#Devil_Teacher
#part - 7
--- আমি এখন কি করি? Devil আসার আগে আমি বরং এই বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই। আমি রুম থেকে বেরিয়ে আস্তে আস্তে বাড়ির মেইন ডোরের দিকে এগিয়ে যখনি দরজা খুলতে যাবো, তখনি কেউ আমার হাত ধরে ফেললো ফিরে তাকাতেই কলিজার পানি সব শুকিয়ে গেছে। devil আমার দিকে আগুনের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, কিছু না বলে হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে গেলো। আমাকে বিছানায় বসিয়ে খাবারের প্লেট হাতে নিয়ে আমার সামনে বসে পরলো। আমি ভয়ে বললাম,,,
তানিশা : স্যার আমি তান্নিমাকে মিস করছিলাম, তাই
কাব্য : হা করো ( এক লুকমা এগিয়ে দিয়ে)
তানিশা : স্যার আমার ভুল হয়েগেছে, আমি আর কখনো এমন করবো না। ( কাঁদোকাঁদো গলায়)
কাব্য : আমি বলছি হা করো ( স্বাভাবিক গলায়)
--- আমি আসলেই বোকা, devil টা হয়তো বুঝতে পারেনি আমি যে পালাতে চেয়েছি, এখন নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারতে গেছিলাম। যাক বাবা বেচে গেছি, আমি খাবারের প্লেটে তাকাতেই মাথা ঘুরানোর অবস্থা,,,
তানিশা : এতো খাবার কার জন্য?
কাব্য : তোমার জন্য
তানিশা : আমাকে কি আপনার গরু মনে হয় নাকি? এতো খাবার আমি খাবো
কাব্য : না খেয়ে দিন দিন যা ফিগার বানাচ্ছো, তোমার থেকে তো তান্নিমাকে বড় দেখা যায়।
তানিশা : তাহলে বিয়েটা তান্নিমাকে করতেন, আমাকে করছেন কেন?
কাব্য : তান্নিমা আমার ছোট বোন নীলার মতো ( রাগি গলায়)
তানিশা : আমিও তো নীলার বান্ধবী আপনার ছোট বোনের মতো ( বলেই জ্বিব্বায় কামড় দিলাম )
--- ওনি কিছু বলছেনা আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে মনে হয় চোখ দিয়েই শেষ করে দিবে। ভয়ে ওনার হাত থেকে প্লেটটা নিয়ে খাওয়া শুরু করে দিলাম, ওনি এখনো তাকিয়ে আছে। ওনার ভয়ে এক প্লেট খাবার কখন যে শেষ করে ফেলেছি বুঝতে পারিনি। খাওয়া শেষে ভদ্র মেয়ের মতো বিছানায় শুয়ে ঘুমের ভান ধরে আছি, ভয়ে ঘুমও আসছেনা। অনেকক্ষণ চোখ বন্ধ করে আছি, একটা চোখ হালকা মেলে দেখি ওনি এখনো আগের অবস্থায়, মনে হয় আমাকে কিভাবে মারবে সেই প্লেন করছে। ভয়ে আমার কলিজা শুকিয়ে আবারো পানির পিপাসা পেয়েছে, এখন উঠার কোন উপায় নাই, কি করি এখন?
কাব্য : এই নাও পানি ( এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিয়ে)
তানিশা :..... ( এখনো ঘুমের ভান ধরে আছে)
কাব্য : আমি জানি তুমি এখনো ঘুমাওনি, বৃথা চেষ্টা করে লাভ নেই
তানিশা : স্যার আসলে,,,, ( চোখ মেলে)
কাব্য : পানি ( গ্লাসটা এগিয়ে দিয়ে)
--- ওনার হাত থেকে গ্লাসটা নিয়ে ঢকঢক করে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলাম,,,
কাব্য : তুমি আজ রাত নিশ্চিতে ঘুমাতে পারো আমি কিছু করবো না। তুমি ভেবোনা যে আমি বুঝতে পারিনি তুমি পালানোর চেষ্টা করছিলে, আর একটা কথা,, তুমি যথেষ্ট adult কখন কোথায় কিভাবে কথা বলতে হয় সেটা তোমার জানা থাকা দরকার। আজ আমাদের বিয়ের প্রথম রাত শুধুমাত্র আজকের জন্য তোমাকে কিছু করছিনা ( বলেই বিছানায় শুয়ে পরলো)
তানিশা : স্যার আমি নীলার রুমে চলে যাই, আমার এখানে ঘুম আসবেনা।
কাব্য : তানিশা আমি অনেক কষ্টে নিজেকে control করে রেখেছি। আর একটা কথা যদি তোমার মুখে শুনি তাহলে কিন্তু খারাপ হয়ে যাবে, তাই চুপ করে শুয়ে পরো। ( রাগি গলায়)
--- চুপ করে শুয়ে পরলাম, একটা কথা মাথায় আসেনা আমাকে নিয়ে ওনার এতো সমস্যা হলে বিয়ে করার কি দরকার ছিলো? অযথা আমার জীবনটা তেজপাতা বানিয়ে দিচ্ছে। ইচ্ছে করছে কান্না করতে, ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরেছি,,,
কাব্য : তানিশা উঠো
তানিশা : মামনি আর একটু ( ঘুমঘুম গলায়)
কাব্য : তানিশা উঠো বলছি ( খুব জোরে ধমক দিয়ে )
তানিশা : মামনি devil ( ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে )
কাব্য : কি বললে? ( ভ্রু কুচকে )
তানিশা : কই কিছুনা
কাব্য : ৫ মিনিটের মধ্যে তৈরি হয়ে নাস্তার টেবিলে আসো।
তানিশা : এতো সকালে?
কাব্য : কালকে থেকে আরো সকালে উঠবে, এখন তাড়াতাড়ি আসো ( বলে চলে গেলো)
--- আজ বৌভাত অনুষ্ঠান, তানিশাকে খয়েরি মধ্যে গোল্ডেন রঙ্গের একটা লেহেঙ্গা সাথে হালকা গয়না পরানো হয়েছে। হালকা সাজে তানিশাকে অপ্সরীর মতো লাগছে, তানিশাকে বসার ঘরে নিয়ে কাব্যর পাশে বসানো হয়েছে। কাব্য তানিশার দিকে অপলক তাকিয়ে আছে, তানিশাকে আজ প্রথম দিনের ছোট্ট পরির মতো লাগছে, যখন কাব্য তাকে প্রথম দেখে। আজ এতটা অপরূপা লাগছে ইচ্ছে করছে ভালবাসার পরশে একটু ছুয়ে দিতে, কিন্তু সবার সামনে সেটা সম্ভব না। তানিশার সব বন্ধুরা এসেছে, তাদের দেখে তানিশা উঠে তাদের সাথে কথা বলতে চলে গেলো,,,
তানিশা : এই তুই বেরিয়ে যা আমার বাড়ি থেকে ( রাফিকে উদ্দেশ্য করে)
রাফি : আমি আবার কি করলাম? ( অবাক হয়ে)
তানিশা : তুই আমাকে সেদিন অভিশাপ দিয়েছিলি আমার husband একটা devil পরবে। তোর কারনে আজকে আমার কপালে এই devil টা জুটলো ( কাঁদোকাঁদো গলায়)
রিতু : ইসসস তানিশা তোর জায়গায় যদি আমি থাকতাম। তোর কপালটা কতো ভালো
তানিশা : আমার কপাল ভালো? ইচ্ছে করছে ঐ জিরাফটার গলায় তোকে ঝুলিয়ে দেই ( রেগে গিয়ে )
রাতুল : devil থেকে আমার জিরাফ বানিয়ে দিলি?
তানিশা : দেখিস না জিরাফের মতো লম্বা।
নীলা : এই ভাইয়াকে নিয়ে তোর সবসময় এতো এলার্জি কেন?
তানিশা : তুইতো কথাই বলবিনা, তুই আমার সাথে চিটিং করছিস, আমাকে ভাবি বানিয়ে এনেছিস না? তোকে একটা হনুমানের গলায় ঝুলিয়ে দিবো। কালো বাদর দেখে বিয়ে দিবো তোর কারনে ঐ devil টা আমার জীবন তেজপাতা বানিয়ে দিচ্ছে, ঐ বজ্জাতটার কারনে,,,
রাফি : তানিশা চুপ কর।
তানিশা : চুপ করবো কেন? ঐ বজ্জাত devil টার কারনে আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি
রিতু : তানিশা চুপ কর please...
তানিশা : কিসের চুপ, তোর প্রাণপ্রিয় স্যার এই জন্য? ঐ বজ্জাত devil teacher টাকে ইচ্ছে করে কুপিয়ে কিমা কিমা বানাই, কথায় কথায় শুধু ধমক দেয়। বজ্জাতের হাড্ডি, এনাকন্ডা, লাল বাদর টাকে কবে যে,,, ( সবাই চলে যাচ্ছে ) এই আমি তোদের সাথে কথা বলছি, তোরা কোথায় যাচ্ছিস?
--- সবাই চলে গেলো, আমি পেছনে ফিরতেই দেখি devil আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এখন বুঝতে পারছি ওরা কেন আমাকে চুপ করতে বলছে, আমি এখন শেষ। যেভাবে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে এখনি আমার বারোটা বাজিয়ে দিবে, এখন কি করবো?
চলবে,,,
Friday, October 26, 2018
শয়তান শিক্ষক পার্ট ৭
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment