#দ্বিধা
তাবাস্সুম রিয়ানা
১৭,১৮
-কি হলো এভাবে কাঁপছো কেন মাহিরা???
-ন..ন..না মানে মাথা নিচে নামিয়ে নিলাম।হার্টটা কেমন লাফালাফি শুরু করে দিয়েছে।
-ওহ স্যরি(হাত সরিয়ে নিলো)।যাও ঘুমোতে।সকালে অফিস ও আছে(আরহান)।
-ওকে স্যার(উঠে চলে যাচ্ছিলাম)
-মাহিরা!!!
-জি!!!!!
-এখন থেকে বাসায় আমাকে আরহান বলে ডাকবে ওকে।কারন বাসায় না তুমি আমার এমপ্লয়ি না আমি তোমার বস।
-কিন্তু স্যার(আমতাআমতা করে)
-কোন কিন্তু না মাহিরা।আমি যা বলছি তাই হবে।আজ থেকে আরহান নো স্যার কিন্তু বাসায় ওকে?
-ওকে স্যার।
-আবার স্যার????(রাগী গলায়)
-স্যরি আরহান।
-গুড(মুচকি হেসে)।যাও ঘুমাতে যাও।
-ওকে।গুড নাইট।(একজন ১০ বছরের বড় লোককে নাম ধরে ডাকতে কেমন
-গুড নাইট।
-রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।হাত টিকে বারবার স্পর্শ করছি।ওনার হাত ধরার পর কেমন যেন একটা আলাদা অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছিলো।অজান্তেই হেসে দিলো মাহিরা।
-ইনায়া কে জড়িয়ে শুয়ে পড়লাম।ভাবছি আজ যে গাড়িটা ফলো করেছিলো ওদের সেটা অন্য কোথা ও দেখেছিলো।কিন্তু কোথায়।ঠিক মনে করতে পারছেনা।
-পরদিন সকালে নাস্তা সেরে তিনজন অফিসের জন্য বের হয়ে গেলাম।অফিসে পৌছাতেই ঐশি এসে জড়িয়ে ধরলো আমাকে।
-হায় মাহিরা কেমন আছো(ঐশি)
-ভালো তুমি?
-এইতো ভালোই।
-এতদিন পর এলে।জানো অনেক মিস করেছি তোমাকে আমরা সবাই।
-আমি ও তোমাদের সবাই কে মিস করেছি।
-মাহিরা কেবিনে এসো(আরহান)
-ওকে স্যার আসছি।জি বলুন।
-উঠে দাড়িয়ে শেলফের কাছে যেতে লাগলাম।মাহিরা পিছাচ্ছে।
-(ওনি আমার দিকে আগাচ্ছেন কেন?কি করতে চান?)
-(পাগল টার কাজ দেখে হাসি পাচ্ছে আরহানের)
-হেসে হেসে এদিকে আগাচ্ছেন কেন? নিশ্চয় কোন মতলব আছে। আল্লাহ রক্ষা করো) শেলফের সাথে লেগে গেলাম।ওনি একেবারে কাছে চলে এসেছেন।হাত বাড়াচ্ছেন কেন?
-ফাইলটা নিয়ে চেয়ারে এসে বসে পড়লাম(আরহান)।
-(মাহিরা তুই আসলে ও পাগল হয়ে গেলি একদম। স্যার একদমই এমন না।)
-চিন্তা ভাবনা শেষ হলে কি কাজের কথায় আসতে পারি?(আরহান)
-জি স্যার বলুন।
-ফাইলটা তে অনেক ভুল পেয়েছিলাম।একটু চেক করো।ফাইলটা ওর দিকে এগিয়ে দিলাম। এখানে বসে চেক করো।
-স্যার ইনায়া তো ঐখানে।
-সবাই আছে ঐখানে কিছু হবেনা।
-ওকে।ওনি আমার পিছনে এসে দাড়িয়ে একে বারে ঝুঁকে গেলেন।
-চেক করো।আমি দেখছি(আরহান)।
-ওকে।চেক করতে শুরু করলাম।ওনার নিশ্বাস গুলো ঘাড়ের উপর পড়ছে।বারবার ওনার দিকে চোখ পড়ছে।হার্টবিট ফাস্ট হয়ে গেল।
-ফ্যানের বাতাসে মাহিরার চুল গুলো মুখের ওপর এসে পড়লো।কি মিষ্টি গন্ধ।একদম পাগল হওয়ার মতো।অজান্তেই ওর চুলের ভিতর মুখ ঢুকিয়ে দিলাম।
-ওনার এমন কাজে হাত থেকে কলম পড়ে গেল।মুর্তি হয়ে গেলাম।আমার একটি হাত খপ করে ধরে ফেললেন।
-মাহিরার হাতের আঙ্গুল গুলি আমার আঙ্গুলের ভাজে নিয়ে নিলাম।ঘাড়ে আলতো করে চুমো দিয়ে গালে ঠোঁট ছুয়ে দিয়ে ওর মুখটি আমার দিকে ফিরালাম।
চলবে
#দ্বিধা
তাবাস্সুম রিয়ানা
১৮
-(আরহান এ আপনি কি করছেন?)ওনার ঠোঁট দুটো ক্রমশ এগিয়ে আসছে।চোখ দুটো বন্ধ করে নিলাম।
ওনার নিশ্বাস মুখের ওপর পড়ছে।আরহান প্লিজ এমন করবেন না বেশ জোরেই বলে ফেললাম।
-মাহিরার কথায় ঘোর কাঁটলো।(একি করতে যাচ্ছিলাম??? ছিঃ আরহান ছিঃ)আ'ম স্যরি মাহিরা।ইচ্ছে করে এমন করিনি।
-ইটস ওকে স্যার আমার এখন যেতে হবে।উঠে চলে এলাম ফাইলটি নিয়ে।ইনায়া কি করছো মা??
-গেম খেলি।
-ওকে খেলো।কেউ কল দিয়েছিলো???
-না।মাম্মা কল এসেছে।
-দাও তো।ফোন হাতে নিতেই পুরো পৃথিবী ঘুরে গেল।ইনায়া তুমি পাপার কাছে যাও।আর বলো মাম্মা বাহিরে যাচ্ছে কিছু কাজ আছে তাই ওকে????
-ওকে।
-ইনায়া স্যারের রুমে চলে গেল।নিচে নেমে গাড়ির গেট খুলতে নিবো তখনই আরহান আটকালো।
-কই যাও(আরহান)?
-একটু কাজ আছে।আমি দ্রুত চলে আসবো(মাহিরা)।
-বলে কি যাওয়া যায়না কই যাও?(আরহান)
-বললাম তো কাজ আছে।প্লিজ আরহান যেতে দিন।
-দেখো কেউ আমাদের ফলো করছে।সো তুমি একা কোথাও যাবেনা।আমি তোমায় দিয়ে আসছি চলো।
-না আমার কোন ক্ষতি হবেনা।আপনি ইনায়ার কাছে যান।
-দেখো মাহিরা আমি কোন রিস্ক নিতে চাচ্ছি না।সরে যাও।
-আরহান প্লিজ আমি পারবো যেতে।কিছু পার্সোনাল কেনাকাটা আছে।ওগুলো সেরে অফিসে আসবো।
-সিওর???
-হুম।
-ওকে যাও(আরহান)
-গাড়ি নিয়ে নীলের বাসার সামনে আসলাম।বাড়ির সামনেই নীল দাড়িয়ে ছিলো।গাড়িতে ঢুকে পড়লো।
-হায় মিসেস আরহান মাহিরা আহমেদ। কি খবর আপনার???
-কোন সাহসে কল দিলে আমাকে(মাহিরা)দাঁতে দাঁত চেপে
-আশ্চর্য মাহিরা এতে সাহসের কি হলো?ইউ নো দ্যাট আই লাভ ইউ।
-ইউ আর এ মার্ডারার।মাহিরা কোন খুনিকে ভালোবাসতে পারেনা।
-যার মনে আরহানের জন্য জায়গা আছে সে আরেকজনকে কি করে ভালোবাসবে?????
-দেখো আরহান কে এখানে টানার দরকার নাই।সমস্যা আমাদের দুজনের।ওকে টানছো কেন?
-স্যরি আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম যে আরহান তোমার হাসবেন্ড।মেসেজ টা পড়েছিলে?
-কিসের মেসেজ(মাহিরা)?
-আমি বলে দিচ্ছি মেসেজ টা কি?মেসেজ টা হলো মাহিরা তোমাকে আমার সাথে আজ রাত থাকতে হবে।আর সেটা যদি না করো তবে আরহান আর ইনায়া উপরে চলে যাবে।বুঝেছো????
-কষে চড় দিলাম ওর গালে।ডিজগাস্টিং নীল।বেরিয়ে যাও আমার গাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও বলছি।ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলাম।
-মাহিরা আরহান আর ইনায়ার জন্য যদি এতোটুকু মায়া থাকে তাহলে এসো।
-অফিসে চলে আসতেই স্যার ডাক দিলেন।
-মাহিরা ইনায়াকে নিয়ে বাসায় যাও।আমি ওর ভর্তি ফরম নিয়ে আসি।
-ওকে স্যার।সাবধানে যাবেন।
-হুম।
-আমি আসবো আপনার সাথে(মাহিরা)?
-না বাসায় যাও(আরহান)
-ওকে।ইনায়াকে নিয়ে বাসায় ফিরে এলাম।(নীল এমন কেন করছে?কি করবো আমি??? না গেলে আরহান ইনায়ার ক্ষতি করবে।)
চলবে
Friday, October 26, 2018
দ্বিধা ১৭ ও ১৮ পর্ব
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment