Friday, October 26, 2018

রোমান্টিক শয়তান পর্ব 10-11

No comments

Romantic_Devil
#অন্ত_নীলা
#পর্ব_10
.
.
.
অনেকটা নিরানন্দ ভাবেই মিম আর শুভ্র র বিয়েটা হয়ে গেল। মিম ক্রমাগত কেঁদেই চলেছে বিদায় এর সময়।
কিছুতেই চুপ হচ্ছেনা।
.
কিরে মা এত কাঁদছিস কেন?
কাদিস না সবাইকেই একদিন পরের বাড়িতে যেতে হয়।এটাই নিয়ম।
-(মনেমনে)বাবা তুমি কি করে জানবে আমি কেন কাঁদছি।তুমি ত আমায় অই ডেভিলটার সাথে বিয়ে দিয়েই খালাস হয়ে গেলে। এখন আমার কি হবে? ডেভিলের সাথে কিভাবে সংসার করব?
-বউ এখন বাসায় চল।
-(ডেভিল তুই চুপ কর। আমার জীবনটা শেষ করে দিলি। আমি বনের মুক্ত হরিণি ছিলাম আর তুই আমারে চিড়িয়া খানায় নিয়ে যাবি!আমি যামুনা)
- কিরে মা যাচ্ছিস না কেন? চিরদিন ত আর বাপের বাসায় থাকা যায়না এখন শ্বশুর বাড়ি তোকে যেতেই হবে।
মিম একেবারেই কেঁদে ফেললো।
কোনোভাবে ওখান থেকে মীমকে ছাড়িয়ে টেনে টেনে আস্তে আস্তে করে গাড়ির কাছে নিয়ে এলো। গাড়ির দরজা খুলে মিম কে বসিয়ে দিয়ে ওই পাশের দরজা দিয়ে নিজে ঢুকলো।
শুভ্র আর মীমকে প্রাইভেসি দেয়ার জন্য ওদের গাড়িতে শুধু ড্রাইভার ছিল আর কেউ ছিল না। আসলে ঠিক ড্রাইভার না ড্রাইভার বলতে যে ছিল সে হলো শুভ্র'র একজন খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড।
শুভ্র যে কোন কথাই মীমকে খোলাখুলি ভাবে বলতে পারে। মিমের অবশ্য সেদিকে কোন মনোযোগ নেই সে জানালা দিয়ে বাইরে মাথা বাড়িয়ে আকাশ দেখতে লাগল।
- আই মিম তুমি ওইদিকে ঐরকম ভাবে ঝুঁকে পড়েছ কেন তুমি আমারএই দিকে আসো।
মিম শুভ্র র থেকে আরেকটু দূরে সরে বসলো। শুভ্রর প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হচ্ছে। ওর বউ ওর কোনো কথা শুনছেনা এটা কোন কথা হলো?
- কি হলো মিম কথাগুলো কি তোমার কানে যায় নাই তুমি এদিকে সরে আস।
মিম তবুও নড়লো না। অতপর শুভ্র মিমের হাত ধরে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে এলো।
টানটা একটু জোরে দিয়েছিলা আর হাত অনেক শক্ত করে ধরায় মিম আহ করে উঠলো।
- ছাড়ুন আমার লাগছে।
- কথা শুনলেই তো তোমাকে হাত ধরার প্রয়োজন হত না।
কাদছো কেন এত ন্যাকামির কি আছে আমার সামনে এরকম নাকি কান্না কাঁদবে না।
গাড়ির ড্রাইভার মানে শুভ্রর বন্ধু বলল,,, আহ এরকম করতেছিস কেন বিয়ে হলে মেয়েরা একটু কাঁদেই বিয়ের দিন। আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।
মিম শুভ্রর কাছে বসে আছে ঠিকই তবুও সে জানলা দিয়ে বাইরে দেখতে লাগলো।
ওখান থেকে আকাশের কিছুটা অংশ দেখা যায় এখান দিয়ে তারা দেখছে সে।
ছোটবেলা থেকেই মিমের তারার প্রতি একটা অজানা আকর্ষন আছে মিমের প্রথম আইডির নামও ছিল সন্ধাতারা।
- এই মিম আমাকে বিয়ে করার দুখে পাগল হয়ে গেলে নাকি? ঐদিকে কি দেখতেছো?
- আমি কি শান্তিতে একটু বাইরে তাকিয়ে থাকতে পারবো না নাকি তার জন্য আমাকে আপনার পারমিশন নিতে হবে?
- জামাই এর সাথে এত মুখ চালানো ঠিক না মিম। এর পর যেন কথাটা মনে থাকে। আমি তোমার জামাই তোমাকে অনেক ভালোবাসবো তুমি যা চাও তাই দিবো। কিন্তু আমার সাথে কখনো মুখ চালাবে না ঠিক আছে?
- না ঠিক নাই আপনার মত একটা ডেভিল্কে আমি বিয়ে করতে চাইনি। খাঠাস কোথাকার।
- বিয়ে করতে চাও বা না চাও এখন বিয়ে তো হয়ে গেছে এখন তুমি আমার বউ। তো তোমার আর কিছুই করার নাই। এখন আমি তোমার বর। আর এটা মেনে নেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই এটা যত তাড়াতাড়ি মেনে নিতে পারবে ততই ভালো থাকবা।
মিম কিছু বলল না প্রতিউত্তরে শুধুমাত্র কিছু কান্নাফেলে দিল। তখনই গাড়িটা কোথায় যেন এসে থামলো।
- নামো গাড়ি থেকে আমরা আমাদের বাসায় এসে গেছি।
মিম যেন যন্ত্রের মতো হয়ে গেছে সে কোনোভাবে গাড়ি থেকে নামল।
-এই দেখো এটা হলো তোমার শ্বশুর বাড়ি এখানে তুমি রাজ রানীর মত থাকবে। বিয়েটা হঠাৎ করে হয়ে যাওয়ায় বাসাটা তো সুন্দর করে সাজানো হয়নি। কিন্তু দেখো আমরা খুব তাড়াতাড়ি রিসিপশন দেব। আর তখন বাসা অনেক সুন্দর করে সাজানো হবে।
এক বাড়ি ভর্তি লোক মীমকে দেখতে এসেছে সবাই বলতেছে নতুন বউ দেখি নতুন বউ দেখি।
- আস্তে আস্তে সবাই বউ দেখবে কিন্তু একটু পরে। মিমের ওপর অনেক ধকল গেছে। ওকে এখন আগে আমার রুমে নিয়ে যাই। তারপর ও সবার সাথে দেখা করবে।
শুভ্র ছোট বোন এসে বলল
-চল ভাবি।
মেয়েটার নাম রাইসা ইন্টারে পড়ে ভারী দুষ্টু আর চঞ্চল।
- না আমার বউ এভাবে আমার বাসায় যাবে না।
- তাহলে কিভাবে যাবে ভাইয়া?
- এইভাবে যাবে।
বলেই শুভ্র মিম কে কোলে তুলে নিল।
- এটা কি হচ্ছেটা কি আপনি কি আমাকে নামাবেন?
- তোমার কি মনে হয় তোমাকে আমি নামানোর জন্য কোলে নিছি?
- আপনার জেদ অনেক সহ্য করেছি এখন যদি না নামান তাহলে কিন্তু একটা দক্ষযজ্ঞ বেজে যাবে আমি আপনাকে শেষ করে ফেলব।
- বউ আমার তোমার যা ইচ্ছা কর কিন্তু আমি তোমাকে নামাবো না।
..
মিম আর কি করে কিছু করতে না পেরে শুভ্রর বুকের মধ্যে কামড় বসায় দিল।
- হচ্ছেটা কি দুষ্টামি করে না এখন। সবাই দেখছে তো। পরে দুষ্টামি করে নিও। তোমার যত ইচ্ছে কামড় দিও আমি কিচ্ছু বলবো না।
সবাই হা হা করে হেসে দিল। মিম শুভ্রর দিকে রাগে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।
-বউ অমন করে তাকিও না গো তোমার চোখের মায়ায় পড়ে যায়।
মিম চোখের দৃষ্টি ঘুরিয়ে অন্যদিকে নিয়ে নিল। গন্ডারের বাচ্চা টারে সে কেমনে বোঝাবে যে তার সাথে থাকতে তার ভালো লাগছে না । বুঝে না আবার কি অবশ্যই বুঝে শুধু না বোঝার ভান করে।
শুভ মিন কে কোলে নিয়ে অনেকগুলো সিঁড়ি উঠলো।
তারপর বারান্দার একেবারে শেষ মাথায় যেখানে শুভ্রর ঘর সেই ঘরের দরজা খুলে খাটের উপর বসিয়ে দিল।
অল্প সময়ের মধ্যেই ঘরটাকে অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।
সত্যিকারের বাসর ঘরের মতো লাগছে। এই ঘরে আজ কারো স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আর কারো স্বপ্ন ভেঙে ছারখার হয়ে গেছে।
- বৌ আমার তুমি একটু বসো।সবাই ঘরএ আসবে তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি একটু ঘুরে আসছি আমার কিছু ফ্রেন্ড আছে তাদের সামলায়ে আসি।
-( জান জান গেলেইতো বাঁচি আপনি থাকলে তো দুনিয়ার যত সমস্যা তাড়াতাড়ি যান এখান থেকে বিদায় হন প্লিজ)
- আই মিম তুমি সব সময় এত কি বিড়বিড় করা হ্যাঁ যদি কেউ শুনতে না পারে তাহলে সে কি কথার কোন মূল্য থাকলো? থাক বউ তোমাকে এখন উত্তর দিতে হবে না। সারারাত তো পড়েই আছে গল্প করার জন্য। আজ তোমার সাথে সারারাত গল্প করবো। এখন একটু যাই প্লিজ।
মিম ঘার কাত করে ইশারায় সম্মতি জানালো।
শুভ্র দরজার কাছে পা বাড়িয়ে আবার মিম এর কাছে ফিরে এলো।
- কি হলো আপনি না বাইরে যাবেন যান তাড়াতাড়ি।
- অমন করে বলছ যে যেতে দিতে চাওনা নাকি?
আসলে বলতে এলাম একটু আদর দিবা সামান্য বেশি না গালে একটা দিলেই চলবে।
মিম চোখ কালো করে শুভ্রর দিকে তাকালো। একটু চাইছেন তাই না একটু কেন বেশি করে দিব।
তারপর ঠাস করে শুভ্রর গালে একটা চড় বসিয়ে দিল।
- বউ তুমি এটা কি করলা?
-আদর দিলাম এটাই আমার আদর দেয়ার স্টাইল।এর পর থেকে যখন যখন আদর চাবেন এই ইস্টাইলের আদরি পাবেন।
- ও তাই না তাহলে তোমার এই আদরের বিপরীতে আমার শাসন টাও একটু দেখ।
- মানে কিসের শাস,,,,,,,,
মিম আর কোন কথা বলতে পারলো না কারণ শুভ্র ইতিমধ্যেই তার মুখ বন্ধ করে দিয়েছ একটা লম্বা আদর দিয়ে শুভর মিমকে ছেড়ে দিল।
- আর এটা হচ্ছে আমার শাসন করার স্টাইল। এর পর থেকে যখন যখন তুমি আমার সাথে দুষ্টামি করবা আমার কথা শুনবে না এই ভাবেই শাসন করব। একটু বেশিও হতে পারে কি হবে অনুমান তো নিশ্চয়ই করতে পারছো তুমি। আফটার অল তুমি তো আর বাচ্চা নও তাই না মেয়ে।

Romantic_Devil
#অন্ত_নীলা
#পর্ব_11
.
.
.
- আর এটা হচ্ছে আমার শাসন করার স্টাইল। এর পর থেকে যখন যখন তুমি আমার সাথে দুষ্টামি করবা আমার কথা শুনবে না এই ভাবেই শাসন করব। একটু বেশিও হতে পারে কি হবে অনুমান তো নিশ্চয়ই করতে পারছো তুমি। আফটার অল তুমি তো আর বাচ্চা নও তাই না মেয়ে।
,,,,
শুভ্র রুম থেকে বের হয়ে গেল।
মিম ধপ করে খাটে বসে পড়ল। এইসব কি হচ্ছে কিছুই টের পাচ্ছেনা সে।
আচ্ছা সে কি কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখতেছে? ঘুম ভাঙলেই হয়ত ভেঙে যাবে। মিম নিজেকে চিমটি দিয়ে নেয়। না সে ত কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখতেছে না। এটা ত সত্যি ই।
মিমের হাত পা ছুড়ে চিৎকাএ করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে।
সে বাবাকে ফোন দিল,,,,
-বাবা।
-হ্যা মামনি বল।
-বাবা তুমি এটা করতে পারলা?
-কী করলাম আমি?
-অই ডেভিল টার সাথে আমার বিয়ে কেন দিলা।
- ডেভিল মানে?
-তোমরা যাকে জামাই বল। অইটা আসলে একটা ডেভিল। একটা খাটাস। আমার জীবনটা তেজপাতা করে দিছে।
-কি বলতেছিস এসব।
জামাই কি ভাল মানুষ না?
-ও কেমন মানুষ তা নিয়ে আমার ডাউট আছে।
-শুন শশুর বাড়ি যায়ে এসব কথা বলতে হয়না।
চুপচাপ থাক।
-আমি এই ডেভিলের বাসায় থাকবনা।
-কেন অই করছে তোরে জামাই,,,
-তোমার জামাই মানে ডেভিল আমারে,,,,,
মিম আর বলতে পারল না চুপ হয়ে গেলল। কি বলবে সে?
-কিছুনা রাখলাম।
মিম ফোন রেখে দেয়।
অমনি অর ননদ ভাবিরা এসে দুষ্টুমি শুরু করে। অদের কথা শুনে মিম লজ্জ্বায় লাল নীল বেগুনী হইতেছে।
-কি ভাবী এদিকে অদিকে কি খুজতেছ?(রাইসা)
-কই কিছু না ত।
-হুম ভাবি বুঝি বুঝি। ভাইয়া ত ফ্রেন্ডদের কাছে গেছে আসতে একটু দেরী হবে। ততক্ষণ নাহয় আমাদের সাথেই একটু আড্ডা দিলা।
আমরা কি এতই খারাপ সঙ দেই নাকি ভাবি।
মিমের মুখটা কালো হয়ে গেলো। মেয়েটা ভালোই কিন্তু ওর কথা গুলা সহ্য করতে পারতেছেনা মিম। হয়ত এই সময়ে এই কথা গুলাই স্বাভাবিক। কিন্তু অর এখন এইসব কথা ভাল্লাগছেনা।
-রাইসা তোমায় একটা রিকুয়েস্ট করি?
-কর ভাবী।
-তোমরা সবাই একটু বাইরে যাবা? সারাদিনের ধকলে আমার প্রচন্ড মাথা ধরেছে।
-সমস্যা নাই ভাবি আমি অষুধ দিয়ে যাচ্ছি খেয়ে একটু শুয়ে থাকো ঘুমিও না কিন্তু। আর আমরা বাইরে যাচ্ছি কেও তোমায় ডিস্ট্রাব করবেনা।
... রাইসা ওষুধ নিয়ে এসে মিমকে খাইয়ে দিয়ে বাইরে চলে গেল।
...মিম ঘরে একা। রুমের চারিদিক সে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতেছে। ইশ রুমটা ত ভালই সুন্দর। আর অনেক সুন্দর করে সাজানো হইছে। মিম মুগ্ধ হয়ে রুম দেখতেছে।
মিম খাট থেকে উঠে গিয়ে ঘরের দরজা ভিতর থেকে লক করে দিল।
তারপর নিজের সুইটক্যাস থেকে একটা নর্মাল সূতীর থ্রিপিস বের করে পরে নিল।আকাশি কালার থ্রিপিস সাথে সোণালি রঙের সুতার কাজ করা। মিমকে ভালই লাগতেছে।
তখনি দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ হল না।
- দরজা লাগাইছে কে?
-ডেভিলের গলা না? আসছে ডেভিলটা। আমি দরজাই খুলবনা।
-মিম দরজা খুলো বলতেছি!
-খুলবনা আপনি বাইরেই থাকেন।
-খুলো বলতেছি!
-খুলবনা বল্লাম ত।
-আমি এক থেকে তিন গুনব। এর মধ্যে যদি দরজা না খুলো তাইলে দরজা ভেঙে দিব। আর তারপর তোমার খবর আছে!
-সর্বনাশ ডেভিল বলে কি!
-এক
-দরজা না খুলে উপায় নাই দেখতেছি।
-দুই,,,
-তি,,, মিম দরজা খুলে দিল।
-ঠাসসসসসসসসসসসসাস
-এ্যাএএএএ
-চুপ একদম কাঁদবানা।
-ব্যাথা
(মিমের গালে গাল ঘষে দেয় শুভ্র)
-কমছে?
-মারলেন কেন?
-দরজা দিছিলা কেন?
-আপনের সাথে থাকমুনা আপনে আমারে মারছেন।
-মাইর ত তুমি আরো খাবা।
-কেনো।
-এইগুলা কী পড়ে আছো?
-আপনি এগুলার নাম জানেন না? এইটারে থ্রিপিস বলে।
-শাট আপ।(চিৎকার দেয় শুভ্র)
-,,,
-চুপ করে আছ কেন?
-আপনি ই ত বল্লেন শাট আপ।
-এসব কি কাপড় পড়েছ ? বিয়ের শারি কই গয়না কই বিয়ের সাজ কই?
-অইগুলা ত খুলে ব্যাগে রেখে দিছি।
-এত সাহস তোমার হয় কি করে? কেন রাখলা ব্যাগে?
-আমার এসব পড়ে থাকলে ভাল লাগতেছিল না।
শুভ্রর মেজাজ সাত আসমানে উঠেছে। জোড়ে মিমের হাত চেপে ধরল।
-আহ আহ লাগছে।
-লাগার জন্যই ধরেছি।
১০ মিনিট টাইম দিলাম এর মধ্যে যেমন সাজে ছিলা অমন সাজে সেজে আসো। নয়ত তোমার কপালে খারাপ আছে?
-খালি ১০ মিনিট!
১০ মিনিটে ত সাড়ি পড়াও হবেনা। আর আমি ত ঠিক মত শারী পড়তেও জানিনা।
-ওসব আমি জানিনা।
যা বলেছি তাই কর। তোমার সময় শুরু হয়ে গেছে।
-কিন্তু আমি এইগুলা চেঞ্জ করব কইনে।
-আগে কইনে করছিলা?
-এইনে এই রুমে।
-এখনো এই খানেই কর।
-এইনে ত আপনি!
-তাতে কি!
-উফফফফফ্রফ ডেভিল।
-কী বল্লা।
-কিছুনা।
-অই পর্দা সরাও অর পিছনে ১ রুম পড়ে বাথরুম।
-আপনাদের এটাচড বাথরুম নাই!
-অই মেয়ে এত কথা বল কেন যা বলছি তাই কর।
,,,
মিম পর্দার পিছনে গেল। এটা আলাদা রুম ঠিকই কিন্তু এটা মনে হয় অই রুমটার ই অংস। শুধু একটা ড্রেসিন টেবিল আর একটা কাবার্ড আছে। মনে হয় সাজগোজ করার জন্যই রুমটা। ডেভিলের রুচি আছে বলে হবে।
হুহ তবুও ডেভিল ত ডেভিল ই।
আমার জীবনটা শেষ করে দিল। এই গরমে এখন আমায় ভারী সারী আর ভারী সাজে সাজতে হবে!
আল্লাহ বাচাও।
মিম কোনো ভাবে শারি আর গয়না গুলা গায়ে চড়িয়ে হাল্কা মেক আপ করে নিল।
তারপর বাইরে এল।
-আর ১৫ সেকেন্ড পরে আসলে বুঝতা।
-আল্লাহ বাচাইছে।
-অই মেয়ে এটা কি পড়ছ?
-আপনি খালি বলেন এটা কি পড়ছ এটা কি পড়ছ আপনি কি মেয়েদের কাপড়ের নাম জানেন না?
আমি ত শারি পড়ছি!
-এস আমার সাথে এসো।
শুভ্র মিম এর হাত ধরে ওকে অই রুমটায় নিয়ে আয়নার সামনে দাড় করায়ে দিল।
-দেখতো এটাকে কোন এঙেল এ শারি পড়া বলে।
-আগেই ত বলছি ঠিক ভাবে শারি পড়্তে পারিনা।
-আমার দিকে হও!
-একি আপনি কি করছেন?
-শারি পড়ায়ে দিচ্ছি!
-এএএএএ ছাড়েন আমায়!
-এখন থেকে যতদিন অব্ধি ঠিক ভাবে শারি পড়া শিখবানা রেগুলার আমি পড়ায়ে দিব।
-পরে আর পরাবেন না?
-পড়াবো ত তখন মাঝে মাঝে।
মিমের প্রচুর লজ্জা করছে লজ্জায় মাথা তুলতএ পারতেছেনা।
শারি পড়ানো হলে শুভ্র মিমকে কুলে তুলে নিল।
কানে কানে বলল
-লজ্জ্বা পেলে তোমায় অনেক সুন্দর লাগে।
পরির মত সুন্দর।
চিন্তা করনা যতদিন তুমি চাইবেনা ততদিন তোমার অতটা কাছে যাবনা।
-তাইলে কোল থেকে নামান।
-অতটা কাছে বলছি এতটা কাছে বলিনাই।
ঘোমটা দাও

No comments :

Post a Comment