময় রাগ দেখায় ফাজিল ছেলে। আর কি এমন কথা বলছে? আমি দরজায় লুকিয়ে আছি শুনার জন্য কিন্তু কোন কথা শুনা যাচ্ছেনা, তাহলে এতক্ষণ কি করছে ভিতরে? না আর সয্য হচ্ছেনা, আমি যখনি ভিতরে যাওয়ার জন্য দরজার পা বাড়াবো দেখি devil আমার সামনে দাড়িয়ে আছে,,,
কাব্য : দরজায় লুকিয়ে কি করছো? তোমার তো এখন class থাকার কথা ( ভ্রু কুচকে )
তানিশা : আগে বলেন ম্যাডামের সাথে আপনার কিসের এতো কথা?
কাব্য : তুমি আমাকে প্রশ্ন করছো!
তানিশা : হুম, ঘরে বৌ রেখে অন্য মেয়েদের সাথে এতো হাসা হাসি কিসের? লুচু একটা
কাব্য : কি বললে!
তানিশা : কানে কি কম শুনেন নাকি? ম্যাডামকে এতো ভাললাগলে আমাকে বিয়ে করছেন কেন?
--- তানিশা রেগে চলে গেলো, কাব্য অবাক হয়ে গেলো তানিশার আচরনে। তানিশা jealous feel করছে! তার মানে তাকে ভালবাসতে শুরু করেছে। কাব্য আনমনে হাসছে তানিশার কান্ড দেখে,,,
নীলা : কিরে তোর চেহারার বারোটা বাজিয়ে রেখেছিস কেন?
তানিশা : তোর বজ্জাত ভাই devil টার কারনে
নীলা : ভাইয়া আবার কি করলো!
তানিশা : দেখছিস না ঐ শাঁকচুন্নি টার পিছে কিভাবে লেগে আছে
রিতু : শাঁকচুন্নি আবার কে!
তানিশা : কে আবার? সিন্থিয়া ম্যাডাম
নীলা : সিন্থিয়া ম্যাডামকে শাঁকচুন্নি বানিয়ে দিলি, তোর সাথে থাকলে যে আরো কত নাম শুনতে হবে আল্লাহ জানে। তুই জানিস সিন্থিয়া ম্যাডাম কে?
তানিশা : আমার জানতে হবেনা, তোরা থাক আমি যাই
নীলা : আরে কই যাচ্ছিস?
তানিশা : দেখছিস না ঐ নাগিনী কিভাবে আমার সহজ সরল devil টাকে পটিয়ে নিজের সাথে নিয়ে যাচ্ছে। আমার আর সয্য হচ্ছেনা,,
--- কথাটা বলে তানিশা চলে গেলো, সবাই তানিশার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো,,,
রাফি : আমার মনে হয় তানিশা স্যারকে ভালবাসে
নীলা : তোর মনে হয়, আমিতো 100% sure...
রিতু : শেষ পর্যন্ত তানিশা #Devil_Teacher কে ভালবেসে ফেলল।
--- তানিশা গিয়ে কাব্যর গাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে, কাব্য দেখেও না দেখার ভান করলো। তাই তানিশা বলল,,,
তানিশা : স্যার আমি বাসায় যাবো
কাব্য : তো! যাও তোমাকে কে নিষেধ করছে
তানিশা : মানে?
কাব্য : তুমিতো এখন বললা বাসায় যাবে, তো যাও
তানিশা : আমি আপনার সাথে যাবো
কাব্য : আমার একটা important কাজ আছে তুমি একা চলে যাও
--- devil টা আমার সামনে সিন্থিয়া ম্যাডামকে নিয়ে চলে গেলো, আমার জীবনটা তেজপাতা করে অন্য মেয়েদের সাথে ঘুরছে কেমন লাগে? আজকে এনাকন্ডাটা বাসায় আসুক দেখাবো মজা। কাব্য বাসায় ফিরতেই তানিশা বলল,,,
তানিশা : এতক্ষণ কোথায় ছিলেন?
কাব্য : একটা important কাজ ছিলো
তানিশা : important কাজ, নাকি সিন্থিয়া ম্যাডামের সাথে ছিলেন?
কাব্য : তাতে তোমার কি? আমি যার সাথে থাকি।
তানিশা : আমার কি মানে? আমার যদি কিছু না হয় তাহলে আমি ডিবোর্স চাই
কাব্য : কেন? ( ভ্রু কুচকে )
তানিশা : আমি আপনার সাথে থাকবো না, আপনি আস্ত একটা লুচু
কাব্য : আচ্ছা দিয়ে দেবো ( স্বাভাবিক গলায় )
--- কাব্যর থেকে তানিশা এমন কিছু আশা করেনি, রেগে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। ইচ্ছে করছে ঘরের সব কিছু ভেঙ্গে ফেলতে, টেবিলে রাখা গ্লাসগুলো একটা একটা করে ভাঙ্গছে আর বলছে,,,
তানিশা : ইচ্ছে হইছে বিয়ে করছে, ইচ্ছে হইছে ডিবোর্স দিবে আমি কি খেলনা পুতুল? আমাকে ডিবোর্স দিয়ে ঐ সাপিনীকে গলায় ঝুলাবে। হতে দিবো না, আমি ডিবোর্স দিবোনা, দেখবো কিভাবে ঐ নাগিনীকে গলায় ঝুলায়।
--- খুব জোরে জোরে কথাগুলো বলছিলো, নীলা কাব্য দুজনেই রুম থেকে বেরিয়ে আসে। নীলা কিছু বলতে যাবে কাব্য ইশারায় রুমে যেতে বলে। কাব্য কিছু না বলে তানিশার হাত ধরে রুমে নিয়ে যায়,,,,
কাব্য : কিছুক্ষণ পর পর তান্নিমাকে আর রিতুকে আমার গলায় ঝুলাও, এখন আবার সিন্থিয়া ভাবিকে? আর একবার যদি কাউকে আমার গলায় ঝুলানোর চেষ্টা করো, তোমাকে আমি ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে দেবো ( রেগে গিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল )
তানিশা : সিন্থিয়া ম্যাডাম আপনার ভাবি হয় ( করুণ দৃষ্টিতে )
কাব্য : কেন নীলা তোমাকে বলেনি? ওনার কারনে ৩ বছর পর আমি তোমাকে খুজে পেয়েছি।
তানিশা : না, তাহলে ডিবোর্সের কথা কেন বলছেন?
কাব্য : ডিবোর্সের কথা কে বলছে ( রেগে গিয়ে )
তানিশা : আমি, স্যার আমার ভুল হয়ে গেছে ( কাঁদোকাঁদো গলায় )
কাব্য : প্রত্যেকবার যদি একি কথা বলো তোমার ভুল হয়েগেছে সেটা আমি মানতে পারবোনা। তুমি ছোট বাচ্চা না যে বারে বারে ভুল করবে, আর একটা কথা যদি কোন দিন তোমার মুখে ডিবোর্সের কথা শুনি তাহলে যে তোমার কি হাল করবো তুমি কল্পনা ও করতে পারবেনা।
তানিশা : আর বলবো না। ( কাঁদোকাঁদো গলায় )
কাব্য : just shut up....
--- কাব্য রেগে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো,,,
চলবে,,,