আমার নাম আরমান হোসেন নীল,সবাই নীল বলেই ডাকে
- জীবনের ২০৪ টা মাস কাটিয়েছি শুধু ক্রাশ খেয়েই, আমার ১৭বছরের জীবনে ভালোবাসা বলতে তখনও কিছু ছিলো না,
- আমিও ক্রাশ ছাড়া কিছুই খেতাম না নিজেকে ক্রাশ খাওয়ার মাঝেই আটকে রাখতাম,
- যার উপর ক্রাশ খেতাম তার উপর একবারের বেশি দুইবার তাকাতাম না,
- মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে তাই ভাবতাম প্রেমে পড়লে জীবনটা নষ্ট হয়ে যাবে,
- ঠিক সেটাই হলো সুন্দর একটা শুরু হলেও শেষটা অভিশপ্ত রাতের মতোই হলো,
-সকাল ৮টা বাজে মোবাইলের এর্লীম টা প্রতিদিনকার মতো আজকেও আমায় ডেকে দিলো, হাত মুখ ধোয়ে, নাস্তা করে
বাসা থেকে বের হলাম কলেজ যাবার জন্য.
- আমার মেস কলেজ থেকে অনেক দূর হওয়াও রাস্তায় বাসের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম,,,,, -অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও যখন বাস আসলো না !
যেখানে ৫ টাকা দিয়ে যাওয়া যায় সেখানে রিকশা করে ৩০টাকা দিয়ে গেলাম,
- কলেজে গিয়েই নিজের নিয়ম মাফিক একটা ক্রাশ ক্রাশ খেলাম,
-এবার আর ক্রাশকে কে একবার দেখেই নিজের চোখটাকে শান্তি দিতে পারলাম না,
- পিছন থেকে আবির ধাক্কা দিয়ে বলে উঠলো
- কিরে নীল কি ব্যাপার? তুরে আমার জীবনে কোন মেয়ের উপর দুইবার তাকাতে দেখিনি, আজ কি হলো ১২ মিনিট ত তাকিয়ে থাকলি মেয়েটা ত এখান থেকে চলে গেছে,
- তুই এখনো কারে থাকিয়ে দেখছ?
দূর কি যে বলিস আমি আবার কখন কার দিকে তাকাইলাম?
-আমি ত বোর্ডে স্যার এর করা অংকটা বুঝার চেষ্টা করতেছিলাম
-আমি কি বাচ্চা নাকি?
- আমাকে যা বলবি তাই বিশ্বাস করতে হবে?
- টানা ১০মিনিট ত মেয়েটার দিকেই থাকিয়ে রইলি,মেয়েটা ত ২মিনিট আগে চলেগেলো তুই সেটাও বুঝতে পারলি না,
- মামা এটা তুর কয় নাম্বার ক্রাশ????
- দাঁড়া গুনে বলি, তুর ট্রিট লাগবো? - সারাজীবন ত আমার কাছ থেকে ট্রিট নিলি আজ তুই নিজে থেকেই ট্রিট দিবার কারণ কি মামু? সামথিং স্পেশাল নাকি মামু??
- মামা এটা আমার #১০০_নান্বার_ক্রাশ,,,
ভাবতেছি সেঞ্চুরি যখন হয়েগেছে, এটাকেই লাইফের শেষ ক্রাশ ভেবে ইনিংস ডিক্লেয়ার দিয়া দিমু,
- আচ্ছাহ তুর যখন ট্রিট লাগবো না, আমি যায় মেয়েটিকে খুঁজতে হবে,
এই কথা বলেই নীল একটা দৌড় দিলো,
- আবির এখনো সেখানে দাঁড়িয়ে রইলো ভাবিতেছে নীল এসব কি বলে গেলো?
- ছেলে কি প্রেমে পড়লো নাকি?
- নীল সেদিন আর মেয়েটিকে পেলােনা,
- রাতে সবকিছু আবির কে বললো,
- আবির কি করছ???
- তুর কি সময় হবে?
- আমার মেসে একটু আসতে পারবি?
- "তুই অপেক্ষা কর আমি আসছি!
- নীল আর আবির অনেক ভালো বন্ধু তাই একবার বলতেই আবির নীলের কাছে চলে আসলো,
- কিরে আজ হঠাৎ ডাকলি যে? আর সকালে কলেজ থেকে দৌড়ে কোথায় গেছেলি?
- একটু সবুর কর সব বলতেছি,
- শুন সকালে না যে মেয়েটার দিকে থাকিয়ে ছিলাম না?
- ওই মেয়েটাকে না আমি ভালোবেসে ফেলেছি,
- ওই মেয়েটা কিসে পড়ে কই থাকে ফোন নাম্বার আমার সবকিছু লাগবে এনে দিতে পারবি?
- কাহিনী টা তখন বললে কি হতো?
- মেয়েটা আমাদের সাথেই পড়ে কিন্তু অন্য সেকশনে,
- আর তুই পরিক্ষা ছাড়া কলেজ এই আশিস না, সারা বছরে কলেজে গেছিস মাত্র ৫দিন
তাই মেয়েটাকে ছিনস না,
মেয়েটার নাম সোনালি, নাম্বার লাগবে? ঠিকানা লাগাবে? সব জোগাড় দিমু কিন্তু স্পেশাল ট্রিট দিতে হবে!
- তুর যা লাগবো সব পাবি,
- মামা প্লীজ কালকের ভিতরে সবকিছু ফুল এড্রেস জোগাড় করে দিছ, আর কালকে কলেজ গেটের সামনে ওয়েট করিস,আমি আসবো,
- আচ্ছাহ সব জেনে নিবো তুই কলেজে আছিস যায়, অনেক রাত হয়েছে আজ যাই
নীল আবির কে মেসের সামনে থেকে এগিয়ে দিয়ে আসলো,
- মেসে এসেই আবার আবির কে কল দিলো, - - - সরি মামা মেয়েটির নামটা আবার একটু বলনা প্লীজ ভূলেগেছি,,
- ভুলেই যেহেতু গেছিস তাইলে আজকে একটু ওপেক্ষা কর,
- কালকেই মেয়েটির পুরো বায়োডাটা দিবো,
তুকে একটা ক্লু দেই মেয়েটার নাম কোন একটা রংয়ের নামে তার নামের মতো,
- কথাটা বলেই আবির ফোন লাইন কেটে দিলো, - নীল 3 ঘন্টা ভেবে মেয়েটার নামটা ভেবে বের করতে পারলনা, সবুজ?হলুদ?লাল?আকাশী? কমলা?গিয়া?সাদা? কালো?
- কি হতে পারে মেয়েটির নাম?
- নীল ঘুমাবার আগে ভাবলো মেয়েটির নাম হয়ত কমলা, এত সুন্দর মেয়ের নাম কি কমলা হতে পারে?
কিন্তু নিশ্চিত হতে পারলো না,
-অনেক টেনশন নিয়েই ঘুমালো নীল,
আজ অনেক সকালে নীলের ঘুম ভেঙে গেলো হয়ত সব মেয়েটার টেনশনে, হাতমুখ ধোয়েই কলেজ যাওয়ার জন্য নীল রেডি হলো,
- আজ নিজেকে অনেকটা গুছিয়ে নীল কলেজ যেতে বের হলো,গুছিয়ে নিলো কারণ ভাবলো যুদি মেয়েটার সাথে দেখা হয়.
- কলেজে গিয়েই দেখলো আবির গেইটে দাঁড়িয়ে আছে,
- কিরে মামা সব কিছু জানছিস?
- আগে কেন্টিনে চল তুই ট্রিট দিবি বলছিলি, তাই বাসা থেকে না খেয়ে আসছি,
- ট্রিট দে খেয়ে খেয়ে বলবো!
- আচ্ছাহ চল,
-এবার নিজের ইচ্ছা মত অর্ডার কর যা ইচ্ছা খাঁ, এখন বল? আচ্ছা মেয়েটির নাম কি কমলা? ঠিক না?৩ঘন্টা ভেবে বুঝে পেলছি তাই নারে? -
-আমি আগেই জানতাম তুই সহজ কাজ টাও করতে পারবিনা, মেয়েটার নাম সোনালি, নাম্বার-০১৭...... ঠিকানা-....সিলেট,
-আসল কথাটা বল মেয়েটি সিঙ্গেল নাকি মিঙ্গেল?
- মিঙ্গেল হইলে কি ভূলে যাবি??
-নিজের ১০০তম ক্রাশেও ইনিংস ডিক্লেয়ার দিবিনা?
- নারে মামা,
- অনেক দিন পর এশিয়া কাপে মুশফিকুর রহিম যেমন ১০০ করেছে,,
- তেমনি আমার ১৭ বছরের জিবনে ১০০ তম, ক্রাশ পুর্ণ হয়েছে,
- শোন,মেয়েটা যদি মিঙ্গেল হয় তাহলে
তামিম ইকবালের মতো এক হাতে বেটিং করে মেয়েটাকে জিতার চেষ্টা করবো,
-সাবাস বেটা আমি ভাবছিলাম তুই আর ব্যাটিং করবি না, কিন্তু এবার মনে হচ্ছে তুই সত্যি সত্যিই এই ম্যাচটা জিততে পারবি,
-মেয়েটা সিঙ্গেল কিন্তু প্রবলেম আছে,
-মেয়েটার বান্ধবী থেকে জেনেছি মেয়েটা নাকি বিয়ের আগে প্রেম করবে না! -দূর বেটা এইটা কোন বিষয় হইলো? মেয়েটার ভিতরের সব বারণ কে আমি,, "বস" মাসরাফির মতো টাইট বোলিং, আর নাসির হোসেনের মতো খরা ফিল্ডিং করে, ৫০ ওভারের ম্যাচ আমি ৩০ ওভারে অল আউট করে শেষ করে দিমু,
-তুই কি আজকে আমার সাথে মেয়েটার কথা বলিয়ে দিতে পারবি?
- আজ নাহ,
- কালকে আমি তুই আর তুর ফিউচার ভাবি ক্লাস ফাকি দিয়ে রেস্টুরেন্টে যামু, তুই টেনশন নিস না আমি ভালোই ক্যাচ ধরতে পারি, সোনালির বান্ধবীর সাথে আমি প্রেম করি,
-সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে,
-তুই শুধু আমার পেটের কথাটা মাথায় রাখিস,
- আরে মামা তুই দেখা যায় নাসির হোসেনের মতো ফিল্ডিং করছ, তুই আমারে রিলেশন টা লাগিয়ে দে আমি তুরে সাকিব আল হাসানের রেস্টুরেন্ট এ নিয়া খাওয়ামু,-অক্কে মামা কালকে তরে কল দিমু, ঠিক সময় আশিস,
সেদিন এর মতো নীল মেসে ফিরে,
মেসে ফিরেই বাসায় কল দেয়.
- হ্যালো আম্মু কেমন আছো?
আব্বু কেমন আছে?
- ভালো আছি বাবা,
- তুর আব্বুও ভালো আছে,
- আমার কথা ত তুর মনেই পড়েনা আজ হঠাৎ কল দিলি কিছু লাগবে?
-হ্যা আম্মু স্যার বলছে কয়েকটা বই কিনতে হবে, হাজার দুয়েক টাকা লাগবে
- আচ্ছাহ তুর আব্বু আসলে বলবো উনি সন্ধ্যায় পাঠিয়ে দিবেন
-আচ্ছাহ আম্মু আজকেই পাঠিয়ে দিতে বইলেন, - মেসের বড় ভাই ডাকতেছে,
- খোদা হাফেজ আম্মু এই বলে ফোনটা কেটেদিলো, জীবনের ২০৪টা মাসের অনেকগুলো মাস নীল বইয়ের নামে অনেক টাকা এনেছে, কিন্তু আজ মিথ্যা বলে টাকা আনলো সোনালীর সামনে সবকিছুর বিল পেমেন্ট করে নিজেকে প্রকাশ করতে. আর আবিরের পেট ভরাতে,
সকালে নীল রেডি হয়ে বসে আছে, এমন সময় আবির কল দিলো,
- কিরে নীল কই তুই?
- আমি ত মেসে তুই কই?
-এ বেটা তাড়াতাড়ি আয় আমাদের কলেজের পাশে একটা রেস্টুরেন্ট আছে না?ওখানে,
- আমি তুর ফিউচার ভাবি, আর তুর ফিউচার বউ কে নিয়ে রেস্টুরেন্টে আছি,
- বলছিলি ত সাকিব আল হাসানের রেস্টুরেন্টে খাওয়াবি, আজকে এটাতেই এসে খাওয়া, এই বলেই আবির কল কেটেদিলো,
- নীল দ্রুত মেস থেকে বের হয়ে রেস্টুরেন্ট এর সামনে উপস্থিত হলো,
রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে কল দিলো
কিরে আবির তুই কই?
আমি রেস্টুরেন্ট সামনে দাঁড়িয়ে আছি,
- আবির রেস্টুরেন্ট এর সামনে এসে নীলকে ভিতরে নিয়ে গেলো! তারপর নীলকে আবির সোনালি আর আবিরের গফ এর সাথে আলাপ করিয়ে দিলো,,,
#চলবে......................বন্ধুরা
কেমন হয়ছে গল্পটি অব্যশয় কমেন্ট করে জানাবেন,ভালো হলেও জানাবেন, খারাপ হলেও জানাবেন
তুমাদের যদি ভাল লাগে তাহলে বাকি অংশটি লিখবো ।নয়তো আর লিখবোনা,
গল্পের শেষ অংশটি পেতে চাইলে কমেন্ট বক্সে Next লিখে কমেন্ট করুন,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ধন্যবাদ সবাই ভালো থাকবেন,খোদা হাফেজ
আরো নতুন নতুন গল্প, কবিতা,জোকস পড়তে চাইলে আমার সাইটে ভিজিট করুন
ReplyDeletewww.valobasargolpo2.xyz