Friday, October 26, 2018

রোমান্টিক শয়তান পর্ব 22-23

No comments

#Romantic_Devil
#অন্ত_নীলা
#পর্ব_22
.
.
.
মিম শুভ্রর পায়ে হিল দিয়ে এমন জোড়ে চাপ দিল যে শুভ্র লাইব্রেরী তেই চেঁচিয়ে উঠল।
-ডেভিলের বাচ্চা ডেভিল। আজ থেকে তুই বুঝবি এই মিম কি জিনিস হুহ!
দৌরে যেতে যেতে শুভ্রের দিকে কথাটা ছুড়ে দেয় মিম।
-মিম তুমিও দেখবে ডেভিল কীভাবে নিজের বউ কে ফিরিয়ে আনে।
-মরে যাব তোর কাছে যাব না।
মিম লাইব্রেরী থেকে বেড়িয়ে গেল।
শুভ্র মনে মনে হাসতেছে। হাহাহা এই মেয়ে ত একেবারে আপনি থেকে তুই এ চলে গেছে। পাগলি এক্টা ভালবাসি তোকে।
,
মিম গিয়ে ক্লাসে বসল। ক্লাস পাঁচ মিনিট আগেই শুরু হইছে। যায়ে দেখে শুভ্র একেবারে সামনের সিটে বসে ক্লাস করতেছে। স্যারের কথা মনযোগ দিয়ে শুনতেছে।
-বাব্বাহহ ভূতের মুখে রামনাম! ভূত ক্লাসে এসে বসছে!
-সব ই তোকে ইমপ্রেস করার ধান্দা।
-হু জানি আমি।
-You two stand up(teacher)
-sorry sir
-দাড়াও।
কি বলতেছেলে তোমরা।?
-স্যার আর এমন হবেনা সরি স্যার।
-বল আমি কি পড়াইতেছি?
মিম বা নুফতি কেও ই জানে না স্যার কি পড়াইতেছে।
-এই মেয়ে (মিম কে) তোমায় ত সেদিন ও ক্লাস থেকে বের করে দিছিলাম। এতো অমনোযোগী কেন তুমি?
get out of my class.#
next কোনোদিন আমার ক্লাসে অমনোযোগিতা দেখালে তোমায় ভার্সিটি থেকে বের করতে কি করতে হয় তা আমি করব। ক্লাস করতে হয়য় ভাল করে করবা নয় না।
মিম আর নুফতি চুপ করে ক্লাস থেকে বের হয়ে গেল। মিম আরড় চোখে শুভ্রর দিকে তাকালো। শুভ্র তখনো স্যার এর হুয়াইট বোর্ড এর দিকে তাকিয়ে গভীর মনযোগ এ নখ কামড়াচ্ছে।
-ডেভিলটা কে দেখেছিস ? ওর জন্য আমরা ক্লাসের বাইরে আর ও এখনো নখ খাচ্ছে! একবার আমাদের দিকে তাকালোউ না।
-মনে হচ্ছে ওর তাকানো টাকে খুব মিস করতেছিস?
-তা ত বটেই(আনমনে বলে মিম)
-কিহ,,,
-না না কিছু না চল এখান থেকে।
,
কিছুক্ষণ পর ক্লাস শেষে মিম দেখে সবাই একটা যায়গায় গোল হয়ে দাড়িয়ে আছে। আর অইখানেই উচু শিরির উপর শুভ্র বসে আছে। কি যেন বলতেছে।
-এই অখানে কি হচ্ছে রে?
-আমি কি করে বলব? তোর ডেভিল তুই জানিস না আর আমি ত,,,,
-চল দেখে আসি।
-তোর সখ হলে তুই যা। আমার এত সখ নাই।
ততক্ষণে সবাই অইখান থেকে সরে গেছে।
ভীর সরিয়ে শুভ্র মিমের দিকে আসতেছে। মিম নুফতিকে বলল চল এখান থেকে যাওয়া যাক। #
-আমি ত আগেই বলছিলাম।
-এখন লেকচার না দিয়ে চল ত।
মিম আর নুফতি এগুতে থাকলে শুভ্র দৌড়ে এসে মিমের পথ আটকায়।
তারপর গান শুরু করে দেয়
-Oh oh jane jana
dhunde tujhe deewan
sapno me roj aaye
aa zindagi main aana sanam
কে জানি একটা গিটার ছুড়ে দেয়। শুভ্র ভীষণ করে গিটার বাজিয়ে গান গাইতে থাকে।
হুহ ডেভিল্টা গান ও পারে। তারপর মিম এর সামনে হাত বাড়িয়ে নাচার অনুরোধ জানায়। মিম মুখ ঘুরিয়ে নেয়। পাশের অন্য মেয়েকে বলে। মেয়েটা স্বছন্দে হাত বাড়িয়ে শুভ্রর সাথে নাচে। মিমের যেন কান দিয়ে ধুয়া বের হচ্ছে। ভীষণ জলতেছে মিম। শুভ্র হাসি মুখে গান গাচ্ছে আর নাচতেছে। মিম সামনে হেটে যেতে চাচ্ছে শুভর যেতে দিচ্ছেনা। মি আরেকবার সামনে যাইতে নিল শুভ্র সামনে এসে দাড়ালো মিম হাত দিয়ে ধাক্কা দিয়ে শুভ্র কে ফেলে দিল। যে মেয়েটার সাথে নাচতে ছিল তার উপর গিয়ে পরে শুভ্র। মেয়েটা ত ভীষণ খুশি। মি রাগে জলে যা।আর শুভ্র মিমের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ্পনী কাটে একটা শয়তানি স্মাইল দেয়।
,
মিম আর নুফতি বাসায় ঢুকতেছে। সামনেই ইফাদ দাড়িয়ে আছে। #
-কিরে ভার্সিটি লাইফ কেমন ইঞ্জয় করতেছিস?
-তেজলাতা টাইপ।
-চল আজ লং ড্রাইভে যাওয়া যাক।
মিমের দিকে তাকিয়ে। আপনি যদি কিছু মনে না করেন তবে চলুন ঘুরে আসি।
মিম ঘার নাড়িয়ে সম্মতি জানায়।
,
ইফাদ ড্রাইভ করতেছে আর গান গাচ্ছে,,,
-চলনা ঘুরে আসি অজানাতে
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে
আবার এলো যে সন্ধ্যা শুধু দুজনে
চলনা ঘুরে আসি অজানাতে
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে ,,,,,,,
মিম আবার গানের মধ্যে ডুবে গেল। গান যে কেন তার এত্ত বেশি ভালবাসে।আর ইফাদ সত্যি অনেক ভাল গান গায়। তবে শুভ্র আরো বেশি ভাল গান গায়। হুহ। যাই হোক শুভ্র ডেভিল আর ইফাদ ভাল ছেলে।
মিম ইফাদ নুফতি একটা নদী তীরে এসেছে।নুফতি আর মিম নদীর তীরে বসে আছে আর ইফাদ দূরে বসে কি যেন দেখছে।
-দেখ দেখ নদীর পানি গুলো কি টলটলে।
-হু ঢেও বা তরঙ হলে আরো সুন্দর হত।
-কিন্তু ঢেও বানাই কেমনে আসে পাসে ত কোনো পাথর বা ইট দেখছিনা।
নুফতি তখন মিমের চুলের কাটা নিয়ে নদীতে ঢিল দেয়।#
এই এই এটা কি করলি তুই নুফতির বাচ্চা?
তুই অনেক পচা এএওএ। দে তর চুলের কাটা দে।
-আরে চুপ করে নদী দেখ।
মিম চুপ হয়ে নদী দেখতে বসে গেল।
ইফাদ মিম আর নুফতির দিকে যখন তাকালো। তখন মিমের চুল আকাশে উড়তেছে। আর ইফাদ অদ্ভুত মুগ্ধতায় সে দিকে তাকিয়ে আছে।
,
,
,
#চলবে

Romantic_Devil
#অন্ত_নীলা
#পর্ব_23
.
.
.
পরেরদিন ভার্সিটিতে,,,,,
আজকেও শুভ্র খুব মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করতেছে। মিম ত অবাক এই ডেভিলটার হঠাত হলটা কি?
এত মনোযোগী ত ডেভিল টা নয়। আঙুল কামড়ে কামড়ে স্যারের পড়া বুঝার চেষ্টা করে শুভ্র। মাঝেমাঝে আবার টুকিটাকি কি যেনো খাতায় উঠিয়েও নিচ্ছে।মিম চোখ বড় বড় করে শুভ্রের দিকে তাকিয়ে আছে। হুহ ডেভিল কোথাকার আমার দিক একটু তাকাচ্ছেও না।
-এই দেখ না ডেভিল টা আমার দিকে তাকাচ্ছে না।(মিম নুফতিকে ডেকে বলল)
-উফফফ মিম প্লিজ আজ ও কি স্যারের থেকে বকা খাওয়ার ইচ্ছে আছে? তোর ডেভিলের ব্যাপার পরে দেখা যাবে এখন পড়ায় মনোযোগ দে।
বললে কি হবে? মিম ত পড়ায় এতটুকুনিও মনযোগ দিতে পারতেছে না। তার সমস্ত মনযোগ তো এখন শুভ্রের দিকে। ক্লাস শেষের ঘন্টা বেজে গেছে। সব ছাত্ররা বাইরে চলে যাচ্ছে শুভ্র বই এর দিকে আর মিম এখনো শুভ্রর দিকে তাকিয়ে হাত কামড়াচ্ছে। যখন শুভ্র উঠল তখন মিমের হুশ এলো। নুফতি হা করে মিমের দিকে তাকিয়ে আছে। মিম শুভ্র নুফতি প্রায় কাছাকাছি দূরত্ব নিয়েই ভার্সিটি থেকে বের হইল।
শুভ্র ডাকল
-মিম
এহহহহ আমায় এত মেরে আবার ডাকা হচ্ছে? কথা নাই।
শুভ্র এসে মিমের হাত ধরল।
-ইশশ ছাড়ুন আমার হাত।
-না ছাড়বনা। চল বাসায় চল।
-যাবনা।
-তুমি যাবে তোমার ঘার যাবে।
-আমার ঘারকে নিয়ে যান আমি যামুনা।
-তুমি কি হেটে যাবা নাকি কোলে করে নিয়ে যাব।
-এইযে আপনি মিমের সাথে এমনন করতে পারেন না(নুফতি)
-আমি যা ইচ্ছে করতে পারি ও আমার বিয়ে করা বউ।
নুফতি কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা।
-তুমি যাবানা মিম?
-না যামুনা।
শুভ্র আর কিছু বলল না। মিম কে কুলে নিল।
-চল মিম সারা রাস্তা তোমায় এই ভাবেই নিয়ে যাব।
মিম ইচ্ছে মত গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতেছে। ভার্সিটির কয়েকটা ছেলে এসে শুভ্রর সামনে দাড়ালো।
-আপনি মেয়েটাকে হেরাস করতেছেন কেন।
ঋতিমত বাজে ব্যবহার করা শুরু করল শুভ্রর সাথে।
-ওই মেয়েটা আমার বিয়ে করা বউ।
-মেয়ে দেখলেই বউ মনে হয়। কি প্রমাণ আছে অই মেয়েটা আপনের বউ।
শুভ্র পকেট থেকে ফোন বের করে বিয়ের দিনের ছবি দেখাইলো।
-ওহহ সরি ভাইয়া মান অভিমান হইছে বুঝি! ভাবি কে নিয়ে যান।#
ছেলেগুলা সরে পরল।
-মিম দেখো আমি আর কোনো সিন ক্রিয়েট চাইনা। তুমি যাবা নাকি থাপড়ায়ে সব দাঁত খুলে দিব?
-যাচ্ছি যাচ্ছি চলেন।
শুভ্র আর মিম একসাথে বাসায় চলে গেল।
নুফতি আর কি করে তাকে একাই বাড়ি ফিরতে হল।
,
ইফাদ খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে মিমম কখন বাড়িতে আসবে। সে আজ মিমের জন্য একটা শারি কিনে এনেছে। অল্প সময়েই মেয়েটা তার মনে যায়গা করে নিল। কি মিষ্টি মেয়েটা।
ইফাদ ঘড়ির দিকে তাকায়। এতক্ষণ এ ত অদের এসে পড়ার কথা। মিম এখনো আসছে না। ইফাদের প্রচুর চিন্তা হচ্ছে। ইফাদ নুফতিকে কল দিতে যাবে। অমনি দেখে নুফতি দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকতেছে। ভাবল মিম ও হয়ত আসতেছে। কিন্তু নুফতি ছিটকিনি আটকিয়ে দিচ্ছে।
-কিরে মিম কোথায়?
-আর বলনা ভাইয়া অই ডেভিল মানে শুভ্র মিম কে নিয়ে গেছে।
-শুভ্রটা কে?
-মিমের জামাই!
-জামাই মানে?
বিষম খায় ইফাদ। তার মনের মধ্যে যেনো পাথর গড়াচ্ছে। তুই ত আগে বলিস নি মিমের হাসবেন্ড আছে।#
-এখন ত শুনলে? অইটাকে হাসবেন্ড বলে নাকি? অইটা আস্ত একটা ডেভিল। সেদিন কি মিমের অই অবস্থা এমনি এমনি হতেছে নাকি? অই ডেভিল টার জন্যই হয়েছে।
-অই ছেলেটা মিমকে এই ভাবে মারছে? বউ কে কেও অইভাবে মারে? তুই তাও অই ছেলেটার সাতগে মিম কে যেতে দিলি?
-আমার না দিয়ে কোনো উপায় ছিল মা রে ভাই।
ডেভিল কারো কথায় শুনে না।
মনে খুব কষ্ট হচ্ছে ইফাদের। আহারে মিম না জানি কত কষ্টে আছে। অই ছেলেটা ত মিম কে নিয়ে গেল। সে যদি মিমকে আবার মারে।মিমের জন্য মন টা হুহু করে উঠে ইফাদের।
,
শুভ্র মিম কে টেনে এনে রুমে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল!
-তোমার ফোন দেখি!
-কেন?
-দিতে বলছি দাও এত কথা কিসের।
মিম ফোন দিল শুভ্র নুফতিকে মেসেজ দিল। আমার লাগেজটা কাল প্লিজ নিয়ে আসিস।
-এটা কি হল?
-কাপড় না থাকলে পড়বা কি? আমি তোমার জন্য এত কাপড় কিনতে পারমুনা আবার নতুন করে।
এইসব বলতে বলতেতে শুভ্র আলমারি থেকে একটা উড়না বের করে মিমের পায়ে বেধে দিল।
-এএএএএএ। এটা কি হচ্ছে?
-তোমার পা বেধে দিলাম। এখন আর কোথাও যেতে পারবানা।
,
,
,
,
#চলবে

No comments :

Post a Comment