♪♪ভালোবাসার শেষ বেলা♪♪
()
--আমার বিয়ে ঠিক আছে।
--হু
আমি আর কিছু না বলে খাওয়ায় মন দিলাম।মেঘা বিরক্ত হয়ে বলল।
--আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে
--ভাল তো, ছেলে কি করে।
--ডাক্তার
--বাহহ,ভালো তো ফ্রি, ফ্রি চিকিৎসা নিতে পারবি।
-আর কিছু বলবি না।
--মেঘার কথার উত্তর না দিয়ে খেয়েই যাচ্ছি।
খাওয়ার সময় বেশি কথা বলতে নেই।
আমার খাওয়া দেখে মেঘা রেগে যাচ্ছে
আমি যেভাবে খাচ্ছি সেভাবে খেলে যে কেউ রেগে যাবে।তার ওপর মেঘা আছে সিরিয়াস মুডে।তবু আমি নিজের মতো খেয়ে যাচ্ছি
খাওয়া শেশ করে দেকি মেঘা এখন ও রাগি মুডে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।তার রাগ ভাঙ্গানোর জন্য বললাম
--খুব ক্ষুদা লাগছিল তাই।
--আমি কি তোর খাওয়া নিয়ে কিছু বলেছি।।খাওয়া ছাড়া আমি আরও অনেক কিছু বলেছি,,,,সে সম্পর্কে কিছু বল
(আমি চুপ করে রইলাম)
--কিছু বলবি না
--কি বলবো
ছেলে তো ভালো,ডাক্তার,,, তবে ডাক্তার রা নিজের বুয়ের চেয়ে রোগির সেবাই বেশি করে।
--নে খা
মেঘা তার খাবার টা আমার প্লে দিল। আমি সেটা গিলতে থাকি।আহহ খাওয়া সেষ।
কি শান্তি
মেঘা চুপ করে বসে আছে। তার বিয়ে ঠিক হয়েছে এজন্য তার মন খারাপ।এমন তো হহওয়ার কথা না।এর আগেও সে এরকম করেছে।পরে বুজেছি সে আমার সাথে মজা করেছে।কি জানি এখনও মজাই করছে মনে হয়।
--রেস্টুরেন্ট বিল মিটিয়ে রিক্সা ডাকল মেঘা। কি জানি কই নিয়ে যায় পাগলি মেয়েটা।মেঘা রিক্সায় চড়ল।
আমিও তার পাশে বসলাম,দেখে মেঘা আরও রেগে গেল। ঘাড়ের ওপর কিল দিয়ে বলল।
--নাম
--কেনো
--আমি বাসায় যাবো
আমি রিক্সাটা থেকে নেমে গেলাম।মেঘা আমার দিকে তাকিয়ে
--এই দেখ রিং।সত্তি আমার বিয়ে
--অনুষ্টান কবে
--পরশু
--পরশু, শোন গরুর গোস্ত ভাল করে রান্না করতে বলিস।আর শোন গোস্তে ঝাল কম দিতে বলিস।বেশি ঝাল দিস না,,,ঝাল খেলে আমার পেট ব্যাথা করে।
--ভালবাসিস আমায়
--চুপ হয়ে গেলাম।এপ্রশ্নের উত্তর জানা নেই।জানলেও উত্তরটা দিতে পারব না।তবু সাহস সন্ঞ্চাার করে
--না তো
মেঘা চোখ মুচতে মুচতে রিক্সা ওয়ালাকে
--মামা চলেন
মেঘা চলে গেল। আর আমি হাটা দিলাম মেসের দিকে।
................../..
াজকে মেঘার বিয়ে। সকালবেলা থেকে শরির মন ভাল নেই।
জ্বর জ্বর লাগছে
ভাবছি তার বিয়েতে যাব না।পরে ভাবলাম
না গেলে ও তো হওয়ার নয়।তাই অসুস্থ শরীর নিয়ে উটে পরলাম।রেডি হয়ে রোনা দিলাম,,,,,, উদ্দেশ্য মেঘার বিয়ে।
মেঘার জন্মদিনের জন্য উপহার দিব বরে কিছু টাকা জমিয়েছি সেটা দিয়ে তার জন্য বড় একটা আইসক্রিম নিলাম তার পছন্দের।
সে প্রায়ই আমাকে বলতো
--আইসক্রিম খাওয়াবি।
পকেটে টাকা না থাকায় আমি বলতাম
--ধুরর আইসক্রিম খেলে ঠান্ঠা লাগবে
মেঘা কিছু বলতো না।হয়ত বুজতে পারত আমার পকেটে টাকা নেই।
েসব ভাবতে ভাবতে মেঘাদের বাড়িতে ঢুকলাম।সুন্দর করে সাজিয়েছে।
সাজাবে নাই বা কেনোবড় লোকের মেয়ের বিয়ে বলে কথা।
তাদের বাসা এর আগেও একবার এসেছিলাম।
মেঘা স্টেজে বসে আছে।তার পাশে কয়েকটা মেয়েও বসে আছে।মেকাপ নিয়ে েকদম ভাল লাগছে না।আমরা মিছে মিছেই ভাবি যে মেকাপ নিলে মনে হয় মানুষ সুনদর লাগে।
স্টেজের কাছে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না।
তাি দুরে একা একা দাড়িয়ে আছি।
মেঘা আমাকে দেকেছে।আমাকে ইশারায় ডাকছে।প্রথমে আমি ভেবেছি অন্য কাউকে ডাকছে।পরে বুজলাম আমিও।
..
আমি স্টেজে ওঠতে ওঠতে স্টেজ খালি হয়ে গেল। মেঘা র কাছে গেলাম। আমার হাতে প্যাকেট দেখে বলল
--কি আছে এতে
--আইসক্রিম
--আইসক্রিম!কার জন্য
--তোর জন্য। অনেকবার চেয়েছিস কিন্তু দিতে পারি নি। তাই
মেঘা চুপ করে আছে,আমিও চুপ করে আছি।
কি বলব কিছু বুজতে পারছি না।
হঠাৎ মেঘাবলে উটলে
--মুরাদ
--আমাকে নিয়ে পালাবে।
আমি প্রথমে ভাবলাম ফাজলামি করছে।কিন্ত না সে ফাজলামি করছে না।
তার কঠিন আবদার।
যেনো পুরন করতেই হবে।
আমি বললাম
--কিরে খাওয়ানো শুরু করেছে।খুব ক্ষুদা লেগেছে।
মেঘা মুখ নিচু করে আছে। আমি তার হাতে আইসক্রিমের প্যাকেট তার হাতে দিয়ে আমি স্টেজ থেকে নামলাম।
একবার পিছনে ফিরে তাকালাম।
আইসক্রিমের মতো তার চোখ বেয়েগলে গলে পরছে।
ামার চোখ চোক থেকে পানি ঝরছে না।
কারন যে তার ভালবাসার মানুষের কাছে তার ভালবাসা প্রকাশ করতে পার না,।তার কাদার অধিকার নেই।
..........................
মুরাদ ও মেঘার মতো এভাবেই বিসর্জন দিচ্ছে এরকম অনেক থুনসুটি ভালোবাসা
Monday, October 15, 2018
ভালোবাসার গল্প - ভালোবাসার শেষ বেলা
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
আরো নতুন নতুন Golpo পড়তে ভিজিট করুন
ReplyDeletewww.valobasargolpo2.xyz