রহস্য (পর্ব -০৮)
লেখক - স্বপ্নীল শুভ্র।
(sorry for late)
হালকা নাস্তা করে মিমের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম _____________
মেসে এসে বসে বসে ভাবতে লাগলাম,
খুব কষ্ট হচ্ছিল,
আমার মনে হচ্ছিলো,
মিমের জন্য আমার হৃদয়ে একটা মায়ার জন্ম
হয়েছে!!!
আমি মোবাইল টা হাতে নিয়ে,
মিমের নাম্বারে একটা কল দিলাম।
রিং হচ্ছে ওপাশ থেকে আমার প্রিয়
গানটা বেজেই চলেছে,
আমি কিছুটা অবাক হলাম!!
আমার প্রিয় গানটাই মিমের কলার টোন!!!
ভালোই লাগছিলো!
এমন সময় মিষ্টি একটা সালাম ভেসে আসলো
ওপাস থেকে!
আমি বললাম সলাম উত্তর দিতেই,
আমাকে বললো কে আপনি?
আমি কিছুক্ষন চুপ থেকে বললাম,
আশিক বলতে ছিলাম আমি!!!
কথাটা শুনে মনে হয় থ হয়ে গেছে,,,,,,,,,
মিমের মনে হচ্ছে সে স্বপ্ন দেখছে,
আশিক যে তাকে ফোন করতে পারে তা কল্পনাও করেনি
মিম!!!!
কি খবর তোমার মিম?
এইতো ভালো!
কি করছো তুমি এখন,
এইতো পড়ছি,তুমি কি করছো?
আমি শুয়ে আছি!!
আর হালকা পাতলা কিছু কথা বলে
রেখে দিলাম!!
পরের দিন পরিক্ষা দিতে গেলাম,
মনটা আমার বেশ খারাপ ছিলো
তখনও,
মিম আমাকে বললো,
কি খবর কেমন আছো আশিক?
তোমাকে খুব চিন্তিত লাগছে,
কোন কিছু হয়েছে কি তোমার?
না কি হবে, কিছু না।
কথা বলে আমি হলে চলে আসলাম!
পরিক্ষা টা শুরু হয়ে গেল।
পরিক্ষা শেষ করে হোষ্টেলে চলে আসতে যাবো,
তখন মিম আমাকে আবার ডাক দিলো.
আশিক!!!!!!
আমি বললাম কি বলবা?
মিম বললো, আমায় আজকেও একটু বাসায়
রেখে আসবা?
আমি বললাম, আজকেও কি মাথা ব্যাথা নাকি?
না।
তাহলে?
আসলে গোমার সাথে যেতে আমার খুব ভালো লাগে!!!
তাই__________
আমি আর কিছু না বলে,
একটা রিক্সাতে মিমকে নিয়ে উঠলাম,
আস্তে আস্তে ওই দিনের মতো
মিম মাথাটা আমার কাধে রাখলো,
আমার আবারো সেই ভালোলাগা কাজ করলো!!
বাসার সামনে এসে পড়েছি এমন সময়
মিম রিক্সা ওয়ালাকে বললো,
মামা আপনি সামনের লেক এ যান!
আমি মিমের কথা টা শুনে কিছুটা অবাক
হয়ে গেলাম।
রিক্সা থেকে নেমে,
মিম আমায় বললো,
কি হলো নামছো না কেন?
আমি বললাম, এখানে কিসের জন্য!!
মিম রেগে বললো,তোমাকে লেকের জলে
চুবিয়ে মারবো।
আমি আর কিছু না বলে,
রিক্সা থেকে নেমে মিম আমাকে নিয়ে,
লেকের একটা বেন্চে বসলো।
কিছুক্ষন হলো দুজনেই চুপ করে আছি,
তারপর মিম বললো,
আসলে আশিক আমি তোমাকে কিছু বলার
জন্য এখানে এনেছি,
আসলে আশিক আমি জানিনা কেনই
বা তুমি আমাকে ভালোবাসতে চাও না,
আর
তুমি তুমার সমন্ধে কিছু আমাকে জানতে দিতে চাও না!
কিন্তু আশিক আমি তোনাকে মন থেকেই খুব ভালোবাসতাম।
কিংবা এখনোও বাসি
আর ভবিষ্যতেও বাসবো।
কারন ভালোবাসাটা এরোকমই,
একবার হয়ে গেলে তাকে কখনো ভূলা সম্বব না!!!
আর তুমি আমাকে ভালোবাসোনা জেনেও আমি
তোমাকে অনেক কিছু বলেছি,
বা তুমি আমার জন্য অনেক কিছু করেছো!
আর আমি তোমাকে অনেক ডিসট্রাব করেছি,
পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও।
আমি চলে যাবো তোমার জীবন থেকে,
আর কখনো তোমার সামনে আসবো না।
আর এই কলেজে থাকলে হয়তো তোমার সাথে
দেখা,
তখন আবার আমি পাগলামি করতে পারি।
তারজন্য আমি এই কলেজ থেকে টিসি নিয়ে চলে
যাবো,,,,,
মিম এই কথা গুলো বলতে বলতে কান্না করে দিয়েছে!!
মিমের কথাগুলো শুনে খুব কষ্ট হচ্ছিলো______
মিম চলে যাচ্ছিলো______
এমন সময় মিমের আম্মুর বলা কথা গুলো আমার মনে
পড়লো!!
আমি সাথে সাথে মিমকে ডাক দিলাম!
মিইইইইইমমমমমমমমমম
সাথে সাথেই মিম আমার দিকে ফিরে তাকলো,
আমি আমার দু হাত বাড়িয়ে দিলাম মিমের জন্য,
মিম চোখের পানি মুছে,
একটা দৌড় দিয়ে আমার বুকে এসে
পড়লো!!
আমি মিমকে বললাম,
আমাকে নিয়ে আসলে তুমি,আর আমাকে
রেখে একাই বলে যাচ্ছিলে,
তুমি এমন কেন?
আমিও তোমাকে ভালোবাসি!!
আমি মনে মনে ভাবলাম,
নিজেকে আর পারলাম না!
আবার ও সেই ভালোবাসা নামক বন্ধন আমাকে
জড়ালো,
আমি বললাম তুমিই জিতে গেলে,
তুমি বলেছিলে আমার জীবনে তোমার মতো আরেক টা মিম আসবে!!
আমি বলেছিলাম আমি আমার জীবনে আর কোন মিম আসতে দিবো না।
তুমি তখন হেঁসে বলেছিলে,
আসবেই!!!!
পুরানো কথা গুলো মনে হতেই,
গরম কোন কিছুর স্পর্স পেলাম চোখেতে!!!!
মিম বললো,কি হলো তুমি কান্না করছো কেন??
আমি বললাম,
তোমার খুশিতে আমার কান্না এসে গেছে!!
মিম বললো,আমি জানতাম তুমি আমাকে ভালোবাসবেই!!
কারন আমি জানি, সত্যি কারের ভালোবাসলে,
তাকে অবশ্যই পাওয়া যায়।
হুমম এবার জানি আর কোনদিন চোখে জ্বল আসতে না দেখি!!
দেখলে কিন্তু তোমার খবর আছে।
আরে তুমি আমার জীবনে এসেছো,
তার মানে আমার চোখে তুমি কাজল রাখবে,
নাকি জ্বল সেটা দায়িত্বও তোমার,
বুঝলে মি: আশিক।
হুম খুব ভালোভাবেই বুঝেছি!!!!
অনেকক্ষন ধরে বসে আছি,এখন তাহলে বাসায় চলো।
না হয় আবার তোমার আম্মু চিন্তা করবে!
হুম খুব ভালো কথা মনে করেছে আশিক,
দাড়াও আমি আম্মুকে ফোন করে বলে দিচ্ছি তোমার
সাথে আছি!!!
হ্যালো আম্মু,
আমি আর আশিক একটু ঘুরতে বের হইছি,
বাসায় ফিরতে একটু দেরী হতে পারে তুমি চিন্তা করো না।
লওকে মা সাবধানে থাকিস,বেশি রাত করিস না।
মিম আমার কাধে মাথাটা রেখে কথা বলছে,
আমার খুব ভালোলাগা কাজ করছে।
আর পুরানো কথা গুলো সব মনে হচ্ছিল,
আর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে,
এমন সময় মিম বললো,
কি হলো আবার কান্না করছো কেন?
আসলে মিম আজকে আমি তুমাকে বলতে পারছি না!!!
কিন্তু একদিন সবাইকে বলবো,
কেন আমি হাঁসি না,
কেন এতো চুপচাপ থাকি,
কেন কলেজে এতো দেরী করে আসি কলেজে।
কেন কোন দিন পড়া দেই না কলেজে!
কেন কোন মেয়ের সাথে কথা বলি না!!!
কিন্তু এখন বলবো না।
সময় আসলে সবাইকে বলবো।
মিম আর কিছু বললো না।
আচ্ছা চলো আশিক আজকে আমরা একটু শপিং এ যাই!
আমি কিছু বলে বললাম,
চলো_______
রিক্সা নিয়ে চলে আসলাম মারকেট এ,
অনেক কিছু চয়েস করার পর
মিম কাউন্টারে আসলো বিল পেমেন্ট করার জন্য।
কিন্তু এসেই তো মিম মাথায় হাত দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে
আছে!!
মিম বললো,আচ্ছা আমার কতোটাকা বিল হয়েছে?
মেডাম আপনার মাত্র ২৯৯০০ টাকা বিল হয়েছে।
আমি কিছুটা বুঝতে পারলান।
আমি আমার মানি ব্যাগ থেকে আমার ক্রেডিট কার্ড টা দিলাম
মিমকে!!
মিম হা করে দাড়িযে আছে!
আমি বললাম হা করে দাড়িয়ে না থেকে বিলটা পেমেন্ট করো!!
মিম একটু লজ্জা পেয়ে আমার কার্ডটি দিয়ে বিলটি পেমেন্ট করলো।
রিক্সায় বসে আছি,
আমি আর আশিক!!
আমি খুব অবাক হয়ে গিয়েছি,
যে আশিকের ক্রেডিট কার্ড এ এতুগুলো টাকা থাকতে
পারে!!!
আমি আশিক কে বললাম,
আচ্ছা আশিক তোমার কার্ড এ কতোটাকা আছে?
আসলে সিওর বলতে পারবো না।
অনেক দিন ধরে আমি এটি ব্যাবহার করি না।
তবে মনে হয় ১ কোটি+
কথাটা শুনে মিম একেবারে থ হয়ে গেল।
কি বলছে আশিক,
এই সেই আশিক যার কাছে অলটাইম ১ কোটির বেশি টাকা থাকে আর সেই আশিক যে কিনা কলেজে ১ টি শার্ট ৬ মাস ধরে ইউস করছে।
মিম বললো তোমার কাছে এতো টাকা থাকার পরও কোনদিন তুমি কাউকে বলো নি কেন??
আরে তুমি তো বোকার মতো প্রশ্ন করলা!
আমার কাছে টাকা আছে,এটা কি কি বলে বলে বেড়াবো।
তা না তুৃমি চাইলে তো অনেক দামি দামি পোশাক,
ভালো ফোন, ভালো মটর সাইকেল ইউস করতে পারতা!!
হ্যা পারতাম কিন্তু আসলে আমার ভালো লাগে না,
বিলাস বহুল জীবন!!!
মিম আর কিছু না বলে চুপচাপ আমার কাধে মাথাটা রেখে দিয়েছে!!!
আমি মিমকে কে মিমের বাসায় নামিয়য়ে দিয়ে চলে
আসলাম হোষ্টেলে?
এসেই ভাবতে ভাবতে শুয়ে পরলাম!
সকালের ঘুম মিমের ফোনে ভাঙ্গলো!!
কি এতো সকালে ফোন দিছো কেন?
কয়টা বাজে জানো তুমি?
আমি এখন পরিক্ষার হলে!
আর তুমি এখনো ঘুমে আছো!!
তাড়াতাড়ি আসো আমি হলের বাহিরে দাড়িয়ে আছি?
একটু পর রেডী হয়ে চলে গেলাম,
ক্যাম্পাসের বাহিরে মিম দাড়িয়ে আছে!
আমি মিমকে নিয়ে ভিতরে চলে গেলাম।
খাতা দিয়ে দিছে,
সোহাগ বললো,
আরে পরীক্ষা টা সময় মত দিয়া প্রেম করা যায় না।
আমি কিছু না বলে চুপচাপ খাতা আর প্রশ্নটা নিয়ে
শুরু করে দিলাম!!
দেখতে দেখতে সবগুলো পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল!!
কোন কাজ নেই,শধু মিমকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া ছাড়া।
আর বেশ কিছুদিন কলেজ ও অফ ছিলো আমাদের।
সারাদিন ই প্রায় মিমের সাথে কথা বলা লাগে!!
এইতো বলতে বলতে মিম ফোন দিয়েছে,
এই আশিক কালকে কলেজে কখন আসবো?
কেন কালকে কলেজে আসবা কেন???
আরে তুমি কলেজে থেজেই জানো না যে কালকে কেন কলেজে আসবো???
আরে তুমি জানো না কালকে কয় তারিখ?
আসলে কালকে কয় তারিখ এটা আমার,
ওওওওও মনে পড়েছে,
তুমি একটু আগেই চলে আইসো!
এখন রাখি তাহলে,
লাভ ইউ মিম!!!!!!!
আজকের মতো শেষ___________
Friday, October 19, 2018
ভালোবাসার গল্প - রহস্য পর্ব 8/
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)


No comments :
Post a Comment