Friday, October 19, 2018

ভালোবাসার গল্প - রহস্য পর্ব 9

1 comment

রহস্য (পর্ব -০৯)
লেখক - স্বপ্নীল শুভ্র।
লাভ ইউ টু আশিক________
আসলে আমার মনে ছিলো না, কালকে
আমাদের পরিক্ষার রেজাল্ট দেওয়া হবে।
আমার হালকা চিন্তা হচ্ছিলো
কি যে হয় রেজাল্ট!!!
আমি আমার নিজের কিছু কাজ
করে শুয়ে পড়লাম!
সকাল ঘুম থেকেই মিমের আওয়াজ
শুনতে পেলাম,
তার মানে কি মিম এসেছে,
আমি তাকিয়ে দেখি মিম আমার
পাশে বসে আছে!!
আমি কিছুটা অবাক হয়ে বললাম,
আরে তুমি এখানে আমার রুমে
এতো সকালে,
কেউ দেখলে কি ভাববে,
কেউ দেখবে না!
আমি তোমার রুমের দরজা
নক করেই এসেছি!!
তুমি কি পাগল হয়ে গেছো নাকি??
হুম পাগল হয়ে গেছি!!
এটা বলে মিম আমার বুকের
উপর মাথা টা রাখলো।
আচ্ছা আশিক চলোনা
আমরা বিয়ে করে ফেলি!!
তোমাকে ছাড়া আমার ভালো লাগে না।
আমি মিম কিছুটা তোলার জন্য
চেষ্টা করলাম,
কিন্তু ও আরো জোড়ো আমায়
জরিয়ে দরলো।
আমি আর জোর না করে বললাম,
আচ্ছা এখন কি আমাদের বিয়ের
বয়স হইছে,
আর তোমাকে বিয়ে করে কি খাওয়াবো,
থাকবো কই!!!
আমারই থাকার জায়গা নাই,
আর তোমাকে বিয়ে করে রাখবো কই???
আরে সব কিছুর ব্যাবস্থা আমি করবো।
তুমি প্লিজ না করো না আশিক।
আমি আম্মুকে বলেছি,
যে তোমাকে বিয়ে করবো আজকে???
আম্মু বললো সেটা আমাদের ব্যাপার!!
আজকেই আমরা বিয়ে করবো!!
সত্যিই তুমি পাগল হয়ে গেলে মিম।
আমি এখন তোমায় বিয়ে করতে পারবো না।
(কথাটা একটু জোরেই বললাম)
কথাটা শুনে মিমের খুব মন
খারাপ হয়ে গেলো!
মিম এর চোখে পানি দেখে
আমার অতীত আমায়
চেঁপে বসলো।
আমারও দু চোখ বেয়ে জ্বল
চলে আসলো!!!
আমি আর কোন কিছু চিন্তা না করে
বলে দিলাম,
আচ্ছা যাও করবো বিয়ে!!!!
কথাটা শুনে মিম এতো খুশি হলো যে,
আমি তা লিখে প্রকাশ
করতে পারবো না।
কখন বিয়ে করতে
করবো আমরা দুজন??
আরে আগে রেজাল্ট টা শুনি!
আবার যদি ফেইল করি তাহলে তো,
আর বিয়ে করাই হবো না!!!
আরে তুমি ফেইল করবা,
তুমি ফেইল করলে তো,
পাশ শদ্বটাই হারিয়ে যাবে!!
কেনো হারিয়ে যাবে?
আর তুমি তো আমাদের
ক্লাসের সব টিউটিরিয়াল
পরিক্ষা গুলোতে প্রথম হয়েছো!!
আর খাতা গুলে সবসময়
নিজের কাছে এনে রাখতা!!!
তুমি কি ভাবছো আমি এটাও জানি না!!!
আমি আর কিছু না বলে!!
তুমি বসো আমি একটু
ফ্রেস হয়ে আসি।
আমি ফ্রেস হয়ে হালকা
কিছু নাস্তা করে
মিমকে নিয়ে হোষ্টেল থেকে
বের হচ্ছিলাম।
পরিক্ষা শেষ হওয়াতে হোষ্টেলে
প্রায় ফাঁকাই বলা চলে।
কিন্তু যখন কলেজে আসলাম,
তখন সবাই আমাদের ঘিরে ধরলো!!
সোহাগ বললো,
কিগো তোমরা দেখী ফেবিকল এর
মতো লেগে গেছো,
যেখানে আশিক সেখানেই মিম!
তা বিয়ের দাওয়াত কবে খাওয়াবা???
মিম বলে ওঠলো,
আজকে মগ বাজার
কাজী অফিস আছিস,
তাহলে দাওয়াত খাইতে পারবি!!!
সাররা সহ আরো বেশ
কয়েকজন গন্যমান্য
লোক মঞ্চে বসে আসেন,
আমাদের বসার জন্য মঞ্চের
সামনে চেয়ার রাখা হয়েছে!!
আমি আর মিম পাশা পাশি বসা আছি,
মিম আমার হাতটা ধরে আছে!
আমি চুপচাপ বসে আছি!
অনেক ছাত্র ছাত্রী থাকায় প্রত্যেক ডিপার্টমেন্ট
এর ১ম,২য়,তয় যারা হয়েছে
শুধু তার না গুলো মাইক দিয়ে
বলে দেওয়া হচ্ছে!!!
একে একে কয়েকটা ডিপার্টমেন্ট
এর রেজাল্ট বলার
পর মাইক দিয়ে বলে দেওয়া হলো,
এবার আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর
ফাষ্ট হয়েছে,
কিছুক্ষন চুপ!!
আমার মনে হচ্ছিলো মিম কাঁপছিলো!!!
মোছাঃজান্নাতুল মিম আলো!
শুনেই মিম খুশিতে লাফিয়ে উঠলো।
একে একে সবাইকে পুরস্কিতো
করা হলো!!!
মিম ওর পুরষ্কার এনে আমায়
দিয়ে বললো,
আশিক এটা আমি তোমাকে দিলাম!!!!!
আমি একটা রহস্যজনক হাঁসি দিলাম,
মিম আমার হাঁসি দেওয়ার কারন টা
খুজে পেল না।
এমন সময় প্রায় সবাই চলে যাচ্ছিলো,
এমন সময় সার সবাইকে বললো,
আরেকটু বসো তোমরা,
একজন ছাত্র এর রেজাল্ট এখনো
বাকি আছে বলার!
সে এখন তোমাদের মাঝেই আছে,
তার রেজাল্ট বলতে আমাদেরই হিংসা হচ্ছে,
বিগত ৫০ বছরে এতো ভালো রেজাল্ট
কেউ করেনি!
যার খাতাটা আমরা সকল
সাররা মিলে দেখেছি,
যার হাতের লেখা গুলো কথা বলে!
সবাই বলাবলি করছিলো কে?
কে?কে?
এমন সময় মিমের একটা বান্ধবী বললো,
আশিক।
শুনের মিমের বাকী বান্ধবী গুলো হেঁসে দিলো!!
আর বললো যে ছেলে পরীক্ষার
হলে আসে ৩০ ঘন্টা দেরীতে আসে,
আর সে কিনা ৫০ বছরের শ্রেষ্ঠ ছাত্র হবে।
এগুলো শুনে মিমের খুব
কষ্ট হচ্ছিলো!
মিম চেয়ার থেকে উঠে চলে যাচ্ছিলো,
আশিক মিমের হাতটা ধরে
বসিয়ে দিল,
মিম বললো,হাত ছাড়ো আমার
চলে যাবো আমি।
আরে এখনো একজনের রেজাল্ট
শুনার বাকী আছে।
মিম কান্না করছিলো অপমানে,
আর মিমের ক্লাসের সকল মেয়েরা
মজা নিচ্ছিলো!!!
এমন সময় বললো,
সেই ছেলেটি আর কেউ না তোমাদের পরিচিত মূখ_______
মোঃ শুভ্র মাহমুদ আশিক!!!!!
কথাটা শুনার পর মিম তো পুরা
থ হয়ে গেছে,
আমি আস্তে করে চেয়ার থেকে উঠে,
চলে গেলাম মঞ্চে সার আমার হাতে
আমার প্রাপ্য পুরষ্কার তুলে দিলো।
আমি মিমের দিকে তাকিয়ে দেখলাম
মিম খুশিতেই কান্না করছিলো!
আমার হাতে মাইক্রোফোন দিয়ে,
আমায় কিছু বলতে বললো?
আমি মাইক্রোফোন টা হাতে নিয়ে সবাইকে
সালাম দিলাম।
আসলে আমি জানি,
আমাকে নিয়া আমার ক্লাসের বন্ধুদের অনেক
প্রশ্ন জাগছে নিজেদের মনে!
হয়তো কারো কারো স্বপ্ন দেখার মতো মনে হচ্ছে,
কারন আমার বন্ধুরা জানে,
যে ছেলে ১০ টা পর্যন্ত ঘুৃমায়,
পরিক্ষার দিনও ৩০ মিনিট দেরী করে আসে,
যাকে কখনো বই নিয়ে বসতে দেখে নি কখনো!
সেই ছেলেটা কেমনে ৫০ বছরের ইতিহাস
এর শ্রেষ্ঠ ছাত্র হয়।
আসলে আমার মনে হয় আমার এই কলেজ
জীবনের একটা রাত্রী ও আমি ঘুমাই নি।
প্রতিদিন রাত ১২ টা থেকে ৪ পর্যন্ত পড়তাম।
আসলে আমাকে নিয়ে আমার আশে
পাশের অনেকের অনেক প্রশ্ন আছে??
আজকে আমি আমার জীবনের সকল
রহস্য গুলো বলে দিবো________
আমার কথা গুলো সবাই চুপচাপ শুনছিলো,
আসলে আজকের আশিক,
আর ২ বছর আগের আশিক
এর মাঝে আকাশ পাতাল ব্যাবধান!
তখন আমি সবে মাত্র ক্লাস নাইনে এ উঠেছি!
বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে ছিলাম আমি।
আমার বাবা বাংলাদেশের কয়েকজন
শিল্পপতির একজন!
টাকা পয়সা আমার হাতের ময়লা ছিলো,
আব্বুর এতো টাকা পয়সা থাকাকালীনও
আমি নরমাল একটা স্কুলেই পড়তাম।
ছোটকাল থেকেই ক্লাসের ফাষ্টবয় ছিলাম!!
সবসময় হাঁসিখুশি থাকতাম।
খেলাধুলা থেকে শুরু করে সব বিষয়েই
স্কুলের গর্ব ছিলাম।
আর এ কারনেই স্কুলের সবার সবাই এক নামে
চিনতো আমাকে!
দিন গুলো ভালোই কাটতে ছিলো,
হঠাৎ করেই একদিন আমার জীবনটা পাল্টে গেল,
আমি আশিক যে কিনা কোন দিন কোন ________________ সামনে আসছে।
ওয়েট ফর নেক্সট রহস্য!!!!!!
আজকের রহস্য শেষ __________

1 comment :

  1. আরো নতুন নতুন Golpo পড়তে ভিজিট করুন
    www.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete