Friday, October 19, 2018

ভালোবাসার গল্প - অদ্ভূত ভালোবাসা পর্ব 31-32

1 comment

অদ্ভুত ভালোবাসা
পর্ব:৩১+৩২
---অন্না
,
নীরা চুপচাপ নিলয়ের দেওয়া এ শাস্তি সহ্য করতে থাকে,,,,,,,,,,
,
রাতে নীরা চুপচাপ বিছানার এক কোনে বসে কাদতে থাকে,,,
,
নীরা:::( আমি কোনোদিন ও ভাবিনাই তুমি এভাবে আমার সাথে এই কাজ টা করবে,, আমার ইচ্ছের কোনো মূল্যই নাই তোমার কাছে,, সব সময় নিজের রাগ টাকেই প্রশ্রয় দিয়ে গেলে,, আমাকে বোঝার চেষ্টা করলে না,আমার মন টা বোঝার চেষ্টা করলে না,,এই ভালোবাসা তোমার আমার ওপর)
,
এর মধ্যে নিলয় রুমে ঢুকে,,,, ও বাহিরে গেছিলো খাবার আনতে,,, কারন ওরা আজ বাসায় যায় নি ,, নিলয় রুমে ঢুকে দেখে নীরা সাওয়ার নিয়ে চুপচাপ বসে আছে,,, চুল গুলাও ভালো করে মুছেনি,, যার কারনে চুল এর পানি পরে ওর সালোয়ার কামিজ প্রায় ভিজে গেছে,,,,,
,
নীলয়:::: নীর পাখি এভাবে বসে আছো কেনো?
,
নীরা:::: তো কি করবো নাচবো???
,
নিলয় আর কথা বারালো না,,, নীরাকে কোলে তুলে ওয়াসরুমে নিয়ে গেলো,,, তারপর একটা শাড়ি বের করে নীরার হাতে ধরীয়ে দিয়ে চেন্জ করে নিতে বললো,,,,
,
নীরা:::: আমি যেমন আছি তেমনই থাকবো কোনো চেন্জ করতে পারবো না,,
,
, নিলয় ঝট করে শাড়িটা নিজের হাতে নিয়ে নেয়,,,,
,
নিলয়::::ঠিক আছে তোমার চেন্জ করতে হবে না ,, আমি করিয়ে দিচ্ছি,,
,
বলেই নীরার গায়ে হাত দিতে গেলো আর নীরা দুপা পিছিয়ে গেলো,,,
,
নীরা:::: আমি চেন্জ করছি,,,
,
নীরার পিছানো দেখে নিলয়ে এক ঝটকায় নীরাকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে নীরার ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দেয়,,,, বেশ খানিকক্ষন পরে নিলয় নীরাকে ছেরে দেয়,,,, নীরা নিলয় দুজনেই হাপাতে থাকে,,,,
,
নিলয়:::: যখনই আমার থেকে দুরে যেতে চেষ্টা করবে ঠিক তখনই এমনটাই হবে,,,,
,
নিলয় বেরিয়ে আসে, আর নীরা চেন্জ করে বেরিয়ে এসে আবার বিছানায় গুটিশুটি মেরে বসে পরে,
,
আর নিলয় খাবার দু প্লেটে সার্ভ করতে করতে নীরাকে ডাকে,,,,
,
নিলয়:::: জান পাখি খাবে এসো,,,,,
,
নীরা;;:: খাবোনা আমি আপনি বেশি করে খান,,,
,
নিলয় নীরার কথা শোনা মাত্রই একটা প্লেট সরিয়ে দিয়ে উঠে গিয়ে নীরাকে আবার কোলে তুলে এনে সোফায় বসিয়ে দেয়,,,,,,
,
নীরা:::: আপনি সব সময় জোর দেখাবেন আমার ওপর,, নিজের যেটা মনে হয় সেটাই করবেন,,, আমার কি নিজের ইচ্ছায় বাচার অধিকারনাই????
,
নিলয় চুপচাপ নীরার কথা শুনলো,,,কিছু বললো না,, খাবার নিয়ে নীরার মুখের সামনে ধরলো,,,,আর নীরা মুখ ঘুরিয়ে নে,,,, তখনই নিলয়ে অন্য হাত দিয়ে নীরার গাল টা টেনে নীরার ঠোটে কিস করতে শুরু করে,,, নীরা এই বারবার নিলয়ের এই ছোয়া সহ্য করতে পারে না,,ঝট করে নিলয়ের বুকের কাছে শার্ট মুঠো করে আকরে ধরে,,,,,, একটু পরেই নিলয় নীরাকে ছেরে দেয়,,,,,
,
নিলয়:::: জান পাখি এখন খাবার টা খাবে নাকি কিস এর সময়টা আরো বেশি হবে???
,
নিলয়ের কথা শুনেই নীরা চোখ মুখ গুটিয়ে নিলয়ের হাত টা টেনে খাবার মুখে ভরে নেয়,,,, নিলয় চুপচাপ খাইয়ে দিতে থাকে,,,
,
নিলয়::::( নীর পাখি আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছি তোমাকে শুধু রাগ দেখিয়ে বা শাষনে আমি আমার কাছে আটকিয়ে রাখতে পারবো না,, তোমাকে আমার ভালোবাসাই আটকে রাখবো,,,, দেখি এবার তুমি আমার ভালোবাসা কি করে অবহেলা করো,,, আর বাকি থাকলো আলো,,,, সেটা কাল দেখাবো তোমায়)
,
নিলয় নীরাকে খাইয়ে দিয়ে হাত ধুয়ে ফেললো, নিজে খেলোনা,,,,,
,
নীরা;:;: আপনি খাবেন না??
,
নিলয়:::( একগাল হেসে) তুমি আমাকে বেশি করে খেতে বললা আমি তো বেশি খাই না,, তাই আর খেলাম না,,,,
,
নীরা কিচ্ছু বললো না,, চুপচাপ উঠে গেলো,,, নিলয় গিয়ে বেলকুনিতে একটা চেয়ার নিয়ে বসে পরলো,,, একটার পর একটা সিগারেট খেতে শুরু করলো,,, কারন ছেলেরা যতই হাসিখুসি থাকুক না কেনো দিন শেষে কিছু ছেলে নিজের কষ্ট টা সিগারেট এর ধোয়ায় উরিয়ে দেয়,,, নীরাকে বিয়ে করার পর থেকে নিলয় সিগারেট খায় না, কিন্তু আজ আর নিজেকে আটকে রাখতে পারে না,,, নীরার এ অবহেলা নিলয় কিছুতেই সহ্য করতে পারে না,,, কারন প্রিয় মানুষদের কাছ থেকে পাওয়া অবহেলার থেকে মৃত্যু অধিক সুখের,,,
,,
নীরা চুপচাপ বসে নিলয়কে দেখে যাচ্ছে,,, ওর এই একটা কাজ নীরার কিছুতেই পছন্দের না,,, নীরার ইচ্ছে করছে নিলয়কে গিয়ে ঠাসসসস করে একটা বসাইতে,,,, কিন্তুু নীরা কিছু করলোনা মুখ ঘুরিয়ে বসে পরলো,,, কারন নিলয় আজ যেটা করছে নীরা কখনই সেটা এভাবে করতে চায়নি,,,,
,
নীরা:::: ( যা ইচ্ছা করো,আমি তোমাকে কিচ্ছু বলবো না,, আমার ও যথেষ্ঠ রাগ আছে,রাগ আমিও দেখাতে পারি,, সব সময় তোমার কথা মতো চলবে না)
,
নিলয় উঠে এসে ওয়াসরুমে ঢুকে পরলো,,,, নিলয় ব্রাশ করলো,,, কারন সে তার নীর পাখিটাকে সিগারেটের ধোয়ায় কষ্ট দিতে চায় না,,,, নিলয় কোন কিছুতেই নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না, কিন্তুু নিজের রাগ টা ও কিছুতেই কন্ট্রোল করতে পারে না,, নীরাকে যেটা করতে বারন করে নীরা সেটাই করে নিলয়ের রাগ বারিয়ে দেয়,,
,
নিলয় ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে দেখে নীরা ঠায় বসে আছে,,, নিলয় আস্তে করে গিয়ে নীরার পাশে বসে পরে,,,,নিলয় নীরার দিকে তাকিয়ে দেখে ওর গলায় বেশ খানিকটা কেটে গেছে,,,, নিলয় বুঝতে পারে এটা নিলয় তখন,,,,,,,
নিলয়ের এটা দেখে নিজের ওপর খুব রাগ হয়,,, ঝট করে উঠে ওষুধ এনে নীরার হাত ধরে নীরাকে এগিয়ে আনতে গেল নীরা হাত ছারিয়ে নেয়,,, আর নিলয় নীরাকে জোর করে টেনে নিজের কোলে বসিয়ে নেয়,,
,নীরা নামার জন্য চেষ্টা করতে থাকে কিন্তুু নিলয় শক্ত করে জরীয়ে থাকে,,,,
,
নিলয়:::: উহ্ নরোনাতো নীর পাখি আবার একটা কিস করবো কিন্তুু,,,
,
কিস করার কথা শুনেই নীরা চুপ হয়ে যায়, নিলয় নীরার গলায় কাটা যায়গায় নিজের ঠোট ছুইয়ে আলতো একটা কিস করে ওষুধ লাগিয়ে দেয়,,,,তারপর নীরার মাথাটা নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে,,,,,
,
নিলয়:::: কিছু শুনতে পাচ্ছো নীর পাখি,,,, প্রতিটা স্পন্দন তোমাকে বলে আমি তোমার জন্য,,, আমি জানি না তুমি আমাকে ভালোবাসো কি না, আর ভবিৎষ্যত এও বাসবে কি না,,, কিন্তুু আমি তোমাকে আমার নিজের চাইতেও বেশি ভালোবাসি,,,,মনে আছে নীর পাখি বিয়ের আগে তোমায় কিছু বললে তুমি বলতে তোমার ওপর আমার অধিকার নাই,,, তাই সেদিন তোমাকে ওভাবে আমার কোর্ট ম্যারেজ করতে হইছে,,, আর আজ তুমি বললে আমাদের এটা বিয়েই নয়,,, তাই তোমাকে তোমার কথা অনুযায়ি বিয়ে করলাম,,, এখন তো আমাদের বিয়ে নিয়ে তোমার কোনো দ্বিমত থাকলো না,,,আর তোমার জেদেই আজ আমাকে জোর করে এমন কাজ করতে হলো,,,, তোমাকে হাজার বার বলছি আমি নীর পাখি ভালোবাসি আমি তোমাকে,,, তোমাকে ছারা আমার লাইফ কল্পোনাও করতে পারি না আমি, তোমাকে আমার কাছেই থাকতে হবে, যেভাবেই হক,,, আমাকে ছেরে যাবার কথা তুমি তোমার মাথাতেও আনবেনা,,, কিন্তুু তুমি কি করো জেনে বুঝে আমায় কষ্ট দাও,, বার বার,,,,,,,, , বার বার আমার থেকে পালানোর চেষ্টা করো,,,, এতোটাই খারাপ আমি? আমার সাথে কি সত্তি থাকা যায় না?
,
নীরা :::;........
,
নিলয়;;;;; জানি নীর পাখি আমার সাথে সত্তি থাকা যায় না, কিন্তু আমি কি করবো বলোতো জান পাখি,, আমি যে এমনই,,,, আম্মু মারা যাবার পর থেকে তেমন কারো শাষনই পাই নাই,,, মামুনিকে তো আমার ধারে কাছেও আসতে দিতাম না,,, ফুপি আমায় এত্ত ভালোবাসে যে কখনও বকাই দিতো না, যা আবদার করতাম সব পুরন করতো,,, হোক সেটা ভালো আর মন্দ,,,, ভালো মন্দ বোঝানোর কেউ ছিলো না,,,, আমি আমার রাগ টাও কন্ট্রোল করতে পারিনা,,,,
,
নীরা::::......
,
নিলয়::::: তুমি জানোই নীর পাখি তোমাকে ছেরে আমি থাকতে পারি না,,, তবুও কেনো আমায় ছেরে যাবার চেষ্টা করো কেনো? কেনো,,,, কি কষ্ট পাও আমায় কষ্ট দিয়ে,,, তুমি যদি আমার থেকে পালাবার চেষ্টা না করতে তাহলে আমাদের প্রথম রাতটা এভাবে কাটতো না,,, অনেক সুন্দর সুখময় হতো,, কিন্তুু তোমার জেদ আর আমার রাগের বসে আমি এমন একটা কাজ করতে বাধ্য হয়েছি,,,
,
ভালোবাসি আমি তোকে পাগলি বুঝিন না কেনো বলতো,,, কি করলে আমি তোকে বোঝাতে পারবো তুই আমার সব,, তোকে ছারা আমি থাকতে পারবো না,, তুই আমার থেকে দুরে গেলে সত্তিই আমি মরে যাবো,,,,
,
নিলয় আর কিছু বললো না নীরাকে নিজের বুকে জরিয়ে নিয়ে শুয়ে পরলো,,,,,
,
নীরা:::::( আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি জান, অনেক, তুমি যেমন আমাকে ছারা থাকতে পারবে না ঠিক আমিও তোমাকে ছেরে থাকতে পারবো না,,, বড্ড ভালোবাসি আমি তোমাকে বড্ড বেশেই,,,, কিন্তুু আজ যেটা তুমি করলে এর জন্য তোমাকে শাস্তি পেতে হবে,)
,
নীরা উঠতে গেলে নিলয় উঠতে দেয় না,,, নীরা নিলয়ের দিকে এমন ভাবে তাকায় নিলয় নীরাকে ছেরে দেয়,,, নীরা উঠে গিয়ে প্লেটে খাবার এনে নিলয়কে খেতে বলে,,,,
,
নিলয়:::: খাইয়ে দিবে নীর প্লিজ,,,,,
,
নীরা আর না করে না হাত ধুয়ে নিলয়কে খাইয়ে দিতে গেলে নিলয় নীরার হাতটা ধরে এমন ভাবে খাবার মুখে নেয় খাবার কম নিয়ে নীরার আঙুল গুলো চেটে নেয়,,,, নিলয়ের এমন কাজে নীরার অন্য রকম একটা ফিলিংস হয় ফলে অন্য হাতের ভাতের থালাটা পরে নিতে গেলে নিলয় ধরে ফেলে একটা মুচকি হাসি দেয়,,,
নীরা রাগে গজগজ করতে থাকে,,,,
,
নিলয়::::( জান পাখি তোমাকে আমার ভালোবাসার জালে এমনভাবে আটকাবো যে আমায় ছেরে যাবার কথা কল্পনাও করতে পারবে না)
,
নীরা নিলয়কে খাইয়ে দিয়ে হাত ধুয়ে বিছানায় শুইতে আসলে নিলয় উল্টো গড়াগড়ি দিয়ে নীরার জায়গায় শুয়ে পরে,,, এটা দেখে নীরা চিল্লিয়ে ওঠে,,,
,
নীরা:::: আমি ঘুমাবো না????
,
নিলয়:::: আস্তে জান পাখি আস্তে,,,,,, আমি কি তোমাকে ঘুমাতে বারন করছি?
,
নীরা::: তা নয়তো কি,,, কোথায় ঘুমাবো আমি,,,
,
নিলয়::::আমার বুকে,,, এসো
,
বলেই নীরাকে টেনে বুকে জরিয়ে নিয়ে শুয়ে পরে,,, নীরাও চুপচাপ শুয়ে পরে,, কারন ও যানে নিলয় ওর কোনো বারনই সোনেনা,,,,
,
সকালে দুজনারই ঘুম ভাঙে খুব বেলাতে,,, নীরা তাকিয়ে দেখে ১১ টা বাজে,,,, ধরফর করে উঠে কিন্তুু নিলয়কে কোথাও দেখতে পায় না,,, নীরা ওয়াসরুমে চলেযায়,, সাওয়ার নিয়ে বাহিরে এসে আয়নার সামনে নিজেকে দেখতে শুরু করে,,, আজ অন্য রকম সুন্দর লাগছে তাকে,,, গলার কাটাজায়গাটা হাত দিয়ে দেখছে,,, নীরা পুরা রুম টা দেখছে,,, রাত চলে গেলেও ফুলের গন্ধ একটুকুও কমে নি,,, নীরা রুম থেকে বের হয়ে দেখে নিলয় নাস্তা রেডি করছে,,, ওকে দেখে মনে হচ্ছে নিজেই রান্না করছে,,,, নীরাকে দেখেই নিলয় একগাল হেসে দিলো,,,,,
,
নিলয়::;;উঠে পরছো আমার নীর পাখি টা,,, গুড মরনিং আমার জান,,, এসো নাস্তা করে নাও,,,,
,
নীরা:::: আপনি নাস্তা বানালেন?
,
নিলয়:::: লাইফ এ প্রথমবার,,, দেখো না কেমন হইছে,,,
,
নীরাকে চেয়ার এগিয়ে দিলো নীরা বসে পরলো,,, নিলয় নীরাকে খাবার সার্ভ করে দিলো,,,,
,
নিলয়:::: জান তারাতারি খেয়ে বলো কেমন হয়েছে,,,
,
নীরা ডিম পোস্ট টা একটু মুখে তুলে নেয়,,, নিলয় নীরার মুখে দিকে তাকিয়ে আছে নীরা কি বলবে তা শোনার জন্য,,, কিন্তু নীরা কি বলবে বুঝতে পারবে না, কারন ডিপ পোস্ট টা লবনে পুরে গেছে ,, সত্তিটা বলতে পারছে না,, নিলয় প্রথমবার রান্না করছে তাও ওর জন্য আর ভালোবাসার মানুষ গুলো ভালোবেসে বিষ দিলেও খেয়ে নেওয়া যায়,,, আর নিলয় তো নীরাকে লবনে পোরা ডিম পোস্ট দিছে,,,,,
,
নীরা:::: অসম্ভব ভালো হয়েছে,এমন রান্না আমি কনোদিনও খাই নাই,,,
,
মুহুর্তেই নিলয়ের মুখে রাজ্য জয়ের হাসি চলে আসে,,,,
,
নীরা:::: আচ্ছা আর কি রান্না করছেন দিন,,,
,
নিলয় চিকেন এর বাটিটা নীরার দিকে এগিয়ে দেয়,,, নীরা এক টুকরো চিকেন মুখে দিতেই মাথার চান্দি জ্বলে যায়,,, কারন এত্ত পরিমার জ্বাল বলার মতো না,, কিন্তুু নীরা কিছু না বলে চুপচাপ খেয়ে নেয়,,,,
,
নীরা:::: আমার হয়ে গেছে,,,, আমি ঘরে গেলাম,,,
,
রুমে এসে নীরার পানি খেতে খেতে অবস্থা শেষ,,, নিলয় আচমকাই রুমে এসে নীরাকে জরিয়ে ধরে নীরার ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দেয়,,, নিলয় নীরার ঝাল কমানোর চেষ্টা করছে,,, নীরাও কোনো বাধা দিচ্ছে না, কারন ওর ঝালে অবস্থা খারাপ,,, নীরার চোখ দিয়ে শুধু পানি পরছে,,,, বেশ খানিকটা পরে নীরার ঝাল কমে আসে নিলয় বুঝতে পেরে নীরাকে ছেরে দেয়,,,
,
নিলয়':::: তুমি এমনটা কেনো করলে নীর পাখি দেখলেই তো খাবারটা খাবার উপযুক্ত না তাহলে শুধু শুধু খেতে গেলে কেনো?
,
নীরা::: আমার ভালো লেগেছে তাই খাইছি,,,,
,
নিলয় এক ঝটকায় নীরাকে নিজের বুকের সাথে জরিয়ে ধরে,,,
,
নিলয়::::( আমি বুঝি নীর পাখি তুমি আমাকে কষ্ট দিতে চাওনি তাই খেয়েছো,,,তুমিও যে আমায় ভালোবাসো,,,, জোর করবোনা আমি, তুমি তোমার মতো করেই আমায় ভালোবাসো)
,
নিলয় নীরাকে ছেরে দিয়ে কপালে আলতো করে একটা চুমু খায়,,,
,
নিলয়:::: রেডি হয়ে নাও নীর পাখি একটা যায়গায় যেতে হবে,,,,
,
নীরা:::: কোথায়?
,
নিলয়::: গেলেই দেখতে পাবে,,,,
,
নীরা আর কথা বারালোনা,,,, কিন্তুু রেডি হবে কি নিয়ে ভালো কাপর তো,,,,
,
নিলয়::: ওয়্যারডোপে আছে,,, ইচ্ছা মতো পরে নাও,,,,
,
নীরা:::( এই ছেলেটা কি মনের কথা পরতে পারে নাকি)
,
নীরা একটা কালো রং এর শাড়ি পরে তৈরি হয়ে পরলো,,,, নীরা আজ তেমন সাজে নি, কারন বাহিরে বের হবার সময় সাজগোজ করা নিলয়ের পছন্দ না, তবুও নীরাকে খুব সুন্দর লাগছে,,, হালকা কাজ এর কালো শাড়ি,কিছু গহনা, চোখে কাজল,ঠোটে একদমই হালকা জেল লিপস্টিক, আর চুল বেধে নিলয়ের সামনে যায়,,, নিলয় আজ সাদা টি শার্ট আর ব্ল্যাক জিন্স পরেছে,,,, দুজন দুজনকে দেখছে,,,, হঠাৎই নিলয় এসে নীরাকে কোলে তুলে নেয়,,,
,
নীরা ::: কি হচ্ছে
,
নিলয়'::: আমি নিয়ে যাই না প্লিজ,,,,
নীরা কিছু বললোনা,, কথায় কথায় নিলয়ের কোলে উঠার অভ্যাস হয়ে গেছে,,,,,
,
continue..............
,
,

♥♥অদ্ভুত ভালোবাসা♥♥
পর্ব: ৩২
---- অন্না
,
নিলয়'::: আমি নিয়ে যাই না প্লিজ,,,,
নীরা কিছু বললোনা,, কথায় কথায় নিলয়ের কোলে উঠার অভ্যাস হয়ে গেছে,,,,,
নিলয় নীরাকে কোলে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিলো,,, তারপর নিজেই ড্রাইভ করে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে,,,,
,
নীরা::: কোথায় যাচ্ছি আমরা?
,
নিলয়:::: জান পাখি গেলেই তো দেখবা,,,, এইতো চলে আসছি,,,,
,
নীরা:::: হুম,,,,
,
নিলয়:::: জান পাখি,,,,,
,
নীরা:::হুম,,,
,
নিলয়::: i am sorry,,,
,
নীরা ::: কেনো?
,
নিলয়;;:: কালকের জন্য,,,
,
নীরা ::: হুম
নিলয়:::: নীর পাখি?
,
নীরা::: বলেন,,,
,
নিলয়:::: i love you,,,
,
নিলয়ের কথা শুনে নীরা ওর দিকে তাকালো,,,,
,
নিলয়:::: ওভাবে তাকিও না জান পাখি এক্সিডেন্ট করে ফেলবো,,
,
নীরা একটা মুচকি হেসে চোখ নামিয়ে নিলো,,,,
,
নিলয়::: জান পাখি তুমি অন্যদিকে তাকালে কেনো?
,
নীরা::: তো কি করবো? আপনি নিজেই তো বললেন,,,,,,,
,
নিলয়::: আশ্চর্য আমি বললাম আর তুমি অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নিবে?
,
নীরা::: আচ্ছা তাকিয়ে থাকলাম,,, এবার খুসি?
,
নিলয়:::; অনেক,,,,,,
,
নীরা:::(ইচ্ছে করে সারাজীবন তোমাে দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকি কিন্তুু,,,)
,
নিলয়::: নীর চলে আসছি,, নামো,,
,
নীরা নেমে দেখে এটা কারো বিয়ে বাড়ি,,,
,
নীরা::কার বিয়ে?
,
নিলয় কিছু না বলে নীরার হাত টা আলতো করে ধরে ভেতরে নিয়ে গেলো,,,, নীরা কিছুই বুঝতে পারছে না,,,
,
নিলয়::: এইযে বিয়ের বর কি খবর ( কাউকে উদ্দেশ্য করে)
,
আসিফ:::: স্যার আপনি আসতে এতো লেট করলেন কেনো?
,
নিলয়:::: আরে বোঝোই তো মেয়ে মানুষের তৈরি হতে সময় লাগেই,,, বাই দা ওয়ে,,,, এটা তোমাদের ম্যাম,,
,
আসিফ::: হাই ম্যাম,,, নাইস টু মিট ইউ,, আপনি আসাতে আমরা অনেক খুসি হয়েছি,,,
,
নীরা :::: সেম হেয়ার ভাইয়া,,,
,
নিলয়::; আচ্ছা বিয়ের কনে কোথায়,, আমরা বেশিক্ষন থাকবো না,,, কনে কে দেখে চলে যাবো,,,
,
আসিফ :::: চলেন স্যার আমি নিয়ে যাচ্ছি,,,,
,
নিলয় নীরার হাত ধরে কনের রুমে যায় ,,,
,
নিলয়:::: হায় আলো,,
,
আলো:::: হ্যালো স্যার, হ্যালো ম্যাম,,
,
নীরা আলোকে দেখে একটা বড় সরো সক খাইলো,, নীরা নিলয়ের দিকে তাকাচ্ছে একবার আর আলোর দিকে তাকাচ্ছে একবার,,, নিলয় নীরার ব্যপার টা বুঝতে পেরে আলোর সাথে কথা বলে,,,
,
নিলয়::;; আলো খুশি তো?
,
আলো:::: স্যার আপনার ঋন আমি কনোদিন ও ভুলতে পারবো না, আপনার জন্য আমি আমার ভালোবাসার মানুষটাকে সারাজিবনের জন্য কাছে পেলাম,,, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,,,
,
বলেই নিলয়ের হাত ধরলো,,, নীরা কিছুই বুঝতে না পারলেও এটা ভালোভাবেই বুঝতে পারে সেদিন ওর দেখার মধ্যে সত্তিই ভুল ছিলো,,,
,
নিলয়:::: আরে কি করছো,,, তুমি আমার বোনের মতো,,, যা করেছি বোন ভেবেই করেছি,,, আল্লাহর কাছে দোয়া করি সারাজীবন একসাথে সুখে শান্তিতে সংসার করো,,
,
আসিফ;::: স্যার আমি কিন্তুু আছি এখানে,, আমারে ভুলে গেলেন,,,
,
নিলয়::: আরে ভুলবো কেনো,,, এটা নাও ( একটা প্যকেট এগিয়ে দিয়ে)
,
আলো::: এটা কি স্যার,,
,
নিলয়:::: আমার পক্ষথেকে আগামি একমাসের ছুটি তোমাদের,,, আর এটা হানিমুন টিকেট,,,, জমিয়ে প্রেম করো,,, উইস ওফ বেস্ট ওফ লাক,,,চলো নীর পাখি,,,,
,
আলো::: স্যার আমি কি ম্যামের সাথে দশ মিনিট কথা বলতে পারি?
,
নিলয়: হ্যা অবশ্যই,,,
,
আসিফ:::: স্যার চলেন আমরা বাহিরে যাই,,,
,
নিলয় :;; নীর পাখি আমি বাহিরেই আছি ভয় পেওনা,,,,
,
আসিফ আর নিলয় বাহিরে চলে গেলো,,, আলো নীরার হাত ধরে সোফায় বসিয়ে নীরার পা এর কাছে হাটু গেরে বসে নীরার হাত ধরে,,,,
,
আলো:::: আমার বড় বোন নাই,, আপনাকে আমি আপু বলতে পারি?
,
নীরা মাথা ঝুকিয়ে হ্যা বলে,,,,
,
আলো:::: আপু আমি স্যার এর অফিসে কাজ করি ৩ বছরের মতো,, এর মধ্যে আমার স্যারের সাথে অসংখ্য বার দেখা হয়েছে, কিন্তু স্যার চোখ তুলেও আমায় দেখেনি,, আমায় কেনো স্যারকে কেউ বলতে পারবে না স্যার কারো দিকে ১ সেকেন্ড টাইম নিয়ে তাকিয়ে থাকে,,, আসিফ আমাদের সাথেই কাজ করতো, প্রথম দিন থেকেই আমার ওকে ভালো লাগতো,, মানে ভালো বাসতাম ,, কিন্তুু আমাদের থেকে ওদের অবস্থা খুব ভালো,, তাই কখনও আসিফকে মনের কথা বলার সাহস হয় নি,,, আজকেই ওর হবার কথা ছিলো কিন্তুু বিয়ের কথা আমার সাথে নয় অন্য মেয়ের সাথে,,,, স্যার কেমনে জানি আমার মনের কথাটা বুঝতে পারে,,, স্যার আসিফকে রাজি করিয়ে আমার সাথে আজ বিয়ে টা করিয়ে দেয়,,,,,
,
নীরা::.....
,
আলো:::: বিশ্বাস করো আপু স্যারের সাথে আমার কনোদিনও তেমন কোনো সম্পর্ক হয় নি,,,, সেদিন যখন স্যার আমাকে প্রথম এই কথাটা বলছিলো তখন আমি স্যারের পা জরিয়ে ধরছিলাম,,, তখনই স্যার আমাকে উঠিয়ে আমার হাত ধরে সান্তনা দিচ্ছিলো,,,, আর তুমি বাহিরে থেকে এটা দেখে স্যারকে ভুলবুঝলা,,,,
,
আমি একটা মেয়ে হয়ে বলছি,, তোমার অনেক ভাগ্য তাই স্যারকে তোমার জীবন সঙ্গীনি হিসেবে পেয়েছো,,, স্যার তোমাকে অনেক ভালোবাসে অনেক,,, ভাগ্য করেই এমন ভালোবাসা কপালে জোটে,,,, স্যারকে ভুল বুঝনা আপু প্লিজ,, আমি জানি তুমিও স্যারকে খুব ভালোবাসো,,, প্লিজ স্যারকে মনের কথা বলে দাও,স্যারকে আর কষ্ট দিও না,,,, এই ছোট বোন টার কথা রাখো,,,,
,
নিলয়:::: কি গো জান পাখি কথা হলো তোমাদের যেতে হবে প্লিজ আসো,,,
,
নীরা আলোকে জরিয়ে ধরে বেরিয়ে আসলো,,, তারপর নিলয়ের হাত টা ধরে বেরিয়ে এলো,,,, ,,
,
নিলয় ড্রাইভ করছে,,, নীরা আনমনে ভেবেই যাচ্ছে,,,
,
নীরা:::: (আমি এতো বড় ভুল কি করে করলাম যে মানুুষটা আমায় পাগলের মতো ভালোবাসে তাকেই কি না আমি অবিশ্বাস করলাম,, মুখ দেখাবো কি করে আমি ওকে,,,)
,
নিলয় খেয়াল করলো নীরা চুপচাপ বসে আছে, নিলয় একটা খোলা মনোরম জায়গায় গাড়ি দাড় করালো,,, তারপর নিজে গাড়ি থেকে নেমে দরজা আটকিয়ে গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাড়ালো,,,
,
নীরা গাড়ি থেকে নেমে নিলয়ের থেকে একটু দুরে হেলান দিয়ে দাড়ালো,,, নীরা আজ নিলয়ের মুখের দিকে তাকাতে পারছেনা অপরাধ বোধ হচ্ছে খুব,,,
,
নিলয় নীরাকে দুরে দাড়াতে দেখে নিজেরই নীরার সাথে গা ঘেসে দাড়ায়,,,, নীরা একটু অবাকই হয়,, কারন এই ছেলেকে নীরা যতই দুরে সরানোর চেষ্টা করি না কেনো সে রাগ না করে আরো আপন হবার চেষ্টা করে,,,
,
নীরা:::: সরি,,,,
,
নিলয়::: কেনো?
,
নীরা;;:: আসলে,,,,, সেদিন,, ( বলেই নীরা কেদে দেয়,,,)
,
নিলয়:::: নীর তাকাও আমার দিকে,,,
,
নীরা::'' আমি সত্তিই সরি,,, আমি বুঝতে পারিনি,,,
,
নিলয় নীরার সামনে দাড়িয়ে দু হাত দিয়ে নীরার গালে হাত দিয়ে মুখ উচু করে ধরে,,,
,
নিলয়:::: তাকাও আমার দিকে নীর,,,,
,
নীরা:::: কোন মুখে আমি আপনার দিকে তাকাবো,,,
,
নিলয়::: তাকাও আমার দিকে,,,
,
নীরা আস্তে আস্তে নিলয়ের দিকে তাকায়,,,,
,
নিলয় নীরার চোখ মুছে দেয়,,,
,
নিলয়:::: আর কনোদিন আমার সামনে কাদবা না বলে দিচ্ছি,,, একটা কথা মনে রেখো আমি নিলয় বেচে থাকতে কারো হবো না,,, আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি শুধু তোমাকে,,,, আমার ওপর তোমার পুরা অধিকার আছে,, আমার সাথে তুমি যা ইচ্ছা করতে পারো,, আমার ওপর রাগ করতে পারো,, আমায় বকতে পারো, আমায় মারতে পারো, আমায় কষ্ট দিতে পারো,, তোমার যা যা ইচ্ছা তাই করো কিন্তুু কখনও আমায় ছেরে যেওনা,,,,,
,
তুমি বিনা আমি শুন্য,, তুমি সত্তি কবে বুঝবা বলো তো, কবে মানবে আমার ভালোবাসা,,, নীর পাখি আর যাই করো আমার ভালোবাসাকে কখনও অপমান করোনা,,,,,
,
নীরা আর নিজেকে আটকিয়ে রাখতে পারে না নিলয়কে দুহাতে বন্দি করে জরিয়ে ধরে,,,,
,
নিলয়::: নীর পাখি কি করছো সবাই দেখছে যে,,,,
,
নীরা তারাতারি নিলয়কে ছেরে দেয়,,,
,
নিলয়:::: এভাবে আমায় ছেরে দিলে নীর পাখি,,,,,
,,,,,
নীরা আবার নিলয়কে জরিয়ে ধরে আর নিলয় ও নীরাকে জরিয়ে ধরে,,,,
,
,
বাসায় এসে নিলয় নীরাকে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি পার্ক করতে চলে যায়,,, নীরা বাসার মধ্যে ঢুকতেই
নিলয়ের মা নীরাকে টেনে নিয়ে এক মোটা মহিলার সামনে দাড় করিয়ে দেয়,,,,
,
নিলয়ের মা:::: আপা ও আমাদের নিলয়ের বউ নীরা,,, নীরা সালাম কর
,
নীরা সালাম করতে গেলেই মহিলা কর্কশ কন্ঠে চিল্লিয়ে ওঠে,,,
,
মহিলা::::: থাক্ থাক্ আর আদিক্ষেতা করতে হবে না,,, আমার ছেলেটার মাথাটা খেয়ে শেষ করে দিছে,,, দেখে নিচ্ছি একেকটাকে,,, চলে এসেছি আমি,,,,
,
নীরা কিছুই বুঝলোনা,,, এর মধ্যে নিলয় ড্রয়িংরুমে ঢুকে,, আর নিলয়কে দেখা মাত্রই মহিলা নীরাকে এক প্রকার টেনেই পাশে বসিয়ে নেয়,,,,
,
মহিলা:::: বাহ্ সোনার মতো মেয়ে,,, খুব সুন্দর মা,আমার ছেলের পছন্দ আছে,, সুখী থাকো মা
, বলেই নীরার থুতনিতে হাত দিয়ে চুমো খেলো,,,, তারপর নিজের হাত এর বালা খুলে নীরার হাতে পরিয়ে দিলো,,, নীরা তো পুরাই শক,,, ও নিলয়ের মাএর দিকে তাকিয়ে আছে,,,
,
নিলয় এসে ওই মহিলাকে ফুপিইইইইইইইই বলে জরিয়ে ধরে,,,,,,
,
এই কথা শোনার সাথে সাথেই নীরার হার্ট এ্যাটেক হবার মতো অবস্থা,,,,,
,

1 comment :

  1. আরো নতুন নতুন Golpo, কবিতা, জোকস পড়তে ভিজিট করুন
    www.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete