#Romantic_Devil
#অন্ত_নীলা
#পর্ব_14
.
.
.
মিম ফোন দিল তারপর মিম উঠার আগেই বাইক ছেড়ে দিল।
-মিম সোনামনি তোমার বাকি পানিশমেন্ট হচ্ছে এখান থেকে হেটে বাড়ি যাওয়া
-কিন্তু এখান থেকে বাসা ত অনেক দূর।
-না গো বেশি দূরে না মাত্র সাত কিলোমিটার।
-প্লিজজ এমন টা কইরেন না যাইতেই ত রাত হয়ে যাবে।
-তাতে কি হু?
বাই আমি গেলাম।
একথা বলে শুভ্র জোড়ে বাইক ছেড়ে দিল।
এখন আর মিমের দৃষ্টি সীমার মধ্যে শুভ্র নেই। শুভ্র কে দেখা যাচ্ছেনা।
এখন পড়ন্ত বিকেল। পশ্চিম আকাশ নীলিমায় সেজে উঠেছে। আর এর মধ্যে রাস্তায় একা হাটছে মিম।
এদিকে রেস্টুরেন্ট এ এত খেয়েছে মিম যে ঠিক মত হাটতেও পারতেছেনা।
সামনে একটা ব্রিজ।
নিচে দিয়ে নদী যাচ্ছে।
মিম একটু হেটে এসে ব্রিজের উপর দাড়ালো।
চুল গুলো ছেড়ে দিল। বাতাসে মিমের চুল উড়তেছে।
-নাহ সনন্ধা হয়ে আসতেছে। আমায় এখন বাসায় যেতেই* হবে। ডেভিল টার মাথায় বুদ্ধি নাই। তাই বলেকি আমার ও নাই নাকি? ছেলে সাক চুর কোথাকার।
মিম মনে মনে শুভ্রকে বক্তে বকতে এগিয়ে যেতে থাকে।
আজ যেনো তার রাস্তা এগুচ্ছেই না।
পা যেনো কিছুতেই নড়তে চাচ্ছেনা। নড়বে কি করে? অনেকদিন ত হাটেনা মিম।
তারপর ও আজ না হেটে উপায় নেই।
রাস্তাটা প্রায় ই নীর্জন এলাকার মানুষ গুলোকেও শুবিধার মনে হচ্ছে না যেয়ে হেল্প চাইবে।
মিম প্রায় দেড় কিলোমিটার হাটল। এখন ওর পা ব্যাথা করতেছে। এত কি হাটা যায় নাকি?
তবু সে হাটতেছে। না হেটে উপায় কি!
সামনে আরেকটা ব্রিজ। এই ব্রিজটা আগের থেকেও অনেক বড়। আর অনেক বেশি নীর্জন। সন্ধা হয়ে এসেছে তবুও এখানে এখনো আলো জালানো হয়নি।
মিম ব্রীজের উপর দিয়ে যাচ্ছে। অখানে কয়েকটা ছেলে দাড়িয়ে ছিল।
মিম ত নীল জামা পড়ে একা হাটতেছে।
ত ছেলে গুলা বলল,,,,
-চুমকি চলেছে একা পথে।
সঙী হলে দোষ কি তাতে,,,,,
মিম কানে নিলনা। ছেলে গুলো আবার বলল,,,
-আকাশ এখন মেঘ লা যেও নাকো একলা
এখনি নামবে অন্ধকার,,,,
মিমের ভয়ে শরীর ছিটিয়ে আসতেছে।
ছেলে গুলাকে মোটেও সুবিধার লাগতেছেনা।*
মনে মনে ইচ্ছে মত শুভ্রকে বকেই যাচ্ছে মিম।
এমন কেও করে?
আর অই ডেভিল টা নাকি আমায় ভালবাসে!
এই ভালবাসার নমুনা?
ভালবাসলে কেও এইভাবে মাঝরাস্তায় একা রেখে চলে যায়?
ছেলে গুলা মিমের পিছু পিছু হাটতেছে।
মিম নিজের হাটার গতি বাড়ালো।
ছেলে গুলাও বাড়িয়ে দিল।
এখন মিম দৌড়াচ্ছে।
পিছনে ছেলে গুলাও।
মিম কান্না করতে করতে দৌড়াচ্ছে।
যখন ছেলে গুলা মিমের দুই মিটারের কাছে এসে পড়েছে তখন মিম চোখ বন্ধ করে দৌড়াণো শুরু করে দিল।
কয়েক সেকেন্ড পর মনে হল কিসের সাথে জানি ধাক্কা খেল।
চোখ খুলে দেখে সাদা দেয়াল!
উপরে তাকায়ে দেখে শুভ্র।
মিমত শুভ্র কে পেয়ে ইচ্ছে মত কাদতেছে আর শুভ্রর বুকে কিলল ঘুষি ত আছেই।
তখন ছেলে গুলা এসে বলল,,,
-ভাই সরেন মেয়েটা আমাদের শিকার।
-চুপ চাপ এখান থেকে চলে যাও নয় মাইর একটাও মাটিতে পরবেনা।
-ভাইয়া আমরা তিনজন আপনি একা মাইর কে খাবে একটু হিসাব রাইখেন।*
সো সরে গেলেই খুশি হব।
আর আপনার এত লাগছে কেন?
আপনার কি বউ লাগে?
-হ্যা বউ ই ও আমার।
-তা নিজের বউ কে এই সন্ধায় নীর্জন রাস্তায় বের হতে দেন কেন?
-আমার বউ কে নীর্জন রাস্তায় রাখব না মিছিলের মাঝখানে রাখব তা আনার ব্যাপার। তোমাদের নাক গলায়ে হবে না। সোজা কোথায় যাবা কিনা বল। রাত হয়এ আসতেছে। কথা না শুনলে মারামারি করতে চাইলে বল তারাতারি তোমাদের বিদায় করি।
-এত সাহস আমাদের হুমকি দেয়া!
ওরা তিনজন শুভ্রর উপর ঝাপিয়ে পড়ল। শুভ্র কে ইচ্ছে মত মারতেছে। শুভ্র ও কম যায় না। একা ই তিনজন কে মাইর দিতেছে। একেবারে হিরোদের মত মারামারি করতেছে শুভ্র। মিম মূগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে।
ছেলে গুলা মাইর খেয়ে পালিয়ে গেল।
মিম এসে শুভ্র কে জড়িয়ে ধরল।
-হইছে আর বাংলা ফিল্মের হিরোইন হইতে হবেনা।
ছাড়ো আমায়।
মিম শুভ্র কে ছেড়ে দিল।
-তোমায় বাঁচাইছি মানে এই না তোমার পানিশমেন্ট শেষ হয়ে গেছে।
হাটা শুরু কর।
তুমি হেটে হেটে বাসায় যাবা আর আমি বাইকে।
আমি তোমার পিছনেই আছি।*
নাও হাটো।
-উফফফফফ আপনি সত্যি ই ডেভিল।
খাটাস কোথাকার
চাইনিজ চামচিকা।
বার্মিজ বাদুর।
ইন্ডিয়ান ইন্দুর।
-কি বললা তুমি আমায়?
এর জন্য আবার তোমার কি পানিশমেন্ট হইতে পারে তুমি চিন্তা কররে পারো?
-আপনি কি টিচার নাকি?
সব সময় এত পানিশমেন্ট পানিশমেন্ট করেন কেন?
আমি কি আপনার ছাত্রী যে আমায় পানিশমেন্ট দিবেন?
-তুমি আমার কি হু?
-আমি আপনার,,,,
-হইছে অত ভাবা লাগব না এখন বাড়ি চল।
তোমার জন্য সারারাত এইনে দাড়ায়ে থাকতে পারব না।
-হু চলুন,,,
বলেই মিম বাইকে উঠল।
-অই মাইয়া বাইক থেকে নামো।
তোমার পানিশমেন্ট হচ্ছে হাটা।
আর তুমি কিনা বাইকে উঠতেছ?
-আমি হাটমুনা আজ মাফ করেন নেক্সট দিন থেকে আর এমন হবেনা।
-না তোমায় হাটতেই হবে।
শুভ্র মিমকে জোড় করে বাইক থেকে নামিয়ে দিল।
তারপর মিম আর শুভ্র একসাথে যেতে লাগল।*
একজন বাইকে অন্যজন হেটে।
,,,,,
বাসায়,,,,
পৌছেই মিম বিছকনায় চিৎপটাং হয়ে শুয়ে পড়ল।
পা গুলা প্রচন্ড ব্যাথা আর পায়ের অনেক জায়গায় মনে হয় ছাল উঠে গেছে।
শুভ্র এসে বলল
-চল মা ডাকে খাইতে।
-খাবনা আমি
আমার পানিশমেন্ট খেয়েই পেট ভরে গেছে।
-খাইতেই হবে।
-উফফফ সব কিছুতেই এত জোড়াজুড়ি কিসের।
আমার পা কত ব্যাথা জানেন?
কগাবনা এখন আমি।
মা কে প্লিজ একটু বুঝায়ে বলেনন।
আমার এই সিড়ি দিয়ে মেমে নিচে যায়ে খেয়ে আসা সম্ভব না।
,
শুভ্র নিচে গেল।
তারপর কিছু খাবার নিয়ে উপরে উঠে এল।
-নাও এখন আর তোমায় নিচে যায়ে খাইতে হবেনা।
এখানে বসেই খেয়ে নাও।
-আমি খাবনা।
তারপর শুভ্র হাত ধুয়ে নিজেও খেল আর মিম কেও খাওয়ালো।
মিম প্রথমে খাইতে চাইছিল না।*
শুভ্র জিজ্ঞেস করল মিম তুমি ভাত খাবা নাকি থাপ্পড় খাবা ডিসাইড কর।
মিম থাপ্পড় খাওয়া থেকে ভাত খাওয়া টাকেই শ্রেয় মনে করল।
,,
শুভ্র দেখে মিমম পা এর ব্যাথায় আহ আহ করে কাতরাচ্ছে।
দাড়ানো ত দূড়ে থাক ঠিক মত বসতেও পারতেছেনা।
শুভ্র মিমের পা এর কাছে বসল।
পা এর তালু অনেক খাননি ই ছিলে গেছে।
(ইশশ পানিশমেন্ট টা অনেক বেশি হয়ে গেছে)
শুভ্র একটা মলম নিয়ে এসে মিমের পায়ে লাগিয়ে দিল।
তারপর পা টিপতে থাকল।
মিম জানে শুভ্র কে না করে লাভ নাই।
তাই সে শুভ্র কে না করলনা।
বরং আরামেই ঘুমিয়ে গেল।
আধো ঘুমে বুঝল শুভ্র পায়ের পাতায় একটা চুমু একে দিয়েছে।
তারপর মিম অনন্ত ঘুমে তলিয়ে গেল
Friday, October 26, 2018
রোমান্টিক শয়তান পর্ব 14
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment