😎বড় লোকের অহংকারী মেয়ে😎
৬ষ্ঠ পর্ব
লেখক--RK Rasel
মাথা ঘুরছিলো হঠাৎ করেই আমি পড়ে যায়।যখন জ্ঞান আসে তখন দেখি কলেজের কিছু বড়ভাই আমার মাথায় পানি ঢালছিলো।
নিলা আমাকে দেখেও আমার কাছ থেকে চলে গেছে
এইবার সব থেকে বড় ধাক্কা খেলাম।
আমি বড় ভাইয়াদের ধন্যবাদ দিয়ে বাসায় চলে আসলাম।যদিও ভাইয়ারা বলেছিলো আমাকে বাসায় পৌছে দিবে।কিন্তু আমি তাদের কোনো সাহায্য নিয়েছিলাম না।আমি একাই বাসায় চলে আসি।
আম্মু বললো কি হয়েছে,,আমি কোনো উত্তর না দিয়ে নিজের রুমে চলে গেলাম।তারপর ফুল সাউন্ডে গান ছেড়ে আমি প্রচণ্ড জোড়ে কান্না করতে শুরু করলাম।
কান্না করছি তো করেই যাচ্ছি।এক সময় নিজেকে বোঝালাম যে আমাকে ইনকাম করতেই হবে।নিলাকে দেখিয়ে দিতে হবে।
নিলা আমাকে অনেক অপমান করেছে।আর নাহ
আমি গোসল করলাম তারপর খেতে এলাম।গেলো কয়েকদিন সময় মত কিছু খাওয়া হয়না।
এখন থেকে আগে নিজেকে ঠিক রাখবো তারপর বাকি চিন্তা।আমি আর নিলার কথা ভেবে একদম কষ্ট পাবো না।অনেক হয়েছে।
খেয়ে দেয়ে একটু বের হলাম।
আমার এক বন্ধুর সাথে দেখা হলো
মানে স্কুল লাইফের।ওর আব্বু বড় এক কোম্পানি আছে।আর হা আমি SSC পরিক্ষার সময় ওকে অনেক কিছু দেখিয়েছিলাম। যদি আমি না দেখাতাম তবে বেচারা নিশ্চিত ফেইল করতো।
বন্ধুর নাম রাফি,
রাফি আমাকে দেখেই আমার দিকে এগিয়ে এলো।
রাফিঃআরে দোস্ত কি খবর,,তোর চেহারা এমন হয়েছে কেনো??
আমিঃতারপর রাফিকে সব বললাম।
রাফিঃআরে এই ব্যাপার আমি কালকেই আব্বুকে বলে তোর জন্য কাজের ব্যাবস্থা করে দিচ্ছি।
আমিঃহ্যা দোস্ত সেটা করলে অনেক ভালো হয়,,
রাফিঃতুই কোনো চিন্তা করিস না,ভাবি ভুল করেছে দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে।আর হ্যা কাল থেকে তুই কাজে জয়েন করছিস।
তারপর রাফি আর আমি মিলে একটু ঘুরে বেড়ালাম।
পরদিন সকালে আম্মুকে বললাম
আমিঃআম্মু আমি অফিস যাচ্ছি.
আম্মু;মানে অফিস কিসের অফিস,তোর তো কলেজ আছে??
আমিঃআম্মু আমি আর পড়ালেখা করবো না আগে
রোজগার করেই দেখিয়ে দিবো আমিও পারি।
আম্মুঃহঠাৎ তুমি এমন কেনো করছিস বাবা।তোর কি টাকার দরকার টাকার দরকার হলে আমাকে বল আমি সব ব্যাবস্থা করে দিচ্ছি।
আমিঃনাহ আম্মু আমার টাকার দরকার না,তবে যে জন্য আমি এমন করছি সেটা এতোদিন তোমাদের কাছ থেকে গোপন রেখেছিলাম।
আম্মুঃকি গোপন রেখেছিলি বাবা।
তারপর আমি আম্মুকে নিলার সব কথা বলি।
আম্মুঃএতো কিছু হয়ে গেলো আর তুই আজকে আমাদের বললি?
আমি;আম্মু আমি ভেবেছিলাম সব ঠিক হয়ে যাবে।কিন্তু সেটা তো আর হলোনা তাই....
আম্মু আব্বু তো আমাকে বাইকের কথা বলেছিলো অফিস যখন করবো একটা বাইক খুব দরকার আব্বুকে বলে একটা ম্যানেজ করে দাও না।
আম্মুঃতুই কোনো চিন্তা করিস না বাবা,আজকেই বাইক পেয়ে যাবি..
আমিঃআম্মুকে সালাম করে অফিসের উদেশ্যে বের হলাম।একটা রিকশা নিলাম।
অফিসের যাবার আগে আমি রাফিকে ফোন দিলাম।
রাফি বললো তুই অফিসে আয়,,আমি অফিসেই আছি।
আমি অফিস চলে গেলাম,,কিন্তু দারোয়ান আমাকে ঢুকতে দিচ্ছে না।তাই আবার রাফিকে ফোন দিলাম।
রাফি নিজেই নিচে চলে এলো।
রাফি আমাকে নিয়ে তার বাবার কাছে চলে গেলো।
রাফিঃআব্বু এই মামুন আমার বন্ধু যার কথা আমি তোমাকে বলেছিলাম।
রাফির আব্বুঃআচ্ছা বাবা তুমি পড়ালেখা বাদ দিয়ে হঠাৎ চাকরি করবে কেনো??
আমি তাকে আমার সব কথা বললাম।রাফির আব্বু আমার কথা শুনে বললো বাবা তুমি এক কাজ করো তুমি চাকরিও করো সাথে পড়ালেখা
আমিঃনা স্যার আমি চাকরিতেই আমার মনোবিবেশ করতে চাই।
আমার কথা শুনে রাফির আব্বু আর কিছু বললো না।
আমাকে কাজ দিয়ে দিলো।
কাজ খুব সহজ,,কে কখন অফিসে আসল সেটা লেখা,আর কে কি কাজ করছে সেগুলো মনিটর করা।
বেতন নাকি ২৫০০০...
যদিও আমি এই কাজে এতো বেতন আশা করিনাই।
রাফি আমাকে অফিস রেখে চলে গেলো।রাফির আব্বু আমাকে আমার বসের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো।
বস আমকে দেখে কেনো জানিনা জড়িয়ে ধরে
কান্না করে দিলো।আমি আর রাফির আব্বু এমন কাজে অবাক।
রাফির আব্বুঃকি ব্যাপার কামাল সাহেব এমন ভাবে কান্না করছেন কেনো??
কালাম সাহেবঃআসলে আমার ছেলের কথা খুব মনে পরে গেছিলো।
আমি;কেনো আপনার ছেলের কি কিছু হয়েছে...
রাফির আব্বুঃআসলে বাবা ওনার ছেলে কিছুদিন আগে রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়।
আমিঃঅহহ স্যার আমি সরি আপনাকে মনে হয় কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।।
বসঃনা বাবা কোনো কষ্ট না,,তুমি কি নতুন?
রাফির আব্বুঃহ্যা আজ থেকে ও তোমার আন্ডারে কাজ করবে,,একটু বুঝিয়ে সুঝিয়ে দিয়ো,,একদম বাচ্চা ছেলে তো...
বসঃআপনি কোনো চিন্তা করবেন না স্যার।আমি এই ছেলেকে এমন ভাবে তৈরী করবো,,দেখবেন একদিন আপনি এই ছেলেকে নিয়ে গর্ভবোধ করবেন।আর আমাকে ধন্যবাদ দিবেন।
রাফির আব্বু আরো কিছু কথা বলে সেখান থেকে চলে গেলো।
বসঃআচ্ছা বাবা তোমার বয়স তো একদম কম,,তোমার তো পড়ালেখা করার বয়স,,তুমি এই বয়সে চাকরি করবে কেনো??
আমি বসকেও সব বললাম।
বসঃতুমি চিন্তা করো না।মন দিয়ে কাজ করো।আমি তো আছি যদি কোথায় না বুঝো তাহলে আমাকে বলো আমি তোমাকে সব বুঝিয়েয়ে দিবো।তারপর বস আমাকে কাজ গুলো বুঝিয়ে দিলো।আমি আমার কাজে লেগে গেলাম।যদিও প্রথম দিন ছিলো অল্প কিছু ভুল ছাড়া প্রায় সব কাজ ভালোভাবেই করতে পেরেছিলাম বস ও রাফির আব্বু এমনটা দেখে খুব খুশি হলো।
রাফির আব্বুঃআমি তো বিশ্বাস করতেই পাড়ছি না,,তুমি এতো নিখুঁত ভাবে কাজ করবে...
বসঃস্যার এই ছেলে আরো অনেক কিছু করবে...
রাফির আব্বুঃতোমার জন্য শুভকামনা রইলো...
আমি তাদের দুজনকে ধন্যবাদ দিলাম।
সারাদিন কাজ করলাম।
কাজের চাপে নিলার কথা মনেই পরে নাই।খুব ভালোভাবে দিন কেটে গেলো সন্ধ্যায় বাসায় এসে দেখি আব্বু আমার জন্য নতুন বাইক কিনে রেখে দিয়েছে অহহ শান্তি লাগছে কাল থেকে তাহলে আর রিক্সায় করে যেতে হবে না।
আমি আব্বু আম্মুর জন্য মিষ্টি নিয়ে
৪
এসেছিলাম।তাদের মিষ্টি মুখ করিয়ে আমি রুমে চলে গেলাম।ফ্রেশ হয়ে খেয়ে দেয়ে আবার রুমে চলে গেলাম।নিলার কথা আবার মনে পড়ছে। ফোন হাতে নিয়ে বসে আছি আর ভাবছি নিলাকে কল দিবো কি দিবো না।
একসময় ভাবলাম নাহহ থাক,,এখন তো অল্প খারাপ লাগছে,,নিলাকে ফোন দিলে নিলা অনেক কথা শুনাবে যেগুলো আরো কষ্ট দায়ক হবে।
আমি তো ভেবেই নিয়েছি নিলাকে আর ফোন দিবো না।যত কষ্ট হোক নিলাকে এবার ভুলে যেতেই হবে।
আমি আর ফোন না দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
আম্মুর ডাক শুনে ঘুম ভাঙে। ৮টায় অফিস যেতে হবে আমি সে কথা আম্মুকে আগে থেকেই বলে রাখছিলাম।
আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নতুন বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। এক বন্ধু বাইক দিয়ে চালানো শিখেছিলাম,,
তাই কোনো প্রব্লেম হবে না আশা করা যায়।
আমি বাইক নিয়ে বের হয়েছি,,কিছুদূর যেতেই দেখি তিশা দাঁড়িয়ে আছে,
আমাকে দেখে তিশা ডাক দিয়ে বলে
তিশাঃএই মামুন মামুন একটু শুনো না...
আমিঃহ্যা বলো...
তিশাঃতুমি তো কলেজে যাচ্ছো তাই না,,আমাকে সাথে নিয়ে যাবে??আসলে আমার গাড়ি কিছুদিন ধরে প্রব্লেম দিচ্ছে
আমিঃআমি তো অফিস যাচ্ছি,,আচ্ছা উঠো কলেজের সামনে দিয়েই তো যাবো.
তিশা উঠে বসে।আমি বাইক চালানো শুরু করি।
তিশাঃআচ্ছা তুমি পড়ালেখা বাদ দিলে কেনো??
আমিঃএমনি একটা ভালো কাজ পেলাম তাই ছেড়ে দিলাম।
তিশাঃতুমি তো আর কলেজে যাবে না তাই না??
আমিঃহ্যা
তিশাঃআচ্ছা নিলা তোমার এতো ভালো বন্ধু ছিলো কিন্তু হঠাৎ কি এমন হলো তোমাকে নিল
সহ্য করতে পারে না।
আমিঃতুমি এতো কথা বলো না তো,আমার সমস্যা হচ্ছে(কথা এড়ানোর চেষ্টা))
তিশাঃকেনো বলো না,,এতো ভালো ফ্রেন্ডশিপ নষ্ট হলো কিভাবে??
আমিঃএই তুমি থামবে নাকি এখানেই নামিয়ে দিবো?(রাগি একটা ভাব নিয়ে))
তিশা আমার কথা শুনে চুপ হয়ে গেছে।আর কোনো কথা বললো না।
কলেজের সামনে এসে নামো
তিশা যখন নামছিলো তখন নিলা সেটা দেখেছিলো কিন্ত নিলার ভাব দেখে মনে হচ্ছিলো ব্যাপার টা স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছে।দেখেও না দেখার ভান করে চলে গেছে।আমিও তিশাকে নামিয়ে দিয়ে অফিসে চলে গেলাম।নিজের কাজে মন দিলাম।
আগের থেকে অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছি নিজেকে।এখন আর নিলার কথা ভেবে কষ্ট পাই না।
১৫ দিন পর আমি অফিসে যাচ্ছি তিশা আবার আমাকে ডাক দিলো
আমি থামলাম।
তিশাঃআচ্ছা আমি প্রতিদিন দেখি তুমি একা এই রাস্তা দিয়ে যাও।এক কাজ করবে আমাকে প্রতিদিন নিয়ে যাবে।তাহলে আমার গাড়ির তেল খরচের টাকা বেচে যাবে আর কি??
আমি ভাবলাম আমি তো একাই যাই,,তিশাকে নিলে তেমন সমস্যা হবে না।
আমি বললাম আচ্ছা তুমি তো মনে হয় আজকে গাড়িতে যাবে না তাই তো??
তিশাঃতোমার বাইক থাকতে গাড়িতে কেনো যাবো বলো তো??
আমিঃতাহলে কথা না বাড়িয়ে উঠো..
তিশা বাইকে উঠে পড়লো। তবে এমন ভাবে আমার গা ঘেঁষে বসেছে আমার কাতুকুতু লাগছে।
তিশাঃআচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞাস করি.?
আমিঃহ্যা করো...
তিশাঃতোমার কি কোনো গার্লফ্রেন্ড আছে?
আমিঃনাহ আমার কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই।যেটা জানতে চেয়েছে আমি সেটার উত্তর দিয়েছি,সত্যি আমার কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই।যদি জানতে চাইতো বউ আছে কি না,,তবে বলতাম হ্যা আছে।তবে সেটা এখন শুধু কাগজে কলমে,,কবে জানিনা ডিভৌস লেটার হাতে পাবো..
তিশাঃতাহলে তো ভালোই হলো..
আমিঃকিসের ভালো আর কেনো ভালো?
তিশাঃআমি প্রতিদিন তোমার বাইকে যাবো,কেও কিছু বলবে না তাই।
কথা বলতে বলতে কলেজের সামনে চলে এসেছ
সেদিনো নিলা দেখলো।কিন্তু কোনো রিয়েক্ট করলো না।
এইভাবে আমি এখন প্রতিদিন তিশাকে কলেজে ছেড়ে দেই।
নিলা প্রথম কোনো রকম রিয়েক্ট না করলেও ইদানীং দেখি নিলা কেমন ভাবে যেনো তাকিয়ে থাকে।
মাঝে মাঝে মনে হয় খুব রেগে আছে।কিন্তু আমি সেই দিকে কোনো খেয়াল করি না।আমি এমন ভাবে নিলার দিকে তাকিয়ে থাকি কেও বুঝতে না পারে
আজকে আমি প্রথম বেতন পেয়েছি খুব ভালো লাগছে নিজের ইনকাম করা টাকা হাতে পেয়ে।অফিস থেকে বের হয়ে আমি শপিং মলে গেলাম।
সেখান থেকে আব্বু আম্মু আর নিলার জন্য কিছু জামা কাপড় কিনলাম।
বাসায় এসে আব্বু আম্মুকে আমার প্রথম রোজগারের টাকা দিয়ে কেনা জিনিস গুলো দিলাম আব্বু আম্মু এতো খুশি হলো এতো খুশি হলো বলে বোঝানো যাবে না।
পরদিন
আমি একটু আগেই বাসা থেকে বের হলাম সাথে নিলার জন্য কেনা শাড়ি,,নিয়ে কলেজে গেলাম।দেখলাম নিলা তার বান্ধবীদের সাথে বসে আছে,আমি গিয়ে নিলাকে ডাক দিলাম।
নিলা উঠে এলো.
নিলাঃকি ব্যাপার ডাক দিলি কেনো??
আমিঃএই নাও এটা তোমার জন্য,,আমার রোজগার করা টাকা দিয়ে কিনেছি।।শাড়িটা নিলার দিকে এগিয়ে দিয়ে..
নিলা সেটা না নিয়ে আমাকে অনেক কথা শুনিয়ে চলে গেলো,মনটা আবার খারাপ হয়ে গেলো...
আমি শাড়ি নিয়ে বের হচ্ছিলাম তখন দেখি তিশা আসছে।তিশা আমাকে দেখে আবার দিকে
রেগে আসছে
আমার কাছে এসে
এই তুমি আমাকে আজ রেখে আসছো কেনো??
আমিঃএমনি,
তিশাঃতোমার হাতে কি?
আমিঃশাড়ি..
তিশাঃনিশ্চয় আমার জন্য এনেছো।আর আমাকে সারপ্রাইজ দিবে বলেই আগে চলে আসছো তাই না।
আমিঃহ্যা না মানে
তিশাঃহয়ছে আর বলতে হবে না,শাড়ি এনেছো কিন্তু সেটা দেবার মত সাহস নেই।ভিতূ কোথাকার?
তিশা আমারর হাত থেকে শাড়ির প্যাকেট নিয়ে নিলো।
শাড়ি বের করে দেখে বললো খুব সুন্দর হয়েছে
আমিঃতাহলে আমি আজ যায় অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে।
তিশাঃআর একটু থাকো না..
আমিঃনাহ দেরি হয়ে যাবে।
চলে গেলাম।
পরদিন সকালে দেখি তিশা আমার দেওয়া শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে আছে।
আমিঃএই তোমার ড্রেস কই?
তিশাঃআজকে তো কলেজে অনুষ্ঠান আছে তাই আমি শাড়ি পরেছি...
আমি তিশাকে বাইকে তুলে নিলাম
কলেজে সামনে যখন নামিয়ে দিচ্ছিলাম তখন দেখি নিলা তার বান্ধবীদের সাথে আসছে।
নিলাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বললাম
তিশা একটা কথা বলি,,
তিশাঃহ্যা বলো
আমিঃতোমাকে এই শাড়িতে অনেক সুন্দর মানিয়েছে,এই শাড়িটা তোমার জন্যই পারফেক্ট
সবাইকে তো আর সব কিছুতে মানায় না।এই শাড়ি শুধু তোমাকেই মানায়।
তিশাঃঅহ হ্যা আমি তো ভুলেই গেছিলাম
ব্যাগ থেকে একটা ছোট প্যাকেট বের করে তিশা আমার হাতে ধরিয়ে দিলো।
আমিঃকি আছে এতে?
তিশাঃখুলেই দেখো...
খুলে দেখি একটা ঘড়ি।
তিশাঃতোমার জন্য
আমিঃখুব সুন্দর
তিশাঃপরো
আমিঃতুমি পড়িয়ে দাও।
আমরা যখন কথাগুলো বলছিলাম নিলা একটু দূরে দাঁড়িয়ে আমাদের সব কথা শুনচছিলো।
তিশা আমকে ঘড়ি পড়িয়ে দিচ্ছে তখন নিলার দিকে তাকিয়ে দেখি চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে।চোখ দিয়ে পানি পরছে।আর আমাদের দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
আমি নিলার দিকে যখন তাকালাম নিলা তাড়াতাড়ি করে চোখ মুছে নিলো।
আমিঃতিশা তোমাকে অনেক ধন্যবাদ
তিশাঃধন্যবাদ দেওয়ার কি আছে?
সত্যি বলতে ঘড়িটা তোমার হাতে না অনেক ভালো মানিয়েছে।
আমিঃহ্যা তোমার পছন্দ আছে,,
সবাই তো আর তোমার মত পছন্দ করতে পারে না।
আবার নিলার দিকে তাকিয়ে দেখি আবার চোখ দিয়ে পানি পড়েছে।তবে আগের থেকে বেশি😭😭😭😭😭😭
কিন্তু নিলা এতো কান্না করছে কেনো??ধুর সেটা আমার দেখার বিষয় না
তিশা আমি যায় অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে
তিশাঃহ্যা যাও দেখে শুনে যেও
আমি চলে এলাম
To Be Continue__
( সরি,,কালকে গল্প দিতে পারব না,,,তাই এখনই আরো এক পর্ব দিয়ে দিলাম,,,আসলে কাজ করি তো তাই???)
No comments :
Post a Comment