না বলা ভালোবাসা♥♥
পর্বঃ-০৫
লেখিকাঃ-সামা
...
তানজিলের হাত সামার ঘারে
লাগার সাথে সাথে সামার সারা
শরির কেপে উঠে।সেও তার দু'চোখ
বন্ধ করে তানজিলের প্রথম স্পর্শ
অনুভব করতে থাকে।দুই জনের
মধ্যেই এক অদ্ভুত ভালো লাগার
অনুভুতি কাজ করছিলো।সামার
কপাল থেকে ঠোঁট সরিয়ে নিতেই
তানজিল দেখে সামা এখনও তার
দু'চোখ বন্ধ করে আছে।সামার ঠোঁট
দুটোও আজ তানজিলকে খুব করে
টানছিলো সামার দিকে।আর
বেশি কিছু না ভেবে তানজিল
যখনই সামার ঠোঁটের কাছে তার
ঠোঁটটা নিলো ঠিক সেই সময়ই
সেইখানে তিথি এসে উপস্থিত
হলো...........................
তিথিঃ-ভাইয়া শোন আমার...........
................আআআআআআ না না
আমি কিছু দেখি নাই সত্যি সত্যি
তিথির কথা শুনে সামা চোখ
খুলতেই দেখে তানজিলের ঠোঁট
দুটি একদম তার ঠোঁটের কাছে।
তারাতারি করে সামা
তানজিলের কাছ থেকে সরে
দাঁড়ায়।দুইজনই খুব লজ্জা পেয়ে
যায় তিথির এইভাবে হঠাত
আসাতে।রাগও হয় খুব তানজিলের
তিথির উপর এই ভেবে যে আর সময়
পাইলো না আসার এই মেয়েটা।
একদম ঠিক সময়ে এসে দাড়াইতে
হইলো ওর আরেকটু পর এসে
দাড়াইলে কি হইতো।এইসব ভাবতে
ভাবতেই তানজিল বাসা থেকে
বের হয়ে পরে আর সামা তো
লজ্জা পেয়ে সেই কখন থেকেই
রুমে যেয়ে বসে আছে।এমন সময়
হঠাত তিথি এসে বলে............
...............
তিথিঃ-ভাবি আসবো????
সামাঃ-আরে তিথি আসো............
তোমার আবার কবের থেকে
পারমিশন নেওয়ার দরকার
পরলো????
তিথিঃ-তাও এখন তো এইটা শুধু
আমার ভাইয়ের রুম না যে যখন তখন
ঢুকে পরবো............তাই পারমিশন
নিয়ে ঢুকার অভ্যাসটা করতেছি
পরে আবার ভুল সময়ে ঢুকে
তোমাদের সুন্দর মুহূর্ত গুলাকে নষ্ট
করতে চাই না.........(কথাটা বলেই
তিথি হাসতে শুরু করে দিলো)
সামাঃ-(তিথির কথা শুনে মাথা
নিচু করে নিরব একটা হাসি
দিলো)
তিথিঃ-দেখছো তো আমার
ভাইটা কেমন গাধা নাহলে কেউ
দরজার সামনে দাড়ায়ে রোমেন্স
করে বউয়ের সাথে...........আমার
জায়গায় যদি অন্য কেউ যাইতো
তাহলে তো তোমরা আরো লজ্জা
পাইতা
সামাঃ-বুদ্ধির অভাব তোমার
ভাইয়ের অনেক............আমিও তাই
ভাবতেছিলাম জানো যদি অন্য
কেউ দেখে ফেলতো তাহলে
কিভাবে কোন মুখে ঘর থেকে বের
হতাম
তিথিঃ-হমম এরপর তোমার বরকে
বলে দিও যেন রুমেই এইসব শেষ
করে অফিসে যায়
ভাবি আর ননদ এই নিয়ে অনেক
হাসি ঠাট্টা করলো।তিথি রুম
থেকে যাওয়ার পরই সামা আয়নার
সামনে দাড়িয়ে সকালের কথা
মনে করতেই লজ্জায় দুই হাত দিয়ে
নিজের মুখ ঢেকে ফেলে।এইদিকে
অফিসে যাওয়ার পর থেকেই
তানজিল সামাকে খুব মিস করতে
থাকে।কোন কাজেই ঠিক মতো মন
দিতে পারে নাই সারাদিন।একটুখন
পর পরই ফোন বের করে শুধু সামার
ছবি দেখতে থাকে আর এইদিকে
সামারও আর ভালো লাগতেছিলো
না একা ঘরে বসে থাকতে
থাকতে।নতুন বউ জন্য কেউই তাকে
কোন কাজ করতে দিচ্ছিলো না
তাই ঘরে বসে থাকা ছাড়া আর
কোন কাজই ছিলো না তেমন
সামার।তিথিটা মাঝে মধ্যে এসে
যখন কথা বলে তখন একটু সময় কাটে
তা না হলে যেন সময়ই পার হয় না
সামার।দেখতে দেখতে সন্ধ্যা
হয়ে আসে আর তানজিলের বাসায়
আসারও সময় হয়ে যায়।এমন সময়
তিথি হঠাত করে তাদের রুমে এসে
বলে.....................
তিথিঃ-ভাবি আসো তো
তোমাকে একটু সাজায়ে দেই
সামাঃ-কেন কেউ আসবে নাকি
আবার????
তিথিঃ-জি ভাবিজি
সামাঃ-কে আসবে????
তিথিঃ-তোমার বর আসবে একটুখন
পর
সামাঃ-ওহহহ তোমার ভাইয়ার
কথা বলতেছো তুমি আমি তো
ভাবছি কে না কে
তিথিঃ-যাইহোক চলো এখন
তোমাকে সাজাবো আমি
সামাঃ-তোমার ভাইয়ের জন্য
আবার কি সাজবো আমি??????
তিথিঃ-আমার ভাইয়ের জন্য
সাজবা না তো আর কার জন্য
সাজবা???
সামাঃ-কিন্তু তোমার ভাইয়া তো
সাজা একদম পছন্দ করে না বলে
যে আটা ময়দা মেখে সুন্দর হয়ে
লাভ কি
তিথিঃ-তাহলে কি সাজবা না
আমার কাছে????
সামাঃ-কি যে বলে আমার
ননদিনীটা...............সাজবো না
কেন একশোবার সাজবো কিন্তু শুধু
কাজল আর হালকা একটু লিপস্টিক
এর থেকে বেশি কিছু তোমার
ভাইয়া পছন্দ করে না
তিথিঃ-ওকে চলো
সামা একটা রয়েল ব্লু কালারের
সালোয়ার কামিজ পরে চুরিদারি
পায়জামার সাথে।চুলটা খেজুরে
বিনি করে গালের দুই পাশে
হাল্কা করে কয়টা চুল এনে ছেরে
দেয় যেইগুলা মাঝে মধ্যে তার
মুখের উপর পরে তার সুন্দরর্য্যকে
আরও কয়েক গুন বারিয়ে
দিচ্ছিলো।চোখে হালকা কাজল
আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক।দুই
কানে দুটো টপ আর হাতে কিছু
পাতলা চুড়ি।তানজিলের মা
সামাকে হাত খালি রাখতে মানা
করেছে জন্য সে এইসব গয়না গাটি
পরে আছে।যদিও খুব সিমপেল
জিনিস পরেছে তাও সামাকে সব
মিলিয়ে দারুন লাগছে।তানজিল
বাসায় এসে ঢুকতেই সামাকে খুজা
শুরু করে দেয় কিন্তু কোথাও না
পেয়ে অবশেষে ফ্রেশ হতে চলে
যায়।ফ্রেশ হয়ে বের হতেই
তানজিল দেখতে পায় যে সামা
উল্টো দিকে ঘুরে খুব মনোযোগ
সহকারে কিছু একটা করছে।আর
দেরি না করে তানজিল সামার
কাছে যেয়ে বলে............
...............
তানজিলঃ-আই সামা কি
করতেছো তুমি????
সামাঃ-কিছু না তো............(
তানজিলের দিক ঘুরে)
তানজিলঃ-এইটা হাতে কি
তোমার?????
সামাঃ-ওহহ মলম এইটা
তানজিলঃ-সেইটা তো আমিও
জানি কিন্তু কিসের জন্য এইটা
নিয়ে দাড়ায়ে আছো............
কোথাও কেটে গেছে নাকি???
সামাঃ-হমম কাটছে তো
তানজিলঃ-দেখি কই কাটছে আর
তোমাকে কাজ করতে বলছে কে
শুনি
সামাঃ-এইরকম হাইপার হচ্ছো
কেন তুমি??????
তানজিলঃ-আচ্ছা সরি এখন বলো
যে কই কাটছে
সামাঃ-আমার তো কোথাও কাটে
নাই
তানজিলঃ-তাহলে?????
সামাঃ-এইটা তো আমি তোমার
জন্য আনলাম
তানজিলঃ-আমার জন্য????
সামাঃ-জি
তানজিলঃ-কেন আমার কি হইছে
আবার আমি তো ঠিক আছি
সামাঃ-এই যে আমার নখের দাগ
গুলো এখনও তোমার বুকে আছে
তানজিলঃ-তো কি হইছে???
সামাঃ-অনেক কিছু হইছে...........
.......এখন চুপ করে থাকো তুমি আর
আমাকে একটু লাগাতে দাও এইটা
এরপর সামা নিজে মলমটা হাতে
নিয়ে তানজিলের বুকের সেইসব
জায়গায় লাগিয়ে দিলো
যেইখানে যেইখানে তার নখের
দাগ আছে আর তানজিল একভাবে
তার সামার দিকে চেয়ে সামার
ছোঁয়া অনুভব করতে লাগলো..........
.................।
Friday, October 26, 2018
না বলা ভালোবাসা পর্ব ৫
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
আরো নতুন নতুন Golpo পড়তে ভিজিট করুন
ReplyDeletewww.valobasargolpo2.xyz