#Romantic_Devil
#অন্ত_নীলা
#পর্ব_15
.
.
.
-কেমন আছ এখন?
-বেটার!
এখন কটা বাজে?
-সকাল সাড়ে সাতটা।
-হায় হায় আমি এগারো ঘন্টা ঘুমাইছি?
-হুম! রেডি হয়ে থেকো আজ ভার্সিটি যাবে।
-আপনি যাবেন না?
-আমি তোমার মত ভাল স্টুডেন্ট নই যে আমায় রেগুলার যেতে হবে।
-ভাল স্টুডেন্ট না হলে কেও অই ইউনিভার্সিটিতে চান্স পায়না।
-বাবার টাকা আর প্রভাব থাকলে অনেকেই পায়!
আমি ssc ২ বারে পাস করছি আর Hsc কিনে আনা প্রশ্নে।
মিম শুভ্রের দিকে এতবড় চোখ করে তাকালো যে মিমের চোখ দেখে শুভ্র হেসে দিল।
-আপনি এখন থেকে ভাল করে পড়বেন!
-কেন?
-আপনার বউ চাইছে তাই!
-যদি না পড়ি?
-বাড়ি থেকে চলে যাব!*
-তুমি গেলেই আমার কি?
-আপনার কি? আপনার কিছুই না তাইনা অকে গেলাম!
বলেই বিছানা থেকে উঠে পরে মিম।
ওর লাগেজ গুছাতে থাকে!
শুভ্র দেখে আর মিটিমিটি হাসে!
তারপর মিম বের হয়ে যেতে ধরছে শুভ্র টেনে অকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরল।
-এই মেয়ে!
-কি?
-কোথাও যাবানা!
-আমি গেলে আপনার কি?
-আমার বউ গেলে আমার কি মানে?
মিম কাঁদকাঁদ হয়ে বলল,,
-ইহহহ বউ না ছাই! কোনো কথা শুনেন আমার? খালি পানিশমেন্ট দেন। কখনো ত আদর ও করতে,,,,
-ওওওওও তাইলে আমার বউ এর পেটে পেটে এইগুলা চলে?
মিম লজ্জা পেয়ে মুখ লুকিয়ে নেয়!
-চোখ বন্ধ কর ত জান!
-করবনা!
-অকে পরে আবার করনা যেন।
শুভ্র মিমের কপালে আদর দিল! তারপর ঠোঁটে!
মিম চোখ বন্ধ করে ফেলল।
-এখন কেমন বন্ধ করলা?
আমার কথা শুনতে অসুবিধা হয়?
-আপনি শুধু চোখ বব্ধ করার জন্য এটা করলেন?*
-হুম।
-আমি থাকমুনা আপনার বাসায় ডেভিল কোথাকার!
-ওওও আমার বউ। কি করলে থাকবা বল?
-আপনাকে ইউনিভার্সিটি তে টপ করতে হবে।
-পাগল হইছনি?
-হুম শর্তে রাজি থাকলে বলেন নয় আমি বাপের বাড়ি গেলাম!
-আচ্ছা আমি রাজি!
-আমার ডেভিল টা এতটাও পচা নয়!
-আবার ডেভিল বল্লা আমায়?
-আচ্ছা আচ্ছা আর বলবনা।
(খাটাস ডেভিল হনুমান)
-আবার কি বিরবির করতেছ কিছুনা!
-আচ্ছা খাইতে আস। খায়ে ভার্সিটি যাব। আর নেক্সট দিন থেকে তুমি রান্না করবা!
-আমি রান্না পারিনা ত! আপনি সত্যি ই ডেভিল!
রাগত চোখ নিয়ে শুভ্র তাকায় মিমের দিকে।
-পারনা শিখে নিবা!
-এএএএ আমায় মাফ করেন প্লিজ আমি আর জীবনেও বিয়ে করমুনা!
-না গো বউ আমার তোমার আর কক্ষনোই বিয়্ব করতে হবে না।
তুমি অনেক বেশি পেচাল পারো এখন যাও ফ্রেশ হও খাও রেডি হও।
-মিমকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে শুভ্র ওকে ছেড়ে বেরিয়ে গেল।*
,,,,,
ইউনিভার্সিটিতে আজ শুভ্র আর মিম একসাথে ঢুকল।
বিয়ের পর এটাই তাদের প্রথম ভার্সিটিতে আসা।
কারোর মধ্যেই এক্সাইটমেন্ট নাই।
মিমের মধ্যে বরং ভয় কাজ করছে।
কেও যদি জিজ্ঞেস করে শুভ্র কে বিয়ে কীভাবে করল?
অথবা শুভ্র ফেলিওর বলে কেও যদি ঠাট্টা করে?
মিমের অনেক মন খারাপ লাগছে।
ধ্যত কি সব ভাবছি আমি?
স্বামি failure হইলেও স্বামী আর কানা খুড়া হইলেও স্বামী।
,,, শুভ্র মোটা মুটি মিমের থেকে বেশি খুশি।
সে ত মিমকেই চেয়েছিল।
আর মিমকেই পেয়েছে।
বন্ধুদের কাছে তার ক্ষমতার দাম আরেকটু বেড়ে গেল।
যদিও সে ক্ষমতা দেখানোর জন্য এটা করেনি।
সে মিমকে সত্যি ই ভালবাসে।
তবুও বিয়েটা হয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মরল।
আর মিমকে আজ দেখে অসুখী মনে হচ্ছে না!
তবে কি মিমের মনেও আমার জন্য কিছু তৈরী হচ্ছে?
এসব ভেবে ভেবে হালকা হালকা হাসে শুভ্র।
মিম পাশ থেকে চিমটি দেয়।
-আহহহহহ
-আমার পাশে দাড়িয়ে অমন ক্যাবলার মত হাসি দিবেন না।
-হাহাহা
আমি ক্যাবলা?*
এত জোড়ে চিমটি দিলা কেন?
-দিছি বেশ করেছি আরো জোড়ে দেয়া উচিত ছিল।
এখন চলেন ক্লাসে যাই।
-মিম তুমি যাও আমার একটু কাজ আছে।
-কি কাজ?
-অইত্ত বন্ধুদের সাথে একটু দেকগা করব!
-করা লাগব না দেখা।
ক্লাস করবেন তারপর ক্লাস শেষে যা খুশি করবেনন।
ইউনিভার্সিটি টপ না করতে পারলে আমি আপনাক ডিভোর্স দিব।
-পারবানা তুমি!
-কেন?
-শুভ্র মুখ মিমের কানের কাছে নিয়ে গিয়ে ফিস ফিস করে বলে,,,
কারণ আমার মায়া পরিটা আমার মায়ায় জড়িয়ে গেছে।
-মোটেও না।
আর আপনি আমার স্বপ্ন পুরণের দায়িত্ব নিবেন না?
কমার ড্রিম আমার বর টপার হবে !
-পাগলামি বাদ দিয়ে ক্লাসে যাও।
আরেকবার টপার টপার করেছ ত থাপড়ায়ে টপ স্তরের সব দাঁত ফেলে দিব।
মি মন খারাপ করে ক্লাসে চলে গেল।
,,,,,
ক্লাসে টিচার ক্লাস নিচ্ছেন কিন্তু মিমের দৃষ্টি টিচারকে ছাড়িয়ে জানালা দদিয়ে আরো পিছনে চলে গেছে।*
স্যার কি বলছে সে কিছুই শুনতে পারছেনা।
সে যে শুভ্রকে খুজছে। তার অজান্তেই তার দুচোখ শুভ্রকে খুজে ফিরছে।
মিম খেয়াল ই করেনি কখন স্যার এসে তার পাসে দাড়িয়েছেন।
-এইযে ms stand up
(কাকে বলছে কে জানে আমি ত মিসেস।
কথাটি ভেবে মিম আবার জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকায় মনযোগ দিল।)
-এই মেয়ে তোমার কানে সমস্যা আছে নাকি!
তখন গিয়ে মিমের হুশ হল।
মিম উঠে দাড়ালো।
-বাইরে কি দেখছিলেন!
-সরি স্যার।
- What do you mean by sorry?
-sorry sir next আর এমন হবেনা।
-Get out of my class room.
-But sir!
-I say out.
কি আর করার মিম বেড়িয়ে গেল।
সব হয়েছে এই ডেভিল টার জন্য। ক্লাসে থাকলেই ত এমন হত না উফফফফ।
আজ নুফতি ও আসেনি। সেই যে বিয়ের দিন দেখা হইছিল এর পর আর মেয়েটার কোনো খোজ ই নাই!
কই যে হারাইলো।*
ও আসলেও আজ এমন একটা সমস্যা হত না।
কেও এখনো ইউনিভার্সিটিতে জানেই না মিমের বিয়ে হয়েছে।
জানলে কে কি বলত কে জানে।
মিম এই সবব আবুল তাবুল ভাবতে ভাবতে হাটতেছে।
আর মনে মনে তার ডেভিল টাকে খুজতেছে।
মিম নুফতি কে ফোন দিল সুইচ অফফ।
মেজাজ টা খারাপ হচ্ছে মিমের।
এমন সময় কোথা হতে এক ছেলে এসে মিমের হাতটা খপ করে ধরে ফেলল।
ঘটনার আকস্মিকতায় মিম ত থ মেরে দাড়িয়ে আছে!
-এইযে এটা হচ্ছে টা কি ছাড়ুন আমার হাত।
-ছাড়ব না ছাড়লেই আবার হারিয়ে যাবা!
এতদিন ভার্সিটিতে এলেনা কেন? কই ছিকে তুমি।
-আজিব ত হাত ছেড়ে কথা বলুন আমার।
-ছাড়বনা।
বলেই ছেলেটা হাটু গেড়ে বসল।
পকেট থেকে একটা লাল গোলাপ বের করে মিমের দিকে দিয়ে বলল,,,,
-i love you mim.
তারপর মিমকে জড়ায়ে ধরল।
মিম কোনো ভাবেই নিজেকে ছাড়াতেই পারল না।
ছেলেটা মিমকে ছেড়ে দিল মনে হয় মিমকে আরো কিছু করতে যাচ্ছিলো অমনি
Friday, October 26, 2018
রোমান্টিক শয়তান পর্ব 15
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment