#Romantic_Devil
#অন্ত_নীলা
#পর্ব_16
.
.
.
পকেট থেকে একটা লাল গোলাপ বের করে মিমের দিকে দিয়ে বলল,,,,
-i love you mim.
তারপর মিমকে জড়ায়ে ধরল।
মিম কোনো ভাবেই নিজেকে ছাড়াতেই পারল না।
ছেলেটা মিমকে ছেড়ে দিল মনে হয় মিমকে আরো কিছু করতে যাচ্ছিলো অমনি শুভ্র ছেলেটিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। এর পর শুভ্র ইচ্ছে মত মারতে থাকে অই ছেলেটিকে মিম এসে কোনো মত শুভের হাত আটকায় কিন্তু কোনো লাভ হয়না শুভ্র তখন ছেলেটিকে পা দিয়ে বেধরক মারতেছে। মিম শুভ্র কে ধাকক্কা দিয়ে আটকানোর ট্রাই করে। শুভ্র মিমকে থাপ্পড় দেয়!
-অই *লি তোর কি আমায় ভাল্লাগে না?
ক্লাস বাদ দিয়ে এই ছেলের সাথে কি?
ওওওও বুঝছি এখন!
এই ছেলের জন্যই তাইলে আমায় পছন্দ হয়না তাইনা?
-আপনি এসব কি আবুলতাবুল বলতেছেন?
প্লিজ শান্ত হন চলুন বাসায় যাই প্লিজ?
-আগে আমার কথার উত্তর দে! ক্লাস বাদ দিয়ে তুই এই ছেলের সাথে কি করিস?
-আমায় স্যার ক্লাস থেকে বের করে দিছে তাই আপনাকে খুজতেছিলাম কোথায় থেকে জানি এই ছেলে এসে,,,
-ফাও কথা বলার যায়গা পাওনা?
আমাকে দেখে কি এতইই বোকা মনে হয়?
এতক্ষন মিম আর শুভ্রর ঝগড়ার সুযোগ নিয়ে ছেলেটাযে কখন উঠে চলে গেছে মিম বা শুভ্র কেও ই তা দেখেনি!
-এই কুত্তার বাচ্চা টা আবার কই গেলো।*
-ভাষা ঠিক করুন।
অকে বলছেন বলছেন ই অর ফেমিলিকে কেন বলছেন?
-বাহ 'ও' এর মধ্যেই অই ছেলেটা 'ও' হয়ে গেছে?
কতদিন থেকে চলতেছে এইসব?
-প্লিজ বন্ধ করুন।
শুভ্র সাময়িক চুপ হল। কিন্তু থামল না। ওর ফ্রেন্ড দের বলল ছেলেটার নাম ঠিকানা জোগাড় করার জন্য। তারপর মিম এর হাত ধরে টেনে মিমকে বাসায় নিয়ে গেল।
-আজ থেকে তোমার ভার্সিটি যাওয়া বন্ধ। পড়ালেখা করে বিদ্যাসাগর হতে চাইলে বাড়িতে থেকে হও।
একথা বলেই শুভ্র বাসা থেকে বের হয়ে গেল।
মিম একা বসে কাঁদতে থাকল। শুভ বেরোনোর পর শুভ্রর মা মিমের কাছে এলেন। অনেকদিন পর নিজের ছেলেকে এত রাগতে দেখলেন তিনি। মিমকে জিজ্ঞেস করে সব কিছু জেনে নিলেন।
,,,,,,এদিকে শুভ্র ভার্সিটিতে ফিরে এসেছে। অই ছেলেটার ব্যাপারে সব খোজ খবর সে নিয়ে ফেলল। ছেলেটার নাম রাহাত হোস্টেল এ থাকে।
এখননো হোস্টেল এই আছে। শুভ্র এর কথায় শুভ্রর ফ্রেন্ডরা ছেলেটাকে বাইরে নিয়ে এলো।
-অই ছেলে তুই কোন সাহসে আমার বউ কে জড়িয়ে ধরছিলি?
-মিম আপনার বউ?
-হ্যা ও আমার বিয়ে করা বউ।*
-ওহ ওর সাথে ত আমার তিন বছরের রিলেশন। ও কেমন মেয়ে ফট করে আপনাকে বিয়ে করে ফেললো কোনো খবর অবধি দিল না!
শুভ্রর মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়ল। তার পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো। যে মিমকে সে এত্ত টা ভালবাসে সেই মিম কিনা তিন বছরের রিলেশনের কথা তার কাছে লুকিয়ে গেছে।
-তুমি মিথ্যে বলছ রাহাত। তুমি ত এইবার অনার্স থার্ড ইয়ারে আর মিম ত ফার্স্ট এ তোমাদের পরিচয় ই বা কেমনে হল রিলেশনশিপ ই বা কীভাবে সম্ভব?
-আরে আমি আর মিম একই কলেজে পড়তাম। আপনি আমায় এত জেরা না করে নিজের বউকে গিয়ে করুন। এমনেই অনেক মারছেন রিলেশনে থাকা অপরাধ হলে পৃথিবির কেও রিলেশন করত না। আর মিম প্রেম করে একজনের সাথে আর রিলেশন করে অন্যজনের সাথে? অই মেয়ের সাথে আমি আমার সমস্ত সম্পর্ক শেষ করে দিলাম। এখন আপনার সম্পর্ক আপনি কি করবেন আপমি বুঝেন। এইসব ফালতু ঝামেলায় জড়ানোর সময় আমার নাই। ভাল থাকুন আর অন্যকেও ভাল থাকতে দিন।
এই কথা বলে রাহাত অইখান থেকে চলে গেল। শুভ্রর দুই চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়ছে। তার শুধুই জবাব চাই। কেন করল এটা মিম। মিম তার সাথে এটা কেন করল?
বাড়িতে,,,,মিম তার শাশুরিমার কোলে মাথা রেখে কাঁদতেছে।*
-কাঁদিস না মা। আমার ছেলেটার মেজাজ একটু চড়াই। আসলে ও তোকে অনেক ভালবাসে ত তাই অন্য ছেলের সাথে তোকে সহ্য করতে পারেনি।
-কিন্তু মা অই ছেলের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। ইভেন আমি ত অই ছেলেরর নাম টা অব্ধি জানিনা।
-তাহলে অই ছেলে তোর সাথে এমন টা করল কেন?
-সেইটাই ত বুঝছিনা আমি মা।
এমন সময় শুভ্র বাড়িতে ঢুকল। তাকে মোটেও স্বাভাবিক লাগতেছেনা। চোখ লাল চুল উষ্কখুষ্ক। চোকের নিচে কালি পড়ছে। যেনো ওর উপর দিয়ে কত বড় ঝড় বয়ে গেছে।
মা এর কাছ থেকে মিম এর এক হাত টান দিয়ে মিমকে নিজের দিকে টেনে নেয় শুভ্র। মা বাধা দেয় শুভ্র কথা কানে নেয়না। টানতে টানতে শিড়ি দিয়ে উপরে উঠায় মিমকে।রুমে নিয়ে দরজা লক করে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয়। তারপর নিজের বেল্ট খুলে।মিম ত অবাক সে কিছুই বুঝতে পারছে না। শুভ্রর যেনো আজ নতুন রূপ দেখছে সে। এটা ত তার শুভ্র নয়! শুভ্র এক পা দু পা করে এগিয়ে আসে মিমের দিকে তারপর নিজের বেল্ট নিয়ে মিম কে মারতে থাকে। চিতকার করে উঠে মিম।
-মারছেন কেন?
বিশ্রি একটা বকা ছুড়ে দেয় শুভ্র মিমের দিকে।
-মারছি কেন জানিস না? অই ছেলের সাথে তোর এত দিনের সম্পর্ক আমার কাছে লুকাইছিলি কেন?
-আমার অই ছে,,,, মিমকে কিছু বলতে দেয়না শুভ্র মারতেই থাকে। নিজের শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে শুভ্র মিমকে মারে। মিম এর মাঝে কথা বলা ত দূরে থাকুক নিঃশ্বাস ঠিক মত নিতে পারতেছেনা। একসময় মিম অজ্ঞান হয়ে যায়। শুভ্র মাইর বন্ধ করে থপ করে চেয়ারে বসে পরে।
,,,,শুভ্রর মা বুঝতে পারতেছেনা ভিতরে কি হচ্ছে। তিনি মনে মনে সংকিত ও আতংকিত। কিন্তু শুভ্রর রাগ সম্পর্কে তিনি অবগত। তার ছেলে রেগে গেলে যে কি কি করতে পারে তা একবার মনে করে তিনি শুভ্রকে বিরক্ত করার চিন্তা টা মাথা থেকে দূড় করে দিলেন।
মনে মনে মিমের জন্য দোয়া করলেন যেনো কিছু না হয়।
,,,,,,,শুভ্র নিজের আলমারি খুলে মদের বোতল বের করল।
মিম যখন ছিল না তখন সে এগুলা রেগুলার খেত। মিমকে ভালবাসার পর থেকে মদ কেন সিগারেট এউ হাত দেয়না সে।
,,,,
,
,
,
,
#চলবে
Friday, October 26, 2018
রোমান্টিক শয়তান পর্ব 16
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment