Friday, October 26, 2018

বখাটে মেয়ে

1 comment

▬▬▬#গল্পঃবখাটে_মেয়ে▬▬▬☛
.
পরিচয় দিযে শুরু করলাম।আমি আরমান সবে মাএ ইন্টার ফাস্ট ইয়ার পরিক্ষা শেষ করে ইন্টার সেকেন্ড ইযারে জন্য প্রস্ততি নেচ্ছি।
এর মাঝে ঘটে গেলে আজব কাহিনী.........
একদিন...........
বালিকা স্কুলের পেছনে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছি । দেয়ালে হেলান দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে সিগারেটে টান দিচ্ছি আর আয়েশ করো ধোয়া ছাড়ছি । হঠাৎ ধুপ করে শব্দ হলো ।
দেখি গার্লস স্কুলের একটা মেয়ে ব্যাগ কাধে আমারা দিকে ভীত চোখে তাকিয়ে আছে । আমি তো রীতিমত অবাক হয়ে গেছি কারণ যে দেয়াল টপকে বের হয়েছে সেটা প্রায় সাত ফুট । একটা মেয়ে হয়ে এতো উচু দেয়াল টপকালো কিভাবে !!?? খুব বেশি অবাক হলাম যখন মেয়েটা আমাকে বললো, "সিগারেট হবে একটা??"
আমি অবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে মেয়েটার দিকে তাকালাম । কতক্ষন তাকিয়ে ছিলাম খেয়াল নেই । মেয়েটার তুড়ি বাজানোতে আমার ঘোর কাটলো, "ওই হ্যালো !! হাবলার মতো তাকিয়ে আছেন কেন ??"
আমি মনে মনে হিসাব করতে লাগলাম ।মেয়েটা যদি এইবার স্কুলের সবচেয়ে সিনিয়র ও হয় তাও ক্লাস টেন । হাইস্কুল এ পড়ে বলে কথা । এইটুকু পিচ্চি মেয়ে আমার কাছে সিগারেট চাইছে !! রাগ ওঠে গেল । এখন ওর জায়গায় একটা ছেলে হলে নিশ্চিত একটা থাপ্পর মেরে দিতাম । কিন্তু মেয়ে বলে দিতে থাপ্পড় দিতে পারলাম না । মুখে বিরক্তির ভাব ফুটিয়ে বললাম,

আমি: না নেই ।
মেয়েটা: আপনি তো ভালো কিপ্টা আছেন । পকেটে বেনসনের প্যাকেট নিয়ে ঘুরছেন আর একটা সিগারেট দিতে হাত কাপে ??
আমি: ওইইই পিচ্চি । তুমি কিভাবে জানলে এটা বেনসনের প্যাকেট ?
মেয়েটা: সেটা জেনে আপনি কি করবেন ? চিনি বলেই বলতে পারছি । আপনি আমাকে কি সিগারেট দিবেন নাকি না ?
আমি: আচ্ছা ঠিক আছে । তোমাকে আমি সিগারেট দিবো কিন্তু একটা শর্তে।
মেয়েটা: কি শর্ত ?? বলে ফেলুন ।
আমি: তুমি কিভাবে জানলে এটা বেনসন সিগারেট ?
মেয়েটা: হা হা হা হা । আমি চেইন স্মোকার না হলেও মাঝে মাঝে খাই । আর বেনসন ছাড়া অন্য কিছু ট্রাই ও করি না ।
আমি: ওহহহহ । কিন্তু তুমি সিগারেট খাও কেন ?
মেয়েটা: প্যারা থাকলে খাই । আপনি দয়া করে সিগারেট টা আমাকে দিয়ে ধন্য করুন ।
মেয়েটার কথা শুনে মনে হচ্ছে আমি একটা ছেলের সাথে কথা বলছি । আমি ভালো করে মেয়েটার দিকে তাকালাম । মেয়েটা দেখতে সুন্দরী তো বটেই কিন্তু একটু বেশিই লম্বা । পাঁচ ফুট পাচ-ছয় ইঞ্চি হবে , মেয়েলী সাজগোজের মধ্যে শুধু চোখে কাজল দেওয়া আর কিছু না । চুল বেণী করে রেখেছে । হাতে ছেলেদের মতো বড় ঘড়ি । মেয়েটাকে দেখে কেমন যেন চেনা চেনা
লাগছে !! মনে হচ্ছে কোথায় যেন দেখেছি ।
আমি অনেকক্ষন ধরেই পরখ করছিলাম । মেয়েটা বলে ওঠলো, "একটা সিগারেট চাইছি তাই এমন করছেন ??"
আমি: আরে না না । আমি তোমাকে দেখে বেশ অবাক হয়েছি । তাই একটু দেখছিলাম ।
মেয়েটা: একি !! আপনি আমাকে তুমি করে বলছেন যে ??
আমি: তো কি করে বলবো ?
মেয়েটা: প্রথম দেখাতেই তুমি !! আপনি করে বলেন ।
আমি: হা হা হা হা । তুমি আমার ছোট ভাইয়ের সমান , বোন থাকলে ছোট বোন হতো। আমি ছোট বোন মনে করেই তুমি বলেছি । অন্য কিছু না ।
মেয়েটা: ওকে । এখন সিগারেট দিন ।
আমি সিগারেটের প্যাকেট টা মেয়েটার দিকে এগিয়ে দিলাম । আর জিজ্ঞেস করলাম,
আমি: তোমার নাম কি ?
মেয়েটা: নিশি ........
মেয়েটার নাম শুনে চমকে উঠলাম । এতোক্ষণে বুঝতে পারলাম মেয়েটাকে কেন চেনা চেনা মনে হচ্ছিল । মেয়েটা আর কেউ না বৃষ্টি ছোট বোন । বৃষ্টি পুরো নাম বৃষ্টি বিনতে বৃথি। বৃষ্টি বাবার নাম আহাদ চৌধুরী । নিশি আমার সিগারেটের প্যাকেট ঢিল দিয়ে দেয়ালের ওপাশে ফেলে দিলো । সাথে সাথেই আমার চোখে ভয় নেমে এলো । বৃষ্টি যদি জানতে পারে আমি সিগারেট খেয়েছি তাইলে নিশ্চিত আমার চুল ছিড়ে ফেলবে । নিশি কে বললাম,
আমি: বইন রে !! তোর পায়ে ধরি । বৃষ্টিকে কিছু বলিস না । তোর বোন যে নির্দয় , ও যদি জানতে পারে আমি সিগারেট খাইছি তাইলে আমার অবস্থা ত্যানা ত্যানা করে ফেলবো ।
ওকে বলবো না । কিন্তু এইবার আমার কিছু শর্ত আছে ।
আমি: বলো বলো । কি শর্ত ?
আমি আর জানুটা এখন প্রেম করবো । আপনি কিছু বলতে পারবেন না ।
আমি: তুমি যতো ইচ্ছা প্রেম করো । আমি কি বলতে যাবো ?
আপনি পাহারা দিবেন আর আমি যা খেতে চাইবো সেটাই দোকান থেকে এনে দিতে হবে । ওকে ?
কিছু করার নাই, পড়ছি গ্যারাকলে । মুখ টা বেজার করে বললাম ,ওকে ।
নিশি ওর ব্যাগ থেকে ফোন বের করে কল দিয়ে বলতে লাগলো, হ্যালো জানু... এস পি পার্কে চলে আসো তাড়াতাড়ি....আজকে অনেক মজা করবো....আরে না না আমি একাই ।
অতঃপর নিশি আমাকে আইসক্রিম আনতে পাঠালো । আইসক্রিম নিয়ে ফিয়ে এসে দেখি নিশি আমার ছোট ভাই রাইয়ানের হাত ধরে বসে আছে । আমাকে দেখে রাইয়ান মাথা নিচু করে বসে রইলো । নিশি ওঠে আমার হাত থেকে আইসক্রিম নিয়ে বললো, ভাইয়া আপনি একটু দূরে গিয়ে দাড়ান ।
আমি: কেন ? দূরে কেন ?।
রাইয়ান আমার হাত ধরতে ল'জ্জা পাচ্ছে ।
কথাটা শুনে আমি দুঃখিত চোখে কিছুক্ষণ রাইয়ানের দিকে তাকিয়ে রইলাম । রাইয়ান আগের মতোই মাথা নিচু করে বসে আছে । কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে সামনের দিকে হাটা শুরু করলাম । নিশি পিছন থেকে ডাক দিয়ে বললো, ভাইয়া !! একটু ভালোমতো' নজর রাখবেন । আপনার বাবা নাকি এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে ।
আমি ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম, আচ্ছা ।
হায়রে আমার কপাল !! শেষ পর্যন্ত ছোট ভাইয়ের প্রেমের পাহারা দিতে হচ্ছে... হুহহহ
এর মাঝে ফোনটা বেজে উঠলো ফোনটা বের করে দেখি বৃষ্টি হ্যালো জানু কিছু বলবে।
হুম বলবো।আরমান আমার বোনের যেন পাহাড়ায় কোন কমতি যেন না হয়।যদি হয় তাহলে কি হবে সেটা পড়ে বুঝবা।
লে ঠেলা এই দিকে নিশির প্যারা আর অপর দিকে ওর আপু বৃষ্টির প্যারা।
(সমাপ্ত....)

সম্পূর্ন লেখাটুকু পড়ারজন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। পরবর্তী আমার লেখা আরো গল্প পড়ার জন্য আমন্ত্রন রইলো।
"
গল্প কেমন হয়েছে কমেন্ট এ জানাবেন প্লিজ।
,
ক্ষুদ্র লেখক তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

●▬▬๑۩লেকখঃ কষ্টের ফেরিওয়ালা۩๑

1 comment :

  1. আরো নতুন নতুন গল্প, কবিতা,জোকস পড়তে চাইলে আমার সাইটে ভিজিট করুন
    www.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete