Friday, October 26, 2018

I love you পর্ব ৩

1 comment

গল্পোঃ- আই লাভ ইউ

সিজন--৩

(পর্ব---০৩)

সবাই চলে গেছে,আমি এখনো সেখানে গিটারটা
হাতে নিয়ে বসে আছি।হয়তো কোনো দুঃস্বপ্ন
দেখার অপেক্ষায়!
আগুনটা নিভো নিভো করছে। জ্যোৎস্না রাত।
আমি তখনও সেখানে বসে আছি। গিটার হাতে টুংটাং
শব্দ করে গাইতে লাগলাম..
"তোর চোখের নিভৃতে আমি ধ্বংস হবো।
তোর মায়াতে আমি নিঃস্ব হবো।
তোর মহিময় চাহনি আর হাসিতে নিজে মত্ত হবো।
তুই কি পাশে রবি ভালোবেশে আমায়?"
গানটা আসতে করে গাইছিলাম ঠিক তখনি শুনলাম...
- মিথ্যুক কেন তুমি?
কথাটা শুনে লাফিয়ে উঠলাম। অমনোযোগী হলে
বাইরে থেকে শব্দ আসলেই লাফিয়ে উঠতেই
হবে। আমিও তেমনি লাফ দিয়ে উঠে পিছনে
তাকালাম। দেখি ইভা দাঁড়িয়ে..
- কি ব্যাপার তুমি এখানে?
- আগে বলো মিথ্যে কেন বলেছো?
- কিসের মিথ্যে কখন বললাম?
- তুমি তো একটু আগেই বললে যে গান গাইতে
পারো না। তাহলে এখন কেনো গাইছো?
- ওহ, এমনি।
আমি আর বেশি কিছু বললাম না। পাশ কাটিয়ে চলে
আসতে যাবো তখনি মনটা ধপাশ করে উঠল। কারন
এতক্ষন পর খেয়াল করেছি ইভা আমাকে তুমি করে
বলেছে। আর আমিও তাকে তুমি করে বলে
ফেলেছি। কিন্তু সেটা কি করে সম্ভব? পিছন ঘুরে
তাকাতেই দেখি ইভা মুচকি হাসছে। তার মানে আমি যা
ভাবছি সেইও কি তাহলে একই কথা ভাবছে? তবে
আসল কথা হল আমি না হয় ঘোরের মধ্যে পড়ে
তুমি বলেছি। কিন্তু ইভা তো এসেই তুমি করে বলা
শুরু করে দিয়েছে। তাহলে কি কোনো প্ল্যান
আছে?
আমি দৌড়ে রুমে চলে আসলাম। ইভা এর ছলনাতে
আর পড়তে চাই না। হয়ত এখন ভালো বিহেভ
করছে পরে ঠিকই আম্মুকে দিয়ে মার খাওয়াতে
পারে আবার সাথে ইভার থাপ্পড় ফ্রি। সো আমি কালই
চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
.
(পরেরদিন সকালে)
.
"ভাইয়া ওঠ, আম্মু ডাকছে।"
আমি ঘুম ঘুম চোখে সামনে তাকালাম। দেখি অদ্রিতা
দাঁড়িয়ে আছে। আমি ঘুমালো ভঙ্গিতে বললাম..
- কি হয়েছে রে?
- তুই কি রে? কতক্ষন থেকে ডাকছি। ওঠার নাম
নেই। রাত জেগে কি চুরি করতে বের হোস
বলতো?
- ঐ সরতো শাকচুন্নি সামনে থেকে। আম্মু কেন
ডাকছে? (ঊঠে দাঁড়িয়ে)
- জানিনা তো, মনে হয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবে।
কিছু বললাম না। খানিক পর ফ্রেশ হয়ে খাবার
টেবিলে গেলাম। দেখি ইভা সহ সবাই সেখানে
বসে আছে।
- কি ব্যাপার বাবাজি এত সময় ধরে কেউ ঘুমায়?
আমি অবাক হয়ে ওনার দিকে তাকালাম। উনি মুচকি একটি
হাসি দিয়ে খাবার খাওয়াতে মনোযোগ দিল। আমি ঠাই
দাঁড়িয়ে আছি। উনিই আজ প্রথম আমাকে বাবাজি বলে
সম্মোধন করল। তাই অবাক না হয়ে পারলাম না। তবে
সেটা আসল ব্যাপার না। আসল ব্যাপারটা হল তিনি
কেনো আমাকে এতটা আদর করে ডাকলো?
বিষয়টা রহস্য তাই মাথার মধ্যে জট পাকিয়ে যাচ্ছে।
কারন ৭ বছর আগে ওনার মেয়েকে
প্রোপোজ করার দায়ে উনিই প্রথম আমাকে দু
কথা বাজে ভাবে শুনিয়ে দিয়েছিল। তার ফলশ্রতিতে
আম্মু এসে ঠাস করে চড় বসিয়ে দিয়ে ঢাকাতে
পাঠিয়ে দেয়। আর আজ কিনা....
- হৃদয়, তোকে কি খাওয়ার জন্য ইনভাইট কার্ড দিয়ে
বসাতে হবে নাকি? (আম্মু)
- কেনো আম্মু?
- ঐ বান্দর ছেলে, তোকে সেই কখন থেকে
বলছি খেয়ে নিতে। আর তুই কিনা এখানে দাঁড়িয়ে কি
সব ভাবছিস।
- আচ্ছা খাচ্ছি তো।
চুপচাপ খেতে বসলাম। তবে এ বাড়িতে আসার পর
অনেক কিছু পরিবর্তন চোখে পড়েছে। বেশি
পরিবর্তন হয়েছে কথা বার্তাতে। সবাই কেমন
যেন আমাকে একটু বেশিই ভালোবাসা দেখাচ্ছে।
হয়ত অনেকদিন বাদে এসেছি কিনা।
- আম্মু আমি আজ চলে যাবো।
খেতে খেতে আম্মুর দিকে তাকিয়ে কথাটি
বললাম। সবাই যেন খাওয়া বন্ধ করে দিল। আমি
সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে আবারো বললাম..
- আজ বিকেলে বের হবো আম্মু। তাহলে ঢাকায়
পৌছে বেশ ঘুম দেয়া যাবে।
- তোকে ঢাকাতে যেতে কে বলেছে?
(আম্মু, গম্ভীর গলায়)
- নাহ বলোনি। তবুও কাজ তো আছে না? আর তাছাড়া
ভালো লাগছে না।
- চুপ বেয়াদপ। কতবছর পর বাসায় এসেছিস বলিস
আবার ভালো লাগছে না তাই না? থাপড়িয়ে তোর দাঁত
ফেলে দিবো।
- আম্মু আমি এখানে সত্যিই থাকতে ভালো লাগছে
না।
কথাটি ইভার দিকে তাকিয়ে বললাম আড়চোখে।
দেখি ও আমার দিকেই কেমন দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে
আছে। আমি মনে মনে কেমন যেন হয়ে যাচ্ছি।
তখনি আম্মু বললো...
- আমি যেদিন বলবো সেদিন যাবি। আর কিছু শুনতে
চাই না। খেয়ে যা ইচ্ছে কর বুঝলি?
কি আর বলবো। বাড়িতে কেবল আম্মুকেই ভয়
পায়। তাই তিনি যা হুকুম করবেন তাই মানতে হবে।
অগত্যা খাওয়া শেষ করে বাইরে বের হলাম।
বাইরে বের হয়ে দেখি অপুর সাইকেল দাঁড়
করানো। অপুকে ডাকলাম..
- তোর সাইকেল টা দে তো গ্রামটা একটু ঘুরে
আসি। দিবি তো নাকি?
- কি যে বলো দুলাভাই। তোমাকে দিবো না তো
কাকে দিবো। যাও নিয়ে যাও।
- অপু মার খাবি? দুলাভাই মানে কি?
- তাতো ঠিক জানিনা দুলাভাই মানে কি। তবে আপুর বর
তো শালার মানে আমার দুলাভাই তো হয় তাইনা?
- উফফ,,এই তোরা না বেশি বকিস। আমাকে কেন
দুলাভাই ডাকতেছিস ফাজিল ছেলে কোথাকার।
- যাহ বাবা, দুলাভাইকে কি খালু বলে ডাকবো নাকি?
- ঐ যা তো এখন থেকে শয়তান কোথাকার।
কথাটি শেষ করাতেই সামনে তাকালাম। দেখি ইভা
দাঁড়িয়ে। আমি ওর দিকে তাকাতেই দেখি আমার দিকে
কেমন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমি মুচকি একটি
হাসি দিলাম। ও বললো...
- কোথায় যাচ্ছ?
আবারো সেই তুমি শব্দ। নাহ এর মধ্যে কোনো
রহস্য আছেই আছে। তবে সেটা ঠিক কি তা
বুঝতে পারছি না আমি।
- কি হল বলছো না যে? কথা বলা কি বারন?
- নাহ, বাইরে যাচ্ছি। তুই কোথা থেকে আসলি?
আমার মুখে তুই করে শুনেই ইভা কেমন করে
আবার তাকালো। আমি মনে মনে কেমন যেন খুশি
হলাম। কেন জানিনা ইভাকে পাত্তা দিতে ইচ্ছেই
করছে না। আমি পাশ কাটিয়ে চলে আসবো তখনি
সে বললো...
- আমাকে নিয়ে যাবি ঘুরতে?
- হিহিহি,,,সাইফ আছে তো। তোকে সাইকেলে
নিয়ে ঘুরতে ও বেশ পারবে মনে হয়। আমার মত
ছেলের সাইকেলে পিছনে বসবি এটা আমার কি
সৌভাগ্য কিন্তু দেখ আমি না তোকে নিতে পারবো
না। এতে যদি পরে আবার কিছু হয়ে যায়।
কথাটি বলে আর দাঁড়ালাম না। সোজা জোরে
সাইকেলের প্যাডেল চেপে এক টানে বেরিয়ে
পড়লাম। মনে মনে কেমন হাসি খুশি লাগছে। যদিও
ইভাকে কষ্ট দিতে আমারো খারাপ লাগছে। তবুও
কেমন যেন একটা স্বস্থি অনুভব করছি।
.
বিকেলে ছাদে বসে আছি। তিনতলা বিল্ডিং এর ছাদে
উঠলে দুরের প্রকৃতি বেশ ভালোভাবেই
দেখতে পাওয়া যায়। নির্মল বাতাস, পাখিদের
ডাক,গোধুলী রোদ পরিবেশটাকে কেমন যেন
আরো সৌন্দর্যময় করে তুলেছে। এসময় গীটার
বাজিয়ে গান না গাইলে কেমন লাগছে। তাই বসে না
থেকে গীটার বাজিয়ে গাইতে লাগলাম...
"কালকে এলে না, আজ চলে গেল দিন
এখন মেঘলা, বৃষ্টি অনতিদূরে।
ভয়াল বৃষ্টি, প্রকৃতি ডুবে যাবে।
এখনো কি তুমি খুঁজছো নেলপালিশ?
শাড়ি পরা ছিল? তাহলে এলে না কেন?
জুতো ছেঁড়া ছিল? জুতো ছেঁড়া ছিল নাকো?
কাজল ছিল না? কি হবে কাজল পরে
তোমার চোখের হরিণকে আমি চিনি।
কালকে এলে না, আজ চলে গেল দিন
এখন গোধূলি, এখুনি বোরখা পরে এলে..
প্রকৃতি দুবে যাবে গাঢ়তর হিমে।
এখনো কি তুমি খুঁজছো চিরচেনা সেই
সেফটিপিন?"
"ঢাকাতে পড়াশোনার পাশাপাশি কি গান ও গাওয়া হতো"
আবারো লাফিয়ে উঠলাম। কারন এবারো বাইরের
প্রকৃতির সাথে আমি অমনোযোগী। ঘাড় ঘুরিয়ে
পাশে তাকিয়ে দেখি ইভা। আমি ওকে দেখা মাত্রই
সামনে তাকালাম।
- কি হল কথা বলা কি নিষেধ?
- নিষেধ কেনো হবে? তবে ভয় করে।
- কিসের ভয়? আমি কি পেত্নী নাকি যে ঘাড়
মটকাবো? কত ছেলে আমার সাথে কথা বলার জন্য
দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তার মোড়ে। আর তুই কথায় বলিস
না।
মনে মনে একটা লাস্যময়ী হাসি দিলাম। আমার হাসির
অর্থ আমিও জানিনা। তবে মনে পড়লো সেই
পুরোনো কথাগুলো। যার মাঝে একটি কথা ছিল
"আমার জন্য কত ছেলে পাগল আর তোর মত
একটা ছেলের সাথে প্রেম করবো আমি? এত
তাড়াতাড়ি কি লাইফে ইনজয় করা ছেড়ে দিবো"?
কথাটি বুকে আবারো ব্যাথা দিয়ে উঠল। কারন
আজকেও সেই একিই কথার প্রতিধ্বনি। তবে
আজকের কথার অর্থটা অন্যরকম। আগে আমি কথা
বলতাম দেখে সে কথা বলতো না। আর এখন বলছি
না দেখে সেই বলছে। হি হি হি হি...
- হৃদয় একটা কথা বলবো? (ইভা)
- হুমম বল।
- আমার জন্য এখানে এতদিন আসিস নাই তাইনা?
- আরে না,তা কেনো হবে?
- জানি আমি। আর আজকেও তুই সেটার জন্য এখান
থেকে চলে যাচ্ছিস তাই না?
- আরে না না, এরাকম কিছুই না। আসলে ছোট চাচুর
ব্যবসা দেখতে হচ্ছে। তার উপর নিজের পার্টাইম
জব। সব মিলিয়ে তো যেতেই হবে।
- মিথ্যেটাও ঠিক ভাবে বলা শিখিস নাই এখন। ছোট
চাচুকে মেজো আম্মু কল দিয়ে জিঙ্গাসা করেই
নিয়েছে কোনো ব্যস্ততা নেই। আর তিনিও কদিন
পর এখানে আসবেন।
মিথ্যেটা বলে ধরা পড়ে গেলাম। কিন্তু কি আর
করার। আমাকে যে যেতেই হবে। এখানে থাকা
যাবে না। এখানে থাকলে আমি আবার ইভার প্রতি
ভালোবাসায় আসক্ত হবো। আর সেটা কখনই সম্ভব
না। কারন আমি বা আমার ভালোবাসা তার কাছে সব
ছেলেদেরই মত ৫ টাকার সস্থা ঝাল মুড়ির মত। আর
শুধু থেকে সেই ভালোবাসার বস্তু নিয়ে আবারো
অপমান হতে পারবো না।
- হৃদয় একটা প্রশ্ন করবো? (ইভা)
- হুমম কর।
- আমাকে কি এখনো ভালোবাসিস?
আমার মনে একটা ধপ করে শব্দ হলো বলে
মনে হল। আমি জানিনা এর উত্তর কি দিবো। তাই কিছু না
বলে গীটার হাতে জোরে হেটে চলে
আসতে লাগলাম। তখনি ইভা পিছন থেকে সেই হাসি
হেসে বললো....
- সাইফের সাথে আমি কথা বলি না দরকার ছাড়া হৃদয়।
আর ওর সাথে সাইকেলেও ঘুরি না। শুধু শুধু উলটা
পালটা ভাবিস।
আমি পাত্তা দিলাম না। সোজা রুমে চলে আসলাম। খুব
কাঁদতে ইচ্ছে করছে। ছোট থেকেই যাকে
ভালোবাসলাম সেই থাকতেই আজ দুরে। আজো
যে আমি তাকে ভালোবাসি। আজো যে আমি
তাকে আমার মনের চারদেয়ালে বন্দি করে
রেখেছি।
..
(দুইদিন পর)
..
- হৃদয় ওঠ, বেলা করে ঘুমাস কেনো? (আম্মু)
- আম্মু তুমিও ডাকতে আসলে এত সকালে?
- হুমম,,তোর ভাইয়ার বাড়ি থেকে লোকজন
আসবে।
- কেনো?
- কেনো মানে কি? বৌ ভাতে আসবে। যা তাড়াতাড়ি
উঠে ফ্রেশ হয়ে নে খেতে দিবো। না হলে
আর সময় পাবো না।
- আচ্ছা যাও আসছি।
আম্মু চলে গেল। আমিও উঠে ফ্রেশ হয়ে খাবার
টেবিলে গেলাম। দেখি সবাই যে যার মত ব্যস্ত।
খালি ইভা খাবার টেবিলে বসে আছে। হাব ভাব
দেখে মনে হচ্ছে সে আমার জন্যই বসে
আছে।
- কিরে তুই বসে আছিস যে? (আমি)
- হুমম,,এখন খেয়ে উদ্ধার করেন। মেজো
আম্মু আমাকেই বসিয়ে দিয়ে গেল আপনার কাজে।
- ওহ
আমি খাচ্ছি আর ইভা আমার খাওয়া দেখছে।
আড়চোখে তাকাচ্ছি ওর দিকে কিন্তু সে আমার
দিকে তাকিয়ে আছে। তখনি সে বললো...
- হৃদয়, কাউকে ভালোবাসিস?
- কেনো?
- নাহ এমনি জিঙ্গাসা করলাম
- হুমম বাসি
- কাকে? (মন খারাপ করে)
- আমার আম্মুকে ভালোবাসি।
- ফাজিল ছেলে কোথাকার।
খাওয়া শেষ করতেই শুনলাম ভাইয়ার শ্বশুর বাড়ি
থেকে লোকজন আসছে। আমি তাই কোলাহল
থেকে বাঁচতে ছাদে চলে গেলাম। ছাদের সাথে
লাগোয়া একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। যদিও ছোট এত
বড় বাড়ির ছাদ অবদি আসিনি। তবুও গাছটা বেশ ভালো
লাগে দেখতে।
- কি হে মি. চেক বালক।
কথাটি শুনেই আমি পিছনে তাকালাম। দেখি বিয়েতে
যার সাথে কথা বলেছিলাম সেই টাকাওয়ালী। তো
আমাকে চেক বয় বলে ডাকছে কেনো?
- কি ব্যাপার হৃদয় মিয়া, কথা বলছেন না যে?
- আরে টাকাওয়ালি যে। কেমন আছেন?
- আমি টাকা ওয়ালি? তানিশা নাম আমার।
- জানি।
- তা ছাদে এই অসময়ে কি করছেন?
কথা বলতে বলতে আমার পাশে এসে দাঁড়ালো।
তখনি শুনতে পায় সিড়িতে কেউ হেঁটে এদিকেই
আসছে। শব্দটা আরো কাছে আসতেই দেখি ইভা
এসেছে। আমার আর তানিশাকে দেখা মাত্রই
কেমন করে দৃষ্টি দিল। মনে মনে একটা আনন্দ
পেলাম আবারো। তাই আরো কাছে সরে যেয়ে
দাঁড়ালাম ওর।
- আপনাদের গ্রামটা অনেক সুন্দর। (তানিশা)
- হুমম ঘুরবেন? আচ্ছা বিকেলে আপনাকে
সাইকেল এ বসিয়ে গ্রাম ঘুরাবো কেমন?
- সত্যিইই...ওহ আপনি কত ভালো। জানেন আপনার
কথা মনে পড়েছে এ কদিন। তখনি মনে হয়েছে
আপনার নাম্বারটা থাকলে ভালো হত।
- আচ্ছা..ঠিক আছে পরে নিয়েন। আর আমারো
মনে পড়েছে আপনার কথা।
কথাগুলো ইভার দিকে তাকিয়ে জোরে
জোরেই বললাম। সে রাগে গজগজ করছে। গাল
দুটো লাল হয়ে গেছে। যাক প্ল্যানটা কাজে দিল।
ইভা বুঝুক যে সে একা সব ছেলেদের মদ্যমনি না।
আমার কাছে সে একসময় অনেক বিশাল কিছু ছিল।
কিন্তু এখন আর নেই।
.

1 comment :

  1. আরো নতুন নতুন Golpo পড়তে ভিজিট করুন
    www.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete