Friday, October 26, 2018

বাসর রাতে বউয়ের মাইর

1 comment

▬▬ #গল্প_বাসর_রাতে_বউয়ের_মাইর▬▬☛
,
--- ঐ কুত্তা হারামি বান্দর তুই কই? কতবার কল দিচ্ছি ধরছিস না কেন??? [রিয়া]
--- বাসায় ঘুমাই।
--- সারারাত কোন মেয়ের সাথে ফেবুতে লাইন মারছিস দিনের এতক্ষণ পর্যন্ত ঘুমাইতেছিস?
কয়টা বাজে দেখছস?
--- মাত্র সাড়ে দশ(রিয়াজের চোখ আটকে গেল উঠে বসে গেল) তুই টাইম, ধুর ১৫মিনিটে সোজা ভার্সিটিতে আসছি।
--- মনে রাখিস ১৫মিনিট তার এক সেকেন্ড যদি লেট করিস তোর অবস্থা শেষ করে দিব আমি।
--- হবে না।
--- তাড়াতাড়ি আয়, ১৫মিনিট পূর্ণ হওয়ার আগে আসতে পারলে তোকে একটা গিপ্ট দিব।
--- কি দিবি?
--- এক দুই তিন সময় শুরু...
--- ওকে ওকে.....
.
রিয়াজ কোনো রকম ভাবে ফ্রেশ হয়ে নিল।
আর মাত্র ৯মিনিট আছে।
দিল দৌড়, এক দৌড়ে ভার্সিটির গেটের সামনে।
এখনো ২ মিনিটের মতো আছে।
কিন্তু রিয়ার কাছে যেতে হবে? কিন্তু রিয়াকে কোথায় পাবে?
মোবাইলটা বের করে রিয়াকে কল।
--- তুই কোথায় আমি চলে আসছি?
--- আমি তোর পেছনে।
--- কই?(ফোন কেটে দিল) ঘড়ি দেখ।
--- হাতটা দে।
--- কেন???
--- দে তো।
--- ওকে।
.
রিয়া রিয়াজের হাতে সুন্দর একটা ঘড়ি পড়িয়ে দিল।
--- এখন থেকে সময় মতো আসবি, এটাই তোর গিপ্ট।
--- অনেক সুন্দর তো. থ্যাংকস।
--- ওয়েলকাম. চল
--- দাড়া,(রিয়াজ বসে পরলো) তোর পা টা আমার হাটুতে রাখ।
---কেন?
--- রাখ,
--- তোর গায়ে আমি পা দিব? কখনো না।
--- আমি বলছি রাখতে।
--- নাহ।
--- প্লিজ রাখ. না হয় কিন্তু রেগে যাব(রিয়াজের রাগকে রিয়া খুব ভয় পায় কারণ একদিন রাগ করে রিঢার সাথে পনের দিন কথা বলেনি তার সাথে)
--- ওকে রাখছি।
.
রিয়াজ এক জোড়া নুপুর বের করে রিয়ার পায়ে পড়িয়ে দিল।
--- ওয়াও, খুব সুন্দর [রিয়া]
--- হুম
--- আমার জন্য কিনেছিলি?
--- নাহহ্, আমার গার্লফ্রেন্ডের জন্য কিনেছিলাম অনেক আগে। কিন্তু গার্লফ্রেন্ড তো নেই তাই তোকে পড়িয়ে দিলাম।
তাকেও এমন করে পড়ানোর ইচ্ছে ছিল।
--- আমি কি তোর গার্লফ্রেন্ড নাকি?
--- হুম তুই আমার গার্লফ্রেন্ড আমার ভবিষ্যৎ বউ.
--- তোর এত শখ কেন হ্যা?
--- কিসের শখ? সত্যি দেখিস তোকেই আমি আমার বউ বানাবো।
--- তোর বউ হবো আমি? তোর মতো লেট লতিফের হা হা হা।
--- তুই তো হবি তোর চৌদ্দগুষ্ঠি হবে।
--- কচু হবো।
--- হবি।
--- না
--- হবি
--- না
--- হবি হবি হবি হবি
---- না না না না না না না (আমি তো তোরই বউ হতে চাই কথাটা মনে মনে বলল)
--- এখন ডিসেম্বর চলছে ১৪ফেব্রয়ারী তোকে আমি প্রপোজ করব।
--- করে দেখিস একটা কিক মারব সোজা উপরে চলে যাবি।
--- ওকে
--- এখন বল সকালে এতক্ষণ ঘুমাস কেন??? কোন মেয়ের সাথে লাইন মারিস???
--- আরে দুররর, আমার এত টাইম আছে নাকি? অন্য মেয়ের সাথে লাইন মারার? আমার এই লাল টুকুকে বউটা থাকতে।(গালে হাত দিয়ে)
--- ঐ সালা বেশি ফাজিল হয়ে গেছিস, ( এলোপাথারি মাইর শুরু করল রিয়া, আর রিয়াজ কয়েকটা খেয়ে দৌড়ে পালালো) ঐ দাড়া কই যাইতেছিস।
--- তোর হাতে মাইর খাওয়ার শখ নেই।
--- আর মারব না, এদিকে আয়,
--- তোরে আমি চিনি,
--- সত্যি মারব না,
--- প্রমিস কর মারবি না?
--- ওকে প্রমিস মারব না, এবার তো আয়।
--- না কনফিউজড, তিনবার বল।
--- প্রমিস প্রমিস প্রমিস। হইচে তো আয়।
--- হুমম আসলো(দৌড়ে আসলো)""
--- ঐ ভীতু আমাকে এতো ভয় পাছ?
--- তোকে ভয় পাব আমি?
--- তাহলে এভাবে পালালি কেন?
--- আরে সেটা তো মাইরের ভয়ে,
--- মাইরকে ভয় পাওয়া মানে আমাকে ভয় পাওয়া।
দেখতে হবে না কে আমি?
--- হুম তুই একটা গুন্ডি।
--- কি...???
--- আরে না না তুই তো আমার বউ তুই কিভাবে গুন্ডি হবি, তাই না?
--- সেটাই..
--- আলহামদুলিল্লাহ
--- কি...??
--- অবশেষে আমার বউ এটা মেনে নিলি।
--- কখন বলছি আমি তোর বউ?
--- একটু আগে।
--- একটু কখন?
--- না থাক! কইতাম না।
--- ওকে কইস না।
--- জানিস সকাল বেলায় সেই ঘুম হয় আর সেই ঘুমের ১২টা বাজিয়ে দিস তুই।
--- এত ঘুম কোথা থেকে আসে?
--- সরা রাত গরমে অসহ্য লাগে, সকাল বেলায় একটু শীত পড়ে আহ কি শান্তির ঘুম।
আর আমার ঘুমটা নষ্ট করে দিস তুই। কত সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখি।
কত সুন্দর সুন্দর মেয়ে আহ্! মনটা ঘুমের মধ্যে জুড়িয়ে যায়।
--- ঐ শালা চুপ কর।
--- ঐ শালি আমি তোর শালা নাকি শালা শালা করিস কেন? আমি তো তোর স্বপ্নের সেই নায়ক।
নামটা মনে নাই আরকি।
--- আহাহা দুর হ এখান থেকে,
--- ইচ্ছে করে তোকে জড়িয়ে ধুরে উম্মা একটা কিস করি।
--- কি তুই একটা লুইচ্ছা।
--- চি চি চি বর কে এমন কথা বলে না গো, লোকে বাজে বলবে।
--- আর একবার বললে মেরে গাল পাটিয়ে দিব।
--- ওকে ওকে আর বলব না, আমার গালটা ঠিক থাকুক।
--- গুড বয়।
--- ঐ কুত্তি আমার খিদা লাগছে নাস্তা করাবি এখন।
--- আমার কাছে টাকা নাই, তুই আসার সময় করে আসিস নি কেন???
--- শালি... করে আসিস নি কেন বলছিস? সময় দিয়েছিলি যে মনে নাই?
--- ঐ শুন ১৫মিনিট সময় হলে আমি শুধু ফ্রেশ হয়ে না গোসল করে নাস্তা করে আসতে পারতাম।
--- হইচে তুই পাস, সত্যি খুব খিদা লাগছে, চল না নাস্তা করাবি।
--- ওকে চল।
.
রিয়াজ নাস্তা করে নিল।
--- আহহহ্! কি শান্তি।
--- তুই শালা একটা কিপ্টা!
--- কি তুই খাবায়েসিশ বলে খোটা দিলি। ওকে যা, বিয়ের পর আমি সব দিমু দেখিস ততদিন তুই দিয়ে যা।
--- হইচে, আজকে যাই।
--- কোথায় যাবি।
--- কেন তুই জানিস না আমি প্রতিদিন বঙ্গোপসাগরে ঢুব দিতে যাই যে।
--- ওহ ওকে যা।
--- যাবি চল আমার সাথে।
--- আবার জিগায়, ২৫টাকা বেচে যাবে।
--- তুই এক হিসাবি কেন???
--- আরে তোকে বিয়ে করলে টাকা লাগবে না? সঞ্চয় করতেছি!!
--- বাবা ভালো, তুই এত সিওর কেন যে আমি তোর বউ হবো।
--- ভালোবাসা! বুঝলি ভালোবাসা।
--- চুপ কর, ভালোবাসা!
.
রিয়া ভাবে রিয়াজ সব মজা করে বলে কিন্তু রিয়াজ একটা কথাও মজা করে বলে না।
রিয়ার ভাবনাটা ভুল।
একদিন…………
--- ঐ কুত্তা খুব তো বলতি আমাকে তোর বউ বানাবি এখন কেমনে বানাবি।
--- কেন তুই কি পালিয়ে যাচ্ছিস নাকি?
--- আমাকে দেখতে আসছে, ছেলের মায়ের আর বোনের আমার পছন্দ হয়ে গেছে তারা কাল বিয়ের দিন তারিখ বলবে।
--- ভালো তো....
--- ভালো তো মানে?
--- ভালো তো মানে তোর বিয়ে ভালো না।
--- কি.... তুই না আমাকে তোর বউ বানাবি।
--- হুম বানাতাম, কিন্তু তোর তো বিয়ে 'ঠিক।
--- আমি তোকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করব না। আমি তোকে খুব ভালবাসি।
প্লিজ আমাকে নিয়ে পালিয়ে চল,(জড়িয়ে ধরে বলল)
--- তোর কি মাথা খারাপ আমি পারব না আমি তোর বিয়ে দেখবো।(সরিয়ে দিয়ে বল)
--- ওকে যা দেখিস..!
.
রিয়া কাদতে কাদতে চলে গেল।
রিয়াজ কিছুই বলল না।
কি বলবে সে ছেলে পক্ষের পছন্দ হয়ে গেছে এখন তো শুধু বিয়ে বাকি? রিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়ে গেল।
কিন্তু রিয়া তার বরের মুখ একবারও দেখলো না।
বরের নাম কি সেটাও জানে না সে।
জানার দরকারও নেই তার জেনে কি করবে সে।
বউ হতে চেয়েছিল একজনের নিয়তির বিধান হতে হলো আরেক জনের।
বাসর ঘরটা খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। খাটে একলা বসে আসে রিয়া কিন্তু বর আসার খবর নেই।
রাত একটার কাছাকাছি দরজা বন্ধ করার শব্দ পেল রিয়া।
সাথে সাথে বুকটা কেঁপে উঠলো তার।
কিন্তু কিছুই তো করার নেই।
বর খাটের কাছে আসার আগেই………
--- দাড়ান, আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মানতে পারব না।
আমি একজনকে ভালোবাসি।
আর তাকে ছাড়া আমি অন্য কাউকে আমার জীবনে ভাবতে পারি না।
আর পারবও না।
বাবা মায়ের সম্মানের দিকে তাকিয়ে আপনাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছি।
এখন পর্যন্ত আমি আপনার নামও জানি না চেহারা দেখাতো দূরে থাক।
তাই আপনার কাছে অনুরোধ আমাকে আমার মতো থাকতে দিন। কখনো বউয়ের অধিকারটুকু দেখাতে আসবেন না।
--- তোর কথা শেষ?
.
কথাটা শুনা মাত্র গোমটা সরিয়ে দেখে রিয়াজ।
--- তুই?
--- হুম, অবাক হয়েছিস?
--- এখানে কেন?
--- আমার ঘরে আমি,
--- তোর ঘর মানে?
--- ঐ যে ফটোটা দেখেন ম্যাডাম, (নিজের ফটো দেখিয়ো বললো)
--- আমার সাথে এমন করলি কেন কুত্তা এভাবে কাঁদালি কেন।
--- আমি পারতাম তোকে প্রপোজ করতে কিন্তু তোকে পাওয়ার থেকে হারানোর ভয়টা বেশি ছিল তাই মাকে বলে তোদের বাড়ি পাঠালাম আর বিয়ে ঠিক।
--- শালা(আবার মাইর)
--- এখনো শালা? হায়রে কপাল... বিয়ে করেও বর হতে পারলাম না শালা শালাই থেকে গেলাম।
---চুপপ কুত্তা
--- বাসর ঘরে বউয়ের মাইর কয়জনের ভাগ্যে জোটে আমি সেই হতভাগা বাসর ঘরেই মাইর খেলাম,,,,

সম্পূর্ন লেখাটুকু পড়ারজন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। পরবর্তী আমার লেখা আরো গল্প পড়ার জন্য আমন্ত্রন রইলো।
"
গল্প কেমন হয়েছে কমেন্ট এ জানাবেন প্লিজ।
ক্ষুদ্র লেখক তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

●▬▬๑۩লেকখঃ কষ্টের ফেরিওয়ালা۩๑▬▬●

1 comment :

  1. আরো নতুন নতুন গল্প, কবিতা,জোকস পড়তে চাইলে আমার সাইটে ভিজিট করুন
    www.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete