Friday, October 26, 2018

I love you পর্ব ৫

1 comment

গল্পোঃ- আই লাভ ইউ

সিজন--৩

(পর্ব---০৫)

সকালে ঘুমাচ্ছি। তখনি অনুভব করলাম আমার
গায়ে কে
পানি দিচ্ছে। আমি লাফিয়ে উঠলাম। উঠেই
সামনে
তাকিয়ে দেখি তানিশা।
- কি ব্যাপার তুমি?
- হুমম বেয়াই সাহেব,দেখলাম কেমন করে
ঘুমাচ্ছেন।
- ওহ, নাকি আম্মু আপনাকে ঘুম ভাঙানোর
দায়িত্ব
দিলো?
- সেটা যদি পেতাম সারাজীবন। (আসতে
করে)
তানিশা কি যেন বললো। আমি ফের জানতে
চাইলাম
কিন্তু সে এড়িয়ে গেল। তারপর বললো..
- উঠো, সবাই তোমার জন্য খাবার নিয়ে বসে
আছে।
- হুমম যাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
- তাড়াতাড়ি আসবে তোমাকে নিয়ে আজ
ঘুরবো।
আমি খাবার টেবিলে গেলাম। দেখি
সেখানে সবাই
বসে আছে। আমাকে দেখেই ইভার আম্মু আচল
দিল মাথায়। এটা সচারচার গ্রামে দেখা যায়
মেয়ের
জামাই আসলে বা সামনে থাকলে মহিলা
বিশেষ করে
শ্বাশুড়িরা এটা করে। আমি বেশি ভাবলাম
না। ইভার দিকে
তাকালাম দেখি ও মুচকি হাসছে। আমার
রাগটা যেন খুব
বেড়ে গেল। তাই ইভাকে দেখিয়ে সোজা
যেয়ে তানিশার পাশে যেয়ে বসলাম। আম্মু
অবাক
হয়ে তাকালেও ইভার চেহারাতে বেশ বড়
রকমের
হতভিম্বের ছাপ লেগে আছে। পৈশাচিক এক
আনন্দ
মনের মধ্যে নেড়ে উঠল।
আমি তানিশার দিকে তাকাচ্ছি বেশি করে।
আড়চোখে ইভার দিকে তাকাচ্ছি। সে যে
রাগে
ফুসছে তা বেশ বুঝতে পারছি। তার মানে কি?
ইভা
আমায় ভালোবাসে? তাহলে বলছে না
কেনো?
যদি বাসে তবে আজ একটা পরিক্ষা নেয়া
যাক। যার
ভিকটিম হবে তানিশা। তবে ইভাকে
ছোটখাটো
পরিক্ষা নিতেই হবে।
..
- হৃদয় চলো না আজ আমরা কোথাও ঘুরতে যায়।
(তানিশা)
- কোথায়?
- তুমি যেখানে নিয়ে যাবে। আমি,তুমি, ইভা,
অপু,অদ্রিতা, শিমি সবাই যাবো। ছোট খাটো
একটা
পিকনিক ও করি চলো না। সাথে শিহাব
ভাইয়া আর আমার
বোন মৌলিও যাবে। তাহলে বেশ জমবে।
খাইতে খাইতে তানিশা কথাগুলো বললো
সবার
সামনেই। তাই না করতে পারলাম না। আর
তাছাড়া কেন
জানিনা মনে হচ্ছে এটাই সুযোগ ইভাকে
আরেকটু
ঝালিয়ে নেয়ার। শয়তানি একটা বুদ্ধি মাথায়
এসে
গেছে। তবে আম্মু অনুমতি না দিলে যাওয়া
যাবে না।
তাই আম্মুর দিকে তাকিয়ে বললাম...
- নাহ তানিশা তুমি বা তোমরা যাও। আমি
যাবো না।
- কেনো? (তানিশা)
- নাহ এমনি।
- তাহলে আমরাও যাবো না।
- হৃদয় যাবি না কেনো? সবাই যাবে আর তুই
এখানে
এসে কোথায় যাস নাই। সো এখনি বের হয়ে
পড়।
সন্ধ্যারর সময় চলে আসিস। আর ইভা তো
যাচ্ছেই
সাথে শিহাব যাচ্ছে মৌলি যাচ্ছে। তুই ও যা।
- ওকে
ব্যাস আর আমাকে পায় কে। ইভা এর তো
এইবার
মজা দেখাবো। ইভার দিকে তাকালাম।।মুখের
কোনে হাসি লেগে আছে। মনে মনে বললাম..
"হেসে নাও, আমরা ঘুরতে না তোমাকে কষ্ট
দিতেই যাচ্ছি। বোঝাবো ভালোবাসা কাকে
বলে"
আমিও হাসলাম মুচকি। সবাই একসাথে "ইয়াহু"
বলে
লাফিয়ে উঠল। আমি খেয়ে রুমে এসে
গোছাতে
লাগলাম প্রয়োজনীয় কাজ।
..
দুইটা গাড়িতে করে যাচ্ছি। পিছনের টা
শিহাব ভাইয়া আর
মৌলি ভাবি। যেহেতু নতুন বিয়ে করেছে। তাই
ওনাদের জন্য একটি প্রাইভেট আর আমাদের
জন্য
মাইক্রোবাস। তার মধ্যে আমি, তানিশা, ইভা,
অপু,অদ্রিতা,শিমি, সৌরভ। সৌরভ হল
আমাদের বাড়ির
দারোয়ান রহিম চাচার ছেলে। আমার থেকে
এক
বছরের ছোট। তবে তাকে বাড়ির সবাই ছেলে
হিসেবেই দেখে। তাই ওকেও সাথে নিলাম।
আর
ও গাড়ি চালাচ্ছে।
গাড়িতে ওঠার আগে অদ্রিতা এসে
বলেছিল...
- ভাইয়া, ইভা আপুর পাশে বসবি কিন্তু।
- কেনো রে?
- যা বললাম তাই করবি। না হলে আম্মুকে বলে
দিবো তুই আমাকে মেরেছিস।
- ঐ তোকে কখন মারলাম রে?
- সেটা তো আমি আর তুই জানি। কিন্তু আম্মু
তো
আর জানে না।
অগত্যা ইভার পাশে বসতে হয়েছে। ঠিক তখনি
দৌড়ে তানিশা এসে আমার পাশে বসল। আমি
মনে
মনে পৈশাচিক এক হাসি দিলাম। কারন এখন
থেকেই
তো শুরু করবো।
.
গাড়ি চলছে আসতে আসতে। বাসা থেকে ২০
কি.
মি. দুরে একটি জঙ্গল আছে। সেখানে একটি
নদীমত বয়ে গেছে। সুন্দর সুন্দর গাছ, রঙিন
মাছ
সব আছে। আর তাছাড়া জঙ্গলটা নিরাপদ ও।
আমি ইভার পাশে বসে আছি।ইভা জানালার
পাশে,তার
পাশে আমি আর আমার পাশে তানিশা। ইভা
কেমন
করে যেন তাকাচ্ছে। কারন তানিশা খুব
ঝাপটে বসে
আছে। তানিশার পাশে অদ্রিতা। সেও কেমন
দৃষ্টি
দিয়ে তাকাচ্ছে। তার মানে আমার ধারনা
সত্যি। ইভা
আমাকে ভালোবাসে। খেলা তো এইবারই শুরু
করবো।
ইভা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তখনি আমি
তানিশার
হাত ধরলাম। ইভা চোখ বড় বড় করে তাকাচ্ছে।
মজা
পাচ্ছি তখনি তানিশাকে বললাম...
- তানিশা তোমার কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে?
- নাহ, কেনো বলোতো?
- তাহলে তো তোমার হাত কেউ ধরেনি তাই
না।
- হুমম,আজ তুমি এভাবে ধরলে। একটা কথা
বলবো
হৃদয়? (তানিশা)
- হুমম বলো।
- তোমার সাথে বেশ জমিয়ে ঘুরবো বলে আমি
এই পিকনিকের ব্যবস্থা করেছি। আজ আমরা
ওখানে
যেয়ে ঘুরবো খুব হা?
আরে এটা তো দেখি শীত না আসতেই বরফ
পড়ছে। মানে মেঘ না চাইতেই পানি। আমি
ব্যাক
গ্লাসে ইভার দিকে তাকালাম। দেখি চোখ
বড় বড়
করে আমার আর তানিশার হাতের দিকে
তাকিয়ে
আছে। রাগে লাল হয়ে আছে। তখনি লাফিয়ে
উঠলাম। ডান পাশ থেকে ইভা আমার ডান
হাতে
জোরে চিমটি কাটলো। তার মানে এটা
শাস্থি? দাঁড়াও
বুঝাচ্ছি মজা।
- তানিশা, আমারো না কদিন ধরে এমন ইচ্ছে
করছে।
কেন জানিনা তোমাকে নিয়ে ঘুরতে খুব
ইচ্ছে
হচ্ছিল। কিন্তু ভয়ে কিছু বলিনি। আজ
সারাদিন ঘুরবো
হুমম? (ইভাকে শুনিয়ে বললাম)
- তাই, ইসস কি মিল আমাদের।
- এই মেয়ে, সেদিন না তোমরা একসাথে
সাইকেলে ঘুরলে। এত ঘোরাঘুরি কিসের হুমম?
(ইভা)
- তো ও আমার সাথে ঘুরতে তাতে তোমার
কি?
(আমি)
- হুমম আমি হৃদয়ের সাথে ঘুরবো তো তাই কি?
(তানিশা)
ইভা চুপ হয়ে গেল। আমি মনে মনে হাসলাম। হা
হা
হা,,ইভা জেলাস ফিল করছে। কিন্তু তার তো
আবার
বিয়ে ঠিক। তাহলে আবার জেলাস ফিল
করছে
কেনো? কি জানি আবার বিয়ের আগে এসে
জড়িয়ে ধরে ভালোবাসি বলে কিনা? তখনি
শুনলাম ইভা
বিড় বিড় করে বললো..
"আমাকে নিয়ে কখনও ঘুরতে যায় না। আর
কোথাকার কোন মেয়েকে নিয়ে ঘুরবে।
ইচ্ছে করছে হাতটা কেটে রাখি, ধ্যাত
ভালো
লাগে না"
আমি আরো হাসলাম। এই তো ইভা জেলাস
হচ্ছে।
আমি চাই ইভা এবার এসে ভালোবাসি বলুক।
সে অবদি
না হয় ইভাকে আগের দেয়া কষ্টের জন্য একটু
কষ্ট দিলাম।
..
গাড়ি এসে পৌছালো জঙ্গলের কাছেই।
তখনি সৌরভ
জোরে ব্রেক কষলো। জানিনা চাকার নিচে
কি
ছিল। তবে যখনি ব্রেক কষলো। তখনি তানিশা
আমার
দিকে তাকিয়ে থাকার কারনে ব্রেক চাপার
ফলে বাম
পাশে কিস করে বসলো। তানিশা লজ্বাতে
মাথা নিচু
করে ফেললো। আমি হাবার মত চেয়ে আছি।
তখনি ইভা চিল্লানি দিয়ে বললো...
- অদ্রিতা, তোর জন্য এখানে আসতে হলো।
আমি
আসতে চাইনি। বেয়াদপেরা গাড়িতে বসে
আছে।
এদের সাথে কি আসা যায়? আর সৌরভ তুমি
ব্রেক
করার আর সময় পেলে না? গেট খোলে আমি
নামবো।
আমি তো আরো মজা পেলাম। এবার তো শুরু
হিহিহি। ইভা আমি ভালোবেসেছিলাম বলে
অপমান
করেছিলে আর আজ থেকে তুমিই সেই
ভালোবাসার জন্য কষ্ট পাবে। আর এসে
জড়িয়ে
ধরে বলবে ভালোবাসি। হি হি হি....
.
to be continue................

1 comment :

  1. আরো নতুন নতুন Golpo পড়তে ভিজিট করুন
    www.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete