😍বড় লোকের অহংকারী মেয়ে😍
৩য় পর্ব
লেখক---RK Rasel
জানো মামুন আমার না এখন অনেক ভালো লাগছে??
আমিঃকেনো এতো ভালো কেনো লাগছে??
অধরাঃসেটা আমি বলতে পারছি না,,শুধু এটুকু বুঝতে পারছি অনেক ভালো লাগছে অনেক
আমিঃআচ্ছা বুঝতে হবে না আমাকে সাইকেল চালাতে দাও এতো টিরিংবিরিং করো না।
অধরাঃআচ্ছা ঠিক আছে।
আমি সাইকেল চালিয়ে কলেজ পর্যন্ত আসলাম
সবাই অবাক আমাদের দেখা হা করে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে।
তিশাও অবাক
তিশা মনে হচ্ছে একটু বেশি অবাক হয়েছে,,,
তিশা হা করে তাকিয়ে ছিলো আমাদের দেখে।
অধরাঃএই তুমি এখানে নামালে কেনো??
আমিঃসাইকেল যায়গা মতে রেখে আসি.....
অধরাঃআচ্ছা যাও তাড়াতাড়ি এসো,,,
আমি চলে গেলাম,,
তিশা আমার কাছে এসে বললো কিরে আজকাল কি সাইকেলে যাত্রী উঠানো শুরু করলি নাকি??
আমিঃনিশ্চুপ...(কোনো কথা বলছি না)
সকালে তিশা আমার সাথে যা করেছে তার জন্য আমি তিশাকে কোনো দিন মাফ করতে পারবো না।
তিশাঃকিরে কথা বলছিস না কেনো?বোবা হয়ে গেলি নাকি??
আমিঃদেখো তোমার সাথে আমার কথা বলার কোনো ইচ্ছা নাই।
তিশাঃতাহলে কি আছে?
আমিঃকোনো কিছুর ইচ্ছা নাই তুমি প্লিজ আমার সাথে এমন ব্যাবহার করা ছেড়ে দাও। আমি তো তোমার কোনো ক্ষতি করি নাই বলো...
তিশাঃতা না করলি,,কিন্ত তুই আমার সাথে বেয়াদবি করেছিস,তার ফল তোকে তো একটু ভোগ করতেই হবে তাই না,,
আমিঃযদি তুমি আমার উপর প্রতিশোধ নিতে চাও তাহলে একদিনে সব প্রতিশোধ নিয়ে নাও কিন্তু এইভাবে প্রতিদিন আমার সাথে এমন করো না,,আমারো সহ্য করার একটা সীমা আছে বলো,,
তিশাঃআমার যা ইচ্ছা আমি তাই করবো,,তুই তো একটা ফকির ক্ষ্যাত মার্কা ছেলে,তোর সাথে আমি কি রকম ব্যাবহার করবো সেটা কি তুই আমাকে শিখিয়ে দিবি নাকি ফাজিল পোলা।।
আমিঃতুমি এখন যা ইচ্ছা বলো,,কিন্তু সবার সামনে আমাকে আর অপমান করো না,,আমাকে সবার সামনে ছোট বানিয়ে তোমার লাভ কি একটু বলবে কোনো লাভ নাই তো,,,তাহলে আমাকে
সবাই সামনে ছোট বানাও,,, আমাকে আর ছোট বানিয় না।
তিশাঃদেখ বেশি প্যাকর প্যাকর না করে যা এখন
আমিঃআমি তো তোমার কাছে আসেনি,, তুমি এলে আমার কাছে তাহলে আমাকে যেতে বলছো কেনো??যেতে হলে তুমি যাও((রাগ নিয়ে)
তিশাঃআরে অই তুই কার উপর রাগ দেখাচ্ছিস শুনি?
দেখ আমার উপর কিন্তু একদম রাগ দেখাবি না।আমি তোর রাগ সহ্য করবো না।আমার সাথে বেশি লাগতে এলে না এই কলেজ থেকে তাড়িয়ে ছাড়বো এই বলে দিলা।
হঠাৎ অধরা চলে এলো,,
অধরাঃকে কাকে তাড়াবে??
তিশাঃঅই তুই এখানে এলি কেনো?তোকে কি কেও আমাদের মাঝখানে ডেকেছে,,তুই কেনো এলি আমাদের মাঝে নাক গলাতে??
অধরাঃবারে তুমি আমার ফ্রেন্ড কে অপমান করছো তাকে হুমকি দিচ্ছো আর আমি চুপ করে থাকবো সেটা কিভাবে হয় বলো??
আমি থাকতে আমার ফ্রেন্ডকে তুমি অপমান করতে পারো না
আমি তো অবাক অধরা আমাকে নিয়ে এতো সিরিয়াসলি কথা বলছে ঝগড়া করছে....
তিশাঃতুই এমন ভাবে কথা বলছিস যেনো এই গাইয়া ক্ষ্যাত ছেলেটা তোর বয়ফ্রেন্ড....
অধরাঃহ্যা মামুন আমার বয়ফ্রেন্ড তাতে তোর কোনো সমস্যা?
তিশাঃআরে বাহ তা কবে শুরু করলি রিলেশন??
অধরাঃএই তো এই মাত্র শুরু করেছি,,
তিশাঃরিলেশন শুরু করেছিস তার প্রমান কি??
অধরাঃতুই কি প্রমান চাস বল আমি সেই প্রমাণ দিবো....
তিশাঃতাহলে এক কাজ কর মামুনকে জড়িয়ে ধরে একটা চুমু খা তো....
অধরাঃকেনো চুমু খাবো কেনো??
তিশাঃআরে তা নাহলে বুঝবো কিভাবে যে তুই মামুনকে ভালোবাসিস কিনা??
অধরাঃআচ্ছা আমি এখুনি প্রমাণ করে দিচ্ছি,,
এই বলে অধরা আমার দিকে এগুচ্ছে
অবস্থা বেগতিক,,এখানে থাকলে যে কোনো কিছু হয়ে যেতে পারে,,অধরা আমার কাছে আসার আগেই আমি দৌড় দিলাম।
একটা নিরাপদ স্থানে এসে হাপাতে লাগলাম।
জানিনা অই যায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলে কি না কি হয়ে যেতো।অহহ অধরার পরিচয় দেইনি,,,
অধরা দেখতে খুব সুন্দরি
ময়দা সুন্দরি নাহ।প্রাকৃতিক সুন্দরি আর অধরার পরিবারো বেশ ভালো স্থানেই আছে।কিন্তু অধরার মনে কোনো অহংকার নেই।
পরিচয় দিতে দিতে ক্লাসের বেল দিয়ে দিছে
ক্লাসে ঢুকে দেখি
অধরা আমার দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে আছে,,আরে এই মেয়ের আবার কি হলো আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে কেনো???
আমি তো কোনো দোষ করিনাই।আর অন্যদিকে দেখি তিশা মুচকি হাসছে,,,
বুজি না এই দুইমেয়ের কি হয়েছে তবে তখন যেই অবস্থা হয়েছিলো তাতে করে তাদের দুজনের চুল ধরাধরি হয়নাই এটাই অনেক।ক্লাসে স্যার এসে পরছে সবাই মিলে দাঁড়িয়ে স্যারকে সালাম দিলাম।
দাঁড়ানো অবস্থায় আবার অধরার দিকে তাকিয়ে ছিলাম দেখে বজ্জাত মেয়েটা তখনো আমারর দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে আছে,,গাল লাল হয়ে গেছে
চোখ তো আরো বেশি লাল।
মনে হয় জ্বলছে,,
আমি পোরা গন্ধ পাচ্ছি😁😁😁😁
ক্লাসের সময় আমি যেই কইবার অধরার দিকে তাকিয়েছিলাম প্রত্যেক বার দেখেছি অধরা আমার দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে আছে তাই ভয়ে পরের ক্লাসে আর অধরার দিকে তাকাই নাই।
ক্লাস শেষ করে পালিয়ে পালিয়ে বাসায় চলে আসছি,,
জানিনা আবার কার সামনে পড়বো আবার নতুন কি ঝামেলা হবে।তার থেকে ভালো পালিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া শেষ করে একটু ঘুমিয়েছিলাম আর তখনি কে যেনো এসে আমার কান টেনে ধরেছে,,,এর আগে কখনো এমন হয় নাই।কোনো দিন কেও আমার কান টেনে ধরে নাই।
আমি ঘুম ঘুম চোখে দেখি অধরা আমার পাশে বসে আছে সকালেই সেই রাগি লুক।
উফফ আমি স্বপ্ন দেখছি
এই মেয়েটা আমার উপর এতো খেপেছে কেনো??
পাশে বসা মেয়েটিঃতুই তখন অইভাবে পালিয়ে গেলি কেনো???
আমিঃআমাকে এখন একটু ঘুমাতে দাও কালকে কথা হবে।
কাল কেনো হবে আমি আজকে কথা বলবো আজকে....
আমার ঘুম তখন অনেকটাই হাল্কা হয়ে গেছে
আমি ভালোভাবে তাকিয়ে দেখি অধরা আমার কান টেনে ধরে বসে আছে,,,
আমিঃএই এই তু তু তুমি এখানে,, কেও দেখেনি তো???
অধরাঃসবাই দেখেছে,,কিন্তু কেও কিছু বলতে সাহস পায়নি,
আমিঃসাহস পায়নি মানে বুঝলাম না,,,
অধরাঃতোকে এতো কিছু বুঝতে হবে না,,এখন বল তুই তখন অমন ভাবে দৌড়ে পালালি কেনো??
আমিঃতো কি আমি দাঁড়িয়ে থাকতাম নাকি??
অধরাঃহ্যা থাকতিস,, তোর জন্য আমি এই প্রথম হেরে গেলাম,
আমিঃহেরে গেছো মানে??
অধরাঃহেরে গেছি মানে,,আমি অই বজ্জাত মেয়ের কাছে হেরে গেছি,,জানিস তুই চলে যাবার পর বজ্জাৎ মেয়েটা আমাকে অনেক গুলো কথা শুনিয়েছে....
আমিঃসেখানে আমার কি দোষ??
অধরাঃসব তোর দোষ,, তুই তখব সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলেই তো সব কিছু মিটে যেতো,,,
আমিঃতুমি যে আমাকে কিস করতে আসছিলে,,তার জন্যই তো পালিয়ে গেছি...
অধরাঃএকটা কিস খেলে কি এমন ক্ষতি হতো শুনি,,
আমিঃবারে আমার লজ্জা লাগে না বুঝি??
অধরাঃআইছেরে আমার লজ্জাবতী,,
আমিঃআচ্ছা সব কথা পরে আগে বলো তো তুমি আমাদের বাসায় কিভাবে আসলে আরর আব্বু আম্মু তোমাকে কিছু বললো নাহ।
অধরাঃআমি ফারাবির কাছ থেকে তোমার বাসার ঠিকানা নিলাম।তারপর তোমার বাসায় আসলাম।
আর আব্বু আম্মু তাদের তো মাত্র একটা কথা বলেই পটিয়ে ফেলছি,,,
আমিঃকি এমন কথা বলছো?অবাক হয়ে.
অধরাঃবলতে লজ্জা করছে,,
আমিঃএ্যাাা লজ্জা করে,,কিন্তু কেনো?
অধরাঃনা মানে আমি বলেছি আমি তাদের ছোট ছেলের হবু বউ😁😁😁😁😁😁দুষ্টুমির হাসি দিয়ে.....
আমি;কিহহহহহ তুমি এই কথা বলেছো??
অধরাঃএতো চিৎকার করার কি আছে হুম...
আমিঃএই তুমি কি আমাকে মাড়তে চাচ্ছো নাকি?আব্বু আম্মু তোমাকে কিছু বলে নাই??
অধরাঃকি বলবে,,শুধু বলেছে আগে ভালোমতো পরিক্ষায় পাস করবো তারপর যা হবার হবে..
আমিঃহ্যা তোমার যা হবার তাই হবে,কিন্তু আমার মনে হচ্চে এইবার আমাকে এই বাড়ি চিরোদিনের জন্য ছাড়তে হবে।
অধরাঃসমস্যা নাই,,আমাদের বাসা তোমার জন্য আছে তো...
আমি;চুপ করো,,তোমাকে কে বলতে বলেছিলো অই সব মিথ্যা কথা?
অধরাঃকেও না,,কে বলতে বলবে?আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই বলেছি,,আর আমার শশুড় শাশুড়ি মনে হয় আমাকে পছন্দ করেছে তাই তো বেশি কিছু বলে নাই।
অই ভাই কেও এই বজ্জাত মেয়েকে একটু বোঝান তো
না হলে আমাকে একটা বিমান দেন আমি উগান্ডা চলে যাবো।এই মেয়ে বলে কি প্রথমেই শশুর শাশুড়ি বানিয়ে ফেললো মাথায় মনে হয় বড় ধরনের প্রব্লেম আছে....
অধরাঃএই তুমি কি ভাবছো??
আমিঃনা তেমন কিছু না,,আব্বু আম্মু কি সত্যি বাসায় আছে,,নাকি আজ খালি বাসা।
অধরাঃনাহ ওনারা তো নিচেই বসে আছে,আমি যখন এলাম তখন তাড়া নিচে বসেই ছিলো,,,এখন কোথায় গেছে আমি কি করে বলবো,,আমি তাড়াতাড়ি করে নিচে এলাম দেখি আব্বু আম্মু নিচেই বসে আছে,,এইরে আমি এইবার শেষ আমি এইবার মরবো।
আব্বু আমাকে দেখে ডাক দিলো,,
আমি ভয়ে ভয়ে আব্বুর কাছে গেলাম,,
আব্বুঃকিরে এই সব কি শুনছি?কতদিন ধরে চলছে এইসব?
আমিঃআব্বু আমি এই সবেই কিচ্ছু জানিনা....
আব্বুঃহয়ছে এখন আর মিথ্যা বলার কোনো দরকার নেই,,শুন মন দিয়ে পড়ালেখা কর,আর প্রেম করছিস ভালো কথা, আমাদের কাছে লুকালি কেনো??
আরে আব্বু দেখি রাগ না করে আমার সাথে ভালো ভাবেই কথা বলছে,, কিন্ত আব্বু সত্যি টা না জেনে মিথ্যাটা সত্যি ধরে নিলো,,ধুর ভালো লাগে না।
আব্বুঃআচ্ছে মেয়েটা সেই কখন আমাদের বাসায় এসেছে ওকে কিছু খেতে দাও।
অধরাঃনা আমি এখন কিছু খাবো না,,আমাকে বাসায় যেতে হবে।
আম্মুঃআরো কিছুক্ষণ থেকে গেলে ভালো লাগতো।
অধরাঃনা আম্মু অন্য একদিন..
কি বজ্জাত মেয়ে এখনি আমার আম্মুকে
আম্মু বলে ডাকতে শুরু করেছে।
আব্বুঃআচ্ছা মামুন ও যখন চলে যেতে চাইছে,তাহলে এক কাজ কর তুই গিয়ে অধরাকে একটু এগিয়ে দিয়ে আয়।
আমি আব্বুর কথায় রাজি হয়ে গেলাম।কারন আমাকে জানতে হবে অধরা আমার বাসায় মিথ্যা কথা কেনো বললো??
আমি আর অধরা বাসার বাইরে চলে এসেছি..
আমি;এইই তুমি আমার বাসায় মিথ্যা কথা বললে কেনো??
অধরাঃআমি চাইছিলাম আমি মিথ্যা বলে তোমাকে একটু বকুনি খাওয়াবো কিন্তু পরে সব সত্যি বলে দিবো।কিন্ত্ আব্বু আম্মু তো আমাকে তাদের ছেলের বউ বানাতে রাজিই আছে তাই আর সত্যি বললাম না।
আমিঃহ্যা খুব ভালো করেছো?আমাকে উদ্ধার করেছো সত্যি না বলে।
অধরার সাথে ঝগড়া করতে করতে অধরাকে তাদের বাসায় পৌছে দিয়ে আসলাম।
বাসায় আসার পর আম্মু আমার কান টেনে ধরলো আর বললো আমাদের না জানিয়েই বউ খোজা হয়ে গেলো.
আমিঃদেখো আম্মু অই বজ্জাত মেয়েটা মিথ্যা বলছে
আম্মুঃমিথ্যা না সত্যি সেটা আমি জানিনা আর জানতে চাইও না।
ছেলের বউ হিসাবে মেয়েটাকে আমার ভালোই লাগলো।
আমিঃধুর আম্মু তুমিও নাহ(লজ্জা নিয়ে)
আমি চলে গেলাম
এইভাবেই যেতে লাগলো দিন গুলো
তিশা আমাকে অপমান করে,,আর অধরা আগলে রাখে
এর কিছুদিন পর অধরা আবার আমাদের বাসায় আসলো
এসে আব্বু আম্মুকে বললো তার সাথে নাকি তার কোন এক ফ্রেন্ডের বাসায় যেতে হবে কিসের নাকি পার্টি আছে??
আমি যেতে না চাইলেও আব্বু আম্মু আমাকে জোড় করেই পাঠিয়ে দিলো।
আমি গাড়িতে উঠে অধরাকে জিজ্ঞাস করলাম
আচ্ছা আমাকে সাথে না নিলেও তো পাড়তে?
অধরাঃহ্যা পাড়তাম,কিন্তু যে পার্টি তে যাচ্ছি সেখানে সবাই কম বেশি মিংগেল।তাই ভাবলাম আমি একা সিংগেল থাকি যদি তাই তোমাকে নিয়ে যাচ্ছি....
এই মেয়ে আসলেই একটা বড় পাগল,,
পার্টিতে গিয়ে আমি আর অধরা পাশাপাশি হাটছি...
এক সময় অধরা আমার হাত ধরলো
আমিঃকি হলো এটা তুমি আমার হাত ধরলে কেনো??
অধরাঃআশে পাশে দেখো সবাই হাত ধরে হাটছে তাই।
আমি আর অধরা হাটছি এমন সময় তিশা আমাদের সামনে
আমাদের দেখে প্রচণ্ড রেগে গেছে
চোখ দুটি লাল হয়ে গেছে
মনে হয় আমাদের দুজনকে খেয়ে ফেলবে
To Be Continue😍😍
Copy korechen
ReplyDelete