#চঞ্চল_মেয়ে+বোকা_ছেলে।
লেখকঃইমাম।।
,,
,,
-এইটা কি?
>love letter.
-কি?
=কি মানে কি? ইংরেজি বুঝ না? এইটা হলো প্রেমপত্র।
-কার জন্য?
=তোমার বাবার জন্য।😈😈
-কি? আমার বাবাকে কেনো লাভলেটার দিবা?
=একটা গালের মধ্যে দিবো।ওই এত বোকা কেনো তুই? তোরে দিছি গাধা একটা।(রাগের মাথায় তুই করে বলে ফেলে)
-কিন্তু কেনো? আমি কি করবো এই প্রেম পত্র দিয়ে?
=মুরি খাবি।প্রেম পত্র কেনো দেয় তুই জানিস না? আল্লাহ এই বোকাটাকেই আমার ভালবাসতে হল!
-মানে আমাকে তুমি ভালবাস?
= যাক ঠিক প্রশ্ন করেছিস।হ্যা তোকে আমি ভালবাসি।sry sry আমি তোমাকে ভালবাসি।
-না না আমি এটা নিতে পারবোনা।(চিঠিটা মাটিতে ফেলে দিয়ে)
=চিঠিতা তোল।তোল বলছি।😈😈
-তুলছি,তুলছি।😖😖
=ভাল ছেলে।এখন বাসায় যাব।তার পর সম্পুর্ন পড়ে কালকে এসে আমাকে উত্তর দিবি।
-কিন্তু?
=কিন্তু কিছুই না।যা বলেছি তাই করবি। মানে তাই করবা।বুঝলা?
-হুম😔😔😔
=তো এখন বাসায় যাও।
-আচ্ছা।
(তার পর দুজন চলে গেল নিজের নিজের বাসায়)
,
এখন চলুন এদের পরিচয়টা দিয়ে তাদের গল্পটা বলি----
,
ছেলেটার নাম শান্ত।নামের মতই ছেলেটাও একদম শান্ত।বাবা মায়ের আদুরে সন্তান। বাবা -মা সারাদিন ছেলেটাকে বাচ্ছাদের মত খেয়াল রাখেন। তাই এখনো সভাব গুলো বাচ্ছাদের মত।
কিন্তু অপর দিকে নাদিয়া। দেখতে আহামরি সুন্দর না।কিন্তু সবার পছন্দের একটা মেয়ে।কারন নাদিয়ে অনেক চঞ্চল। সারাদিন মজা করে কাটায়।যা খুশি তাই করে।সবার সাথে সুন্দর ভাবে মিলে যেতে পারে।কিন্তু এই দিকে শান্ত কারো সাথে মিশে না।সারাদিন পড়া শোনা নিয়ে ব্যস্ত।
,
এমন সভাবের হওয়ার কারনে একি ক্লাসে হয়েও একজন আরেকজনকে দেখতে পারতো না।
তাই তারা নিজেদের মতই সারাদিন থাকতো।একজন আরক জনের সাথে অতটা কথা বলতো না।
,
শান্ত যতটা নাদিয়াকে পছন্দ করতো না।তার থেকে বেশি নাদিয়া শান্তকে দেখতে পারতো না। কারন নাদিয়া দেখতো যে শান্ত কেমন বোকাদের মত থাকে।ভয়ে ভয়ে চলে।আরে ছেলেরা থাকবে নির্ভয়ে সব সময়।
। কিন্তু শান্ত যদিও ভয় পেতো না।ছেলেটা একটু চুপচাপ থাকতে পছন্দ করে।এবং সবার সাথে মিশতে চায় না।এইটাতো আর ছেলেটার দোষ না।
,
কিন্তু নাদিয়া যখনি সময় পেতো তখনি শান্তকে উলটা পালটা বলতো।কিন্তু শান্ত চুপচাপ কথা গুলো শুনে। মাথা নিচু করে চলে যেতো।এইগুলো আরো বেশি নাদিয়াকে জালাতো।কারন যখন কাওকে যালানো হয় আর সে না জলে তখন আরো বেশি রাগ হয়।
,
নাদিয়ার রাগ অনেক বেড়ে যায় শান্তর উপর। তাই সে ঠিক করে শান্তকে একটা উচিত শিক্ষা দিবে।এত ভয়ে ভয়ে থাকে তাকে আরো ভয় দেখাবে।এবং বাবা মা যে আদর করে রাখে সে আদরের দেহে আঘাত করবে।
,
তাই যা ভাবা তাই কাজ।সে কলেজের একটা রুমের দরজার উপর এমন ভাবে ইট বেধে রাখে যেনো তা কেও যদি দরজা খোলেতো তার উপর পরে যাবে।
,
পরে নাদিয়া তার একটা বান্দবিকে গিয়ে বলে যেনো সে শান্তকে বলে রিয়াজ স্যার তাকে সেই রুমে ডাকছে।
যখন শান্ত কথাটা সুনলো।তখন আসতে আসতে সেই রুমের দিকে গেলো।গিয়ে দরজা খুলে ভিতরব গেলো।এই দিকে নাদিয়ে একটু দূরে দারিয়ে আছে সব দেখার জন্য।
কিন্তু এইটা কি? কোনো শব্দ হলো না?
একটু পরে শান্ত সুন্দর ভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো স্যারকে না খুজে পেয়ে।
তারপর যখন শান্ত একটু দূরে গেলো। তখনি নাদিয়ে রুমে গিয়ে দেখছে ইটটা এখনো আছে।কিন্তু পরলো না কেনো? এই বলে দিলো একটা টান অমনি তার উপর ইটটা পরবে। তখনি কে যেনো নাদিয়াকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল।
,
নাদিয়ে একটু দূরে গিয়ে পড়লো।সে ঘুরে দেখতেই অবাক হয়ে দারিয়ে গেলো।
কারন সে অন্য কেও নয় শান্ত।শান্ত তাকে বাচিয়ে দিয়েছে।কিন্তু এইবার শান্তর মাথায় ইটটা পরেছে।মাথাটা দিয়ে রক্ত পরছে।শান্ত মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে শুয়ে পরেছে।
নাদিয়া কি করবে বুঝতে পারছে না।নাদিয়ের দৌড়ে গিয়ে সবাইকে ডেকে আনে।এবং শান্তকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়।
,
ডাক্তার ব্যন্ডেজ করে দেয়ার পর। কলেজের একজন শিক্ষক শান্তকে জিজ্ঞেস করে কিভাবে কি হয়েছে,,।
শান্তর জবাব শুনে নাদিয়ে আরো অবাক হলো। শান্ত বললো সে না দেখে একটা জিনিস উপর থেকে টান দেয় এবং তার মাথায় এইটা পরে যায়।
তার পর তারা বাসায় চলে আসে।নাদিয়ে শান্তর সাথে একটু কথা বলতে চায়।কিন্তু কি বলবে তা ভেবে আর কথা বলেনি।
,
নাদিয়া বাসায় চলে যায়।গিয়ে শুধু কান্না করছে।কারন সে যেই ছেলেটাকে কষ্ট দিতে চেয়েছে।সে ছেলেটাই আজকে তাকে বাচালো।
নাদিয়া আজকে ভুল বুঝতে পেরে সারাদিন কান্না করে।রাতে যেনো আরো কান্না বেড়ে যায়। কোনো ভাবেই ঘুমাতে পারে না।
,
পরেরদিন কলেজে গিয়ে জানতে পারে শান্ত ১ সপ্তাহ ছুটি নিয়েছে।এবং নাদিয়ার বান্ধবি এসে জানায় যে শান্ত একটা বই ওই রুমে ভুলে পরে যায়। যা নিতেই আবার সে ফিরে আসে ওই রুমে।
,নাদিয়ার চোখ দিয়ে আবার পানি পরছে।নাদিয়া একটা দোড়ে বাসায় চলে আসে।
,
(এভাবে কেটে যায় ১ সপ্তাহ)
,
আজকে শান্ত কলেজে এসেছে।শান্ত এখনো আগের মতই আছে।কিন্তু নাদিয়া এখন আর শান্তকে আগের কত দেখতে পারছে না। এখন কেনো জানি শান্তকে অনেক ভাল লাগে।
,
নাদিয়া এখন আর শান্তকে খারাপ কিছু বলে না।নাদিয়া ২ দিন পর শান্তর সাথে একটু কথা বলতে চায়।কিন্তু শান্ত এরিয়ে যাবে তখনি নাদিয়ে কেদে ফেলে।
এইটা দেখে শান্ত যদিও অবাক হয়।নাদিয়া কাদতে কাদতে বলে--
নাদিয়াঃআমাকে এখনো মাফ করনি? প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও।
শান্তঃএই কি করছো এইসব? সবাই দেখছে?
নাদিয়াঃআগে বল আমাকে মাফ করেছ?
শান্তঃহ্যা হ্যা মাফ করেছি।এখন কান্না থামাও।।।
এইদিকে সবাই অবাক।যে মেয়ে সবাইকে কাদাতো সে আজকে কাদছে।
,
তার পর আবার শান্ত চলে যায়। কিন্তু নাদিয়া এর পর থেকে শান্তর সাথে অনেক সুন্দর ভাবে ব্যবহার করে।আসতে আসতে একটু বন্ধুত্ব হয়।শান্তও আসতে আসতে মাফ করে দেয় যখন বুঝতে পারে নাদিয়া তার ভুল বুঝতে পারে।নাদিয়া শান্তর অনেক কেয়ার করে এখন।সারাদিন খোজ নেয়।কলেজে সারাদিন শান্তর সাথে ঘুরে বেরায়।শান্ত চুপ চাপ সাথে থাকে। আসলে শান্তও ভালবাসে।কিন্তু তা বুঝতে পারে না।
শান্তরও ভাললাগে নাদিয়ার সাথে থাকতে।কিন্তু কেনো ভাল লাগে তা বোঝে না।
।নাদিয়া এখন আবার মাঝে মাঝে বকাও দেয়।কারন এভাবে বোকাদের মত থাকে বলে।নাদিয়া বার বার বলে একটু সবার সাথে মিশতে।কিন্তু অন্যকোনো মেয়ে বাদে।শান্ত মাথা নারে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।
,
নাদিয়া নিজেও বুঝতে পারে না সে ছেলেটার প্রেমে পড়ে গেছে।
একটা সময় যখন বুঝতে পারে যে হ্যা সে শান্তকে ভালবেসে ফেলেছে তখন নাদিয়ে ভেবেই নেয় যে সে যে করেই হোক শান্তকে মনের কথা বলবে।এবং তাকে কাছে আনবেই।
,
তাই সে একটা লাভ লেটার দেয় যা আপনারা গল্পের শুরুতেই জানতে পেরেছেন।শান্ত লাভ লেটার নিয়ে কি কান্ডটাই করলো😁😁
,
,
তারপর আর কি শান্ত চিঠিটা নিয়ে বাসায় যায়।শান্ত সারাদিন চিঠিটা একবার হাতে নেয় আবার রেখে দেয়।
তার পর রাতে খোলে। সে চিঠিটা পড়তে শুরু করে। চিঠিটা পরেই শান্ত অবাক।কারন---------------
,,
,,
(চলবে)--
Friday, October 19, 2018
ভালোবাসার গল্প - চন্চল মেয়ে + বোকা ছেলে (পর্ব 1)
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
আরো নতুন নতুন Golpo, কবিতা, জোকস পড়তে ভিজিট করুন
ReplyDeletewww.valobasargolpo2.xyz