Friday, October 26, 2018

সিনিয়র রাগি বউ পর্ব ২

1 comment

সিনিয়র রাগি গার্লফ্রেন্ড
২য় পর্ব
রাত্রীঃকই দেখি দেখি কেমন লাল হয়ে আছে?
আমি;এই দেখুন এখনো মনে হয় পাচ আঙুলের চিহ্ন বোঝা যাচ্ছে..
রাত্রী;আহারে পিচ্চি
আমি;মজা নিবেন না...
রাত্রীঃআচ্ছা নিবো না,,,আবার দুজন চুপ
রাত্রীদের বাসার সমনে চলে এসেছি....
রাত্রী আমাকে রেখেই ভেতরে যাচ্ছিলো তখন আমি পেছন থেকে ডাক দিয়ে বললাম কেমন মানুষ আপনি?আপনার সাথে এতো দূর এলাম একবার ভেতরে যেতেও বললেন না....আপনি তো খুব কিপটা..
রাত্রী:অহহ সরি সরি চলো বাসার ভেতরে চলে..
রাত্রীর কথা বলার আগেই আমি দৌড় দিলাম...
এই প্রথম বউয়ের সাথে শশুর বাসায় ঢুকছি কি মজার ব্যাপার ভাবতেই অনেক ভালো লাগছে..
রাত্রীঃঅই রকম ফিস ফিস করে কি বলছো??
আমিঃনা কই আমি আবার কি বলবো?
রাত্রীঃআমি শুনছিলাম তুমিমি কিছু বলছিলে...
আমি;তুমি হয়তো ভুল শুনেছো..
রাত্রীঃহ্যা হবে হয়তো...
রাত্রীদের বাসার ভেতরে চলে গেলাম।
মেয়েটাও বোকা একদিনের পরিচয়ে আমাকে তার সাথে আসতে দিলো..
বাসার ভেতরে যাবার পর দেখি সাইফ ভাই আর য়ার চেলারা বসে আছে...আমাকে দেখে সাইফ ভাই বললো আরে মামুন তুই এখানে কি করতে এলি??
আমিঃভাই অনেক বড় একটা গোপন কথা বলবো চলুন একটু নিরিবিলি জায়গাতে যায়....
সাইফ ভাই কি জেনো ভেবে উঠে বাসা থেকে বেড়িয়ে বাগানে চলে আসলো।
সাইফঃহ্যা বল কি বলতে এসেছিস..
আমিঃভাই আজ যখন আপনার বোন রাস্তা দিয়ে আসছিলো তখন আমি তো পেছনে ছিলাম..
হঠাৎ দেখলাম কয়েকটা ছেলে আপনার বোনের পেছনে পেছনে আসছে...
ব্যাপার আমার একদম ভালো লাগলো না,,পরে আমি আপনার বোনকে বললাম যে সে যদি চাই তাহলে আমি তারর সাথে আসতে পারি...(সব মিথ্যা কথা বললাম..ভাইয়ের কাছে একটু ভালো সাজলাম...
সাইফঃতুই কি ছেলে গুলোকে চিনিস?
আমিঃভাই এমনি তে তো চিনি না,,তবে ভাই আবার দেখলে চিনতে পারবো...
সাইফঃআচ্ছা তোকে ধন্যবাদ...
আমিঃভাই তোমার বোন গাড়ি না নিয়ে একা একা হেটে আসে
কেনো?তোমাদের না গাড়ি আছে?
সাইফঃহ্যা তা আছে..কিন্তু মহারানীর নাকি গাড়ি করে আসতে ভালো লাগে না..তার নাকি রিকশা ভালো লাগে..আমরাও আর জোড় করি নাই..ও যেইভাবে চাইছে আমরা চলতে দিয়েছি...
আমি;ভাই যদি রাগ না করো তাহলে একটা কথা বলি??
সাইফঃআমি তো এই রাস্তা দিয়ে কলেজ থেকে ফিরে আসি..যদি তুমি অনুমতি দাও তাহলে আমি তোমার বোনের সাথে আসতে পারি.
সাইফ ভাই কিছুক্ষণ কি জেনো ভাবলো তারপর বললো আচ্ছা কাল থেকে তুই আর রাত্রী এক সাথে বাসায় আসবি..আর রাস্তায় যদি কখনো কোনো গোলমাল হয় আমাকে ফোন দিবি..?
আমিঃআচ্ছা ভাইয়া আজ তাহলে যায়।।
সাইফঃসে কিরে তুই বাসায় এসেছিস আর না খেয়েই চলে যাবি এটা কেমন কথা..চল সবাই আজ একসাথে লাঞ্চ করে নিবো..
আমিঃভাইয়া আমিও??
সাইফঃহ্যা চল
আমি জানতাম সাইফ একটা আস্তো গাধা মাথায় বুদ্ধি একদম নাই...কিছু মিথ্যা কথা বললাম আর সেটা কি সহজে বিশ্বাস করে নিলো??
আমিঃভাইয়া আর একটা কথা বলি?
সাইফঃআবার কি বলবি?
আমিঃধরো আমি যদি তোমার বোনের সাথে ফেন্ডশীপ করি তাহলে কি তুমি রাগ করবে?
সাইফঃআরে বোকা এতে রাগ করার কি আছে?দেখ আমার বোনের যদি তোকে ভালো লাগে সে যদি ফ্রেন্ডশিপ করতে চাই তাহলে করবি..আমার বোন এখানে তো নতুন ওর তেমন কোনো ফ্রেন্ড না।
আমরাও সারাদিন কাজ করি ও একদক একা থাকে..আব্বু আম্মু তো থাকে সারাদি অফিসে
রাত্রী বাসায় একা থাকে..
আমিঃভাইয়া তাহলে আমি আজ থেকে তোমার বোনের বেষ্ট ফ্রেন্ড হবো..
সাইফঃরাত্রী যদি চাই তাহলে হতেই পারিস চল এবার
ভাই হওয়া চাই এই রকম যে প্রেম করতে সাহায্য করছে..আমার ভয় ছিলো সাইফ ভাইকে নিয়ে
কিন্তু সাইফ ভাই তো তার কথা বলেই দিলো এখন শুধু রাত্রীকে রাজি করানোর পালা...
ভাইয়ার সাথে বাসার ভেতরে চলে গেলাম...
আমি ফ্রেশ হয়ে নিলাম টেবিলে বসেছি কিন্ত রাত্রী আসছে না।
ভাইয়া কাজের মেয়েকে বললো রাত্রীকে ডেকে আনতে.
আমি বললাম ভাইয়া আমি রাত্রীর বেষ্ট ফ্রেন্ড আমি গিয়েই ডেকে নিয়ে আসছি....
সাইফঃআচ্ছা যা,,কিন্তু তাড়াতাড়ি আসবি।
আমি উপরে চলে গেলাম যদিও জানিনা রাত্রীর রুম কোন টা..আমি প্রত্যেকটা রুমে খুঁজতে লাগলাম কিন্তু রাত্রীকে কোথাও পেলাম না।৪ নাম্বার রুম থেকে বের হয়ে আমি মাত্র ৫ নাম্বার রুম খুলেছি সাথে সাথে কেও একজন আমার দিকে ঘুরলো আর সাথে সাথে
আাাাাাাাাাাা বলে চিৎকার দিয়ে উঠলো।
চিৎকার শুনে নিচ থেকে সাইফ ভাই চলে এলো...
আমি তো ভয়ে শেষ সাইফ ভাই যদি এটা শুনে যে আমি তার বোন কে কি অবস্থায় দেখেছি তাহলে আমি শেষ।
সাইফঃকিরে রাত্রী চিৎকার করলো কেনো??
আমি তো কিছুই বলছি না শুধু ভয়ে কাপছি...
সাইফ ভাই তখন রাত্রীর রুমে প্রবেশ করলো আমি একটু তাকিয়ে দেখি রাত্রী জামা পরে নিয়েছে।
সাইফঃকিরে তুই হঠাৎ করে চিৎকার করলি কেনো?কি হয়েছে তোর?
আমি তো রাত্রীর দিকে তাকিয়ে আছি...
যদি রাত্রী সত্যি কথা বলে তাহলে আমি আর বাসায় যেতে পারবো না।
রাত্রীঃনা ভাইয়া তেমন কিছু হঠাৎ একটা তেলাপোকা দেখলাম তো তাই...
রাত্রীর কথা শুনে আমার দেহে প্রান ফিরে এলো..
সাইফঃতেলাপোকা দেখে কেও অমন ভাবে চিৎকার করে?তুই যেমন ভাবে চিৎকার করলি তোর চিৎকার শুনে মনে হলো বাসায় ডাকাত এসেছে..
রাত্রীঃভাইয়া তুমি জানো না আমি তেলাপোকা কত ভয় পায়...
সাইফঃহ্যা জানি আচ্ছা কথা পরে চল নিচে চল খাবি...
রাত্রীঃহ্যা ভাইয়া চলো...
রাত্রীঃআর ভাই এ এখানে কি করছে??
সাইফঃসেটা তোকে না জানলেও চলবে...ও আজ আমাদের সাথে খাবে..
আমি খেয়াল করলাম রাত্রী আমার দিকে তেমন ভাবে তাকাচ্ছে না,,আর মুখে লজ্জার ছাপ একদম ভালো করেই বোঝা যাচ্ছিলো।।।
আমি বুঝতে পেরেছিলাম লজ্জা পাবার কারন
আমি রাত্রী আর সাইফ ভাই নিচে চলে এলাম খেতে..
এতো বড় বাসা কিন্তু লোকজন একদম কম
বলতে গেলে একটা ভুতুড়ে বাড়ি...
বিয়ের আগে শশুর বাসায় জামাই আদর পাচ্ছি এমন ভাগ্যে মনে হয় শুধু মাত্র আমার একারি...
আর কারো এমন ভাগ্যে হয়েছে বা হবে বলে আমার মনে হয় না।।
খাচ্ছি এমন সময় আমি বললাম আচ্ছা ভাইয়া আপনি এখনো বিয়ে করছেন না কেনো??
আমার কথা শুনে সাইফ ভাওয়া খাওয়া বন্ধ করে দিলো।।
আমিঃকি হলো সাইফ ভাইয়া খাওয়া বন্ধ করে দিলেন কেনো??
রাত্রীঃহ্যা তাইতো ভাইয়া তুমি খাওয়া বন্ধ করে দিলে কেনো??
সাইফ ভাইয়া হঠাৎ কান্না করে দিলো..
আমিঃআরে ভাইয়া কাদছো কেনো??
তারপর সাইফ ভাই যা বললো তার জন্য তো একটু অবাক সবাইকে হতেই হবে...
সাইফঃআসলে আমি তিশা নামের একটা মেয়ে ভালোবাসতাম ভালোই চলছিলো আমাদের কিন্তু হঠাৎ একদিন তিশা আমার উপর রেগে যায়...
যদিও তার অনেক কারন ছিলো.!ওকে আমি সময় দিতে পাড়তাম না বেশি কথা বলতাম না।
মেয়েটা অনেক কান্না করতো আমার কাছে একটু সময় চাইতো কিন্তু আমি দিতে পাড়তাম না।আর আমি তখন এই পথে আসেনি আমি আব্বুর অফিসে কাজ করতাম।
একদিন এই বিষয় নিয়ে তিশার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়।আমার অনেক রাগ হয়েছিলো তাই সেদিন আমি তিশাকে চড় মারি।
আর সেদিন থেকে তিশা আমার সাথে কোনো কথা বলেনা।
রাত্রীঃভাইয়া এতো কিছু হয়ে গেলো আর তুমি বাসায়
জানাওনি?
সাইফঃসব জানানোর আগেই যে সব শেষ হয়ে গেছিলো....
আমিঃভাইয়া আপনি কাঁদবেন না...আচ্ছা ভাইয়া তিশা আপুকে যদি আমরা এনে দিতে পাড়ি আপনি কি দিবেন...
সাইফঃযা চাইবি তাই পাবি...শুধু তিশাকে এনে দে..
আমি;আচ্ছা ভাই তিশা আপুর সব কিছু আমার আর রাত্রীকে বলেন ৭দিনের মধ্যে আমরা তিশা আপুকে এনে দিবো..
সাইফঃসেটা বলছি আগে খাওয়া শেষ কর...
তারপর আবার সবাই খেতে লাগলাম।
মনে মনে এটা ভেবে শান্তি পাচ্ছি সাইফ ভাই যেহেতু প্রেম করেছে সেহেতু সে প্রেম নিয়ে কোনো ঝামেলা করবে না।
খাওয়া শেষ করে আমি আর রাত্রী সব কিছু সাইফ ভাইয়ের কাছ থেকে শুনলাম
সব শুনে আমি বাসায়। আর আসার আগে এটা বকে আসলাম আমি বিকালে আবার তাদের বাসায় যাবো।।
বাসায় আসার পর আম্মু জিজ্ঞাস করেছিলো আজকে এতো দেড়ি হলো কেনো?
আমি শুধু বলেছিলাম যে এক বন্ধুর বাসায় গেছিলাম।
বিকেলবেলা আবার রাত্রীদের বাসায় গেলাম।
উদেশ্যে ভাবিকে ফিরিয়ে দেওয়া আর রাত্রীকে দেখতে যাওয়া।মেয়েটার মায়ার পরে গেছি
আমি রাত্রীদের বাসায় গিয়ে কলিংবেল চাপ দিতেই রাত্রী এসে দরজা খুলে দিলো...
আমাকে দেখে রাত্রী হেসে দিলো কিন্তু কেনো হাসলো??
আমিঃভাইয়া কোথায়?
রাত্রীঃভাইয়া তো একটু বাহিরে গেছে..
আমিঃআচ্ছা আমি ভাইয়ার কাছে আসেনি আমি তোমার কাছেই এসেছি..
রাত্রীঃআমার কাছে এসেছেন মানে??
আমিঃআরে ভুলে গেছো ভাইয়াকে তার ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে হবে....
রাত্রীঃঅহহ হ্যা তাইতো.তাহলে বলো কিভাবে কি করবে..
আমিঃআগে চলো আমরা গিয়ে তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেখি কোনো কাজ হয় কিনা??
রাত্রীঃভালো আইডিয়া দাঁড়াও আমরা আজকেই যাবো আমি ভাইয়াকে কল করে ঠিকানা নিয়ে নিচ্ছি..
রাত্রী সাইফ ভাইয়াকে কল করে ঠিকানা নিয়ে নিলো আমি আর রাত্রী বেড়িয়ে পড়লাম
তিশা আপুদের বাসায় গেলাম।
তিশা আপুকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু কিছুতেই তিশা আপুকে কিছু বুঝিয়ে উঠতে পাড়লাম না।অনেক অভিমান জমে আছে...
আমি আর রাত্রী সেদিন নিরাশ হয়ে বাসায় ফিরি।
আমাদের কাছ থেকে সাইফ ভাইয়া সব কিছু শুনে আরো ভেঙে পড়ে।।
তবে আমি আর রাত্রী মিলে আরো একটা প্লান করেছি আর সেটা হলো থাক যখন প্লানটা কাজে লাগাবো তখন বলবো।
দুদিন পর রাত্রীর সাথে এখন বলতে গেলে ভালো বন্ধুত্ব্ব হয়ে গেছে।আর আমি এখন প্রায় সময় সাইফ ভাইয়াদের বাসায় বসে কাটিয়ে দেই..
সাইফ ভাইদের বাসা ছেড়ে আসতেই ইচ্ছা করে না রাত্রীর জন্য।
মেয়েটার সাথে যত কথা বলি তত আরো বলতে ইচ্ছা করে।
আর সাইফ ভাইয়া বা রাত্রীর পরিবাবের সবাই আমাকে অনেক আদর করে..
কেনোই বা করবে না একমাত্র মেয়ের হবু জামাই বলে কথা
৫দিন কেটে গেলো তবুও সাইফ ভাইয়ার আর তিশা আপুর জন্য কিছু করতে পাড়লাম না।
তাই আমাদের শেষ অস্ত্র প্রয়োগ করবো।
আমি আর রাত্রী এখন হাসপাতালে দাঁড়িয়ে আছি।
সাইফ ভাইয়া কেবিনের ভেতরে।
রাত্রী তিশা আপুকে ফোন করে বললো আপু তুমি যদি ভাইয়াকে শেষ দেখা দেখতে চাও তাহলে সিটি হাসপাতালে চলে আসো।
ভাইয়া এতো কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আজকে আত্নহত্যা করতে গেছিলো...
ডাক্তার বলেছে ভাইয়া নাকি আর.........
ওপাশ থেকে কি বললো সেটা আমি শুনতে পাই নাই।।
কিছুক্ষণ পর দেখি তিশা আপু ছুটে আসছে আমাদের দিকে..
এসেই
তিশাঃকি হয়েছে ওর ও কি করেছে কেনো করেছে আমি ওর কাছে যাবো..
রাত্রীঃথাক আপু এখন আর সেটার দরকার হবে না..ভাইয়ার এই অবস্থার জন্য তুমি দায়ি তুমি...
তিশাঃএখন এই সব বলার সময় না,,আমি ওর কাছে যাবো ও আমাকে একা রেখে কোথাও যেতে পারে না...বললেই হলো আমি যেতে দিবো না।
রাত্রীঃএখন আর এই সব বলে লাভ নাই...অনেক দেড়ি হয়ে গেছে..
তিশাঃআমি ওকে দেখতে চাই..কথা গুলো যখন বলছিলো তিশা আপুর চোখ দিয়ে অনবরত পানি পরছিলো।
রাত্রী বললো আচ্ছা চলো তোমাকে নিয়ে যায়।
তারপর আমি রাত্রী আর তিশা আপু কেবিনে প্রবেশ করলাম।
সাইফ ভাইয়া শুয়ে আছে।
তিশা দৌড়ে গিয়ে সাইফ ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরলো আহ কি রোমান্টিক মুহূর্ত....
তিশাঃএই দেখো আমি এসেছি
কথাটা বলা শেষ হলো না ভাইয়া বললো সেটা জানি তুমি এসেছো...
এটা কি হলো এরকম তো কথা ছিলো না কথা ছিলো কথা ছিলো তি্শা আপু অনেক কিছু বলবে নিজের ভুল গুলো স্বীকার করবে তখন সাইফ ভাইয়া চোখ খুলবে।
আমিঃভাইয়া এটা তুমি কি করলে?এমন টা তো কথা ছিলো না..
ভাইয়াঃআরে এতোদিন পর আমার জান পাখি আমাকে জড়িয়ে ধরেছে তাই নিজেকে আর সামলে রাখতে পারি নাই।
তিশাঃএই সবের মানে কি?
বোকা সাইফ বললো তুমি তো আমার কাছে আসছিলে
না তাই সবাই মিলে একটু নাটক করলাম।
তিশাঃকিহহ নাটক করেছো আমার সাথে তাও আমাকে এখানে আনার জন্য
কি ভেবেছো সত্যি জানার পর আমি এখানে থাকবো আমি গেলাম চলে
একদম ঠিক হয়েছে বোকারাম এবার ঠেলা সামলাও(মনে মনে)
তিশা উঠে চলে যেতে লাগছিলো বোকারাম পাশে রাখা ফল কাটার ছুড়ি নিয়ে দিলো একটা টান
ভাগ্য ভালো শিরা কাটে নাই....
রাত্রীঃআরে ভাইয়া এটা তুমি কি করলে দৌড়ে ভাইয়ার কাছে গিয়ে..
সাইফঃও কি ভেবেছে নাটক করেছি বলে সত্যি কিছু করতে পাড়বো না।এতোদিন অনেক কষ্ট সহ্য করেছি আর পাড়বো না।
তিশা পেছন ফিরে যখন দেখলো সাইফ ভাইয়ার হাত থেকে প্রচুর রক্ত বের হচ্ছে দৌড়ে গিয়ে আবার সাইফ ভাইয়ার হাত চেপে ধরে বললো এই তুমি এই সব কি করতে যাচ্ছিলে?
সাইফ ভাইয়াঃএতোদিন যা করার দরকার ছিলো সেটাই করতে যাচ্ছিলাম।
তিশা আপু আর কোনো কথা না বলে কাপড় ছিড়ে আগে সাইফ ভাইয়ার হাত বেধে দিলো তারপর সাইফ ভাইয়া ও তিশা আপু একে অপরকে জড়িয়ে ধরলো একটু কান্ড জ্ঞান নেই দুইটা পিচ্চির সামনে
যদিও তাদের দেখে আমারো রাত্রীকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছা করছে
To Be Continue

1 comment :

  1. আরো নতুন নতুন গল্প, কবিতা,জোকস পড়তে চাইলে আমার সাইটে ভিজিট করুন
    www.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete