😉😉বড় লোকের অহংকারী মেয়ে😉😉
৭ম পর্ব
লেখক---হারিয়ে গেছে🤗🤗
তিশা যখন আমাকে ঘড়ি পড়িয়ে দিচ্ছে খেয়াল করে দেখি নিলা কাঁদছে,, কিন্ত কেনো কাঁদছে,??ধুর সেটা আমার দেখার বিষয় না।
আমিঃতিশা আমি যাই,,অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে....
তিশাঃহ্যা যাও,,দেখে শুনে যেও।
আমি অফিসের চলে গেলাম।
নিলার জন্য মায়া হচ্ছে,ও যখন কান্না করছিলো একদম শিশুদের মত লাগছিলো।
আমি এতো কিছু না ভেবে নিজের কাজে মন দিলাম।
সারাদিন কাজ করে খুব ক্লান্ত হয়ে গেছি।অন্যদিনের তুলনায় আজকে একটু বেশি কাজ ছিলো।
অফিশ শেষ করে বাসায় ফিরবো তখন তিশার ফোন।
আমিঃহ্যালো,
তিশাঃহ্যালো(কান্না করছে))
আমিঃএই তুমি কান্না করছো কেনো??
তিশা কিছু না বলে কান্না করেই যাচ্ছে।
আমি;কি ব্যাপার তুমি কান্না করছো কেনো?
তিশা কিছু না বলে শুধু এটুকু বললো তাদের বাসায় যেতে হবে।
আমিঃকেনো তোমাদের বাসায় কি?
তিশাঃপ্লিজ আসো না একটু?
আমি আর কথা বাড়ালাম না,তিশাদের বাসায় চলে গেলাম।
বাসার কলিংবেল চাপার সাথে সাথে দরজা খুলে দিলো।
একজন মহিলাঃতুমি কে বাবা?
আমিঃজি আমি মামুন,তিশা আমাকে আসতে বলেছে...
মহিলাঃঅহহ তুমি সেই,,আসো বাবা ভেতরে আসো দেখো না মেয়েটা সেই কখন থেকে কেঁদে যাচ্ছে,,
আমি তিশার কাছে গিয়ে বললাম এই তুমি অমন ভাবে কাদছো কেনো??
তিশাঃনিলা বলছে সে নাকি তোমার গার্লফ্রেন্ড?
তিশার এমন কথা শুনে আমি তো অবাক...
আমি বললাম কখন বলছে এই কথা?
তিশাঃসকালে যখন তুমি চলে গেলে,তখন আমি পেছন ফিরে দেখি নিলা কাঁদছে।যদিও নিলার সাথে আমার সম্পর্ক তেমন একটা ভালো না।কিন্তু মেয়েটা প্রচুর কান্না করছিলো তাই আমার কেনো জানিনা মায়া হলো তাই আমি নিলার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাস করি কি ব্যাপার তুমি কাঁদছো কেনো?
তখন নিলা বলে তুমি নাকি তার বয়ফ্রেন্ড কিছুদিন ধরে নাকি তার সাথে ভালোভাবে মিশো না।তার সাথে ভালোভাবে কথা বলো না।
আমি কি বলবো আমার কিছু বলার নেই।
শুধু রাগ হচ্ছে নিলার উপর
এইভাবে আমাকে কালার করলো কেনো??
আমিঃআচ্ছা নিলা যদি আমার গার্লফ্রেন্ড হয়েও থাকে এতে তোমার কান্না করার কি আছে?
তিশাঃকি নেই সেটা বলো আমি তোমাকে অন্যকারো সাথে ভাগ করে নিতে পারবো না।
আমিঃমানে এখানে ভাগাভাগির কথা আসলো কোথা থেকে?
তিশাঃসেটা তুমি বুঝবা না,,তুমি তো মনে হয় অফিস থেকে আমাদের বাসায় আসছো তাই না??
আমিঃহ্যা বাসায় যাবার সুযোগ দিলে তো আমি বাসায় যাবো.....
তিশাঃআচ্ছা যাও তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো,,আমি আম্মুকে বলে খাবার দিচ্ছি....
আমিঃনা আমি বাসায় গিয়ে খাবো...
তিশাঃতুমি আমাদের বাসায় না খেলে কিন্তু আমি কান্না করবো..আর আমিও কিছু খাবো না
কি পাগলী মেয়েরে বাবা।
তিশার পাগলামির কারনে আমি তিশাদের বাসায় সেদিন খেয়ে বাসায় ফিরলাম।
বাসায় এসে আব্বু আম্মুর সাথে কিছু কথা বলে রুমে চলে গেলাম।
ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি ঠিক তখন
অচেনা একটা নাম্বার থেকে কল আসে
কে হবে?
আমি কল রিছিভ করলাম...
আমিঃসালাম দিয়ে বললাম কে??
ওপাশ থেকে একটা মেয়েলি কন্ঠ
মেয়েঃআমি কে সেটা না জানলেও চলবে।
তা আজকাল দেখছি বাসায় বউ রেখে অন্যমেয়েদের সাথে ঘুরাঘুরি হচ্ছে।
আমিঃসরি আপনি মনে হয় কোথাও ভুল করছেন।
মেয়েঃভুল কেনো করতে যাবো,আমি তো ঠিক টাই বললাম।
আমিঃআপনি পুরোপুরি ভুল বলছেন আমার বাসায় কোনো বউ নেই।
আপনি মনে হয় ভুল নাম্বারে কল দিয়েছেন।
মেয়ে আচ্ছা আমি একটু চেক করে নিচ্ছি
কিছুক্ষণ পর মেয়েটি
সরি ভাইয়া খুব দুঃখিত আসলে আপনার নাম্বার আর আমার ফ্রেন্ড এর নাম্বার প্রায় সেম শুধু
যেখানে৫ হবে সেখানে ৪দিয়ে ফেলেছি।আমি খুব সরি।
আমিঃসেটা বুঝলাম তা আপনার ফ্রেন্ড কি করেছে জানতে পারি?
মেয়েটিঃআসলে আমার ফ্রেন্ড বিয়ে করেছে ১ বছর হতে চলেছে,আজ দেখি অন্য একটা মেয়ের সাথে ঘুরছে...
আমিঃআচ্ছা একটা কথা বলি হা,অন্যমেয়ের সাথে ঘুরলেই কি প্রেম হয় নাকি??
হতে পারে তারা
পুরোনো ফ্রেন্ড অনেক দিন পর দেখা হয়েছে তাই
মেয়েটিঃহ্যা আমি যতদুর জানি মেয়েটি আমার ফ্রেন্ডের অনেক আগেকার বন্ধু...
আমিঃআচ্ছা আমি আর একটা কথা বলি আপনার ফ্রেন্ড যদি আপনাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তাহলে কি আপনার সাথে তার প্রেম হবে?
মেয়েটি মনে হয় আমার কথায় কিছুটা লজ্জা পেলো...
বললো হ্যা সত্যি বলেছেন আমারি এমন ভাবে ভাবা উচিত হয় নাই।
আমিঃহ্যা কোনো কিছু ভালো করে না জেনে আগের মন্তব্য করবেন না।
মেয়েটিঃ আর কিছু বললো না
আমিও কল কেটে দিলাম খুব ঘুম পাচ্ছে
পরদিন আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙে
আম্মুঃশোন তুই অফিস থেকে ছুটি নিয়ে নে...
আমিঃকেনো আম্মু হঠাৎ ছুটি নিবো কেনো??
আব্বুঃআরে আমরা কিছুদিনের জন্য বেড়াতে যাবো তাই...
আমিঃকিন্তু আব্বু
আব্বুঃকোনো কিন্ত নয়
আমি আর কি করবো ছুটি নিয়ে নিলাম।
৭দিনের ছুটি শুধু বসকে বলেছিলাম আব্বু আম্মুর সাথে একটু বেড়াতে যেতে হবে।বস আর কিছু বললো না।
আমি আম্মুকে বললাম হঠাৎ খালার বাসায় কেনো যাচ্ছি??
আম্মুঃঅনেক দিন হলো আমরা সবাই কোথাও ঘুরতে যাই না।
ট্রেনে যেতে হবে,, টিকিট কেটে ট্রেনে উঠে পড়লাম।
আব্বু আম্মু সাথে আমার ছিট পড়লো না ভাগ্যা খারাপ।অন্য জায়গাতে বসতে হয়েছে।
আমি আমার ছিটে বসে আছি,কিচ্ছুক্ষণ পর একটা অবাক করা ব্যাপার
আরে এতো নিলা,,নিলা আমার মুখোমুখি ছিটে বসেছে।নিলাও মনে হচ্ছে আমাকে দেখে অবাক হয়েছে।যেভাবে তাকিয়ে আছে,,আমি নিলার দিক থেকে নজর সরিয়ে নিলাম।
কেও কাওকে কিছু বললাম না।আগের দিনের ঘটনার জন্য নিলার উপর রাগ হলেও নিলাকে দেখার পর কেনো জানিনা সব রাগ উধাও হয়ে গেছে।
অনেকক্ষণ হলো চুপচাপ বসে আছি।মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি এলো।
আমি ফোন বের করে দিলাম তিশাকে কল তিশার সাথে কথা বলতে লাগলাম।
আমিঃহ্যা তিশা আমিও তোমাকে মিস করবো...
নিলা রেগে গেছে।
তিশাঃআরে না না অন্যকোনো মেয়ে নেই।আর একটা আছে
কিন্তু তার দিকে তাকানোর থেকে না তাকানো অনেক ভালো।
হ্যা আচ্ছা আমি আমার খেয়াল রাখবো তুমি তোমার খেয়াল রেখো...নিলা আগের থেকে বেশি রেগে গেছে,আর চোখ দুটি লাল হয়ে গেছে।
আমিঃআরে তুমি আগে বললে তোমাকে সাথে নিয়ে আসতাম সত্যি বলতে একা একা আমি বোর হচ্ছি।
নিলা এবার কেঁদেই দিছে।
আমিঃহ্যা এইবার তো একসাথে যাওয়া হলো না।আমি ঢাকাতে ফিরে তোমাকে নিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরবো অনেক জায়গায়....
নিলা এবার আর বসে না থেকে দাঁড়িয়ে আমার হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে নিজের ব্যাগে ধুকিয়ে রাখলো।
আমি;এটা কি হলো,আপনি আমার ফোন নিলেন কেনো??
নিলা;আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই নিলাম।
আমিঃদেখুন আমি ফোন ছাড়া চলতে পারি না।আমার ফোন আমাকে ফেরত দিন।
নিলা তারপর যা করলো সেটা হলো ফোনে সিম খুলে আমাকে ফোন দিয়ে দিলো।
আমিঃএটা কি হলো আমি নেট চালাবো কিভাবে??
নিলাঃকেনো নেট চালিয়ে অই ডাইনীর সাথে কথা বলবি তাই না???(অনেক রেগে গেছে))
আমিঃদেখুন আমার সিম আমাকে ফেরত দিন।
নিলাঃনা সেটা পাবি না।
আমিঃআব্বু আম্মুকে ফোন দিবো তো।
নিলাঃএই নে আমার টা দিয়ে দে(নিলার ফোন এগিয়ে দিয়ে)
ধুর ভালো লাগে না,,আমার জিনিস আমাকে ফেরত দিচ্ছে না।মনে হচ্ছে সিমটা নিলার বাবার কেনা।
আমি আর কিছু বললাম না।চোখ বন্ধ করে দুইকানে হেডফোন গুঁজে গান শুনতে লাগলাম।কে যেনো আমার কান থেকে হেডফোন খুলে নিলো।
আমি চোখ খুলে দেখি নিলা।
আমিঃএই আপনার সমস্যা কি শুনি?
আপনি আমার জিনিসে যখন তখন হাত দেন কেনো??
নিলাঃসেটা তকে বলতে যাবো নাকি?
আমিঃদেখুন এখানে অনেক লোকজন আছে বলে এখনো আপনাকে কিছু বলছি না।
না হলে না চড়িয়ে গাল লাল করে দিতাম অভদ্র মেয়ে।একজন অপরিচিত মানুষের সাথে এতো কিসের********(রেগে গিয়ে)
নিলা হয়তো আমার কাছ থেকে এমনটা আশা করেনি কিন্তু
যেই মেয়ে আমাকে আগে অনেক অপমান করেছে সেই মেয়ে আমার জিনিস গুলোতে একের পর এক হাত দিয়েই যাচ্ছে।
নিলা আমার কথা শুনে আর
কিছু না বলে নিজের ছিটে বসে পড়ে।
কিছুক্ষণ পর লক্ষ্য করি নিলা কাঁদছে।
কিছুক্ষণ পর পর চোখ মুছেই যাচ্ছে।চোখ লাল করে ফেলেছে কেঁদে। কদুক তাতে আমারর কি?
আমি তো নিলার কিছু হয়না।
চট্রগ্রাম পৌছে গেছি।ট্রেন থেকে নামবো তার আগে নিলার দিকে আরো একবার ভালো করে তাকিয়ে দেখি নিলা তখনো কাঁদছে। চোখ ভয়ংকর লাল হয়ে গিয়েছিলো।ইচ্ছা করছিলো চোখের পানি মুছে দিতে।কিন্তু যখনি নিলার করা অপমান গুলোর কথা মনে পড়লো তখনি আমার রাগ উঠে গেলো।
আমি নিলাকে রেখেই ট্রেন থেকে নামলাম।
আব্বু আম্মুকে খুঁজে পেতে তেমন সমস্যা হয়নি।
তাদের সাথে খালার বাসায় চলে গেলাম।গত ৭দিনে কারো সাথে কোনো কথা হয়নি।কি করে হবে সিম নেই
আর আমি ফেসবুকিং খুব কম করি।
৭দিন পর ঢাকাতে চলে আসি।
অফিস যাবার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছি,,কিছুদুর এগুতে দেখি তিশা দাঁড়িয়ে আছে।
আমি তিশার কাছে যেতেই
তিশাঃঅই হারামি এই ৭দিনে একবারো ফোন করলি না কেনো?আর তোর ফোন বন্ধ ছিলো কেনো?
হারামি বিলাই
আমিঃএইই তুমি রাগ করো কেনো?আমার সিম হারিয়ে গেছে,,
তিশাঃমিথ্যা বলার যায়গা পাস না।ফোন না হাড়িয়ে সিম হারিয়ে গেছে,,এমন একটা দিবো না,,যে কোনো দিন আর আব্বু হতে পাড়বি না।
ওরে বাবারে এই মেয়ে তো পুরাই গুন্ডি।
আমিঃএই তুমি কি বলছো আমাকে আব্বু হতে দিবা না মানে??
তিশাঃঅহহ সরি সেটা হবে না।কারন কেও একজন তো তোর সন্তানের আম্মু হবার জন্য অপেক্ষা করছে....
আমিঃআচ্ছা আমি চলি তাহলে।।।
তিশাঃচলবি মানে,,আমি এতোক্ষন তোর জন্য অপেক্ষা করে আছি আমাকে একা রেখেই তুই চলে যাবি,,
আমিঃতাহলে তাড়াতাড়ি উঠো..
তারপর তিশা উঠে বসলো,,আমিও বাইক চালাতে শুরু করে দিলাম।
কলেজে নামিয়ে দিলাম।
তিশাঃআচ্ছা যাও আর শুনো তোমার নাম্বার দিয়ে ফোন দিও,,কথা আছে,
আমি তিশাকে বিদায় জানিয়ে সেখানে থেকে চলে গেলাম।দেখি কলেজের দুই নাম্বার গেইটে নিলা
দাঁড়িয়ে আছে,,আমাকে ইশারা দিয়ে থামতে বলছে।যদিও নিলার সাথে কথা বলার কোনো ইচ্ছা আমার নেই।তবুও মেয়েটা এমন ভাবে ডাকছে,না শুনে যাওয়া মনে হয় ঠিক হবে না।
আমি বাইক থামালাম
আমি;হ্যা বলুন আমাকে কেনো দাড় করালেন??
নিলাঃকেমন আছো?
আমি;অই আমি কেমন আছি না আছি সেটা জানার জন্য কি আপনি আমাকে দাড় করিয়েছেন নাকি?
কোনো কাজ কাম নেই।থাকেন তো আজাইরা যত্তসব
নিলাঃএমন ভাবে বলছো কেনো?
আমিঃআমি কেমন ভাবে বললাম আমি।
রাস্তা ছাড়ুন আমার অফিসের দেড়ি হয়ে যাচ্ছে।
নিলাঃঅফিস করতে কে বলেছে পড়ালেখা বাদ দিয়ে।।
আমিঃসেটা আপনার থেকে ভালো কেও জানেনা
আমার রাস্তা ছাড়ুন।
নিলাঃএই নাও তোমার সিম কার্ড...(আমার দিকে সিম এগিয়ে দিয়ে)
আমি নিলার কাছ থেকে সিম নিয়ে চলে এলাম।কি দরকার এমন মানুষের সাথে কথা বলার।যে কিনা কোনো একদিন আমাকে যা না তাই বলে।অপমান করেছে।
আমি যখন চলে আসছিলাম,বাইকের লুকিং গ্লাস দিয়ে দেখছিলাম নিলা আমার দিকে তাকিয়ে আছে,আর চোখ মুছছে।
আমি অফিসে চলে গেলাম অফিসের বসের সাথে কিছু কথা বলে আমার কাজে আমি মন দিলাম। অনেকদিনের কাজ পড়ে আছে।
কাজ করতে করতে হাপিয়ে গেলাম।তবুও কাজ শেষ হয়না।
আমি মনে মনে বললাম আর কোনো দিন ছুটি নিয়ে বেড়াতে যাবো না।সারাদিন কাজের চাপে মাথা ধরে গেছে।
রাতে বাসায় ফিরলাম।
এইভাবে চলে গেলো আরো কিছুদিন।শুক্রবার শুয়ে ছিলাম
বিকালের দিকে তিশার ফোন
আমিঃহ্যা বলো...
তিশাঃএই তুমি না আমাকে বলেছিলে আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে..
আমিঃহ্যা কথা ছিলো তো...
তিশাঃতাহলে চলো না আজকেই আমরা ঘুরতে যাবো আজকেই...
আমিঃকিন্তু
তিশাঃপ্লিজ কোনো কারন দেখিও না।চলো না
আমিঃআচ্ছা তুমি রেডি হও আমি বের হচ্ছি।।
তারপর তিশাকে নিয়ে ঘুরতে বের হলাম।
আমরা যখন বাইকে করে যাচ্ছিলাম নিলা আমাদের দেখেছিলো
পার্কের একটা বেঞ্চে আমি আর তিশা বসে গল্প করছিলাম।
হঠাৎ কে এসে আমার শার্টের কলার ধরলো।আমি পেছন ঘুরে দেখি নিলা।কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।
আমিঃএই আপনি করছেন কি?
নিলাঃআয় তোর সাথে আমার কথা আছে...
আমিঃকিন্তু আপনার সাথে আমার কোনো কথা নেই..
তিশাঃআরে যাও তো দেখো কি বলে...
নিলা আমাকে তখন এক প্রকার জোড় করে অন্য এক জায়গাতে নিয়ে গেলো।
নিলাঃঅই তোর লজ্জা করে না,বিয়ের পর অন্য কোনো মেয়ের সাথে ঘুড়ে বেড়াতে(অনেকটাই রাগ নিয়ে)
আমিঃনাহ আমার লজ্জা করে না.আর আমার বিয়ে কবে হলো..আমার বউ কে..আমার বাসায় তো কোনো বউ নেই??
নিলাঃএতো কিছু বলার কি আছে,,তুই সত্যি একটা চরিত্রহীন ছেলে,,তোর চরিত্র ঠিক নেই।
ঠাসসসসস ঠাসসসসস
দুইটা চড় আমি নিলার গালে বসিয়ে দিলাম।
আর বলতে লাগলাম অই তুই আমার চরিত্র খারাপের কি দেখেছিস হুম?
আর শুন তুই আমার পেছনে কেনো এইভাবে লেগে আছিস,আমি তো তোকে মুক্তি দিয়ে দিয়েছি,,তুই থাক না তোর মতন আমাকে জ্বালাতে কেনো আছিস??
নিলাঃকারন তুই আমার স্বামী আমি তোর সাথে অন্য কোনো মেয়েকে সহ্য করতে পারি না...
আমিঃদেখ আমাদের স্বামী স্ত্রী এর সম্পর্ক তো অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।শুধু কাগজে কলমে আছে আমাকে পেপার পাঠিয়ে দিস আমি সাইন করে দিবো।আর প্লিজ তুই আমাকে এই ভাবে জ্বালানো বন্ধ কর...
নিলাঃআমি সত্যি কি তোকে অনেক বিরক্ত করি...
আমিঃহ্যা অনেক
নিলাঃআরো করবো তাতে তোর কোনো সমস্যা আমি যত ইচ্ছা তোকে বিরক্ত করবো দরকার হলে এখব সবার সামনে জড়িয়ে ধরে তোকে চুমু খাবো...
To Be Continue
No comments :
Post a Comment