ভালোবাসার গল্প - চন্চল ছেলে + বোকা মেয়ে শেষ পর্ব (3)

পর্ব-৩(শেষ পর্ব)----
,
#চঞ্চল_মেয়ে+বোকা_ছেলে।
#লেখকঃইমাম।।
,,
,,
নাদিয়া দৌড়ে এসে শান্তকে আলতো করে জরিয়া ধরে এবং শান্তর গালে একটা kiss করে চলে যায়।শান্ত কিছু বুঝে উঠার আগেই যেনো থমকে গেলো।
কি হলো মাত্র?
শান্ত কি করবে বুঝতে পারছে না।সে সুধু তাকিয়ে আছে নাদিয়ার চলে যাওয়ার দিকে।কি বলবে বুঝতেই পারছে না।একটু পরে যখন শান্ত বুঝতে পারে তখন লাফ দিয়া উঠে দারায়।
কিন্তু সারাদিন যে ছেলে একটু লরতে পারছিলো না।কোনো কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল। সে উঠে দারিয়েছে ভেবেই শান্ত নিজেই অবাক হল।সাথে সাথে শান্তর আম্মু রুমে এসে সেও অবাক।ছেলেটা দারিয়ে আছে? এত জর নিয়ে কিভাবে দারিয়ে আছে?
শান্তর আম্মুঃকিরে বাবা তুই দারিয়ে আছিস কিভাবে? (সাথে গায়ে হাত দিয়ে দেখে শরীরের জর প্রায় নেই বললেই চলে)
শান্তঃএমনি একটু ভাল লাগছে তাই।
শান্তর আম্মুঃমেয়েটা মনে হয় জাদু করে গেছে। তোর জরতো প্রায় নেই বললেই চলে।
শান্ত কিছু বললো না।কারন৷ সেও বুঝতে পারে না কি হয়েছে।
,
তার পর আন্টি রাতে শান্তর কাছে এসে জিজ্ঞেস করেন--
শান্তর আম্মুঃতোকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
শান্তঃহুম কর।
শান্তর আম্মুঃতুইকি মেয়েটাকে ভালবাসিস? কিন্তু আমার মনে হয় মেয়েটা বাসে।
শান্ত একটু অবেক হল।এমন প্রশ্নের জন্য সে একটুও প্রস্তুত ছিলো না।
শান্তঃনা মানে আম্মু। মানে আম্মু।আ আম্মু।
শান্তর আম্মুঃবুঝেছি।কিছু বলতে হবে না।তুই প্রেমে পড়েছিস।কিন্তু এখনো বুঝতে পারিসনি।
শান্তর আম্মুঃহুম। আর আমার মেয়েটাকে পছন্দ হয়েছে।তুই একেই আমার বউ করে আনিস।
শান্ত এই প্রথম নিজের মনের কথা গুলা বুঝতে পারে কারন শান্তকে যদি কেও শান্তর থেকেও থেকেও বেশি বোঝে তা হল শান্তর আম্মু।
শান্তর আম্মুর কথা শুনে শান্ত সাথে সাথে ওর আম্মুকে জরিয়ে ধরে।
শান্তর আম্মুঃহয়েছে হয়েছে।এখন ঘুমিয়ে পর।এবং মনের কথা খুব তারাতারি দে।
শান্তঃআচ্ছা।
এর পর শান্ত শুধু ভেবেই খুশি হচ্ছে যে সে প্রেমে পরে গেছে।
কিন্তু এইবার বলবে কিভাবে সে বুঝতে পারছে না।কিন্তু নাদিয়াতো আগেই বলেছে ভালবাসে।তাই যেভাবেই বলুক সে মেয়ে নিবেই।
তাই শান্ত ভাবলো সেও একটু অন্য রমক ভাবে প্রপোজ করবে।তাকে সব সময় বোকা বোকা বলে এখন সে একটা শুন্দর প্রস্তুতির সাথে এমন মজা করে প্রপোজ করবে।
তাই সে একটা প্লেন করলো।
,
তাই সে পরের দুদিন ধরে নাদিয়াকে এভোয়েড করেছে।নাদিয়া কতবার কথা বলতে চায় কিন্তু শান্ত কোনো পাততা না দিয়ে চলে আসে।
দুদিন পরে নাদিয়া আবার শান্তকে জিজ্ঞেস করে সে কেনো এভাবে তাকে এভোয়েড করছে।
,
শান্ত তা প্লেন মোতাবিক নাদিয়ার মত একটা চিঠি দিয়ে বললো এইটার মধ্যে তোমার সব উত্তর আছে।কিন্তু এইটাকে এখনি খুলবেনা।রাতে খুলবা।১০টার পর।
এই বলে শান্ত চলে আসে
,
নাদিয়া চিঠিটা হাতে নিয়ে ভাবছে এখনি দেখবে।কিন্তু শান্ত বলেছে তাই সে ব্যগে চিঠিটা রেখে সেও বাসায় চলে আসে।সারাদিন সে চিঠিটার কথা ভেবেছে।যে ১০টা বাজলো নাদিয়া চিঠিটা হাতে নিয়ে খুলবে কিন্তু অদ্ভুত বেপার নাদিয়া চিঠিটা খুলতে ভয় পাচ্ছে।এতক্ষন খোলার জন্য বসে ছিলো কিন্তু এখন খুলতেই পারছে না।
কিন্তু অনেক কষ্টে খুলে পড়া শুরু করলো-----
((কি ভাবছো পাগলি? এভাবে চিঠি দেয়ার মানে কি?
আমি জানি তুমি সারাদিন চিঠিটার দিকে তাকিয়ে ছিলে এবং ঠিক ১০ টায় চিঠিটা খুলেছো।যানো আমিও তোমার চিঠিটা নিয়ে এমনি করেছি।
জানো আমি বুঝতেই পারিনি কখনযে আমি তোমার হয়ে গেছি।তোমার সেই কেয়ার।তোমার সেই শাসন।তোমার দেয়া আমার গালে সেই আলতো পরস আমাকে আরো তোমার পাগল করে দিয়েছে।
কিন্তু একটা কথা আমি আসলেই বোকা। নিজের মনের কথাটা বুঝতেই পারিনি।
কিন্তু দেখো এখন আমি বোকাদের মত কিছু করিনি।তোমাকে ইচ্ছে করেই এই ২দিন এভয়েড করছি।আর তোমার স্টাইলেই তোমাকে প্রপোজ করলাম।।
কিন্তু তুমি ভাবছো তোমাকে ভালবাসি এখনো বলিনি কেনো? এখনি বলছি।বলে দিলেইতো বলা হয়ে গেলো।
জানো একটা কথা।তোমাকে আমি হারাতে পারবো না।সত্যি আমি তোমাকে ভালবাসি।অনেক অনেক অনেক ভালবাসি।
তোমার জন্য আমি সকাল ১০টায় কলেজের মাঠে অপেক্ষা করবো।))
,
এই গুলো পড়েই নাদিয়া কাদতে শুরু করে সে কখনই ভাবেনি তার বোকাটা এভাবে কিছু করবে।কিন্তু এখন কান্নাটা আনন্দের। তার পর সারারাত ঘুমায়নি নাদিয়া।সকালে যখন সে কলেজে যায়
গিয়ে দেখে শান্ত হাতে একজোরা গোলাপ নিয়ে মাঠে দারিয়ে আছে।
নাদিয়া দৌড়ে যায়।(আপনারা কি ভাবছেন জরিয়ে ধরেছে? আরে না)
সে দৌড়ে গিয়ে একটা থাপ্পর দেয় এবং বলে-
নাদিয়াঃঅনেক চালাক হয়ে গেছো না? আমাকে কাদাতে অনেক ভাললাগে?
শামতঃনা মানে।এমনি।সরি(মাথা নিচু করে)
কিন্তু এইবার ঠিকি নাদিয়া জরিয়ে ধরে।শান্ত একটু লজ্জা পায়।কিন্তু সেও আলতো করে জরিয়ে ধরে।
,
নাদিয়াঃতুমি যাই করেছো কিন্তু অনেক ভাল লেগেছে আমার। কিন্তু অনেক অপেক্ষা করালে আমাকে।অনেক কাদিয়েছো।
শান্তঃআর কাদাবো না।এখন থেকে সব সময় তোমাকে আমি আগলে রাখবো।
নাদিয়াঃইসস কত সখ।অনেক পেকে গেছো।
শান্তঃহুম তুমি শিখিয়েছো।এই বোখাটাকে চালাক করেছো।।।।।।।।।।।।।।।।।
,,,,
,,,
(সমাপ্ত)
,,
,,
(লিখার ভুলগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন