Friday, October 19, 2018

ভালোবাসার গল্প - চন্চল ছেলে + বোকা ছেলে পর্ব 2

1 comment

Romantic Story 2018 - ভালোবাসার গল্প ২০১৮
পর্ব-২--
,
#চঞ্চল_মেয়ে+বোকা_ছেলে।।
#লেখকঃইমাম।।
,,
,,
চিঠিটা পড়েই শান্ত অবাক।কারন চিঠিতে লিখা ছিলো--((এই বোকা ছেলে। তুমিকি আমাকে একটুও বোঝ না? তোমার সাথে কেনো আমি সারাক্ষন থাকি।কেনো তোমার সারাদিন খেয়াল রাকি।তোমাকে দেখে আমি কিছুই বুঝি না।তোমার মাথায় কি চলে।তাই আর থাকতে না পেরে আমিই বলে দিচ্ছি।কিন্তু সামনে বলার সাহস হচ্ছিল না।তাই চিঠিতে বলছি।
,
মিস্টার বোকা ছেলে আমি তোমাকে ভালবাসি। অনেক অনেক অনেক ভালবাসি।আমাদের সভাব পছন্দ এবং অপছন্দ কিছুই মিয়ে না।তাই হয়তো আমি তোমাকে আরো বেশি ভালবাসি।কারন বলেনা- opposite attracts।।
তুমি হয়তো ভাবছো কেমন আজগবি চিঠি দিলাম কিন্তু যেভাবে ভাল মনে হল আমি সেভাবেই দিলাম।
তোমার জবাবের অপেক্ষায় রইলাম।))
,
এই সব পড়তে পড়তে শান্ত পুরাই ঘেমে শেষ।কিন্তু দেখলো ঘরে এসি চালু।তাও ঘামছে।
শান্ত নিজেকেই প্রশ্ন করছে।মেয়েটা কি বলে এইসব? ভালবাসে মানে? না না হয়তো আবার মজা করছে।(কিন্তু রিয়াদের কেনো জানি মনে হচ্ছে নাদিয়া এইবার তার সাথে কোনো মজা করছে না।)
,
শান্ত যতই ভাবছে কেনো জানি ততটাই যেনো অবাক হচ্ছে।কি করবে কি করবে না তার মাথায় কিছু ঠুকছে না।
একবার ভাবছে এখনি ফোন করে জিজ্ঞেস করবে।কিন্তু কি জিজ্ঞেস করবে তাও শান্তর মাথায় ঠুকছে না।
কিন্তু শান্ত একটা কথা ভেবে অনেক অবাক হচ্ছে যে, নাদিয়া ওকে ভালবাসে যেনো কেনো জানি শান্তর অনেক ভাললাগছে।যেনো এমন কিছুই শান্ত শুনতে চেয়েছে।
,
কিন্তু এখন কি করবে? এই প্রশ্নটা যেনো শান্তর মাথা নষ্ট করে দিচ্ছে।
শান্ত ঘুমানোর অনেক চেষ্টা করলো কিন্তু ঘুম যেনো আসছেই না। মাঝ রাতে শান্ত বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে ভাবতে থাকে সেও কি ভালবাসে?
শান্ত ভাবছে এতদিন তার মনে হয়েছে সে নাদিয়াকে শুধু লাইক করে।যা সাভাবিক।কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তা ভালবাসা।এইসব ভাবছে এবং আরো যেনো নিজে মাঝেই হারিয়ে যাচ্ছে।এর পর সকাল হয়।
,
এই প্রথম শান্ত সারারাত যেগে ছিলো।কারন জানেনিতো যে বাবা মায়ের আদুরে শন্তান।সকালে শান্তর আম্মু জিজ্ঞেস করে -
আম্মুঃকিরে বাবা তোর কি হয়েছে?
শান্তঃকই কিছু নাতো।
আম্মুঃতাহলে তোর মুখ এমন দেখাচ্ছে কেনো?
শান্তঃ না আম্মু এমনি।
আম্মুঃনা কিছুতো হয়েছে।তোকে কি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো?
শান্তঃনা মা লাগবে না।এমনি রাতে ঘুম কম হয়েছে।
আম্মুঃকেনো রে বাবা? কলেজে কিছু হয়েছে? কেও কিছু বলেছে?তোর কলেজে গিয়ে বলে আসবো?
শান্তঃআরে না আম্মু কিছুই হয়নি।শুধু শুধু ভাবছো।
শান্ত তার আম্মুকে কোনো মত বুঝিয়ে কলেজে চলে আসলো।কিন্তু শান্ত ভেবেই নিয়েছে সে শুধু লাইক করে।লাভ করে না।তাই সে কলেজে গেল। এবং গেট দিয়ে ঢুকতেউ নাদিয়া সামনে এসে দারালো।এসেই জিজ্ঞেস করলো -
নাদিয়াঃআমার উত্তর?
শান্ত মাথা নিচু করে কিছু বলবে তখন আবার নাদিয়া শান্তকে কিছু বলতে না দিয়ে নিজেই বললে-
নাদিয়াঃকিছু বলতে হবে না।আমি বুঝেছি। আমি এইটাই ভেবে ছিলা। কোনো সমস্যা না।এসো ক্লাসে যাই।
,
শান্ত শুধু নাদিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।কারন মেয়েটা হাসি দিয়ে কথাটা বললেও কষ্ট পেয়েছে তা ওর চোখ এবং গলার শুর বলে দিচ্ছিলো। চোখ দিয়ে পানি পড়বে পড়বে এমন অবস্থা।কিন্তু নিজেকে সামনে নিয়ে যেনো কথাগুলা বলেছে নাদিয়া।
,
শান্তর এই কথা গুলা ভেবে কেনো জানি খুব কষ্ট হচ্ছে।কিন্তু কেনো কষ্ট হচ্ছে? আবারো শান্তর মোনে প্রশ্ন।
শান্ত নিজেকে এখন সারাদিন একটার পর একটা প্রশ্ন করে কিন্তু একটারো উত্তর যেনো শান্ত পাচ্ছে না।শান্ত একটা গোলক দাধায় পরে গেছে। যেখান থেকে যখনু বেরিয়ে আসবে তখনি নাদিয়ার কথা মনে হয় এবং আবার সে কোথায় জানি হারিয়ে যায়।
শান্ত কাউকে এই কথা গুলা বলতে চায়। কিন্তু কাকে বলবে সে তাও জানে না।কারন শান্তর কোনো বন্ধু নেই।এখন শুধু নাদিয়া আছে।কিন্তু এখন যা পেছ গুলা আছে তাতো তাকে নিয়েই।
,
কিন্তু এভাবে কেটে যায় আরো ১ সপ্তাহ।
নাদিয়া এখনো আগের মতই আছে।শুধু একটু পালটে গেছে শান্ত।
সারাদিন কি জানি ভাবে।কেউ জিজ্ঞেস করলেও বলে না।
নাদিয়া হাজার বার জিজ্ঞেস করে কিছু শান্ত বলে না।কারন শান্ত নিজেই জানে না সে কি ভাবছে কেনো ভাবছে।
,
(এমন হউয়ার কারন হলো শান্ত এমন সাধারন ভাবে বড় হয় নাই।সে এইসব নিয়ে কখনো ভাববার সময় পায় নাই।তাই সে হয়তো এই অনুভুতিটা বুঝতেই পারছে না)
,
এভাবে ভাববার অভ্যাস শান্তর নেই তাই সে অসুস্থ হয়ে পরে।
তাই সে কলেজে আসে না। তাই নাদিয়া পরে ফোন করে জানতে পারে শান্ত অসুস্থ । নাদিয়া কথাটা শুনেই দৌড়ে শান্তর বাসায় চলে যায়। গিয়ে দরজায় টোকা দিয়েই শান্তর আম্মু দরজা খুলে দিয়েন-
নাদিয়াঃহ্যালো আন্টি।
শান্তর আম্মুঃমা তোমাকেতো চিনতে পারলাম না?
নাদিয়াঃআন্টি আমি শান্তর ফ্রেন্ড।
শান্তর আম্মুঃফ্রেন্ড!(অবাক হওয়ার কারন হলো তার ছেলের কখনো কোনো ছেলে ফ্রেন্ড দেখেননি সে।আর আজকে মেয়ে ফ্রেন্ড)
নাদিয়াঃআন্টি শুনলাম শান্ত অসুস্থ। তাই দেখতে আসলাম।
শান্তর আম্মুঃআসো মা।
তার পর আন্টি শান্তর কাছে নিয়ে যান।আন্টি নাদিয়ার জন্য কিছু খাবার আনতে যাওয়ার পর--
নাদিয়াঃএই তোমার কি অনেক খারাপ লাগছে? 😟😟😟😟
শান্তঃনা। ঠিক আছে।
নাদিয়াঃমিথ্যে বলবানা।তোমার গা জরে পুরে যাচ্ছে।তোমর কিছু একটা হয়েছে কয়েকদিন ধরেই দেখছি।কিন্তু বললানা আমাকে।আমিকি এতটাই পর।
শান্তঃএমনি।আসলে আমি নিজেই জানতাম না এমন কিছু হবে।
এই দিকে নাদিয়া কেদে দিবে এমন অবস্থা।
নাদিয়াঃতুমি এখন থেকে সারাদিন বিস্রাম করবা।একটুও উঠবানা।কোনো দরকার হলে আমি আছি।আচ্ছা তোমার বাসায় যদি আমি কিছুদিন থাকি তাহলেকি আন্টি কিছু মনে করবেন? আমি তোমার খেয়াল রাখবো তার পর যখন ঠিক হয়ে যাবে তখন চলে যাবো(বলতে বলতে কাদছে এবং একদোমে বলেই যাচ্ছে)।
শান্তঃআরে আরে তুমি অনেক বেশি ভাবছো।এমন কিছুই করতে হবে না।আম্মু আমার সারাদিন খেয়াল রাখেন।
নাদিয়াঃহুম(বুঝতে পারে সে হয়তো একটু বেশি বলে ফেলেছে)
কিন্তু তারা দুজন একটা কথা জানে না যে শান্তর আম্মু সব শুনেছেন। কিন্তু আন্টি কিছু বুঝতে না দিয়ে দরজায় একটু শব্দ করব ভিতরব ঠুকলেন।
সাথে সাথে নাদিয়া চোখের জল মুছে নিল।তার পর সে আন্টির সাথে কিছু কথা বলে। আন্টি কেনো জানি অনেক সুন্দর এবং নাদিয়ার সম্পর্কে সব জেনে নিলেন। নাদিয়া যদিও বুঝতে পারে না কেনো।কিন্তু শান্ত অবাক হয়।কারন আম্মু কখনো এভাবে কারো সাথে কথা বলে না।।
একটু পরে আন্টি ওদের বলেন যে তোমরা কথা বল।আমি বাহিরে যাচ্ছি।শান্ত আবারো অবাক কারন আন্টি সারাদিনে এক মুহুর্তের জন্যও শান্তকে একা ছারেননি।
,
কিন্তু চলে যাওয়ার পর নাদিয়া আবার শান্তকে বলতে থাকে যে সে কিভাবে থাকবে কি করবে। এই দিকে শান্ত যেনো আরো ভাক হয়ে যাচ্ছে।শান্তর কেনো যেনো ভাল লাগছে নাদিয়াকে দেখে।নাদিয়ার দিকে এক পলকে তাকিয়ে আছে এবং কোথায় জানি হারিয়ে যায়।একটু পরে নাদিয়ার ডাকে বাস্তবে ফিরে আসে।
তার পর কিছু কথা বলে নাদিয়া যাওয়ার সময় দেখে শান্তর জর অনেকটা কমে যায়।শান্তও অবাক হয় এত তারাতারি কিভাবে কমে গেলো?
কিন্তু সে ভাবছে এমন সময় নাদিয়া যা করলো তার জন্য শান্ত একটুও প্রস্তুত চিলো না।
,
নাদিয়া বিদায় নিয়ে একটু দূরে গিয়ে আবার দৌড়ে ফিরে এসে শান্তকে আলতো করে জরিয়ে ধরে শান্তর গালে একটা ----------------------
,
(চলবে)-

1 comment :

  1. আরো নতুন নতুন Golpo, কবিতা, জোকস পড়তে ভিজিট করুন
    www.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete