Friday, October 26, 2018

শয়তান শিক্ষক পার্ট ৯

1 comment

Devil_Teacher
#part - 9
তানিশা : তাহলে আমি সবাইকে বলে দেবো আপনি আস্ত একটা লুচু
কাব্য : বললে বলবা ( দুষ্টামির হাসি দিয়ে )
তানিশা : আমি কিন্তু এখন জোরে জোরে কান্না করবো।
কাব্য : কান্না করতে হবেনা, আমি এখন কিছু করছিনা। তুমিতো এখনো ছোট বড় হও তারপর ( কোল থেকে বিছানায় নামিয়ে )
তানিশা : তারপর কি?
কাব্য : আমার তো মনে হয় তোমার থেকে তান্নিমা ভালো জানবে তারপর কি ( হাসতে হাসতে )
তানিশা : বলছি কি স্যার আপনি যেহেতু তান্নিমাকে এতো পছন্দ করেন, আমি ওকে পটিয়ে আপনার গলায় ঝুলিয়ে দেই। মানে আপনার সাথে ওর বিয়ে দিয়ে দেই, ও আপনাকে অনেক পছন্দ করে বিয়ের দিন আমাকে বলেছিলো। আপনারা দুজন দুজনকে পছন্দ করে মাঝখানে আমি থেকে কি করবো?
কাব্য :..... ( নিশ্চুপ )
তানিশা : স্যার এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? আমি কিন্তু আপনার ভালো জন্য বলছি।
--- devil কিছু না বলে আমার দিকে এভাবে রেগে তাকিয়ে আছে কেন? মনে হয় কিছু ভুল বললাম। আমিতো ভালোর জন্য বলছি, এভাবে রাগার কি আছে? আমি বরং ঘুমিয়ে পরি এটাই আমার জন্য ভালো,,,
( ভোরে )
কাব্য : তানিশা ওঠো
তানিশা : উহু
কাব্য : তানিশা ওঠবে না?
তানিশা :....
কাব্য : ok fine...
--- কাব্য এক গ্লাস পানি তানিশার গায়ে ঢেলে দিলো, তানিশা ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে রেগে গেলো,,,
তানিশা : এটা কি করলেন? এভাবে কেউ ঘুম থেকে জাগায়
কাব্য : কখন থেকে ডাকছি উঠছো না কেন?
তানিশা : তাই বলে পানি ঢেলে দিবেন
কাব্য : হুম, এখন কথা না বাড়িয়ে নামাজ পরে রান্নাঘরে যাও
তানিশা : রান্নাঘরে কি করবো?
কাব্য : সবার জন্য নাস্তা তৈরি করবে, মা বাবা আজকে রাজশাহী চলে যাবে। আজ থেকে রান্নাবাড়া তুমি করবে
তানিশা : স্যার আমি রান্না করতে পারিনা। ( করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে )
কাব্য : রান্না তোমাকে করতে হবে, তুমি এই বাড়ির বৌ। আমি কোন অজুহাত শুনতে চাইনা, ১০ মিনিটের মধ্যে নাস্তা যেন তৈরি হয়ে যায়। ( কথাটা বলে কাব্য মসজিদে চলে গেলো )
--- তানিশা নামাজ পরে রান্না ঘরে গিয়ে কাব্যকে বকতে লাগলো,,
তানিশা : বজ্জাত devil টা আমাকে কাজের বুয়া বানিয়ে দিছে। এতো রান্না খাওয়ার ইচ্ছা থাকলে কাজের বুয়াকে বিয়ে করলে তো পারতো, আমাকে কাজের বুয়া বানানোর কি দরকার ছিলো?
নীলা : তুই এতো বকবক করছিস কেন?
তানিশা : ফাজিল মেয়ে তোর কারনে আজকে আমি কাজের বুয়া হয়ে গেছি, রাফি ঠিক বলেছিলো devil টা আমাকে কাজের বুয়া বানিয়ে দিবে। ( কাঁদোকাঁদো গলায় )
নীলা : ভাইয়া এখনি চলে আসবে, এসে যদি তোর এই বকবক শুনে রেগে যাবে। তুই যা আমি নাস্তা বানাচ্ছি
তানিশা : শুনলে কি হবে, এটা দেখছিস ( চুরি দেখিয়ে ) এটা দিয়ে ঐ জিরাফটার গলা কাটবো, কেটে টুকরা টুকরা করে রান্না করে খাবো। এতো রাগ আসে কোথা থেকে আজকে দেখবো? আজকে আমার ধৈর্য শেষ হয়ে গেছে ( রাগে গজগজ করে কথাগুলো বলছিলো )
কাব্য : তোমার ধৈর্য শেষ? আমার তো মনে হচ্ছে তোমার এই ব্যাবহারে আমার ধৈর্য শেষ হয়ে যাচ্ছে ( পেছন থেকে )
নীলা : ভাইয়া হয়েছে কি,,,
কাব্য : আমি তোকে বলিনি
তানিশা : স্যা,,,স্যার আমি আপনাকে কেন বলতে যাবো, আমিতো এগুলো রাফিকে বলছিলাম ( ভয়ে এখনি কেঁদে দেবে )
কাব্য : এতক্ষণতো রাগে গজগজ করছিলে, আবার এখনি মনে হয় কেঁদে দিবে ( ভ্রু কুচকে )
তানিশা : না মানে,,( কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা ) কাব্য : নাস্তা তৈরি হয়েছে?
তানিশা : না ( মাথা নেড়ে )
কাব্য : যদি তোমার বকবক শেষ হয়, তাহলে নাস্তা বানাতে পারো ( কথাটা বলে কাব্য চলে গেলো )
নীলা : তানিশা ভাইয়ার কি হয়েছে? ( চিন্তিত হয়ে )
তানিশা : দেখছিস না এনাকন্ডাটা তো ঠিকি আছে।
নীলা : আরে আমি এটা বলিনি, বলছি যে ভাইয়া তোর উপর রাগ হয়নি... how strange
তানিশা : ঐ তুই আমার দোস্ত নাকি দুশমন একেতো এই জিরাফটার গলায় আমাকে ঝুলিয়ে দিলি এখন বলছিস রাগ করেনি কেন? ( রেগে গিয়ে )
নীলা : তুই আসলেই পাগল, তোর জায়গায় যদি অন্যকেউ থাকতো দুই গালে দুইটা চড় বসিয়ে দিতো। ভাইয়াকে আমি চিনি
তানিশা : ঠিক বলেছিস রে,, ( নিজের গালে হাত দিয়ে ) সাধে কি আর
নীলা : আমার মনে হয় নিজের রাগ control করতে চেষ্টা করছে।
তানিশা : হুম, এখন যদি নাস্তা না বানাই ঠিকি দুগালে চড় বসিয়ে দিবে।
--- নাস্তা শেষ করে ঘর গুছিয়ে রুমে গিয়ে দেখি ওনি ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে,,,
কাব্য : ১০ মিনিটের মধ্যে তৈরি হয়ে নাও ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য।
তানিশা : কেন?
কাব্য : তুমি যদি ভেবে থাকো আমি তোমাকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবো এটা তোমার ভুল ধারনা।
তানিশা : স্যার আজকে আমি অনেক কাজ করে খেয়েছি।
কাব্য : আমি এই কাজের কথা বলিনি ( রাগি গলায় )
তানিশা : শরীরটা কান্ত লাগছে, আজকে যাবোনা।
কাব্য : আমি কোন অজুহাত শুনতে চাইনা, গাড়িতে wait করছি তাড়াতাড়ি আসো ( বলেই চলে গেলো )
--- সকাল থেকে কাজ করতে করতে আমি কাজের বুয়া হয়ে গেছি, এখন আবার ভার্সিটিতে যেতে হবে। ঐ বজ্জাত devil এর কারনে আমার জীবনে যে আরো কত কি দেখতে হবে,,,
চলবে,,,

1 comment :

  1. আরো নতুন নতুন Golpo পড়তে ভিজিট করুন
    www.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete