😍বড় লোকের অহংকারী মেয়ে😍
২য় পর্ব
লেখক---RK Rasel
আমি কানে ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেটা দেখে তিশা মিটি মিটি হাসছে,,আর সেটা দেখে আমার গা জ্বলে যাচ্ছে না পারছি কিছু বলতে না পারছি কিছু সহ্য করতে শুধু জ্বলছি।ক্লাস শেষ আমি বাহিরে বের হয়ে ক্যাম্পাসে চলে গেলাম।একা বসে ছিলাম।ক্লাসে সবার সামনে কানে ধরেছি,সবাই আমার দিকে চেয়ে হাসছে,,সেটা আমার খুব খারাপ লাগছে।
একা বসে ছিলাম তখন কোথা থেকে জেনো তিশা এসে আমার গালে চড় বসিয়ে দিলো।আমি তো হতবাক সাথে ক্যাম্পাসের সবাই
আমি গালে হাত দিয়ে,এই তুমি আমাকে মারলে কেনো??
তিশাঃবেশ করেছি মেরেছি,,তোর মতন ছোটলোক কি করে ভাবলো তুই আমাকে প্রেম পত্র দিবি আর আমি রাজি হয়ে যাবো....
আমিঃআমি তোমাকে প্রেম পত্র দিতে যাবো কোনো দুঃখে শুনি??
তিশাঃএখন আবার নেকা সাজা হচ্ছে তুই যে একটা বদ ছেলে সেটা আমার বুঝা হয়ে গেছে,,দেখ তোকে শেষবারের মত বলে দিচ্ছি তুই অই সব ধন্দা মাথা থেকে বেড় করে দে।তোর মত ফকিরকে আমি ভালোবাসি না,,আর কোনোদিন ভালোবাসবো নাহ।
তোর মত ছেলেদের করুনা করা যায় কিন্ত্ ভালোবাসা যায় নাহ।
আমিঃআমি তো তোমাকে ভালোবাসি না তাহলে এতো কথা আসছে কোথা থেকে শুনি??
তিশাঃভালোবাসিস না,,না
তাহলে প্রেম পত্র দিলি কেনো??
আমিঃআমি তোমাকে কোনো প্রেম পত্র দেই নাই
তিশাঃএখন আবার মিথ্যা বলা হচ্ছে তাই না।
তখন পেছিন থেকে একটা ছেলে
নাহ ও কোনো মিথ্যা কথা বলে নাই।ও সত্যি কোনো প্রেম পত্র দেই নাই।
আসলে আমি ওটা তানহার দিকে ছুড়ে মারছিলাম,, কিন্ত ভুলে সেটা আপনার কাছে চলে যায়।
তিশাঃতাহলে সেটা এতোক্ষন না বলে এখন বলেছেনন কেনো??
ছেলেঃআমি বলার জন্য আপনাদের খুজছিলাম
আমিঃএখন বিশ্বাস হলো তো আমি তোমাকে কোনো প্রেম পত্র দেই নাই।
তিশাঃহু
আর কিছু না বলে তিশা সেখান থেকে চলে গেলো
আর ছেলেটি আমার কাছে এসে বললো
ছেলেঃআমি সরি আমার জন্য তোমাকে এতো কিছু সহ্য করতে হলো।
আমিঃনাহ এর জন্য সরি বলার কি আছে।
ছেলেঃআচ্ছা আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি,,শুধু ফ্রেন্ড নাহ
বেষ্ট ফ্রেন্ড
আমিঃহ্যা হতেই পারি,,তোমার নাম কি??
ছেলেটিঃআমার নাম ফারাবি,,তোমারর নাম তো মামুন?
আমিঃহ্যা আচ্ছা ফ্রেন্ডশিপে তুই করা বলাটা বেশি ভালো তাই না
ফারাবিঃহ্যা সেটাই
এইভাবেই কলেজে একজন বেষ্ট ফ্রেন্ড পেয়ে গেলাম।
এরপর থেকে অনেক বন্ধু হতে লাগলো
ফারাবি আর আমি এখন একদম কাছের বলতে গেলে দুই ভাইয়ের মত।
একদিন দেখি ফারাবি মন খারাপ করে বসে আছে
আমিঃকিরে মামা মন খারাপ কেনো??
ফারাবিঃআর বলিস না আমি তানহাকে এতো ভালোবাসি কিন্তু আমি সেটা এখনো তানহাকে বলতেই পাড়লাম না।
আমিঃতুই তো একটা গাধা তাই বলতে পারিস নাই।আচ্ছা কাল কলেজে চল আমি সব ম্যানেজ করে দিবো....
ফারাবিঃকিভাবে কি করবি দোস্ত?
আমিঃসেটা কালকেই দেখতে পারবি
পরদিন কলেজে
ফারাবি আর আমি অনেক আগেই কলেজে চলে এসেছি
দেখি তানহার আরর ওর বান্ধবী গুলো আসছে
আমি তানহার সামনে গিয়ে বললাম
আমিঃতানহা তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো।
তানহাঃজি বলুন কি কথা??
আমিঃদেখো বেশি ঘুড়িয়ে পেচেয়ি বলতে পারবো নাহ।আমার বন্ধ ফারাবি তোমাকে ভালোবাসে
তানহাঃআপনার বন্ধু ফারাবি আমাকে ভালোবাসে সেটা আপনার বন্ধুর ব্যাপার,কিন্তু আমি অন্য এক ফারাবিকে ভালোবাসি ক্লাস১০ থেকে
আমিঃকিন্ত আমার বন্ধতো তোমাকে অনেক ভালোবাসে প্লিজ ফারাবিকে ফিরিয়ে দিও না
তানহাঃসরি আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
আমি মন খারাপ করে ফারাবির কাছে চলে গেলাম
তারপর
আমিঃদোস্ত তুই তানহাকে ভুলে যা
ফারাবিঃকেনো একথা কেনো বললি??
আমিঃতানহা নাকি অন্যকোন এক ফারাবিকে ভালোবাসে
ফারাবিঃদাড়া তানহার মজা বের করছি গত একবছর যাবত আমি তানহার পেছনে ঘুরছি
ফারাবি গিয়ে তানহার সামনে দাঁড়িয়ে
ফারাবিঃএই তোমার পেছনে ঘুরছি আর তুমি অন্য কোন ফারাবিকে ভালোবাসো ?
তানহাঃনা মানে আমি অন্য কাকে ভালোবাসি? আর এই কথা তোমাকে কে বলেছে শুনি??
ফারাবিঃকেনো আমার বন্ধু বললো তুমি নাকি অন্য কোনো ফারাবিকে নাকি ভালোবাসো
তানহাঃকে তোমার বন্ধু??
ফারাবিঃএই তো আমার বন্ধু(আমাকে দেখিয়ে দিয়ে)
তানহাঃআরে আমি কি জানতাম নাকি এনি তোমার বন্ধু,আমি তো ভাবছি এনি যার কথা বলছে আর আমি যাকে ভালোবাসি দুজন আলাদা মানুষ
কে জানতো দুজনি এক
ফারাবিঃতার মানে কি তুমিও আমাকে......
তানহাঃহ্যা(লজ্জা নিয়ে)
ফারাবিঃতাহলে তুমি যে বলেছো ১বছর ধরে ভালোবাসো??
তানহাঃহ্যা বাসি তো আমি তোমাকে গত এক বছর ধরে ভালোবাসি অনেক ভালোবাসি তোমাকে...
ফারাবিঃতাহলে এতোদিন বললে না কেনো??
তানহাঃকেনো আমি কেনো বলবো তুমি বললে না কেনো
আমিঃআচ্ছা তোরা দুজন কথা বল আমরা না হয় অন্য যায়গায় গিয়ে বসি কেমন??
তারপর আমি আর তানহার বান্ধবীরা অন্য যায়গায় এসে বসে পড়লাম তাদের সাথে কথা বলতে লাগলাম।
তখন কোথা থেকে যেনো তিশা এসে বললো
কি ব্যাপার সেদিন আমাকে লাভ লেটার দিয়ে কাজ হয়নি বলে আজ আবার নতুন কারো খোজ করছিস নাকি??
আমিঃদেখো তুমি যখন তখন এসে এইভাবে আবোল তাবোল কোনো কথা বলবে না।এরা সবাই আমার ফ্রেন্ড।
তিশাঃফ্রেন্ড না ছাই,তোকে আমি খুব ভালোভাবে চিনে গেছি
তখন তানহার এক বান্দবি নাম আধরা সে বলে উঠলো
দেখুন সে যদি আমাদের কারো সাথে প্রেমো করে তাতে আপনার সমস্যা কোথায় শুনি??
আপনি তো আর তার গার্লফ্রেন্ড না যে আপনার প্রব্লেম হবে।
তিশাঃকিরে তুই ওর হয়ে এতো কথা বলছিস তুই কে শুনি?ওকে ভালোবাসিস নাকি??
অধরাঃযদি ভালোবাসি তাতে আপনার কোনো সমস্যা আছে নাকি শুনি??
তিশাঃআমার কেনো সমস্যা হতে যাবে।??
অধরাঃতাহলে এখানে এতো কথা না বলে এখান থেকে জান তো....
তিশাঃকেনো আমি কি তোদের প্রেমে সমস্যা করছি নাকি??
অধরাঃদেখুন আমরা এখানে প্রেম করছি নাহ।আমরা জাস্ট ফ্রেন্ড আর আপনি চাইলে
আমাদের সাথে যোগ দিতে পারেন...
তিশাঃআমার বয়েই গেছে তোদের মত মানুষদের সাথে আড্ডা দিবো,,থাক তোরা,,
তিশা চলে গেলো এই মেয়ের মতি গতি কিছুই বুঝি না।যখন তখন অপমান করে।আমি এই মেয়ের কি এমন ক্ষতি করেছিলাম যে যখন তখন অপমান করে ভালো লাগে না।
অধরাঃএই আপনার কি মন খারাপ??
আমিঃনাহ মন খারাপ কেনো থাকবে??
অধরাঃআরে অই মেয়ের কথায় কিছু মনে করবেন না,
যে যেমন সে তেমনি ভাববে,,,সে নিজে হয়তো অন্য কারো সাথে প্রেম করে তাই আপানকে আমাদের সাথে বসে থাকতে দেখে বলছে আপনি প্রেম করছেন।
আমিঃহু
অধরাঃআচ্ছা ফারাবিকে কিভাবে চিনলেন??
আমিঃঅই যে সেইদিনের কথা মনে আছে যেদিন ক্লাসে আমি কান ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম?
অধরাঃহ্যা আছে জানেনে আপনাকে অনেক কিউট লাগছিলো..হাসতে হাসতে
আমিঃএতো হাসার কি হলো.....
অধরাঃনা মানে আপনাকে পিচ্চি একটা ছেলের মত মনে হচ্ছিলো,,,,
আমিঃহু
অধরাঃএই আপনি কি রাগ করলেন নাকি??
আমিঃনাহ রাগ কেনো করবো??
অধরাঃআচ্ছা তাহলে এবার বলুন,ফারাবিকে আপনি কিভাবে চিনলেন,,,মানে আপনাদের পরিচয় হলো কিভাবে??
আমিঃসেদিন ফারাবি আপনার বান্ধবীকে চিঠি ছুড়ে মেরেছিলো মিস্টেকে সেটা তিশার কাছে চলে যায়
আর তারপরের ঘটনা আপনি জানেন,আর ফারাবি যখন তিশাকে চিঠি ছুরে মেরেছিলো সেটা আমি দেখছিলাম কিন্তু তারপরেও আমি সেটা বলি নাই।
তারপরে থেকেই আমাদের ফ্রেন্ডশিপ হয়ে যায়।
অধরাঃআপনি সব জেনেও কিছু বলেন নাই,,হাহাহা পিচ্চি
আমিঃ…………………………
অধরাঃআচ্ছা আমরা তো সেইম ইয়ারে পরি তুমি করে বলবো আমরা আপনি বলাটা আমার একদম ভালো লাগছে না।
আমিঃআচ্ছা আপনার যা ইচ্ছা বলুন....
অধরাঃশুধু আমি কেনো বলবো আপনাকেও বলতে হবে
আমিঃকিন্তু
অধরাঃকোনো কিন্তু নয়,,
এখন থেকে আমি তোমাকে তুমি আর তুমিও আমাকে তুমি করে বলবে,,মনে থাকে যেনো...
আমিঃআচ্ছা থাকবে,,
অধরাঃএই অই দুইজনকে সেই কখন ছেড়ে এসেছি এখনো
তাদের কোনো খোজ খবর নেই,,,কি করছো চলো গিয়ে দেখি
আমিঃহ্যা চলো
তারপর আমি অধরা আর তার বান্ধবীরা চলে গেলাম।
দেখি ফারাবি আর মাত্র একে অপর কে জড়িয়ে ধরতে যাবে ঠিক তখনি
আমিঃমামা ভাগ স্যার আইলো
ফারাবি তো তানহাকে ছেড়ে সোজা দৌড়
এদিকে আমি অধরা বাকি সবার হাসতে হাসতে শেষ
তানহাও যোগ দিলো আমাদের সাথে।।
তানহাঃফারাবি আসলেই একটা মহা ভীতু
আমিঃহুম
তানহাঃআমাকে এতোদিন ধরে ভালোবাসে,,কিন্তু বলার সাহস পায়নি,, আর দেখুন আপনার মিথ্যা কথা শুনে কিভাবে দৌড় দিলো।
আবার সবাই হাসতে লাগলাম।
সেদিন আর তেমন কিছু হলো না পরদিন কলেজে
আমি যথারীতি সাইকেল নিয়ে কলেজে যাচ্ছি সামনে একটা মেয়ে হেটে যাচ্ছে কয়েকবার বেল দিলাম কিন্তু আমাকে সাইড দিচ্ছে না।আমি যে একটু কাটিয়ে যাবো সেটাও করতে দিচ্ছে না
বার বার বেল দিচ্ছি
একসময় মেয়েটা পেছন ঘুরে তাকালো আরে এটা তো তিশা
আমিঃকি ব্যাপার এতো বার বেল দিচ্ছি সাইড দিচ্ছো না কেনো??
তিশাঃআমার ইচ্ছা হচ্ছে তাই দিচ্ছি না,,আর তোর এই ক্ষ্যাত মার্কা সাইকেলের বেল আমার কান ঝালাপালা করে দিছে।বাসায় রেখে আসতে পারিস না এই ভাঙারী কে।
আমিঃদেখো তুমি আমায় যা ইচ্ছা বলো কিন্তু আমার সাইকেল নিয়ে কিছু বলবো না।
তিশা আমার কথা শুনে মনে হয় রেগে গেলো
তারপর তিশা আমার সাইকেলে এতো জোরে লাথি মারলো সাইকেল আমার হাত থেকে ছুটে পরে গেলো।
তিশা যখন আমার সাইকেলে লাথি মারছিলো আমার মনে হচ্ছিলো সে আমার বুকে লাথি মারছে,,
আমি নিরব হয়ে গেলাম।
তিশাঃকিরে এমন চুপ করে আসিস কেনো??
নিশ্চুপ....
তিশাঃধুর তোর সাইকেলের মত তুইও ক্ষ্যাত
থাক তুই
তিশা চলে গেছে কিন্তু আমি তখনো সেখানে দাঁড়িয়ে আছি।
বেষ্ট ফ্রেন্ডরে অপমান করলে যেমন কষ্ট হয় আমারো তেমন কষ্ট হচ্ছিলো।
আমি দাঁড়িয়ে আছি তখন কোথা থেকে অধরা এসে আমাকে বললো আরে তুমি এখানে এইভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেনো??
আর তোমার সাইকেল এইভাবে পরে আছে কেনো??
নিশ্চুপ......
অধরাঃআরে তুমি কাদছো কেনো কি হয়েছে??
আমি তখন অধরাকে সব বললাম
অধরা আমার কথা শুনি খানিক মুচকি হাসি দিয়ে বললো এই জন্য কেও কাদে বোকা ছেলে
অধরা আমার সাইকে উঠিয়ে আমাকে বললো
তুমি সাইকেল চালাও আমিও তোমার সাইকেলে চড়ে যাবো,,
আমিঃকিন্তু
অধরাঃযেটা বলেছি সেটা করো
আমি আর কি করবো
আমি সাইকেলে উঠে বসলাম আর অধরা পেছনে না বসে সামনে বসলো আমি সাইকেল চালাতে শুরু করলাম
একটা গান আছে না
চলে আমার সাইকেল অই উইড়া উইড়া
আমারো সেই গান গাইতে ইচ্ছা করছে।।
অধরাঃআচ্ছা মামুন জানো আমার এখন অনেক ভালো লাগছে.
আমি;কেনো এতো ভালো কেনো লাগছে???
অধরাঃসেটা আমি বলতে পারছি না,,,কিন্তু অনেক ভালো লাগছে সেটা বুঝতে পাচ্ছি
To Be Continue
No comments :
Post a Comment